![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার এর বিপক্ষে কার্যকরী ওষুধ উদ্ভাবনের চেষ্টায় কাজ করছি কিংস কলেজ লন্ডন এ নিজের গবেষণাগারে।
আলোচনা করছিলাম বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মান উন্নয়ন প্রসঙ্গে। এর আগের পর্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রস্তাবিত বিষয়গুলি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে ইন্ডাষ্ট্রীর যোগসূত্র স্থাপন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য সমন্বিতভাবে কেন্দ্রীয় সেন্টার অব এক্সেলেন্স গঠন। এই পর্বে বর্তমান ধারার ছাত্র রাজনীতির সংস্কার প্রসংগে আলোচনা করছি।
# বর্তমান ধারার ছাত্র রাজনীতির সংস্কার
-------------------------------------------------
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মানের অবনতির অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে বর্তমান ধারার ছাত্র-রাজনীতি। আদর্শ বিহীন, রাজনৈতিক দলের লেজুরবৃত্তির এ রাজনীতির ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্বক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে সেশন জটের, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি অনির্দিষ্ট ভাবে বন্ধ থাকছে মাসের পর মাস এবং এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে সেশন জটের। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া শিক্ষা ও ছাত্রের সাথে সম্পর্কহীন এ রাজনীতি সৃষ্টি করছে কিছু ভবিষ্যত দুবৃত্ত যারা ছাত্র-রাজনীতিকে আশ্রয় করে চাদাবাজী ও দূর্নীতির মহোত্সব করছে। আর এর মুল্য দিতে হচ্ছে সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের। চর দখলের মত হল দখল, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে যোগদানে বাধ্য করে এই সকল ছাত্র নামধারী দুবৃত্তরা শিক্ষাঙ্গনে ও ছাত্রাবাসে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
ছাত্র-রাজনীতির বর্তমান রূপ বহাল রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নে গৃহীত কোন পদক্ষেপেই সফলতা আসার সম্ভাবনা ক্ষীন। তাই সুষ্ঠু ধারার ছাত্র-রাজনীতি, যেটি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে, প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বর্তমান ধারার ছাত্র-রাজনীতির সংস্কার একটি সময়ের দাবী।
বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতির কারনে বিভিন্ন মহল থেকে ছাত্র-রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবী উঠলেও প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ না নিয়েই এটি নিষিদ্ধ করা কাংখিত ফলাফল বয়ে আনবে না। আর সেজন্য বর্তমানে অসুস্থ ছাত্র রাজনীতিকে সুস্থতার পথে ফেরাতে বিশ্ববিদ্যালয় মন্জুরী কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে নিম্নোক্ত সংস্কারগুলি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলিকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং এটিকে প্রায়োরিটি ভিত্তিতে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।
১। কেবলমাত্র নিয়মিত ছাত্ররাই কোন ছাত্র-সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে পারবে। এক্ষেত্রে নিয়মিত ছাত্র হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ছাত্রদের বোঝানো হচ্ছে। মাস্টার্স বা গবেষণার (এম ফিল, পি এইচ ডি) সাথে যুক্ত কোন ছাত্র কোন ছাত্র-সংগঠনের সাথে যুক্ত হতে পারবেনা। গ্র্যাজুয়েশনের সাথে সাথেই তার সংগঠনের সদস্য পদ বিলুপ্ত হবে।
এর ফলে বিভিন্ন প্রতিনিধিত্বশীল কমিটিতে (ছাত্র সংসদ এবং অন্যান্য) শুধুমাত্র নিয়মিত ছাত্ররাই অন্তর্ভূক্ত হবে এবং শিক্ষা ও ছাত্র স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়ে তাদের মতামত প্রদানের সুযোগ পাবে।
২। কোন ছাত্র যে কোন প্রতিনিধিত্বশীল কমিটিতে নির্বাচনের জন্য (ছাত্র সংসদ এবং অন্যান্য) দুইবারের বেশী প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারবেনা।
৩। কোন কমিটিতে (ছাত্র সংসদ এবং অন্যান্য) প্রতিনিধিত্বশীল কোন ছাত্র নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে তাত্ক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট কমিটি হতে তার সদস্যপদ বাতিল বলে গন্য হবে এবং নির্বাচনে ২য় সর্বোচ্চ ভোট লাভকারী ছাত্র বাকী মেয়াদের জন্য কমিটিতে তার স্থলাভিষিক্ত হবে।
৪। বর্তমান হল ভিত্তিক ছাত্র সংসদ এর পরিবর্তে অনুষদ ভিত্তিক ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে। এর ফলে হলকেন্দ্রিক সহিংসতা, চর দখলের মত হল দখল বা সিট দখল, জোর জবরদস্তি করে ছাত্র-ছাত্রীদের রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিতে বাধ্য করা ইত্যাদি প্রবণতা হ্রাস পাবে।
অনুষদভিত্তিক ছাত্র সংসদ নিম্নরূপে নির্বাচিত হবে।
- অনুষদের প্রতিটি বিভাগ থেকে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ভোটে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে দুইজন করে ছাত্র/ছাত্রী প্রতিনিধি নির্বাচিত হবে। তারা সবাই অনুষদের ছাত্র সংসদের সদস্য হবেন। এই সদস্যদের মধ্য থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত অনুযায়ী একজন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবেন। অনুষদের ডীন পদাধিকার বলে ছাত্র সংসদের সভাপতি হবেন এবং তিনি সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে বাকী নির্বাচিত সদস্যদের দপ্তর বন্টন করবেন।
এর ফলে ছাত্র সংসদে প্রতিটি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং তাদের সমস্যা তুলে ধরা ও সমাধানের পথ প্রশস্ত হবে।
৫। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে প্রতিটি বিভাগ হতে নির্বাচিত ছাত্র/ছাত্রী প্রতিনিধিরাই (৪ নং দেখুন)কেবলমাত্র অংশ নিতে পারবে। এই সকল প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ গঠিত হবে।
৬। সকল প্রতিনিধিত্বশীল কমিটি (ছাত্র সংসদ এবং অন্যান্য) মেয়াদ হবে সর্বোচ্চ এক বছর এবং মেয়াদ পূর্তির ৩০ দিনের মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
৭। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক ছাত্র সংগঠন সমূহের অনুষদ ও বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রীক নেতা/নেত্রী নির্বাচনে জাতীয় রাজনৈতিক দল কোন প্রভাব রাখতে পারবেনা। সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনের অনুসারী ছাত্রগণ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতা নির্বাচন করবেন এবং কোন ছাত্র দুই বছরের অধিককাল কোন ছাত্র সংগঠনের কমিটিতে থাকতে পারবেনা।
৮। কোন জাতীয় রাজনৈতিক নেতা কোন অবস্থাতেই ছাত্র সংসদ বা সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনের কমিটি নির্বাচনকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। কোন জাতীয় রাজনৈতিক দল কোন ছাত্র সংগঠনের কমিটি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলে সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনটি ওই মেয়াদের জন্য সকল প্রকার নির্বাচনে অংশ নেয়ার বৈধতা হারাবে।
৯। কোন ছাত্র কোন প্রতিনিধিত্বশীল কমিটিতে নির্বাচন করতে চাইলে (ছাত্র সংসদ, সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনের অনুষদ বা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি) তাকে তার অভিভাবকের লিখিত সম্মতিপত্র প্রদান করতে হবে। একজন ছাত্রের যেমন অধিকার আছে রাজনীতি করার তেমনি তার লেখাপড়ার ব্যয় বহনকারী অভিভাবকেরও জানার অধিকার আছে তার সন্তান এর রাজনৈতিক কর্মকান্ড সম্পর্কে।
১০। যে কোন কমিটিতে প্রতিনিধিত্বশীল ছাত্র নেতা কোন অপরাধের (চাদাবাজী, দুর্নীতি, সহিংসতা ইত্যাদি) সাথে যুক্ত থাকার ব্যাপারে অভিযোগ উত্থাপনের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কমিটি থেকে তার সদস্যপদ স্থগিত করা হবে এবং তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সকল কমিটি থেকে সদস্যপদ বাতিল হবে এবং সে ভবিষ্যতেও কোন কমিটিতে (সংশ্লিষ্ট ছাত্র সংগঠনের কমিটিসহ) নির্বাচনের যোগ্যতা হারাবে।
১১। হলে সিট বন্টনের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার ফরাফল/ বছর ভিত্তিক ফলাফল এবং অভিভাবকের আর্থিক সংগতিকে ভিত্তি হিসাবে ধরতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কোন ছাত্র/ছাত্র নেতার অংশগ্রহণ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার কোন অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার ছাত্রত্ব একটি নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য বাতিল করা যেতে পারে।
১২। হলসমূহে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য মননশীল কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য হল প্রশাসন বিভাগ ভিত্তিক নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের সাহায্য গ্রহন করবেন। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে।
এই সংস্কার প্রস্তাবগুলি বাস্তবায়ন করার জন্য সকল মহলের সদিচ্ছা ছাড়া আর কোন কিছুই প্রয়োজন নেই। ছাত্র-রাজনীতির সুস্থ এবং গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য দক্ষ ভবিষ্যত নেতৃত্ব বের হয়ে আসবে এবং এই ধরণের ছাত্র রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রভূত ভুমিকা রাখতে পারবে।
প্রস্তাবগুলির বাস্তবায়নে স্বার্থান্বেষী মহল থেকে বিশেষ করে বর্তমান অসুস্থ ছাত্র রাজনীতির সুবিধাভোগী মহল থেকে বাধা আসতে পারে কিন্তু দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও ছাত্র রাজনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে আমাদের এই বাধা অতিক্রম করার সত সাহস থাকতে হবে।
(চলবে)
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:০১
বিবর্তনবাদী বলেছেন: সুন্দর প্রস্তাব। কিন্তু ভাই, ৯ নম্বর ধারাটি ভাই মানতে পারলাম না। অভিভাবকের সম্মতি কি খুবই দরকারি?
৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:০৩
লুকা বলেছেন: গুডিশ পোষ্ট
৫
৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:১৮
সর্বদাবেলায়েত বলেছেন: স্যার, বলেছেন ভালো। কিন্তু সমস্যার গোড়ায় গলদ। বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে? আপনার পোস্ট ভালো লেগেছে। পুরোটা খুটিয়ে পড়েছি। আমি কি আমার যে প্রশ্নগুলা মনে হয়েছে সেগুলা দিবো?
৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৩০
মিরাজ বলেছেন: @ বিবর্তনবাদী
৯ নম্বর ধারাটি স্পর্শকাতর হতে পারে তবে আমার দৃষ্টিতে প্রয়োজনীয়। এটি করা হলে অনেক অপ্রিয় এবং অনভিপ্রেত পরিস্থিতি এড়ানো যাবে।
@ লুকা
ধন্যবাদ।
@ সর্বদাবেলায়েত
ধন্যবাদ পড়ার জন্য। আপনি অবশ্যই আপনার মতামত প্রকাশ করবেন। বেড়ালের গলায় ঘন্টা আমাদের মধ্যে থেকেই কারো বাঁধতে হবে।
আপনার প্রশ্নগুলি জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৩৯
জেনারেল বলেছেন: একটা ব্যক্তিগত জিজ্ঞাসা,
এর আগে আপনি বলেছিলেন আপনি ক্যান্সার নিয়ে রিসার্স করছেন। আমি আপনার রিসার্সের ব্যাপারটা জানতে চাই।
আমাকে জাননোর পরে এই কথাগুলো মুছে দিলেও হবে।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৪৪
সর্বদাবেলায়েত বলেছেন: ১ নং ধারা বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রায় প্রতিটি বামধারার দলের কর্মপদ্ধতির সঙ্গে জড়িত। তারা অনেকাংশেই এটি মেনে চলে। এট লিস্ট ছাত্রদলের/লীগের মত চশমখোর নয়। কিন্তু তাতে বাম রাজনীতির কি কিছু হইছে? দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খবর নিয়ে দেখা গেছে, কিছুই হয় নাই। আপনার মতোই অনেক বড় কিছুর স্বপ্ন দেখছি তাই, ছোটখাটো কোথাও যদি কিছু বামরা করেও থাকে তাতে সুখী হতে পারি না
সেই সাথে আরো কথা লাস্ট ছাত্রলীগের কাউন্সিলের সময় একটা নির্দিষ্ট বয়সসীমা বেধেঁ দেয়া হইছিলো। এতে কি কতটুকু হয়েছে সেটা আমরা ভালোই দেখতে পাচ্ছি।
বেশি কড়াকড়ি করতে গেলে নেতার গ্রাজুয়েশন না করেই জীবন পার করবে। এবং ক্ষমতা তাদের হাতে থাকলে সে সময় তাদেরকে কিছু বলাও যাবে না।
এবং আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছেলেদের রাজনীতির কি হবে। বাংলাদেশে এটার মাত্রাকে একেবারে অস্বীকার করাও উপায় নাই।
৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৪৫
বিহঙ্গ বলেছেন: দারুন লিখেছেন।
ধন্যবাদ।
৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১২:৪৭
হাসিব বলেছেন: নব্বুই পরবর্তী ছাত্র রাজনীতি সম্পর্কে কোন রকম না জেনে না বুঝে এরকম নাতিদীর্ঘ রচনার জন্য ফেল মার্কস দেয়া হলো ।
১০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:১১
এস্কিমো বলেছেন: আপনি কি কখনও সক্রিয় ভাবে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন? @মিরাজ
১১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:১৪
মনিটর বলেছেন: আমার কমেন্ট কই গেল?
১২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:২৯
হাসিব বলেছেন: আমার ধারনা এই লুক ছাত্র রাজনীতি কি জিনিস এইটাই জানে না । জাবির ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, হলের নামকরন নিয়ে আন্দোলন, ঢাবির যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন, বেতন ভাতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলন, ছাত্রী হলে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে আন্দোলন কোনটাই এই লুক দেখে নাই সামনে গিয়া । বাসায় বয়া বয়া পাঠ্যবই মুখস্ত করছে আর মাইনষের মুখে শুইন্যা এই লুক ছাত্র রাজনীতি = দল লীগ টাইপ কিছু ভাইবা নিছে ।
মেরাজ সাহেবের লাইগ্গা করুনা ।
১৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:২৯
মিরাজ বলেছেন: @ সর্বদাবেলায়েত
আইন করে কোন কিছু নির্দিষ্ট করা আর প্রচলিত রীতি নীতির মধ্যে পার্থক্য আছে। বাম রাজনীতি ছাত্রদল/ছাত্রলীগের মত অতটা নষ্ট নয়। আপনার সাথে আমি এ বিষয়ে একমত তবে এর মাঝেও ব্যতিক্রম আছে এবং তারা ছাত্র রাজনীতির প্রধান শক্তি নয়।
আর প্রস্তাবের ৩নং ধারা অনুযায়ী কোন ছাত্র নেতা একবার পরীক্ষায় ফেল করলেই তার সকল সদস্যপদ বাতিল হবে। যার ফলে গ্র্যাজুয়েশন না করে বসে থাকলে লাভ হবে না।
কলেজের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই নিয়ম প্রচলন করা যেতে পারে তবে স্কুলের ক্ষেত্রে এটিকে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে।
১৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩১
হাসিব বলেছেন: ছাত্র রাজনীতির প্রধান শক্তির পরিমাপটা কিভাবে করলেন ? এরশাদ পরবর্তী আন্দোলনগুলার নিরিখে কথাটা দয়া করে ব্যাখ্যা করেন ।
১৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩৫
মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম আর তাই ছাত্র রাজনীতির সবচাইতে কদর্যরূপটিও চোখের সামনে দেখেছি।
আমি সেই পন্কিল পথ থেকে ফিরে আসতে পারলেও বন্ধুদের অনেকেই পারেন নি। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের ছাত্রদল/ছাত্রলীগের সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক হয়েছিল। তাদের নামে বিভিন্ন বাহিনী গঠিত হয়েছিল, প্রকাশ্য রাস্তায় পিস্তল হাতে ছবিও ছাপা হয়েছিল। প্রবাসে আসার আগেও আমরা পুরনো পাপীরা মাসে অন্তত: একসাথে একবার বসতাম। ব্যক্তিগত পরিসরে হতাশা আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়া অন্য কোন কিছু খুব একটা দেখি নাই। সবাই অনেক স্বপ্ন নিয়েই শুরু করেছিল, তারপর যথারীতি বর্তমান ছাত্র-রাজনীতির প্রকৃত পথে যাত্রা।
১৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩৬
মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ বিহংগ আপনার মন্তব্যের জন্য।
১৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩৬
মনিটর বলেছেন: সমস্যা হল,বই মুখস্ত করে,চেয়ারমেন স্যারের বাজার করে,স্যারের ট্যারা শালিরে বিয়া করে যারা টিচার হয় ওরা নিজেদের অবস্থান ভুলে যায়।নিজেরে রাজনৈতিক ভাষ্যকার,শিক্ষাবিদ,সমাজ সংস্কারক সব মনে করে।
১৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩৮
মিরাজ বলেছেন: @ হাসিব
আশা করি আপনার মন্তব্যের জবাব পেয়েছেন। তবে না জেনেই যে একটা মানুষ সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলাটা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না।
আর প্রধান শক্তি বলতে ছাত্র সংগঠনটি সদস্য সংখ্যা বুঝিয়েছি। অনেক ভালো রাজনীতি করলেও বাম ধারার ছাত্র সংগঠনগুলির সদস্য সংখ্যা ছাত্র দল বা ছাত্র লীগের তুলনায় উল্লেখযোগ্য নয়।
১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪০
মিরাজ বলেছেন: @ জেনারেল
আপনার ই মেইল এ্যাড্রেস দিন। আমি আপনাকে আমার রিসার্চের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে মেইল করব।
২০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪৪
জেনারেল বলেছেন: মুছে দিয়েন, মেইল এ্যাডরেস পাবার পরে,
২১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪৪
হাসিব বলেছেন: সদস্যসংখ্যা বিষয়ক ড্যাটাসেট দেন । আর বলেন আপনি কোন ব্ছরগুলোতে ঢাবিতে কাটাইছেন । সেইসময়কার ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনগুলার কোনটার সাথে ছিলেন সেটাও বলেন । যৌননিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন, ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, ছাত্রী হলে পুলিশি নির্যাতনের আন্দোলন বিষয়ে আপনার অবস্থান জানতে চাচ্ছি । সেই আন্দোলনগুলো কারা সংগঠিত করেছে তাদের দু'একজনের নাম করেন । এর বিপরীত ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের ভূমিকা বলেন । বলেন যে পাল্লা কোনদিকে ভারি ছিলো । এসব যদি না বলতে পারেন তাহলে বলবো আপনার ছাত্ররাজনীতি নিয়ে মন্তব্য করার কোন অধিকার নেই।
২২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৪৮
মিরাজ বলেছেন: @ জেনারেল
ধন্যবাদ আপনার ই মেইল এ্যাড্রেস এর জন্য। আপনাকে বিস্তারিত জানাবো। আর ই -মেইল এ্যাড্রেসটি মুছে দিলাম।
২৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৫৬
মিরাজ বলেছেন: @ হাসিব
ছাত্র হিসাবে আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সময়কাল ১৯৯৩-১৯৯৯/২০০০।
আর শিক্ষক হিসাবে ২০০৩ থেকে অদ্যাবধি।
আপনাকে প্রতিটি ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে সন্তষ্ট করতে হবে সেটি আমি মনে করি না। তাই বিস্তারিত ব্যাখ্যায় যাচ্ছিনা। তবে একটা কথা স্বীকার করছি আমার সময়কালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়সংগত আন্দোলনে বাম ধারার ছাত্র সংগঠনগুলির ভূমিকা ছাত্র দল বা ছাত্র লীগ অপেক্ষা অনেক বেশী পজেটিভ ছিল।
সরকার অনুযায়ী ছাত্র দল ও ছাত্র লীগ এইসব ন্যায় সংগত আন্দোলনের বিরোধীতা করত পেশি শক্তির জোরে। এখানে আদর্শের কোন ভুমিকা নেই। আবার বিভিন্ন সময়ে বাম ছাত্র সংগঠনগুলিও ছাত্র দল বা লীগের ইন্ধনে অনেক আন্দোলন করেছে (অনেক সময় অস্তিত্বের স্বার্থে)।
যা হোক সেই সব অভিজ্ঞতা নিয়ে এই পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করে পোষ্টের মুল বিষয় থেকে দুরে সরে যেতে চাই না। আপনার এই বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা থাকলে ছাত্র সংগঠনগুলির তুলনামুলক আলোচনা করে পোষ্ট দিন, আলোচনা করব।
ধন্যবাদ।
২৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৫৭
মোসতফা মনির সৌরভ বলেছেন: একমত,৫।
!@@!2073732 !@@!2073733 !@@!2073734 !@@!2073735
!@@!2073736 !@@!2073737 !@@!2073738 !@@!2073739
[link|http://www.hi5.com/friend/group/2491805--Justice
২৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৫৮
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: @মিরাজ ভাই, ভাল লিখেছেন। তবে সবার আগে ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্টদের নিয়ে ভোটাভুটি হোক না কেন, যে তারা ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি চায় কিনা। যদি মেজরিটি না চায় তাইলে সোজা বন্ধ করে দেয়া উচিত। ওদের ব্যাপার ওদেরকেই ঠিক করতে দেই।
২৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:০১
মিরাজ বলেছেন: @ মনিটর
আপনার মন্তব্য যে একেবারে অমূলক তা বলবো না। এরকম ব্যাপার আমাদের দেশে ঘটে। আর আমাকে উল্লেখ করে বলতে চাইলে বলবো, একটু জেনে বলেন।
শুধু একটা কথা বলি, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কোন পরীক্ষায় প্রথম ব্যতীত ২য় হইনি। আর শিক্ষক তোষনের নীতিতে বিশ্বাসী ছিলাম না দেখে সকল পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হবার পরেও আমাকে ৩ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করার জন্য।
২৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:০৩
হাসিব বলেছেন: আপনি কিন্তু আমার একটা বেসিক প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেন । আন্দোলনগুলোতে আপনার অবস্থান কি ছিলো সেটা আপনি এড়িয়ে গেছেন । আপনি নিজে কখনও অংশগ্রহন করেছেন ? যৌননিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার প্রতিবাদ করেছিলেন । অথবা শিক্ষক হিসেবে রোকেয়া হলে ছাত্রী নিপীড়নের ?
আপনি বলেছেন 'আবার বিভিন্ন সময়ে বাম ছাত্র সংগঠনগুলিও ছাত্র দল বা লীগের ইন্ধনে অনেক আন্দোলন করেছে (অনেক সময় অস্তিত্বের স্বার্থে)।' দুএকটা উদাহরন দিন । দিয়ে দেখান যে এক মঞ্চে দল/লীগের সাথে বাম দলগুলো কিছু করেছে ।
আপনার কাছাকাছি সময়ে আমিও ইউনিভার্সিটিতে ছিলাম । রাজনীতিতে যুক্ত থাকলে আমাকে হয়তো চেনার কথা আপনার ।
২৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:০৫
মিরাজ বলেছেন: @ মোসতফা মনির
ধন্যবাদ।
@ মাহমুদউল্লাহ
আপনার প্রস্তাবটি ভেবে দেখার মতো। তবে আমি ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার পক্ষপাতী নই। আসলে আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিস্তিতিই এর কারণ। এচাঢ়া আমাদের দেশে সু-শাসনের অভাবও আরেকটি কারন।
তবে যদি মোট ছাত্র-ছাত্রীর ৭৫ শতাংশের উপর এ ব্যাপারে না বলে, তবে ব্যাপারটি অবশ্যই ভেবে দেখা দরকার। ছাত্র-ছাত্রীদের অবশ্যই অধিকার আছে তার প্রতিষ্ঠানটির পরিবেশ কেমন হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার।
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:১৩
মিরাজ বলেছেন: @ হাসিব
শিক্ষক হিসাবে শিক্ষক সমিতিতে ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। এ ব্যাপারে বক্তব্য দিয়েছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না। বন্ধুরা ছিল। ছাত্র রাজনীতি করে জীবনের দুটি বছর নষ্ট করেছি ঢাকা কলেজে পড়ার সময়। ঢাকা কলেজের ৯১-৯৩ ব্যাচের ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত কাউকে আমার নাম বললে হয়ত চিনবে। নেতারা সবাই এতদিনে আশা করি মনে রেখেছে, অবশ্য চাই না যে তারা মনে রাখুক।
ঢাকা কলেজে পড়াকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতির সাথে টুকরো টুকরোভাবে জড়িত ছিলাম। তবে সেসব পন্কিলতার ইতিহাস। তবে আমাদের ঢাকা কলেজের বন্ধুরাই পরবর্তীতে ছাত্র দল ও ছাত্র লীগের বিভিন্ন উচ্চ পদে আসীন হয়েছে, এখনও অনেকে আছে।
ঢাকা কলেজ এ থাকাকালীন ছাত্র রাজনীতির যে কদর্যরূপ দেখেছি তা আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়ানো থেকে বিরত রেখেছে।
তবে যে কোন ন্যায়সংগত আন্দোলনে ছিলাম, বন্ধুদের বিপরীতে হলেও। এই প্রসঙ্গে এটাই আমার শেষ মন্তব্য।
এর পর থেকে শুধুমাত্র পোষ্ট সংক্রান্ত মন্তব্য করবো।
৩০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:১৬
হাসিব বলেছেন: আমি একটু পরীক্ষা করছিলাম আপনি ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে কতটুকু জানেন । যা ভাবছিলাম তাইই ।
আপনার মতোই আপনেরে একটা ডায়লোগ দেই কোন বিষয় নিয়ে কিছু বলতে গেলে 'একটু জেনে বলেন।'
৩১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:৩৫
মিরাজ বলেছেন: @ হাসিব
ভাগ্যিস আরো বেশী প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই!! বন্ধু বান্ধবদের অনকেরই ছিলো, তাদের বর্তমান অবস্থাতো দেখছি।
তাই আপনার পরীক্ষার উত্তীর্ণ না হতে পেরে মোটেই দু:খিত নই।
৩২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ২:৩৩
মিরাজ বলেছেন: @ হাসিব
ভুলক্রমে আপনার শেষ মন্তব্যটি মুছে গেছে।
যাহোক ছাত্র রাজনীতিকে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে থেকে আবার পরোক্ষভাবে কাছ থেকে দেখে এর ফল ভোগ করেছি।
ভিতরে থাকা অবস্থায় অনেক কিছুই চোখে পড়েনা যেটি বাইরে থেকে দেখা যায়।
তাই অধিকাংশ সময় সাধারণ ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতির কুফলটা যারা রাজনীতি করছে তাদের চেয়ে ভালো বুঝতে পারে।
৩৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ দুপুর ২:৫২
মিরাজ বলেছেন: এ পর্যন্ত দু একটি মন্তব্য ছাড়া ছাত্র রাজনীতির সংস্কার প্রশ্নে আমার প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলি নিয়ে কেউ আলোচনা করেন নি।
প্রস্তাবগুলি বর্তমান ধারার অ-সুস্থ ছাত্র রাজনীতির সংস্কারে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করি।
বর্তমানে দুএকটি ছাত্র সংগঠন বিচ্ছিন্নভাবে গঠনমূলক রাজনীতি করলেও মাঠ গরম করে রেখেছে ছাত্র দল ও ছাত্র লীগের অসুস্থ ধারার রাজনীতি। যেখানে পেশীশক্তিই সকল ক্ষমতার উত্স। তাই আমাদের ছাত্র রাজনীতির সামগ্রিক চিত্রটি দেখতে হবে।
৩৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৩৫
সর্বদাবেলায়েত বলেছেন: ২ নং ধারার প্রধান সমস্যা যেটা মনে হয়েছে সেটা হলো, দুই বারের বেশি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ না থাকা। প্রথমে আমি বলবো, ছা.রা থাকবেই (বিস্তারিত ইতিহাস বললাম না) এবং যেহেতু এটা মুছে দেওয়া যাবে না তাই আমি সুস্থ ছা.রা-এর পক্ষের লোক। যাতে করে জিনিসটা থাকলেও তা আমাদের উপকারে আসে।
এখন ঢাবি'তে পড়তে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকার বাইরের। এরা এখানকার হাওয়া বুঝতে সময় নেয়। একদিকে ব্যাচেলর ডীগ্রি পর্যন্ত সময় আরেকদিকে এর মধ্যেই নির্বাচিত হতে পারলে হও, নাইলে বাদ-এমনটা করলে আসলে বিকশিত (বোঝাতে চাচ্ছি ম্যাচিউরড) রাজনীতির দেখা পাওয়া সম্ভব না।
বয়সী ছা.রা-বিদরা বিভিন্ন অপকর্ম-কুকর্ম করেছে ঠিকই, নব্বুইয়ের পরে যেটা বেশি দেখা গেছে (এখানেও বিস্তারিত আলোচনা স্কিপড)। কিন্তু তারপরও দলের স্বার্থে এবং সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির স্বার্থে বয়সের গুরুত্ব ফেলে দেওয়া সম্ভব না।
আর কেউ ফেল করলেই তার সদস্যপদ বাতিল, এমনটা করে ছা.রা সম্ভব না। প্রথমত এত ছেলে পাওয়া যাবে না যারা ছা.রা-কে এভাবে দেখবে, আর একটা ছেলেকে চার বছর মনিটর করার পর তাকে হঠাত করে বাদ দেওয়াও সম্ভব না, সেটা ছা.রা-এর জন্যই অমঙ্গলজনক।
সর্বোপরি প্রস্তাবটির গুরুত্ব হ্রাস পেয়ে যাচ্ছে এর কাঠিন্যের কারণেই। আমাদের ছেলেদের এত বেশি বাধাঁ-ধরা আয়োজনের মধ্যে রাজনীতি করে অভ্যেস নেই, সেটা ইতিহাস বলে, তাই ২ নং ধারাটা অত্যন্ত অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে।
আর বাম দলগুলা সম্পর্কে আপনার মতামত গ্রহনীয় হলো, তবে ঢালাও দোষারোপ ঠিক হচ্ছে না।
৩৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৪৬
মিরাজ বলেছেন: @ সর্বদাবেলায়েত
ঢালাও দোষারোপ করছিনা তবে আপনিও স্বীকার করবেন যে ছাত্র দল ও ছাত্র লীগের মধ্যকার অসুস্থ ধারাটিই এই ছাত্র সংগঠণটির অপেক্ষাকৃত সুস্থ ধারার উপর ছড়ি ঘুরিয়েছে এবং নেতৃত্ব দিয়েছে। অবশ্য বর্তমান ধারার ছাত্র রাজনীতিতে সেটাই স্বাভাবিক।
আর ২নং ধারার ২ বারের বেশী নির্বাচিত হবার ব্যাপারে আপনার সাথে একমত নই। হাওয়া বোঝার আগে নির্বাচনে না দাড়ালেই হয়।
আর বয়সের ব্যাপারে কাঠিন্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক রাজনীতির জন্য। যারা রাজনীতিতে পরিপক্ক হচ্ছেন তারা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখুক। বিশ্ববিদ্যালয় এর রাজনীতি প্রকৃত ছাত্রদের হাতেই থাকুক। কি বলেন?
আর ফেল করার কথাটি এজন্য বলেছি যাতে কেউ বছর বছর ইচ্ছাকৃতভাবে ফেল করে ছাত্রত্ব বজায় রেখে ছাত্র রাজনীতিকে দূষিত করতে না পারে। তবে এর চাইতে গ্রহণযোগ্য কোন বিকল্প পাওয়া গেলে সেটিকে অবশ্যই স্বাগত:
৩৬| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৫৯
এস্কিমো বলেছেন: মিরাজ বলেছেন :
২০০৭-১০-২৮ ০১:৩৫:১২
@ এস্কিমো
সক্রিয় ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম আর তাই ছাত্র রাজনীতির সবচাইতে কদর্যরূপটিও চোখের সামনে দেখেছি।
@ হাসিব
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যুক্ত ছিলাম না।
কোনটা ঠিক। ধরে নেই আপনি কলেজে রাজনীতি করেছে - যা টিনএজ। সেই সময়ের কোন দৃষ্টিভঙ্গীর গভীরতা কি বেশী থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় হলো ছাত্ররাজনীতির মুল মঞ্চ - সেই সময় আপনি দুরে বসে খারাপ দিকগুলোই প্রত্যক্ষ করেছে।
আমি পুরোছাত্র জীবন সক্রিয় রাজনীতি করেছি এবং আজও মনে হয় আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ছিল সেগুলো। সমস্যা হলো ভুল রাস্তায় হাটার দায়িত্ব কিন্তু পথিকের - পথের নয়।
৩৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৯:১৮
মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো
আপনি বলেছেন ..
"বিশ্ববিদ্যালয় হলো ছাত্ররাজনীতির মুল মঞ্চ - সেই সময় আপনি দুরে বসে খারাপ দিকগুলোই প্রত্যক্ষ করেছে। "
দুরে!! কতটুকু দুরে?
আমার বন্ধু মিছিলে যেতে বাধ্য হবার কারণে জন্য মিড টার্ম পরীক্ষা দিতে পারেনি। আর এক বন্ধু তার প্রতিবাদ করায় তাকে হাসপাতালে যেতে হয়েছে। এইসব ঘটনার বর্ণনা দিতে গেলে শেষ হবেনা!!
আর বন্ধুদের কথাতো আগেই বলেছি, মন্তব্যে খেয়াল করুন।
আর আগেও বলেছি "ভিতরে থাকা অবস্থায় অনেক কিছুই চোখে পড়েনা যেটি বাইরে থেকে দেখা যায়।
তাই অধিকাংশ সময় সাধারণ ছাত্ররাই ছাত্র রাজনীতির কুফলটা যারা রাজনীতি করছে তাদের চেয়ে ভালো বুঝতে পারে।"
আপনি সারাটা সময় ভিতের থাকায় অনেক কিছুই আপনার চোখ এড়িয়ে গেছে আর সেটাই স্বাভাবিক।
আর আমি ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে নই। আমি বলেছি "আসলে আমাদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির কারনেই ছাত্র রাজনীতির দরকার আছে। এছাড়া আমাদের দেশে সু-শাসনের অভাবও আরেকটি কারন।" আমি বর্তমান ধারার বিরুদ্ধে। তাই সংস্কার প্রস্তাব। তাই পথ ও পথিকের প্রশ্ন এখানে অবান্তর।
৩৮| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:১৪
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: @হাসিব, এস্কিমো,
যারা ইউনিভার্সিটিতে থাকার সময় রাজনীতি করেছেন, যেমন হাসিব এবং এস্কিমো, আপনাদের কাছে অনুরোধ, ছাত্র রাজনীতির অন্ধকার দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন কি? যেহেতু আপনারা ভিতরে ছিলেন, আপনারাই এর ভাল মন্দ বেশি যানেন। সুফলগুলার ধারনা আছে, আমি এর খারাপ দিকগুলা জানতে চাচ্ছি। যেমন, হল জবরদখল, প্রতিপক্ষ গ্রুপের সাথে মারামারি, ক্যান্টিনে বিল না দিয়ে খাওয়া, এরকম আরো যদি থাকে। আমি কখনো ছাত্ররাজনীতি করি নাই, সবই শোনা। আপনারা যেহেতু সরাসরি করেছেন, আপনাদের এক্সপেরিএন্স শেয়ার করলে ভাল হত। এটাতো সত্য যে এটা কমবেশি সমস্যা করছে, তাই আমরা যদি সমস্যাগুলা সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না পাই, তাহলে তো সমাধানও সম্ভব না, তাইনা? সমস্যার সাথে আপনারা সমাধানের ব্যাপারে আপনাদের ব্যক্তিগত মতামতও দিতে পারেন। আরেকটা গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার, ছাত্ররাজনীতিতে সিদ্ধান্তগুলা কারা নেয়? মূল দলের কেন্দ্রীয় নেতারা?
৩৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৪৪
সোনার বাংলা বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৫
৪০| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:০১
নাজিম উদদীন বলেছেন: বিতর্কিত বিষয়।
আমি বড় দলের লেজুড়বৃত্তির ছাত্ররাজনীতি নিষেধ করার পক্ষে। মোটের উপর ছাত্ররাজনীতি খারাপ কিছু না।
৪১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:২৬
মিরাজ বলেছেন: @ মাহমুদউল্লাহ
আপনার মন্তব্যটি এস্কিমো ও হাসিবের উদ্দেশ্যে। আশা করি তারা তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।
ধন্যবাদ সোনার বাংলা।
@ নাজিমউদ্দীন
বিতর্কিত বিষয়তো বটেই আর এই লেজুরবৃত্তির ছাত্র রাজনীতিই এটিকে এত বিতর্কিত করেছে।
আমিও আপনার মত এই লেজুরবৃত্তির ছাত্র রাজনীতি চাইনা। তাই তাই সুষ্ঠু ধারার ছাত্র-রাজনীতি, যেটি ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা ও গবেষণায় সহায়ক শক্তি হিসাবে কাজ করবে, সেটি প্রতিষ্ঠার স্বার্থে বর্তমান ধারার ছাত্র-রাজনীতির সংস্কার চাই।
৪২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১:০৭
মিরাজ বলেছেন: @ এস্কিমো ও হাসিব
মাহমুদউল্লাহ এর করা প্রশ্নের ভিত্তিতে আপনাদের উত্তর আশা করছি।
৪৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সকাল ৯:২৩
বিহঙ্গ বলেছেন: মিরাজ ভাই,গল্প পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নামিরাকে ভালোবাসা দিয়েন।
৪৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৫
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: @ এস্কিমো ও হাসিব, আপনাদের উত্তরের অপেক্ষা করছি, যদি এক্সপেরিএন্স শেয়ার করতে আপত্তি না থাকে।
৪৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৪০
মিরাজ বলেছেন: @ বিহংগ
ধন্যবাদ ভাই।
@ মাহমুদউল্লাহ
এস্কিমো এবং হাসিব সম্ভবত: প্রশ্ন খেয়াল করছেন না।
বামধারার রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না তবে ছাত্র দল বা ছাত্র লীগের রাজনীতির যে অভিজ্ঞতা (নিজের এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের) সেখানে লেখার মত বিশেষ কিছু আছে বলে মনে হয় না। আদর্শের চর্চা নেই বললেই চলে, কর্মকান্ডের নির্দেশ আসে পার্টি অফিস থেকে, সপ্তাহে দুই এক দিন পার্টি অফিসে যাওয়াম প্রতিদিন গ্রুপ অনুযায়ী মধূর কেন্টিন, ভাষা ইন্সটিটিউট, লাইব্রেরী বা টি এস সি তে বসা এবং মাঝে মাঝে শিক্ষক নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী কর্মসূচি প্রদান। এবং অবশ্যই হলে অনুগত ছাত্রদের নিয়ে নিয়মিত মহড়া প্রদান।
এতে সাধারন ছাত্রদের ক্ষতি হলো বা লাভ হলো (লাভ হবার কোন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে) সেটা বাছবিচারের ব্যাপার নেই। কর্মসূচী দেওয়ার নির্দেশ এসেছে দিতে হবে, আর পার্টি ইগোর স্বার্থে মেরেকেটে হোক আর অস্ত্র দিয়ে হোক তা বাস্তবায়ন করতেই হবে।
চাদাবাজী, টেন্ডারবাজী, ক্যান্টিনে ফাও খাওয়া, হলের রুম দখল করা, উচ্চস্বরে গান বাজানো, টিভি রুমে যা ইচ্ছা তাই দেখা এগুলি তো ছাত্র রাজনীতি যারা করছেন তাদের অধিকার, তাই এগুলির কথা নাহয় নাই বললাম।
খুব স্থূলভাবে এই হলো ছাত্র রাজনীতির বর্তমান অবস্থা। ব্যতিক্রম আছে, তবে সেই ব্যতিক্রম যদি কেউ শেয়ার করতেন তাহলে খুশী হতাম।
৪৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:০২
তানজিলা হক বলেছেন: মিরাজ ভাই আমাকে একটা সাজেসন দেন as soon as possible:
ilts পরীক্ষার জন্য কোন বই পড়লে ভালো হবে।আর কি কি করলে ৭ তোলা যাবে।
দয়া করে তারাতারি উততর দিবেন।
৪৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৪:৫৭
মিরাজ বলেছেন: @ তানজিলা হক
বিপদে ফেলে দিলেন। আমি যেহেতু খুব অর্গানাইজড ভাবে প্রিপারেশন নেইনি তাই ঠিক বলতে পারছিনা।
তবে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত IELTS Masterclass, IELTS Preparation and Practice, IELTS Practice Tests নামে তিনটি বই ভালো বলে শুনেছি।
কোচিং এর মান ও পদ্ধতি সম্পর্কে জানিনা তাই মন্তব্য করতে পারছিনা। তবে পরীক্ষা দেবার আগে কোথাও তিন চারটি MOCK test দিলে নিজের অবস্থা বুঝতে পারবেন।
আর ভালো করবেন এই বিশ্বাস নিয়ে পরীক্ষা দিবেন দেখবেন দরকারের চেয়ে বেশী স্কোর করবেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
৪৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:০৩
তানজিলা হক বলেছেন: মিরাজ ভাই আপনার সাজেসন এর জন্য ধন্যবাদ।তবে একটা কথা আমার অনার্স শেষ করতে আরও কয়েক বছর লাগবে।আমার ভাই কিছু দিন পর IELTS পরীক্ষা দিবে।তার জন্যই এ সাজেশন চাওয়া।
আমি অনেক কথা বলতে পছন্দ করি ।তাই বিদেশ গেলেতো আর কথা বলতে পারব না কেননা সেখানে সবাই busy।আর আমি কথা না বলতে পারলে মরে যাব।তাই বিদেশে যাবার কোন ইচ্ছেই আমার নেই।
আপনার বাবুমনি কেমন আছে?
৪৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:০৮
রাশেদ বলেছেন: নীলক্ষেত থেকে IELTS এর ৫-৭ বই কিনে প্র্যাকটিস করতে বলেন। সিডি দিবে সাথে, ঐটাও প্র্যাক্টিস করতে বলেন। তাইলেই হবে। কোচিং লাগে না, তবে মক টেস্ট দিতে পারে কোথাও চাইলে, যদিও দরকারি না তেমন। বই প্র্যাকটিস করলেই হয়।
৫০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:১৩
তানজিলা হক বলেছেন: মিরাজ ভাই আরেকটা কথা আমার দাদা দাদু,নানা,মামা,ফুপু,ফুপা সবাই কেনসারে মারা গিয়েছে।সুতরাং জেনেটিক ভাবে আমি বুড়ো হলেও আমার এই রোগ হতে পারে,সুতরাং তারাতারি এর প্রতিষেধক বের করুন।
৫১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৩০
মিরাজ বলেছেন: @ তানজিলা হক
আপনার দাদা দাদু,নানা,মামা,ফুপু,ফুপা সবাই ক্যান্সারে মারা যাবার ব্যাপারটি একটু অদ্ভুত, প্রকৃতির নিয়মের সাথে ঠিক মেলেনা। একটা কথা জিজ্ঞাসা করি কিছু মনে করবেন না, আপনার বাবা ও মা কি বিয়ের পূর্বে আত্মীয় ছিলেন? যেমন ধরেন কাজিন?
@ রাশেদ
সহমত
৫২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ৮:৩৪
তানজিলা হক বলেছেন: না মিরাজ ভাই।বিয়ের আগে আম্মু আব্বুকে কখনই দেখে নি।
৫৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৩৪
অেমাঘ অনল বলেছেন: স্যার, আপনার সংষ্কার প্রস্তাব অতীব মনোযোগের সহিত পড়িয়া আমার কিসু প্রশ্ন করিতে ইচ্চা করিতেচে। করিব?
৫৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১০:৪৯
মিরাজ বলেছেন: @ অমোঘ অনল
প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলে অবশ্যই করবেন।
৫৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:০৩
অেমাঘ অনল বলেছেন: সম্ভবত, কয়েকদিন গত হওয়াতে অনেকেই এই প্রশ্নসমূহ দেখিবেন না এবং ওনাদের মতামত পাইব না। তাই আমার প্রশ্নসমূহ নতুন ব্লগে উপস্থাপন করিবার চেস্টা চালাইব। আপনার সুচিন্তিত মতামত প্রত্যাশা করিতেছি।
৫৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৭ ভোর ৫:২৯
মিরাজ বলেছেন: @ অমোঘ অনল
আপনার প্রশ্ন যদি অনেকের কাছে হয় তাহলে সেটা নিয়ে বোধ হয় একটি আলাদা পোষ্ট দিলে ভাল হবে।
আর আমার কাছে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হলে সেটা এই পোষ্টে করলেই ভাল।
৫৭| ০২ রা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১১:২০
সারওয়ারচৌধুরী বলেছেন: ৫
৫৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ২:১০
মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ সারওয়ার চৌধুরী।
৫৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:২০
অেমাঘ অনল বলেছেন: স্যার, আমার পোস্টখানা (শিরোনাম :"ছাত্র রাজনীতির সংস্কার" প্রস্তাব: স্যারের নিবেদনে কতিপয় প্রশ্ন এবং কিছু প্রসংগের অবতারণা -১) সামান্য ক্লশ স্বীকার করিয়া পড়িবেন কি? আপনার মতামত প্রত্যাশায় প্রতীক্ষায় আছি।
৬০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ২:২৪
অেমাঘ অনল বলেছেন: ক্লশ=ক্লেশ
৬১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ২:৩৪
মিরাজ বলেছেন: @ অেমাঘ অনল
আপনার পোষ্টটা পড়লাম। আপনি কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়া বাদবাকী ক্ষেত্রে সূক্ষ এবং স্থূল দুইভাবেই আমার করা প্রস্তাবগুলি নিয়ে কিছুটা রসিকতার চেষ্টা করেছেন। কেন করেছেন তা আপনিই ভালো বলতে পারবেন।
তবে কয়েকটি পয়েন্ট আপনি তুলেছেন যেগুলি ভাবনা জাগানিয়া। আমি সময় করে প্রতিটি বিষযকেই ক্লারিফাই করার চেষ্টা করবো।
৬২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১০:৫৯
অেমাঘ অনল বলেছেন: স্যার,
আত্মপক্ষ সমর্থন করিতেছি। আমার উপস্থাপন ভংগিতে কিছু শ্লেষ থাকিতে পারে, ব্যংগও থাকিতে পারে। উহা যদিও ব্যক্তিগত আক্রমনের উদ্দেশ্যে নহে, তথাপি আমি দু:খিত। তবে ইহাও ঠিক যে এই শ্লেষ ও ব্যাংগ বেদনা হইতে উত্সারিত, যা ভবিষ্যতে উল্লেখ করিব।
কিন্তু, এহেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কোনো রসিকতা করিবার চেস্টা করি নাই। অন্তত, প্রশ্নসমূহ করিবার কালে! আমি এখনও মনে করি, প্রশ্নসমূহ রসিকতাবর্জিত, প্রাসংগিক ও গভীর পর্যালোচনার দাবিদার- সমস্যা থাকিলে যা ওই উপস্থাপন ভংগির।
২য় কিস্তিতে আমার মতামত বিস্তারিত তুলিয়া ধরিতে চেস্টা করিব।
আমার প্রশ্নসমূহ মনোযোগের সহিত পড়ার জন্য এবং উত্তরের জন্য ধন্যবাদ।
৬৩| ০৫ ই নভেম্বর, ২০০৭ রাত ১:২৭
মিরাজ বলেছেন: ঠিক আছে অমোঘ অনল। আপনাকেও ধন্যবাদ।
আপনার লেখা ২য় কিস্তি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
৬৪| ০৬ ই নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:৪৯
অেমাঘ অনল বলেছেন: আপনার মতামত (৭ খানা পয়েন্ট) পড়িয়া আরও কিছু প্রশ্ন করিয়াছি (আমার পোস্ট খানিতে), আশা করি এইবারেও উত্তর পাইবো।
২য় কিস্তি প্রকাশে বিলম্বের জন্য দুঃখিত।
৬৫| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪০
অেমাঘ অনল বলেছেন: প্প্বপ্প্বৈমপ্প্ম প্প্বমপ্প্বক্কপ্প্মপ্প্বেক্ক প্প্ব্রপ্প্ম প্প্বক্কপ্প্বমপ্প্ম
৬৬| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪
অেমাঘ অনল বলেছেন: স্যার, পড়িয়াছেন কি?
উত্তরের প্রত্যাশায় প্রতীক্ষায়....................।
৬৭| ০৭ ই নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
মাহমুদউল্লাহ বলেছেন: @ অেমাঘ অনল, আপনার পোস্টে আমার কমেন্টে তো কোন রেসপন্স করলেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে অক্টোবর, ২০০৭ রাত ১১:৫৭
মিরাজ বলেছেন: সবাইকে অনুরোধ করবো গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে বিতর্কে অংশ নিতে। আমার প্রস্তাবের সাথে অনেকেরই দ্বি-মত থাকতে পারে। এই দ্বি-মতের ব্যাপারটি যৌক্তিকভাবে তুলে ধরলে খুশী হব।