নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সরল কথা

যেতে চাও যাবে, আকাশও দিগন্তে বাঁধা, কোথায় পালাবে!

মিরাজ

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ক্যান্সার এর বিপক্ষে কার্যকরী ওষুধ উদ্ভাবনের চেষ্টায় কাজ করছি কিংস কলেজ লন্ডন এ নিজের গবেষণাগারে।

মিরাজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাসের ভুল পাঠ : কার নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ? মাওলানা ভাসানী নাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান?

০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২০

সহব্লগার এস্কিমো ইতিহাসের আলোকে দেখা একটি জাতির বিজয় শিরোণামে যে সিরিজটি লিখছেন সেটাকে সাধুবাদ জানাই । আমাদের সবারই প্রকৃত ইতিহাস পেছন ফিরে দেখা উচিত । তবে সঠিক ইতিহাস জানতে হবে । সেখানে কিছু ঐতিহাসিক তথ্যের ভুল পাঠ দেখে এই পোষ্টটির অবতারণা করতে হলো । এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে এটাকে মন্তব্য হিসাবে না দিয়ে আলাদা পোষ্ট হিসাবে দিলাম ।



এস্কিমো বলেছেন..."ভু-স্বামীদের নেতৃত্বকে অস্বীকার করে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। কিন্তু বাঙালী জাতির দীর্ঘ ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বহিপ্রকাশ ঘটে তরুন নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামীলীগ। অন্যদিকে মাওলানা ভাসানীর দলও তাদের নামের থেকে মুসলিম শব্দটা বাদ দিয়ে ন্যাশানাল আওয়ামী লীগ (ন্যাপ) হিসাবে রূপান্তরিত করেন।"



শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ গঠিত হয় এটি একটি ঐতিহাসিক ভুল ।



শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের পূর্বসূরী আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে একজন ছাত্র নেতা ছিলেন এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের সহ সাধারণ সম্পাদক (মতান্তরে যুগ্ম সম্পাদক) ছিলেন । এই সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান ফরিদপুর জেলে আটক ছিলেন ।



একটু ফিরে তাকাই আওয়ামী মুসলিম লিগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের দিকে...



পূর্ব-পাকিস্তানের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর অব্যাহত উন্নাসিক দৃষ্টিভঙ্গী, বিভিন্ন ন্যায্য দাবী দাওয়া পূরনে অস্বীকৃতি এবং ভাষার ক্ষেত্রে মুসলিম লীগ সরকারের নীতির বিরোধিতায় মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ, শেখ মুজিবুর রহমান নিযুক্ত হন সহ সাধারণ সম্পাদক (মতান্তরে যুগ্ম সম্পাদক) হিসাবে । একই সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানেও পীর মানকি শরীফ এর নেতৃত্বে আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয় । পরবর্তীতে এই দুই দল একীভূত হয়ে পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এর আহবায়ক নিযুক্ত হন ।



ভাসানী ১৯৪৯ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ৮ বছর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন । ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয় । সেই কাউন্সিল অধিবেশনেও সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ভাসানী । ভাসানী ১৯৫৭ সালের ১৮ই মার্চ আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন ।



এখানে উল্লেখ্য যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৩ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং এই পদে তিনি ছিলেন ১৯৬৬ পর্যন্ত । ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তাজউদ্দিন আহমদ নিযুক্ত হন সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ।



মাওলানা ভাসানী ১৯৫৭ সালের জুলাই মাসে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) প্রতিষ্ঠা করেন । এখানে উল্লেখ্য যে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এর নামে কখনো মুসলিম শব্দটাই ছিলোনা, তাই মুসলিম শব্দটি বাদ দেবার প্রসংগটিই আসেনা ।



ভাসানীর ন্যাপ প্রতিষ্ঠার পিছনে মুল কারন ছিলো পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হোসেইন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে ভাসানীর মতবিরোধ আর সেজন্যই ভাসানীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বামপন্থী ধারাটি বেরিয়ে যেয়ে প্রতিষ্ঠা করে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি । সোহরাওয়ার্দী তখন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ।



বাংলাপিডিয়া থেকে..



National Awami Party (NAP) political party founded in July 1957 under the leadership of Maulana abdul hamid khan bhasani. At the council session of the convention of the awami league held at Kagmari in Tangail on 6-10 February 1957, Awami League leaders Maulana Abdul Hamid Khan Bhasani and huseyn shaheed suhrawardy, the then Prime Minister of Pakistan differed on foreign policy of Pakistan. The leftist faction headed by Maulana Bhasani demanded for an independent foreign policy without alignment to any super power bloc. His demand also included maximum autonomy for East Pakistan.



আমাদের ইতিহাস জানা দরকার, তবে ভুল ইতিহাস নয়, সত্যিকারের ইতিহাস ।





মন্তব্য ৭৪ টি রেটিং +২৯/-০

মন্তব্য (৭৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৩

ইয়র্কার বলেছেন: আমি শুনলাম মওদুদি আমলীগের প্রতিষ্ঠাতা

২| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৩৪

মিরাজ বলেছেন: ইয়র্কার ফালতু কথা বলতে আসার দরকার নাই । এইসব কথা অন্য জায়গায় বলেন, আমার ব্লগে নয় ।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪৭

বাঙাল যুবক বলেছেন: ধন্যবাদ সঠিক তথ্য উল্লেখ করার জন্য । আপনার ভাষা বিষয়ক পোষ্টটিও খুব ভাল লেগেছে। দেরিতে পড়েছি। মন্তব্য করতে পারিনি। সেখানের একটি বিষয়ে আমি ভিন্নমত সহকারে কিছু তথ্য আপনাকে দেব। আশা করি পড়বেন।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ২:৫০

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ বাঙাল যুবক। আপনার ভিন্নমত সহ তথ্যের অপেক্ষায় থাকলাম ।

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪৮

রাতুল" বলেছেন: ধন্যবাদ মিরাজ ভাই, আরো একবার।

০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১১:৩২

মিরাজ বলেছেন: আপনাকেও পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৫| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:৪৮

অ্যামাটার বলেছেন: তার মানে মনে হচ্ছে মূলত মাওলানা ভাষানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব,
তিন জনেরই কিছু না কিছু অবদান আছে আওয়ামী লিগ-এর প্রতিষ্ঠায়।
ঠিক একক ভাবে এই কৃতীত্ব কাউকে দেওয়া যায় না।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:২৫

মিরাজ বলেছেন: সহমত । ব্যাপারটা সেরকমই ।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

৬| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৭

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: উত্তম, কার্যকর পোষ্ট। ঐতিহাসিকতা সবসময়ই বর্তমান নির্মিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় মাওলানা ভাষানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই তিন মহান নেতার অবদান অনস্বীকার্য। কোন পদবী তাঁদের মহত্বে চিড় ধরাতে পারেনা।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৩

মিরাজ বলেছেন: সোহরাওয়ার্দীর বাঙালীদের তথা পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের দাবী আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন । তবে ১৯৬৩ সালে মারা যাবায়, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা কি হতো তা অনুমানসাপেক্ষ ।

তবে সোহরাওয়ার্দী তার জীবদ্দশায় ইউনাইটেড পাকিস্তানের ফ্রেমওয়ার্কের ভিতরে থেকেই পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন । অবশ্য তখনকার সময়ে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অবস্থান কাছাকাছি ছিল । ১৯৬৬ এর পরে স্বাধিকার এর পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বাধতে শুরু করে । সোহারাওয়ার্দী ততদিনে মৃত্যু বরণ করেছেন ।

৭| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:০৮

এস্কিমো বলেছেন: মিরাজ
পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ।

আমি বোধ হয় কোথাও শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা বলিনি। ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগটা কি ঠিক হলো?

আবার পড়ুন - (একটা শব্দ একটু বদলে দিয়েছি)

কিন্তু বাঙালী জাতির দীর্ঘ ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বহিপ্রকাশ ঘটে তরুন নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সংগঠিত হয় আওয়ামীলীগ।


আমি যা বলতে চেয়েছি - শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই আওয়ামীলীগ সংগঠিত হয়েছে - যা বাঙালী জাতির আকাংখাকে ধারন করেছে। আমার পোস্টে আওয়ামীলিগের ইতিহাস বিশ্লেষনের কোন উদ্দেশ্য ছিলো না।

আপনি আওয়ামীলিগের ইতিহাস নিয়ে লিখুন - আর দয়া করে আমাকে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ থেকে মুক্তি দিন।

ধন্যবাদ।

০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৫

মিরাজ বলেছেন: এস্কিমো আমি আপনাকে ইতিহাস বিকৃতির দায়ে অভিযুক্ত করিনি । একটা ভুলকে দেখিয়ে দিয়েছি ।

মাওলানা ভাসানী ছিলেন বামপন্থী এবং আজীবন ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ । তাই আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ রুপান্তরে (মুসলমি শব্দটি বাদ দেয়ার মাধ্যমে) ভাসানীর ভূমিকা অগ্রণী ছিলো, সাথে অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক হিসাবে শেখ মুজিবুর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো ।

এই ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের কারণেই বামপন্থী ভাসানী আওয়ামী লীগ ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী লীগ গঠন করেন । বাংলাপিডিয়া থেকে..

National Awami Party (NAP) political party founded in July 1957 under the leadership of Maulana abdul hamid khan bhasani. At the council session of the convention of the awami league held at Kagmari in Tangail on 6-10 February 1957, Awami League leaders Maulana Abdul Hamid Khan Bhasani and huseyn shaheed suhrawardy, the then Prime Minister of Pakistan differed on foreign policy of Pakistan. The leftist faction headed by Maulana Bhasani demanded for an independent foreign policy without alignment to any super power bloc. His demand also included maximum autonomy for East Pakistan.

তবে আপনার "অন্যদিকে মাওলানা ভাসানীর দলও তাদের নামের থেকে মুসলিম শব্দটা বাদ দিয়ে ন্যাশানাল আওয়ামী লীগ (ন্যাপ) হিসাবে রূপান্তরিত করেন।"

কথাটি ইতিহাস বিকৃতির সমতুল্য ।

৮| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১১

মুকুল বলেছেন: তথ্য বহুল আলোচনায় প্রকৃত ঘটনা জানা গেলো। ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৩:২৭

মিরাজ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ মুকুল । আমাদেরকে আলোচনার মাধ্যমেই সত্য ইতিহাস জানতে হবে ।

৯| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৬

কাল্‌বেলা বলেছেন:
মিরাজ ভাই,
আপনার কাজের পোস্টগুলো মনযোগ দিয়ে পড়ি। আপনেকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:৫৬

মিরাজ বলেছেন: নিয়মিত পড়বার জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ।

১০| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:১৬

এস্কিমো বলেছেন: অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: উত্তম, কার্যকর পোষ্ট। ঐতিহাসিকতা সবসময়ই বর্তমান নির্মিত। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় মাওলানা ভাষানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই তিন মহান নেতার অবদান অনস্বীকার্য। কোন পদবী তাঁদের মহত্বে চিড় ধরাতে পারেনা।


- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি নামটা এখানে আসবে কি? উনি বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি বাংলাদেশ নামক একটা আলাদা দেশ হবে@ অন্যমনষ্ক শরৎ

১১| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২৩

এস্কিমো বলেছেন: তাইলে এখনও অভিযোগ বহাল আছে।

দয়া করে আমার পোস্টের মুল বিষয়টা ধরতে চেষ্টা করুন। মাওলানা ভাসানী নিজে একজন মাওলানা হয়েও উনার দলের নামের সাথে মুসলিম শব্দটা যোগ করেননি। কিন্তু মাত্র কিছু দিন আগে মুসলমানদের জন্যে আলাদা বাসভুমি পেয়েছিলো পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। কথাটা এই ভাবে ভেবে দেখুন - একজন রাজনীতিবিদ হিসাবে সেই ভাবধারার বিপরীতে গিয়ে উনি মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে বাঙালীত্বকে প্রাধান্য দিয়েছেন উনার দল গঠনের ক্ষেত্রে - সেটাই ছিলো আমার বক্তব্য।

দলের নামকরনের ক্ষেত্রে আওয়ামী শব্দটা নিলেও মুসলিম শব্দটা নেন নি।

ইতিহাসের টাইম লাইন দিয়ে আমি বিশ্লেষন করিনি। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় মুসলিম জাতীয়তাবাদের উপরে উনি বাঙালী জাতীয়তাবাদকে স্থান দিয়েছিলেন - সেটাই দেখাতে চেয়েছি।

বিষয়টা আবার ভাবুন।

০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৩২

মিরাজ বলেছেন: দেখুন এস্কিমো আপনি বলেছেন...
"ভু-স্বামীদের নেতৃত্বকে অস্বীকার করে মাওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামী মুসলিম লীগ। কিন্তু বাঙালী জাতির দীর্ঘ ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের বহিপ্রকাশ ঘটে তরুন নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত হয় আওয়ামীলীগ।

যেটি ঠিক নয়, কারণ আমি পোষ্টে বলেছি । তারপর বলেছেন...


অন্যদিকে মাওলানা ভাসানীর দলও তাদের নামের থেকে মুসলিম শব্দটা বাদ দিয়ে ন্যাশানাল আওয়ামী লীগ (ন্যাপ) হিসাবে রূপান্তরিত করেন।"

যেটি সত্য নয় । আওয়ামী মুসলিম লীগের আওয়ামী লীগ নামকরণের সময় ভাসানী দলের সভাপতি এবং তিনি এই নাম পরিবর্তনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন । সেই সময়তো ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) এর জন্মই হয়নি । ন্যাপ গঠিত হয়েছে আরো দু বছর পরে । তাহলে সেই সময়ে ভাসানীর দল তাদের নামের থেকে মুসলিম বাদ দিয়ে ন্যাশানাল আওয়ামী লীগ (ন্যাপ) হিসাবে রূপান্তরিত করেন বলাটা কি ইতিহাস বিকৃতি নয়??

আর ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির নামে কখনোই মুসলিম শব্দটিই ছিলোনা, তাহলে সেটা বাদ দেবার প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? এটিও একটি ভুল তথ্য ।

অবশ্য আপনার এই কথাকে ইতিহাস বিকৃতি না বলেসেটাকে আপনার ইতিহাস ভুল জানা বা না জানাও বলা যেতে পারে ।

১২| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:২৩

মানুষ বলেছেন: কাজের পোষ্ট। অনেক ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৪৮

মিরাজ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ মানুষ ।

১৩| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪৪

এস্কিমো বলেছেন: তাইলে আমি ইতিহাস পরীক্ষায় ফেল করলাম।

আপনি যে উদ্দেশ্যে পোস্টটা দিয়েছেন তার বিষয়ে আমার আগেই ধারনা করা উচিত ছিলো।

আপনি যা বলেছে আমিও তাই বলছি। শুধুমাত্র ভাষাগত তফাত। আর আপনি যদি পরীক্ষার খাতা দেখার মতো করে আমার পোস্ট পড়েন তাইলতো আমি ফেল করবোই।

আবারও বলছি .....আমার পোস্টের উদ্দেশ্য ইতিহাস নয় .....ইতিহাসের প্রবাহ। আপনি সেই পোস্টের থেকে কিছু শব্দ নিয়ে বিতর্ক করছেন। সেটা আমার পোস্টেই করতে পারতেন। নাকি?


১৪| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪৮

মিরাজ বলেছেন: এস্কিমো, আপনার সাথে তর্ক বাড়াতে চাইনা । আপনাকে ছোট করা বা আপনার ইতিহাস পরীক্ষা নেয়া কোনটাই আমার উদ্দেশ্য নয় । আপনি যে সবাইকে ইতিহাস জানাবার চেষ্টা করছেন তাকে সাধুবাদ জানিয়েই পোষ্ট শুরু করেছি ।

আপনার বর্ণিত ইতিহাসে কিছু ভুল ছিলো, সেটা শুধু শব্দগত ভুল নয়, সেই ভুলটুকু তুলে ধরা দায়িত্ব মনে করায় এই পোষ্ট দিয়েছি ।

আমি ব্যাপারটা ব্লগের পাঠকদের উপরেই ছেড়ে দিতে চাই, আমি আপনার পোষ্ট থেকে অবিকৃত ভাবে উদ্ধৃতি দিয়েছি, তারপর ভুলটা কোথায় তা দেখানোর চেষ্টা করেছি ।

ভালো থাকবেন ।

১৫| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫১

এস্কিমো বলেছেন: সেটা আপনি আমার পোস্টেও করতে পারতেন।

যাই হোক আমি কোনভাবেই শেখ মুজিবুর রহমানকে আওয়ামীলিগের প্রতিষ্ঠাতা বলিনি - আপনি বরঞ্চ বিকুত ভাবে আমার বক্তব্য শিরোনাম করে ব্লগীয় দায়িত্ব পালন করলেন।


সেইটাই বরঞ্চ বিকৃতি, কি বলেন?

০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৪

মিরাজ বলেছেন: কেন আলাদা পোষ্ট দিয়েছি, সেটাও পোষ্টের শুরুতেই উল্লেখ করেছি, পড়ে দেখবেন ।

হতে পারে আমার বাংলা বোঝার ভুল..

আর কারো নেতৃত্বে গঠিত হওয়া বলা... আর "প্রতিষ্ঠা করার" মধ্যে পার্থক্য কতটুকু সেটাও না হয় পাঠকরাই বিচার করুক ।

তারপরও শিরোনাম পাল্টে দিলাম ।

১৬| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫১

না বলা কথা বলেছেন: এইভাবেই চলতে থাকবে যুগের পর যুগ।

১৭| ০৭ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৫৩

এস্কিমো বলেছেন: কি চলবে, না বলা কথা? না বললে তো চলবেই........:)

১৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪১

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: এক্সিমো। সোহরাওয়ার্দী 'বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি বাংলাদেশ নামক একটা আলাদা দেশ হবে'। আমি ঠিক এমনটা ভাবিনা। তবে এ মুহূর্তে সেটা আমারই আরেকটু ইতিহাস পাঠের প্রয়জনকে জানিয়ে দিল।
তবে সব মিলিয়ে আপনার ও মিরাজের আলাপচারিতা চমৎকার। ধন্যবাদ দুজনাকেই। পাঠের আপত্তি ও প্রকাশ নিয়ে এ ধরণের আলাপ সবসময়ই উদ্দীপক।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৫

মিরাজ বলেছেন: উপরে আপনার মন্তব্যের জবাবে লিখেছি.. প্রাসংগিক হওয়াতে এখানেও তুলে দিচ্ছি...

সোহরাওয়ার্দীর বাঙালীদের তথা পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের দাবী আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন । তবে ১৯৬৩ সালে মারা যাবায়, স্বাধীনতা যুদ্ধে তার ভূমিকা কি হতো তা অনুমানসাপেক্ষ ।

তবে সোহরাওয়ার্দী তার জীবদ্দশায় ইউনাইটেড পাকিস্তানের ফ্রেমওয়ার্কের ভিতরে থেকেই পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন । অবশ্য তখনকার সময়ে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অবস্থান কাছাকাছি ছিল । ১৯৬৬ এর পরে স্বাধিকার এর পাশাপাশি স্বাধীনতা আন্দোলন দানা বাধতে শুরু করে । সোহারাওয়ার্দী ততদিনে মৃত্যু বরণ করেছেন ।

১৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৪

অমলকান্তি বলেছেন: জনাব মিরাজ, ভাসানীর পর কে কে আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানালে উপকৃত হতাম।(ব্যক্তগত কৌতুহল)

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৫১

মিরাজ বলেছেন: ভাসানীর পদত্যাগের পর মাওলানা আব্দুর রশীদ তর্কবাগীশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হন ।

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

অমলকান্তি বলেছেন: ব্যক্তগত=ব্যক্তিগত

২১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০১

মুনতাসির আলম বলেছেন: আজ আওয়ামী মুসলিম লীগ নিয়ে এখানে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনায় আসছে এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা ভাসানী, যুগ্ম সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এর সাধারন সম্পাদক শামসুল হককে আমরা কেউই মনে আনিছি না শুধু তথ্যের অভাবে। দুঃখ জনক। আমি একটি পোস্ট দিয়েছিলাম শামসুল হককে নিয়ে। অনেকেরই চোখ এড়িয়ে যায় সেই পোস্ট। আজ এখানে আবারো দিলাম। তবে মন্তব্য হিসেবে।

২২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৩

মুনতাসির আলম বলেছেন: শামসুল হক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলায় মাইঠানে ১৯১৮ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারী শামসুল হক তার মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক বাড়ি একই উপজেলার টেউরিয়া গ্রামে।

ভারতবিভাগ পূর্ব রাজনীতি
১৯৪৩ সালের শেষ দিকে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে আবুল হাশিম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আবুল হাশিমের সাংগঠনিক শক্তির বলে ১৯৪৪ সালের আগস্টের মধ্যে পূর্ব বঙ্গে মুসলীম লীগের সভ্য সংখ্যা দাঁড়ায় দশ লক্ষে। ১৯৪৪ সালে আবুল হাশিম ঢাকায় চলে আসেন এবং ১৫০ নং মোগলটুলীতে ৯ এপ্রিল মুসলিম লীগ কর্মী-শিবির স্থাপন করেন। এই কর্মী শিবিরের নেতৃত্বে ছিলেন শামসুল হক। এই কর্মী শিবির হতেই পরবর্তীতে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরে আওয়ামী লীগ) জন্ম লাভ করে। শামসুল হকের নেতৃত্বেই এই কর্মী শিবির ১৯৪৫-৪৬ সালে পূর্ব বাংলায় মুসলিম লীগকে জনসাধারণের গনসংগঠনে পরিণত করে। মুসলিম লীগ ১৯৪৫ সালে নভেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় আইন পরিষদের নির্বাচনে পূর্ববঙ্গের মুসলিম লীগ মনোনীত প্রার্থীরা প্রায় সকলেই জয়লাভ করে। ১৯৪৬ সালের প্রাদেশিক আইন সভার নির্বাচনে মুসলিম লীগ শতকরা ৯৭ ভাগ আসনেই জয়লাভ করে। তখন একমাত্র বাংলা ছাড়া ভারতের আর কোথাও কোন প্রদেশে মুসলিম লীগের একক সরকার ছিল না। বাংলায় মুসলিম লীগের মন্ত্রীসভা না থাকলে জিন্নাহ মুসলিম লীগকে ভারতের মুসলমানদের প্রতিনিধিত্বকারী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন না এবং কংগ্রেসও ভারত বিভাগ মেনে নিতে পারত না। এদিক দিয়ে বিবেচনায় পাকিস্তান সৃষ্টিতে শামসুল হকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান অনস্বীকার্য। এছাড়া ভারত বিভাগের সময় সিলেটে গণভোটে জামায়াতে উলামায়ে হিন্দের প্রবল বিরোধীতার মুখে ঐ কর্মী শিবিরের সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমেই সিলেট পাকিস্তানভুক্ত হতে পেরেছিল।

আওয়ামী মুসলিম লীগ
নতুন রাষ্ট্র পাকিস্তানে পূর্ব বাংলার প্রধানমন্ত্রী হন খাজা নাজিমুদ্দিন আর প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাংগঠনিক কমিটির দুই প্রধান সদস্য হলেন নুরুল আমীন ও ইউসুফ আলি চৌধুরী (ওরফে মোহন মিঞা) । তারা মুসলিম লীগকে তাদের পকেট প্রতিষ্ঠানে পরিনত করেন। এর প্রতিবিধানের জন্যে ১৯৪৮ সালের জানুয়ারি মাসে ১৫০ নং মোগলটুলির অফিসে শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ এক কর্মী সম্মেলন আহ্ববান করেন। পরে আতাউর রহমান খান, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, মিসেস আনোয়ারা খাতুন, খন্দকার মোশতাক আহমেদ এর সমবায়ে গঠিত এক প্রতিনিধি দল মাওলানা আকরম খানের সাথে দেখা করেন মুসলিম লীগে সভ্য হবার রশিদ বই পাবার জন্যে; কিন্তু কোন লাভ হয় না। আতাউর রহমান খান ও আনোয়ারা খাতুন একই উদ্দেশ্যে করাচী গিয়ে মুসলিম লীগ সংগঠক চৌধুরী খালেকুজ্জামানের সাথেও দেখা করেন কিন্তু কোন লাভ হয় না। ফলে কর্মীরা নতুন সংগঠনের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করেন। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন হতে ২৪ জুন ঢাকা রোজ গার্ডেনে মাওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে মুসলিম লীগ কর্মী সম্মেলনে পূর্ব পাকিস্তানে মুসলিম লীগের বিরোধী রাজনৈতিক দল পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হয়। মাওলানা ভাসানী ছিলেন এই দলের সভাপতি। শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে "আওয়ামী মুসলিম লীগ" নামটি থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয় এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আত্মপ্রকাশ করে।

টাঙ্গাইলের উপনির্বাচন
১৯৪৯ সালের মার্চ মাসে টাঙ্গাইলের দক্ষিণ মুসলিম কেন্দ্র থেকে মাওলানা ভাসানীর সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা এবং উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করা হয়। এই উপনির্বাচনে মুসলিম লীগ প্রার্থী ছিলেন করটিয়ার জমিদার খুররম খান পন্নী। শামসুল হক তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দিতা করেন এবং বিপুল ভোটাধিক্যে জয়লাভ করেন। এই নির্বাচনে শামসুল হকের পক্ষে নির্বাচনী অভিযান পরিচালনায় ছিলেন কামরুদ্দীন আহমদ, শওকত আলী, আজিজ আহমদ, শামসুদ্দোহা, মুহম্মদ আলমাস, মুহাম্মদ আউয়াল, হযরত আলী প্রমুখ। এদের অধিকাংশই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা। এই নির্বাচনেই পূর্ব পাকিস্তানের জনগন প্রথম মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে ভোট দেয়। এর পরে ১৯৫৪ সালের আগে নুরুল আমীন সরকার আর কোন নির্বাচন বা উপনির্বাচন দেয়নি।

রাষ্ট্রভাষা দাবি -১৯৪৮
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছাত্ররা সারা প্রদেশে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেয়। সেদিন সচিবালয়, নীলক্ষেত ও হাইকোর্টের সামনে ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষ ঘটে। বহু ছাত্র আহত এবং গ্রেফতার হয়। যে সব নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি সেদিন গ্রেফতার হন তাদের মাঝে ছিলেন শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমান, অলি আহাদ প্রমুখ। এই দিনের সংঘর্ষের প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ছাত্রদের সাথে চুক্তি করেন। চুক্তিপত্রটি সাক্ষরিত হবার আগে সংগ্রাম পরিষদের সদস্যরা ঢাকা সেন্ট্রাল জেলে শামসুল হক, শেখ মুজিব, অলি আহাদ সহ বন্দি ছাত্রনেতাদের চুক্তিপত্রটি দেখিয়ে তাদের সম্মতি নিয়ে আসেন।

ভাষা আন্দোলন - ১৯৫২
১৯৫২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার নবাবপুরে আবুল হাশিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় কর্মপরিষদের বৈঠকে ২১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গের ব্যাপারে নেতিবাচক সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ঐ দিন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ১৪৪ ধারা ভঙ্গের পক্ষে ছিলেন না। ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক আমতলায় ছাত্রদের সভার শুরুতে শামসুল হক সেখানে উপস্থিত হন। তিনি ছাত্রদের বুঝাতে চেষ্টা করেন, ঐ মুহূর্তে প্রত্যক্ষ সংঘর্ষে যাবার পরিণতি, যা ভবিষ্যত আন্দোলন ও অন্যান্য কাজের জন্য সুফল বয়ে আনবে না, আনতে পারে না। তাকে সমর্থনদেন খালেক নেওয়াজ খান, কাজী গোলাম মাহবুব ও সলিমুল্লাহ হলের কয়েকজন নেতৃ স্থানীয় ছাত্র। কিন্তু ছাত্ররা শামসুল হকের কথা শুনলোনা। এরপর গাজীউল হকের সভাপতিত্বে শুরু হয় আমতলার সভা। শামসুল হক তখনও চেষ্টা করেন কিন্তু, ছাত্ররা হৈ হৈ করে তাকে বসিয়ে দেয়। ২১ ফেব্রুয়ারির পর সরকার মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, খয়রাত হোসেন, আবুল হাশিম, মনোরঞ্জন ধর, শামসুল হক সহ কয়েকজনকে জননিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করে।

ভাষা আন্দোলনের কারণে গ্রেফতার এবং নিখোঁজ হওয়া
১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণের অভিযোগে শামসুল হক গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৫৩ সালে অত্যন্ত অসুস্থ শরীর ও মানসিক ব্যাধি নিয়ে কারামুক্তি লাভ করেন। আর সে সময়ই তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্ফ্কার করা হয়। তারপরের ইতিহাস খুবই করুণ ও বেদনাদায়ক। ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত মানসিক ভারসাম্যহীন শামসুল হককে পথে পথে ঘুরতে দেখেছেন অনেকেই। নতুন দল গঠনের জন্য পরিচিত অনেকের কাছে চাঁদাও চেয়েছেন। তারপর হঠাৎ তিনি নিখোঁজ হন। এই নেতার নিখোঁজ নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে রহস্যের সৃষ্টি হয়।

মানসিক ভারসাম্যহীনতা
মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় ১০ বছর পথে পথে ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। ১৯৬৫ সালে শামসুল হক হঠাৎ নিখোঁজ হন।১৯৬৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে জোকারচর গ্রামের মহিউদ্দিন আনসারী (তৎকালীন নামকরা কংগ্রেস নেতা) কলকাতা থেকে সিরাজগঞ্জ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে কোনো এক স্থান থেকে শামসুল হককে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তখন শামসুল হক শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ অসুস্থ ছিলেন। সে সময় গ্রামের হাতেগোনা কয়েকজন সচেতন ও শিক্ষিত লোক ছাড়া শামসুল হককে কেউ চিনতেন না। অসুস্থ শামসুল হক মহিউদ্দিন আনসারীর বাড়িতে ৭ দিন থাকার পর তার হঠাৎ খুব জ্বর হয়। স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক শুকলাল দাস শামসুল হকের চিকিৎসা করেন। প্রচণ্ড জ্বরে শামসুল হক কোন এক শনিবার (মাসের নাম অজানা) দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে মারা যান। সে দিন ছিল হাটের দিন। হাটে গইজা খলিফার দোকান থেকে ডা. আনসার আলী ও কংগ্রেস নেতা মহিউদ্দিন আনসারীর মেঝো ছেলে রইসউদ্দিন আনসারী কাফনের কাপড় কিনে আনেন। মহিউদ্দিন আনসারীর বাড়ির সামনের ছোট মাঠে (বর্তমানে পুকুর) জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর শামসুল হককে কদিমহামজানি কবরস্থানে দাফন করা হয়।

মৃত্যু রহস্য উম্মোচন
কদিমহামজানি গ্রামের মৃত বাহাদুল্লা তালুকদারের ছেলে ডা. আনসার আলী তালুকদার (৭৫) ২০০৭ সালে টাঙ্গাইল শহরের বেপারী পাড়ায় তার মেয়ের বাসায় বেড়াতে যান। সেখানে রঙিন একটি ক্যালেন্ডারে শামসুল হকের ছবি দেখতে পান তিনি। ক্যালেন্ডারে শামসুল হকের ছবির পাশে বাংলা হরফে লেখা রয়েছে ‘আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ভাষা আন্দোলনের রহৃপকার’। ক্যালেন্ডারের ছবিটি মনোযোগ দিয়ে দেখার পর ডা. আনসার আলীর ৪২ বছর আগের কথা মনে পড়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে এলাকার প্রবীণ লোকদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ডা. আনসার আলী তালুকদার নিজে তৎকালীন মুসলিম লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। রাজনীতি করার সুবাদে তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হককে ব্যক্তিগতভাবে চিনতেন ও জানতেন। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে শামসুল হকের ভাষণও শুনেছেন। এরপর ঐ গ্রামের লোকজন সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়ট জানান। এর মাধ্যমেই প্রায় ৪২ বছর পর, বাংলাদেশের সবথেকে পুরাতন রাজনৈতিক দলটির প্রথম সাধারণ সম্পাদকের খবর মানুষ জানতে পারে।

ডা. আনসার আলী বলেন, মহিউদ্দিন আনসারী ছিলেন নামকরা একজন কংগ্রেস নেতা। অপরদিকে শামসুল হক ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সমঙাদক। সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী রাজনীতি করলেও তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল। একজন কংগ্রেস নেতার বাড়িতে শামসুল হক মারা যাওয়ার ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক কলহ ও দ্বন্দের সৃষ্টি হতে পারে এমন আশঙ্কা করেই শামসুল হকের মৃত্যুর ঘটনা গোপন রাখা হয়। এরপর এক সময় বিষয়টি সবাই ভুলে যায।



বাংলাদেশের মানুষের স্মৃতি থেকে প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই রাজনীতিবিদের কথা পাওয়া যায় আবু জাফর শামসুদ্দীনের ‘আত্মস্মৃতি : সংগ্রাম ও জয়' বইতে। আবু জাফর শামসুদ্দীন লিখেছেন,

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তাকে (শামসুল হককে) আটক করা হয়। তখন তিনি বিবাহিত, একটি কন্যা সন্তানের পিতা। স্ত্রী নরসিংদির সেকান্দার মাস্টার সাহেবের কন্যা আফিয়া খাতুন এম.এ কলেজের লেকচারার। জেলখানায় শামসুল হকের মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটে। নিজ পরিবারের প্রতি তাঁর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। আফিয়া খাতুন তাঁকে ত্যাগ করেন। আফিয়া এখন পাকিস্তানে মিসেস আফিয়া দিল। শামসুল হক সম্পূর্ণ বিকৃতমসিত্মষ্ক অবস্থায় জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শামসুল হকের চিকিৎসায় আওয়ামী মুসলিম লীগ কোনো উদ্যোগ নিয়েছিল বলেও মনে পড়ে না। শামসুল হক ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন- কখনও বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে টাকা ধার চাইতেন, কেউ সমাদর করলে আহার করতেন। টাঙ্গাইলের ওয়ার্টারলু বিজয়ী শামসুল হকের মৃত্যু কোথায় কি অবস্থায় হলো তার কোনো বিবরণ সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে দেখিনি। শোকসভাও করেনি কোনো রাজনৈতিক দল বা অন্যরা। অথচ এই শামসুল হক একদিন ছিলেন বাংলার তরুণ মুসলিম ছাত্রসমাজের প্রিয় নেতা- ১৯৫২ সালেও ভাষাসংগ্রামী এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক।



বাংলা উইকিতে শামসুল হকের নিবন্ধের জন্যে এই লিংকে ক্লিক করুণ।

(তথ্যসূত্রঃ

১. দৈনিক আমার দেশ - ২৩ জুন; ২০০৭
২. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশি বছর - রফিকুল ইসলাম
৩. একুশের ইতিহাস আমাদের ইতিহাস - আহমদ রফিক)

বিদ্র: এখানে আমার নিজের কথা কিছু নেই (সূচনা ছাড়া)। আমার হাতের কাছে যে সব বই ও সংবাদপত্র আমি পেয়েছি সেখান থেকেই সব লেখা। যেখানে যা পেয়েছি তাই তুলে দিয়েছি। শামসুল হক সম্পর্কে তথ্যের খুবই অভাব, বলতে গেলে নেই। ভাষা সৈনিকদের সাথে যদি কারো যোগাযোগ থাকে তবে অনুগ্রহ করে তাদের শামসুল হক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। কারো কাছে যদি তথ্য থাকে তবে তা এখানে বা উইকিতে দিন। উইকিতে কি করে লেখে না জানলে জিজ্ঞাসা করুন বা আমাকে দিন আমি যোগ করে দেব আপনার নাম উল্লেখ করে। ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৬

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ মুনতাসির আলম, শামসুল হক সম্পর্কে দরকারি তথ্যগুলিকে সন্নিবেশ করার জন্য ।

২৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১:০৩

নেমেসিস বলেছেন: হুমম ।

২৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১:১৪

দ্বিতীয়নাম বলেছেন:
অন্যমনস্ক শরৎ বলেছেন: এক্সিমো। সোহরাওয়ার্দী 'বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি বাংলাদেশ নামক একটা আলাদা দেশ হবে'। আমি ঠিক এমনটা ভাবিনা। তবে এ মুহূর্তে সেটা আমারই আরেকটু ইতিহাস পাঠের প্রয়জনকে জানিয়ে দিল।
তবে সব মিলিয়ে আপনার ও মিরাজের আলাপচারিতা চমৎকার। ধন্যবাদ দুজনাকেই। পাঠের আপত্তি ও প্রকাশ নিয়ে এ ধরণের আলাপ সবসময়ই উদ্দীপক।

শরৎ বোস, আবুল হাসেমদের নিয়ে সোহরাওয়ার্দী সেই ১৯৪৬-৪৭ অখন্ড স্বাধীন বাংলার জন্য আন্দোলন করেছেন এবং বৃটিশদের আর কংগ্রেসের সাথে প্রয়াস অনেক দেনদর্রবার করেছেন। কিন্তু সফল হননি।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৬:০৮

মিরাজ বলেছেন: দ্বিতীয়নাম আপনি যথার্থ বলেছেন । অবিভক্ত বাংলার জন্য শরৎ-সোহরাওয়ার্দী ফর্মুলা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী অনেক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন । এ কে ফজলুল হক, আবুল হাসিম, সুভাষ চন্দ্র বোস, শরৎ বোস ছিলেন স্বাধীন বাংলার ধারণার প্রবক্তা । কিন্তু কংগ্রেস ও মুসলিম লীগের একাংশের বিরোধের কারণে বাংলা বৃটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ না করে দ্বি-জাতি তত্বের ভিত্তিতে বাংলাকে দুইভাগ করে ভারত ও পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেওয়া হলো ।

তাই সোহরাওয়ার্দী তার রাজনৈতিক জীবনের শুরুর দিকেই বাঙালীর স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন । তিনি বেচে থাকলে নিশ্চয়ই স্বাধীন বাংলাদেশেরই পক্ষাবলম্বন করতেন ।

তাই উনি স্বপ্নেও কল্পনা করেননি যে বাংলাদেশ নামে একটি আলাদা রাষ্ট্র হবে কথাটা বলা অনভিপ্রেত এবং সোহরাওয়ার্দী সম্পর্কে জানার অভাবকেই নির্দেশ করে ।

২৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:০৭

রোবোট বলেছেন: মিরাজের বক্তব্যে একমত। এস্কিমোর কাছে এমন ভুল আশা করিনি।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:৫৬

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ রোবোট। আমাদের সকলেরই সঠিক ইতিহাস জানা উচিত।

২৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৫:১২

ত্রিভুজ বলেছেন:


+

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩১

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ত্রিভুজ ।

২৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৭:৩৮

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: মিরাজ ভাই এই পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আশা করছি ভাল আছেন।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩১

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন ।

আপনি ভালো আছেন?

২৮| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৩২

মাহবুব সুমন বলেছেন: আমরা সত্য ও নির্ভুল ইতিহাস জানতে চাই।কোনো দলীয় ভাবধারায় লিখিত ইতিহাস নয়।

মিরাজ ভাইয়ের সাথে একমত।
এস্কিমোর সাথে একমত নই।

আওয়ামী লিগের ইতিসাহে শামসুল হক এক ভুলে যাওয়া নাম। এ নিয়ে কিছু জানার ইচ্ছে আছে।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৩২

মিরাজ বলেছেন: আমাদের ইতিহাস ভুলে যাওয়ার ইতিহাস । জাতীয় নেতাদের অশ্রদ্ধার ইতিহাস, সেখান থেকে বেরিয়ে আসবার দায়িত্ব এই নতুন প্রজন্মের ।

২৯| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৩৬

প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব বলেছেন: চমত্কার আলোচনা পাঠকদের জানা'র তৃষ্ঞাকে বৃদ্ধি করে...
ধন্যবাদ এস্কিমো এবং মিরাজ কে


ভালো থাকুন

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মিরাজ বলেছেন: আপনাকে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । কেমন আছেন?

৩০| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ৯:৫৪

অচেনা বাঙালি বলেছেন: সোহরাওয়ার্দীর বাঙালীদের তথা পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের দাবী আদায়ে আজীবন সংগ্রাম করেছেন ।

---------------------------------------------------------------------------------

আপনার উল্লেখিত এই আজীবন সংগ্রাম এর মাধ্যমে পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষ কি পেয়েছে বলতে পারেন। যে সংগ্রামী নেতা হিসাবে আপনে সোহওয়ার্দী কে দেখছেন সে সেরকম মোটেই ছিলনা। বরং ইতিহাস বলে দেশের প্রয়োজনের চাইতে নিজের স্বার্থ সিদ্ধিই তার আসল
উদ্দেশ্য ছিল।
ওনার একটা চরম আবালীয় উক্তি মনে পরছে। একবার সে নামে মাত্র পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ঘোষণা দিয়েছিল, পূর্ব পাকিস্তানের ৯৮ শতাংশ স্বায়ত্ত শাসন পাওয়া হয়ে গেছে।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:২৪

মিরাজ বলেছেন: হায়রে ইতিহাস!!!

কি পায়নি বাঙালী বলতে পারেন? কোনদিক থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে?

বাঙালীর দাবী আদায়ে আজীবন সংগ্রামী এই মানুষটিকে এইভাবে অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করলে হয়না??

১। সোহরাওয়ার্দীর জন্য আমরা একটা দল আওয়ামী লীগকে পেয়েছি, ভুলে গেলে হবেনা বাংলার মানুষের দাবী আদায়ের দল আওয়ামী লীগ (প্রতিষ্ঠার সময়ে আওয়ামী মুসলিম লীগের) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সোহরাওয়ার্দী । প্রথম আহবায়ক তিনি ।

২। ১৯৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট পেয়েছি তার নেতৃত্বে । তিনি আইনমন্ত্রী থাকার সময় রাষ্ট্রভাষা বাংলা হিসাবে পার্লামেন্টে বিল তুলেছেন এবং আমরা রাষ্ট্রভাষা হিসাবে বাংলাকে পেয়েছি ।

৩। তার নেতৃত্বে পূর্ব-পাকিস্তানের সকল রাজনৈতিক দল একত্রিত হয়ে ১৯৬২ সালে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গঠন করে, যার মাঝে আওয়ামী লীগ একীভূত ছিলো , পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনের বিরুদ্ধে পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার আদায়ে । শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন এর অন্যতম নেতা । কেবলমাত্র ১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগকে রিভাইভ করেন ।

৪। ১৯৬২ সালে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট গঠন করে তিনি এবং শেখ মুজিবুর রহমান সমগ্র পূর্ব-বাংলা সফর করেছেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানকে তার উত্তরসূরী হিসাবে জনতার কাছে তুলে ধরেছেন । শেখ মুজিবুর রহমানকে পূর্ব-বাংলার অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে গড়ে তুলেছেন সোহরাওয়ার্দী ।

৫। পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী বারবার নির্যাতন ও নিপীড়ন করেছে তার উপরে । এমনকি ১৯৫৮ সালে তার প্রধানন্ত্রীত্বের পর, বাঙালীদের দমিয়ে রাখতে তার রাজনীতিতে অংশগ্রহনের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে পাকিস্তান সরকার ।

লিখে এভাবে শেষ করা যাবেনা । আর আমরা অকৃতজ্ঞ বাঙালী তাকে "আবালীয়" বলতে ছাড়িনা । ইতিহাস আমাদের ধীক্কার দেয় প্রতিনিয়ত... সব কিছু এভাবে ভুলে যাবার জন্য ।

অচেনা বাঙালী তার "আবালীয়" উক্তিগুলির একটু রেফারেন্স দিবেন? আমি তার কাজকর্মের প্রচুর রেফারেন্স দিতে পারবো, যখন চাইবেন, তখুনি ।

৩১| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সকাল ১০:২৬

সুনীল সমুদ্র বলেছেন:


ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ মিরাজ এর পোষ্টগুলো আমাদের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছে। এজন্যে তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ।

সামহয়্যার ইন ব্লগের জন্য এ পোষ্টগুলো "গোল্ডেন কন্টেন্টস" হিসেবে সজীব থাকবে চিরকাল ।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিশ্চয়ই নেট থেকে খুঁজে নেবে এ অমূল্য তথ্য-ভান্ডার।..


আবারো ধন্যবাদ, মিরাজ।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪১

মিরাজ বলেছেন: নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

আমাদের সবারই সঠিক ইতিহাস জানাটা জরুরী, আর সেজন্যই লিখি ।

৩২| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৮

অচেনা বাঙালি বলেছেন: আরে খাইছে, আপনি দেখি একেবারে দেবতার আসনে বসাইছেন। আমি দেবতায় বিশ্বাসি না। যার যা প্রাপ্য সেটা দেওয়াই উচিত বলে মনে করি। সে একজন প্রতিষ্ঠাতা ছিল কিন্তু আপনি যেটা বললেন-'সোহরাওয়ার্দীর জন্য আমরা একটা দল আওয়ামী লীগকে পেয়েছি'- একদঅম ভুল ধারণা। সোহরাওয়ার্দী না থাকলে আওয়ামী লীগ পেতেন না এটা বলা মনে হয় খুব যুক্তিযুক্ত না। বরং বঙ্গীয় মুসলিম লিগে প্রগতিশিল নেতা কর্মী দের হাত শক্ত করতে প্রধান ভূমিকা ছিল আবুল হাসিমের। যারাই পরে আওয়ামী মুসলিম লিগ গঠন করে। এঈ বিষ্যে বিস্তারিত জানতে চাইলে আবুল হাশিমের আত্মজীবনী পড়া যেতে পারে।

সোহরাওয়ার্দী দেশ ভাগের সময় শরত বসু , আবুল হাশিমের সাথে অখন্ড স্বাধীন বাংলা গঠনের একটা চেষ্টার সাথে যুক্ত হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার ভূমিকা কি চিল এই প্রচেষ্টায় সেটা আবুল হাশিমের আত্মজীবনী তে স্পষ্ট হয়ে আছে।

চলে যাওয়া ব্লগার নাস্তিকের ধর্মকথা মন্তব্য এইখানে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় তুলে দিচ্ছি-

হুম@অচেনা বাঙালি
সুহরাওয়ার্দীর বিশ্বাসঘাতকতার কথাটা একটু বলে নেই - এখানে-

৯ জুন সারা ভারত মুসলিম লীগ কাউন্সিল আহবান করা হয়- বৃটিশ সরকারের ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা বিবেচনার উদ্দেশ্যে। এই কাউন্সিলে মিলিত হওয়ার কয়েকদিন আগে- বাঙলার প্রতিনিধিরা সুহরাওয়ার্দীর বাসায় মিলিত হয়ে- সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেন (আবুল হাশিমের উদ্যোগ ও প্রভাবে)- দিল্লীর কাউন্সিলে মাউন্টবয়াটেনর প্রস্তাবের বিরুধিতা করা হবে। এর পর সুহরাওয়ার্দী মাউন্টব্যাটেন ও জিন্নাহর সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে বিমানযোগে দিল্লীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন, অন্যরা ট্রেন যোগে রওয়ানা হন। মাউন্টব্যাটেন সুহরাওয়ার্দীকে গোপনে তাঁর সাথে দেখা করতে খবর দেন।

আবুল হাশিম সকল সদস্য কলকাতা ত্যাগ করার পর- বিমানযোগে দিল্লী রওয়ানা হন। দিল্লীর অধিবেশন চলার আগে ও চলাকালে কি ঘটেছিলো, তার বিবরণ হাশিমের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থে আমরা পাইঃ

"..... পালাম বিমান বন্দরে নোয়াখালীর আব্দুল জব্বার খদ্দর আমাকে অভ্যর্থনা জানালেন এবং সংবাদ দিলেন যে, দিল্লীতে সুহরাওয়ার্দী যেখানে ছিলেন সেখানে তিনি একটি সভা আহবান করে বাঙলার প্রতিনিধিদেরকে জিন্নাহর প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য প্ররোচিত করেছেন। যখন খদ্দরের নিকট থেকে এ কথা শুনলাম তখন আমার চোখের সামনে পলাশীর ট্রাজেডী ভেসে উঠলো। ......

আমাদের পূর্ব চুক্তি অনুযায়ি পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশ, এমনকি জিন্নাহর প্রদেশ বম্বে, বাঙলাকে সমর্থন দানে রাজী হয়েছিলো। ইম্পিরিয়াল হোটেলের (কাউন্সিল স্থল- না. ধ.) প্রবেশ পথে ভারতের বিভিন্ন সংখ্যালঘু প্রদেশের কয়েক হাজার মুসলিম যুবক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিলো। তাঁরা আমাকে দেখতে পেয়ে চিতকার করে বলে উঠলো, 'ওরা সবাই আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন, এখন আপনিই আমাদের ভরসা।' আমি তাদের বিলাপ শুনলাম, কিন্তু আমার কিছুই করার উপায় ছিলো না।

..............

জিন্নাহ তাঁর প্রস্তাব উত্থাপন করলেন। মওলানা হসরাত মোহানী এবং আমি প্রস্তাবের উপর বক্তব্য রাখার চেস্টা করলাম কিন্তু জিন্নাহ আমাডের মঞ্চে আহবান করলেন না। এরপর সভা আমাদের বক্তব্য শুনতে চাইলো। জিন্নাহ বললেন, "আমি যদি আবুল হাশিমকে বক্তৃতা দিতে অনুমতি প্রদান করি তাহলে তিনি যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবেন তার প্রভাব খর্ব করতে আমাকে প্রথম শ্রেণির দশজন বক্তাকে দাঁড় করাতে হবে.......। আপনাদের মাউন্টব্যাটেনের রোয়েদাদ হয় সম্পূর্ণ মেনে নিতে হবে, নয়তো সম্পূর্ণভাবে নাকচ করতে হবে। বলুন, হাঁ কি না?"

হাত উঠিয়ে ভোট নেয়া হলো। সুহরাওয়ারদী ভোট গণনা করলেন এবং বিজয়ীর সুরে বললেন, 'কায়েদে আজম, কেবলমাত্র এগার জন আমাদের বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করেছেন।' প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল এবং পরে সুহরাওয়ার্দী এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে বললেন, "ঢাকা এখন পাকিস্তানে'।
.................।"



এখন বাসায় যাব। অনেক আগের পড়া, সোর্সগুলি পাব কিনা জানিনা পাইলে দিব। পরে আলোচনা হতে পারে।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৩

মিরাজ বলেছেন: আমি দেবতার আসনে কাউকে বসাইনি । যার যা প্রাপ্য তা দেয়া দরকার বলে মনে করি । সো্হরাওয়ার্দী না থাকলে আওয়ামী লীগ পেতামনা এরকম কথা আমি বলিনি, সোহরাওয়ার্দী না থাকলে তার শুন্যস্থান কেউ না কেউ পূরণ করতেন । কিন্তু তিনি ছিলেন এবং আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন । প্রতিষ্ঠাকালীন আহবায়ক ছিলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথেই ছিলেন ।

তিনি না থাকলে কি হত সেই প্রশ্নটি আসলে এখানে আসেনা ।

আপনার সোর্সের অপেক্ষায় থাকলাম । আপনি দেশভাগের সময়কালীন কিছু ব্যাপারে নাস্তিকের ধর্মকথার ব্লগ থেকে কিছু উদ্ধৃতি দিলেন । দেখলাম । আরেকটু গ্রহণযোগ্য সোর্স এর অপেক্ষায় থাকলাম । তবে দেশভাগের সময় তিনি শেষ পর্যায়ে জিন্নাহর নীতিকেই সমর্থন করেছেন সে ব্যাপারে একমত ।

১৯৪৭ পরবর্তী যখন পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুরু হয় সেই সময় থেকে ১৯৬৩ সালে তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার রাজনৈতিক অবস্থান নিয়েও তথ্য দেবেন বলে আশা করি । সোহরাওয়ার্দীর মুল রাজনৈতিকে জীবন কিন্তু ১৯৪৭-১৯৬৩ যেই সময়ে বাংগালীর অধিকার আদায়ে তিনি সোচ্চার ছিলেন ।

আলোচনার অপেক্ষায় থাকলাম ।

৩৩| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বিবর্তনবাদী বলেছেন: @ মিরাজ-- তৎকালীন সময়ে সোহরাওয়ার্দি একজন বড় রাজনীতিবিদ ছিলেন সন্দেহ নেই। কিন্তু তার মত স্বার্থপর নেতা আমাদের ইতিহাসে বড়ই কম পাওয়া যায়।

লাহোর প্রস্তাবে ছিল পাকিস্তানে মুসলিম জাতিগুলো জন্যে আলাদা আলাদা (স্টেটস) হবে। কিন্তু পরবর্তীতে মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ এই প্রস্তাব পরিবর্তন করে পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন। এই পাকিস্তান প্রস্তাব উত্থাপন করেন সোহরওয়ার্দি। সোহরওয়ার্দীর বিশ্বাসঘাতকতার প্রমান পাবেন বদরুদ্দিন ওমরের বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি বইতে।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মিরাজ বলেছেন: বিবর্তনাবাদী পোষ্টে এবং এর পরবর্তী প্রাসংগিক আলোচনায় আমি সোহরাওয়ার্দীর প্রসংগ এনেছি দেশবিভাগের পরের ঘটনা নিয়ে । ১৯৪৭-৬৩ যার ব্যাপ্তি ।

লাহোর প্রস্তাবের সময়কাল নিয়ে কিন্তু আলোচনা করিনি, সেটি নিয়ে আলাদা আলোচনা হতে পারে ।

তবে ১৯৪৭-৬৩ এর সময়কালীন বাংগালীর অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকাকে কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবেনা ।

এই সময়কালে সোহরাওয়ার্দী আন্দোলনের মুল সুর বা অধিকার আদায়ের ব্যাপারে কোন বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে আমার জানা নেই । এরকম কোন উদাহরণ আপনার জানা থাকলে জানাবেন ।

কোন মানুষই পারফেক্ট নন । প্রতিটি চিন্তাভাবনা একইরকম করেও সবাই ভাবেননা, কিন্তু ১৯৪৯-৬৩ পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকা কিন্তু বাঙ্গালীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামই ছিলো ।

৩৪| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০২

বিবর্তনবাদী বলেছেন: দুঃখিত, আসলে অচেনা বাঙালির সাথে আপনার কথোপথন দেখে সোহরওয়ার্দী সম্পর্কে মন্তব্য করলাম। আপনি "বঙ্গভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতি" বইটি পড়ুন, অনেক তথ্য পাবেন। বইটি আমার কাছে আছে, বৃটেনে আপনার পক্ষে এটা সংগ্রহ করা হয়ত কঠিন। আমি চেষ্টা করব বইটি সম্পূর্ণ বা কিছু অংশ আপনাকে স্ক্যান করে পাঠাতে (খুব বড় বই না)।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:১২

মিরাজ বলেছেন: ধন্যবাদ বিবর্তনবাদী, বঙ্গভঙ্গ এবং পরবর্তী সময়ের রাজনীতিতে সোহরাওয়ার্দীর ভূমিকা নিয়ে মোটামুটি পড়া আছে আমার ।

তারপরও বইটি থেকে নিশ্চয়ই আরো নতুন কিছু জানা যাবে । পাঠালে খুশী হবো ।

৩৫| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:০৩

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এই মার্চে আপনার তথ্যবহুল পোস্ট গুলোর জন্য হাজারো ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

মিরাজ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ নিয়মিত পড়বার জন্য ।

আপনি বইটি group.du at gmail.com এই ঠিকানায় পাঠাতে পারেন ।

৩৬| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:১০

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমার ইতিহাস পাঠের কষ্ট আপনারা অনেক লাঘব কইরা দিতাছেন। এ জইন্য থ্যাংকু।

০৯ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১২:০৫

মিরাজ বলেছেন: :)

৩৭| ০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ৯:২৪

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: আপনার সত্য ইতিহাস জানানোর ব্রতকে শ্রদ্ধা । মূল পোস্টের বিষয়বস্তু আগেই জানতাম , তবে আলোচনার মাধ্যমে অনেক অজানা ব্যাপার বেরিয়ে আসছে

০৮ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ১০:৪১

মিরাজ বলেছেন: নিয়মিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।

আমাদের সবারই সঠিক ইতিহাস জানাটা জরুরী, আর সেজন্যই লিখি ।

৩৮| ০৯ ই মার্চ, ২০০৮ রাত ২:০৬

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: সত্য ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। কত ভুলে ভরা আমাদের ইতিহাস!!
ধন্যবাদ

০৯ ই মার্চ, ২০০৮ ভোর ৪:১৪

মিরাজ বলেছেন: আমাদের সবাইকেই প্রচেষ্টা চালাতে হবে ভুলের পাহাড় থেকে সত্যিকারের ইতিহাসকে সামনে নিয়ে আসার জন্য ।

আপনাকেও ধন্যবাদ ।

৩৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০০৮ রাত ৮:২১

BangladeshCiroJibiHok বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ।
শুরুর ইতিহাসের পাশাপাশি যদি শেষের ইতিহাসও বলতেন তাহলে ভাল হতো।
আওয়ামী লীগ গঠন ও মুক্তিযুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন সত্ত্বেও মাওলানা ভাসানীর শেষ জীবন কিন্তু শান্তিপূর্ণ হতে দেয়নি আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী রাজনীতির অতিমাত্রায় ভারতপ্রীতি ও এদেশে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরোধীতা করার অপরাধে মাওলানা ভাসানীকে শেষ জীবনে আওয়ামী লীগের কাছে নাজেহাল হতে হয়েছে।
বিস্তারিত জানতে আওয়ামী লীগ নেতা ও লেখক আবুল মনসুর আহমদের লেখা আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর বইটি পড়ে দেখতে পারেন।

৪০| ২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৯

মুহাম্মদ জ িহরুল কাইয়ুম ভূঁইয়া বলেছেন: ধিক এস্কিমো! ইতিহাস বিকৃতিকারী।
ধন্যবাদ লেখক। সঠিক তথ্য উন্মোচন করার জন্য।

৪১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সকাল ৮:২২

বিডি আইডল বলেছেন: ভালো পোষ্ট...ব্লগে এই ধরণের ব্লগার এখন আর দেখি না....ব্লগে এসে থাকলে পোষ্ট অব্যাহত রাখুন

৪২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২২

সুবিদ্ বলেছেন: অনেক পরে চোখে পড়লো লেখাটা.....আসলে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার পেছনে বড় একটা ভূমিকা ছিল প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক শামসুল হকের......উনি একটা উপ-নির্বাচনে করটিয়ার জমিদারকে হারিয়ে দিয়েছিলেন......যেটা মুসলিম লীগের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল.....এবং মুসলিম লীগের বিরোধী প্লাটফর্ম গড়ে তুলতে ছাত্র/শিক্ষিত সমাজ ও বিরোধী রাজনীতিকদের মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছিল......

আর আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে মুসলিম শব্দটি মুছে ফেলার সময়ও মাওলানা ভাসানী আ'লীগেই ছিলেন......উনি '৫৭-এর কাগমারী সম্মেলনের পরে পাকিস্তানের বৈদেশিক নীতি ও স্বায়ত্তশাসন প্রশ্নে তৎকালীন পাক প্রধানমণ্ত্রী শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সাথে মতদ্বৈধতার জন্য আ'লীগ ত্যাগ করেন.....

(সময় স্বল্লতাহেতু দ্রুত কমেন্ট করলাম.....বিষয়গুলো হয়তো ইতিমধ্যেই আলোচিত হয়েছে......আর আপনিও নিশ্চয়ই অবগত আছেন)

৪৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২২

নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ বলেছেন: অনেক কিছু শিখলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ। ++++++++

৪৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৬

রিয়াদ পারভেজ বলেছেন: ++++++++

৪৫| ০৮ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৫

কিশোরপাশা বলেছেন: আসল ঘটনা জানতে এটা পড়েন:
আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে কৈশোর পর্যন্ত ইতিহাস:
আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে আওয়ামী লীগ

৪৬| ২৫ শে মে, ২০১৮ রাত ২:৩৬

অনল চৌধুরী বলেছেন:
- হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি নামটা এখানে আসবে কি? উনি বোধ হয় স্বপ্নেও কল্পনা করেননি বাংলাদেশ নামক একটা আলাদা দেশ হবে@ অন্যমনষ্ক শরৎ-এসস্কিমো,সোহরাওয়ার্ধি অঅর শরৎ বসু ১৯৪৬ সালেই কলকাতাকে রাজধানী করে দুই বাংলা নিয়ে স্বাধন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন।জিন্নাহও এতে রাজী ছিলো।কিন্ত নেহেরু,প্যাটেল আর বিজেপির চেয়েও ভয়ংকর অন্যান্য হিন্দু কংগ্রেস নেতার কারণে পারেননি।
তখন বাংলা স্বাধীন হলে পাকিরা ১৯৭১ এর গণহত্যা চালাতে পারতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.