নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

সত্যের পথে আরিফ

সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)

সত্যের পথে আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারী প্রীতি! বনাম মুসলমানদের মধ্যে অশ্লীলতা

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০১

আর আল্লাহ চান তোমাদের তওবা কবুল করতে। আর যারা প্রবৃত্তির অনুসরণ করে তারা চায় যে, তোমরা প্রবলভাবে (সত্য পথ থেকে) বিচ্যুত হও।' (নিসা : ২৭)

একটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য যে, প্রবৃত্তির উন্মদনার কোন শেষ নেই। যে ব্যক্তি দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত সে কোন দিন দুনিয়া দ্বারা পরিতৃপ্ত হবে না। হাদীসে এসেছে, যদি কোন মানুষের স্বর্ণের দু'টি উপত্যকা থাকে, সে তৃতীয় আরেকটি উপত্যকার অনুসন্ধানে প্রয়াসী হবে, মাটি ছাড়া অন্য কোন জিনিস তার উদর পূর্ণ করতে পারবে না। তদ্রুপ যে ব্যক্তি হালাল-হারাম বিচার না করে কাম লিপ্সায় মত্ত, সেও কোন দিন পরিতৃপ্ত হবে না, কখনো মিটবে না তার চাহিদা।

শায়খ আলী আত-তানতাবি বলেন, 'তুমি যদি কারুনের ন্যায় সম্পদের মালিক হও, বাদশাহ হিরাকলের মত বিশাল দেহের অধিকারী হও আর তোমার অধীনে থাকে প্রত্যেক রঙ্গ, জাত-পাত ও সৌন্দর্যের দশ হাজার রূপসী নারী, তবু তোমার অন্তর তাতে তৃপ্ত হবে না এবং সেসবকে তুমি নিজের জন্য যথেষ্টও মনে করবে না। আমি এ কথা খুব জোড় গলায় বলতে পারি, বরং স্বর্ণাক্ষরেও লিখে রাখতে পারি। তবে হালাল একজন নারীই তোমার জন্য যতেষ্ট হবে, এ জন্য কোন দলিলের প্রয়োজন নেই, বরং তোমার দৈনন্দিন জীবনযাত্রার চতুর্পাশ্বে-ই রয়েছে এর হাজারো নজির।' (ফতওয়া তান তাবি : ১৪৬)

ইবনুল মুকফে রচিত আদাবুল কাবিরে রয়েছে, 'স্মরণ রেখ, নারীপ্রেম ও নারীপ্রীতি দীন খতম করে, স্বাস্থ্য ও সম্পদ বিনষ্ট করে, জীবনের ওপর কলঙ্কের ছাপ নিয়ে আসে, ব্যক্তিত্ব, রুচিবোধ ও মর্যাদার পতন ঘটায়। কী অদ্ভুত! একজন সুস্থ্য বিবেকবান ব্যক্তি দূর থেকে চাদরে লেপটানো এক নারীকে দেখে, অতঃপর হৃদয়ে তার রূপ ও সৌন্দর্যের ছবি অঙ্কন করে, এক পর্যায়ে তার প্রেমে পড়ে যায়, অথচ তাকে সে দেখিনি, তার সম্পর্কে কিছু শোনেনি! কখনো তার সঙ্গে অবৈধ বাসনা পূরণ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হয়, তবুও তার স্বাদ মিটে না, বিরত থাকে না সে অন্য নারীদের থেকে! অথচ তারাও তো দৈহিক গঠন ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে এ নারীর ন্যায়ই। বরং, অনাস্বাদিত প্রতিটি নারীর জন্য তার অন্তর থাকে অস্থির, উদ্গ্রীব। এমনকি যদি পৃথিবীর বুকে একটি নারীও অবশিষ্ট থাকে, তার ব্যাপারেও তার কৌতুহল শেষ হবে না। সে আরো ভাবতে থাকে, এর ভেতর রয়েছে আলাদা স্বাদ, যা অন্য নারীদের মধ্যে ছিল না। এখানেই তার নির্বুদ্ধিতা, মূর্খতা ও বোকামি। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় সে কপাল পোড়া, হতভাগা।'

এ পার্থিব জগতে পুরুষের জন্য সব চেয়ে ক্ষতিকর বস্তু ও পরীক্ষার জিনিস হচ্ছে নারী। রাসূল সা. বলেন,

'আমার পরে পুরুষদের জন্য নারীরাই হবে পরীক্ষার বস্তু।' (মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَخُلِقَ الْإِنْسَانُ ضَعِيفًا ﴿২৮﴾

'আর মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে দূর্বল করে।' (নিসা : ২৮)

এর ব্যাখ্যায় ইমাম তাউস রহ. বলেন, 'নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়লে পুরুষরা দূর্বল তথা ধৈর্য হারা হয়ে যায়।' ইবনে আব্বাস রহ. বলেন, 'আগের যুগে মানুষ নারীদের কারণে কুফরে লিপ্ত হয়েছে, পরবর্তী যুগেও নারীদের কারণে কুফরে লিপ্ত হবে।'(জাম্মুল হাওয়া : ১৭৯) নিম্নে আমরা দু'টি ঘটনার উল্লেখ করছি, যার দ্বারা নারীর প্রেমে পড়ে পুরুষদের কুফরীতে লিপ্ত হওয়ার একটি চিত্র ফুটে উঠবে।

প্রথম ঘটনা :

আবুল ফারাজ ইবনে জাউজি রহ. বলেন, আমি একটি ঘটনা শুনেছি, বাগদাদে একজন ব্যক্তি ছিল, যে মানুষের নিকট 'সালেহ-মুয়াজ্জিন' (নেককার-মুয়াজ্জিন) হিসেবে পরিচিত ছিল। চল্লিশ বৎসর সে আজানের দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছে। চারিত্রগুনের কারণে জন-সমাজে সৎ, নীতিবান ও ভাল লোক হিসেবে খুব প্রসিদ্ধি ছিল তার। একদা সে আজান দেয়ার জন্য মসজিদের মিনারায় ওঠে, মসজিদের পাশেই ছিল এক খৃষ্টান ফ্যামিলি, সে বাড়ির এক মেয়ের ওপর তার দৃষ্টি পড়ে, আর এতেই সে তার প্রেমে মগ্ন হয়ে যায়। মিনারা থেকে নেমেই সে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দরজার কড়া নাড়া দিল। মেয়েটি বলল, কে ? সে বলল, আমি সালেহ-মুয়াজ্জিন। দরজা খুলে দিল মেয়েটি। ঘরে প্রবেশ করে সে তাকে জড়িয়ে ধরল। মেয়েটি বলল, তোমরা না সৎ! চরিত্রবান!! আমানতদার!!! তুমি একি করছ ?! সে বলল, যদি তুমি আমার কথায় সাড়া দাও, ভাল; অন্যথায় আমি তোমাকে হত্যা করব। মেয়েটি বলল, তুমি নিজ ধর্ম ত্যাগ না করলে আমি তোমার ডাকে সাড়া দিতে পারব না। তৎক্ষনাৎ সে বলল, আমি আমার ধর্ম ত্যাগ করলাম, মুহাম্মদের আনীত সমস্ত বিধান থেকে মুক্ত হলাম। অতঃপর সে মেয়েটির নিকটবর্তী হল। মেয়েটি বলল, তুমি ছলনা করছ, কার্যসিদ্ধির জন্য এ কথা বলছ, পরে তুমি নিজ ধর্মে ফিরে যাবে, যদি সত্য বলে থাক, শূকরের গোস্ত ভক্ষণ কর, সে তাতেও রাজি হল, শূকরের গোস্ত ভক্ষণ করল। মেয়েটি বলল, মদ পান কর, সে তাও করল। যখন তার ভেতর মদের ক্রিয়া শুরু হল, সে মেয়েটির কাছে এল, মেয়েটি একটি রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দিল। আরো বলল, তুমি ছাদে চড়, আমার আব্বার আসার অপেক্ষা কর, সে এসে বিয়ে পড়িয়ে দেবে। সে ছাদে উঠে এবং সেখান থেকে পড়ে মারা যায়। মেয়েটি বের হয়ে একটি কাপড় দিয়ে তার মরদেহ ডেকে রাখে। মেয়েটির পিতা এসে এ ঘটনা অবহিত হলে, মৃত দেহটি রাস্তায় ফেলে রাখে। পরদিন ঘটনা জানাজানি হয়, অতঃপর লোকেরা তার দেহ ডাষ্টবিনে ফেলে দেয়।' (জাম্মুল হাওয়া : ৪০৯)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.