নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

আমি শিখি একসাথে জিকির জিহাদ, শাহ্জালালের কাছে। তাই কি করে তাগুত হয় পরাভূত, সে আমার জানা আছে। আমি শিখেছি লড়াই, দরবেশ ফকির মজনু শাহর। আমি মানুষের চির-কল্যানকামী, অনুসারী আল্লাহর। আমি শক্তি ভক্তি যুক্তিতে খুঁজি, মুক্তির সন্ধান। বাংলাদেশের মুসলিম আমি, বাঙাল

সত্যের পথে আরিফ

সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)

সত্যের পথে আরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খারাপ ভাবনা প্রতিহত করা!

২২ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৮

খারাপ ভাবনাসমূহ মানবাত্মাকে ব্যাধিগ্রস্ত ও রোগী বানিয়ে দেয়। মানুষ যখন তার খারাপ ভাবনাসমূহকে প্রতিহত না করে এবং তা নিয়েই ব্যস্ত থাকে, তখন তা চিন্তা হিসেবে দেখা দেয়। তারপর তা চিন্তা থেকে উন্নতি লাভ করে সাধারণ ইচ্ছার রূপ নেয়। তারপর সাধারণ ইচ্ছা থেকে তা উন্নতি লাভ করে তা প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তির রূপ নেয় তারপর তা দৃঢ় প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞায় রূপ নেয়। তারপর সে অপকর্মের প্রতি অগ্রসর হয় এবং হারামে লিপ্ত হয়। সুতরাং, প্রথমেই একজন মানুষ তার আত্মাকে খারাপ ভাবনার উদ্রেক থেকে রক্ষা করবে এবং খারাপ ভাবনার সাথে নিজেকে ছেড়ে দিবে না।

অন্তরের বাসনা এটি একটি কঠিন বিষয়। মানুষের ভালো ও মন্দের সূত্রই হল অন্তরের বাসনা। অন্তরে কোন বাসনা জাগ্রত হলে, তা যদি প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিহত করা হয়, তাহলে তুমি তোমার আসক্তির নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এবং তোমার নফসকে পরাজিত করলে। আর যদি তোমার আসক্তি তোমার উপর বিজয়ী হয়, তাহলে তুমি অবশ্যই গহ্বরে নিপতিত হবে।

মানবাত্মায় বাসনা বারবার উদৃত হতেই থাকে শেষ পর্যন্ত তা সেটি তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে, আর যখন তা তার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে তখন তা বাতিল ও ভ্রান্ত আশায় পরিণত হবে। তখন অবস্থা এমন দাঁড়ায় যেমন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনে করীমে এরশাদ করেন,

﴿وَٱلَّذِينَ كَفَرُوٓاْ أَعۡمَٰلُهُمۡ كَسَرَابِۢ بِقِيعَةٖ يَحۡسَبُهُ ٱلظَّمۡ‍َٔانُ مَآءً حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَهُۥ لَمۡ يَجِدۡهُ شَيۡ‍ٔٗا وَوَجَدَ ٱللَّهَ عِندَهُۥ فَوَفَّىٰهُ حِسَابَهُۥۗ وَٱللَّهُ سَرِيعُ ٱلۡحِسَابِ ٣٩ ﴾ [ سورة النور : 39[.

“আর যারা কুফরী করে তাদের আমলসমূহ মরুভূমির মরীচিকার মত, পিপাসা কাতর ব্যক্তি যাকে পানি মনে করে থাকে, কিন্তু যখন সে সেটার কাছে আসে তখন দেখে সেটা কিছুই নয় এবং সে পাবে সেখানে আল্লাহ্কে, অতঃপর তিনি তাকে তার হিসাব পূর্ণমাত্রায় দেবেন।” [সূরা আন-নূর: ৩৯]

সবচেয়ে নিকৃষ্ট মনোবৃত্তির অধিকারী হচ্ছে সে ব্যক্তি, যে মিথ্যা আকাঙ্ক্ষা ও আশার ঘর বাধে। কারণ, মিথ্যা আশা হল অভাবীদের পুঁজি এবং বেকার লোকদের অবলম্বন, আর মানুষের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকর বস্তু। কারণ এটি মানুষের মধ্যে অক্ষমতা, অলসতা ও হতাশার জন্ম দেয়। বান্দাকে যখন তার অন্তরের বাসনার উপর চলতে ছাড় দেয়া হয়, তখন সে হারামে পতিত হয়। তারপর খালেস তাওবার মাধ্যমে আত্মাকে নাপাকী হতে মুক্ত করা ছাড়া তার কোন চিকিৎসা নাই।

আর যদি বান্দা গুনাহের স্বাদ ও পবিত্র থাকার স্বাদ এবং গুনাহের স্বাদ ও শত্রুকে পরাভূত ও শত্রুর উপর শক্তিমত্তার স্বাদ, অনুরূপভাবে গুনাহের স্বাদ ও শয়তানকে পরাস্ত ও তাকে বিফল-মনোরথ করার স্বাদের মধ্যে তুলনা করে তবে সে অবশ্যই তা গ্রহণ করবে যা তার বাহির ও ভিতরকে সংশোধন করার কারণ হবে।

একটি কথা মনে রাখতে হবে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের পক্ষ হতে মানবাত্মার মধ্যে কিছু ভালো ভাবনার উৎপত্তি হয়; আবার কিছু ভাবনা আসে শয়তানের পক্ষ হতে, অনুরূপ কিছু ভাবনা তৈরী হয় নিজের আসক্তি থেকেও।

নফস মানুষকে খারাপ কাজের আদেশ দিয়ে থাকে। প্রতিটি কাজের আগেই সেখানে কিছু চিন্তা-দৃষ্টিভঙ্গী থাকে। মানুষের অন্তর, জ্ঞান ও নফসের মধ্যে চিন্তা গবেষণা ছাড়া কোন কিছুই হঠাৎ করে বাস্তবায়িত হয়েছে এ কথা কখনোই বলা যাবে না। প্রতিটি বস্তু বাস্তবে অস্তিত্বে আসার জন্য প্রথমে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা এ ফিকির অতিবাহিত হতে হয়।

প্রাথমিক পর্যায়ে যখন কোন কিছুর চিকিৎসা বা সংশোধন হয়, তখন তা পরবর্তীতে খুবই সহজ ও সরল হবে। আর এ কাজটি মানুষ যত তাড়াতাড়ি করবে তার সংশোধনও তত তাড়াতাড়ি হবে।

মানুষ তার ভাবনা-চিন্তাকে কখনোই শেষ করে দিতে পারবে না। কারণ ভাবনা-চিন্তা মানুষের অন্তরে এসে আঘাত করবেই, সে তাতে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে না।

শয়তান কোন কোন সাহাবীর অন্তরেও আল্লাহ্ সম্পর্কে মারাত্মক কু-মন্ত্রণা ঢেলে দিত। যেমন, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কতক সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের অন্তরে এমন কিছু কামনা বাসনা জাগ্রত হয়, যা আমরা আমাদের মুখে বলতে লজ্জাবোধ করি। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, বাস্তবেই কি তোমরা এ ধরনের অনুভব কর? তারা বলল হা, হে আল্লাহর রাসূল! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটাই হল সত্যিকার ঈমান”[মুসলিম : ১৩২]।

আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, হে আল্লাহ রাসূল! আমাদের অন্তরে এমন এমন খারাপ বিষয় জাগ্রত হয়, তা মুখে উচ্চারণ করার চেয়ে আমাদের কয়লা হয়ে যাওয়া অধিক প্রিয়। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর। সব প্রশংসা সেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর যিনি শয়তানের ষড়যন্ত্র ও ধোঁকাকে কু-মন্ত্রণায় রূপান্তর করে দিয়েছেন।[আবু দাউদ: ৫১১২;]”

অর্থাৎ, সব প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের। কারণ, শয়তান তোমাদের থেকে একমাত্র কু-মন্ত্রণার উদ্রেক -যা তোমরা অপছন্দ কর- তা ছাড়া কোন কিছুই হাসিল করতে পারেনি। আর শয়তানের কু-মন্ত্রণাকে তোমরা যে অপছন্দ করছ তাই প্রমাণ করে যে তোমরা সত্যিকার ঈমানদার।

যখন কোন মানুষের অন্তরে শয়তান কু-মন্ত্রণা দেয়, তখন তার উচিত হল, তার চিকিৎসা করা। এ ধরনের কু-মন্ত্রণা যখন মুসলিমের অন্তরে আসবে, তখন একজন মুসলিমের করণীয় কি?

১. বিতাড়িত শয়তান হতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করবে।

২. শয়তানের কু-মন্ত্রণাকে ঈমানী চিন্তা-ভাবনা দ্বারা পরিবর্তন করবে। কারণ, নফস হল জাঁতাকলের মত, তা কোন কিছুকে পিষতেই চায়। যদি কোন ব্যক্তি তার জাঁতাকলে গম রাখে, তাহলে তা পিষলে সেখান থেকে আটা বের হবে। আর যদি কোন ব্যক্তি তার জাঁতাকলে বালি ও বটের দানা রাখে, তা হলে তা পিষলে তার থেকে বালি ও বটের দানাই বের হবে, অন্য কিছু নয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.