![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
আমেরিকার জেকসনহাইটের একটি হোটেলে টাঙ্গাইল প্রবাসী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন “আমি হজ্ব ও তাবলীগ বিশ্বাস করি না” মন্ত্রীর এধরণের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, এই বক্তব্য দেয়ার ফলে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে কাফের হয়ে গেছেন। কেনোনা হজ্ব ইসলামের মূল পাঁচ ভিত্তির অন্যতম ভিত্তি। এখন থেকে সে নিজেকে মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না। অবিলম্বে মন্ত্রী পরিষদ থেকে লতিফ সিদ্দিকীকে বহিস্কার করতে হবে এবং তাকে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
তিনি বলেন, মিডিয়ার স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার লক্ষণ শুভ নয়। গণতান্ত্রিক দেশে অনেক মিডিয়া থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া কিংবা মিডিয়ার কণ্ঠরোধের চেষ্টা করা ভাল লক্ষণ নয়। কেনোনা মিডিয়ার বন্ধ হয়তো সরকার বন্ধ করতে পারবে কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের কণ্ঠ কী সরকার বন্ধ করতে পারবে?
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দুর্নীতির ও অনিয়মের সমালোচনা করাই মিডিয়ার দায়িত্ব। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে বাধার সৃষ্টি করা গণতন্ত্রের আচরণ হতে পারে না। গণমাধ্যম ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করার জন্যই কোনো আইন কারো কাম্য হতে পারে না। এই আইন চালু হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই খর্ব হবে না বরং যে কোনো রাজনৈতিক দলও তাদের স্বাধীনত মতামত ব্যক্ত করতে পারবে না। এই আইনের মাধ্যমে সরকার দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতিতে জনগণের কল্যাণ নেই। কল্যাণ নেই ইসলামের। ইসলামের কল্যাণ চাইলে সকলকে ইসলামী রাজনীতিতে ফিরে আসতে হবে।
তিনি বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসন সংসদে ফিরিয়ে নেয়ার আইন পাশ করে সরকার বিচারপতিদের হাত, পা বাধার অপরিনামদর্শি চিন্তা করেছেন। বর্তমান সরকার যদি মনে করেন যে, তারা চিরদিনের জন্য ক্ষমতায় আসছে তা চরম ভুল হবে। কিন্তু এই আইনেই তাদের ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনবে।
পীর সাহেব চরমোনাই হিংসাত্মক রাজীনিতর কবল থেকে বের হয়ে ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যে রাজনীতিতে মানুষের অকল্যাণ বয়ে আনে, সে রাজনীতি কারো কাম্য হতে পারে না। তিনি সকলকে ইসলামের রঙ্গে রঙ্গীন হয়ে ইসলামের রুজ্জুকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধরার আহ্বান জানান।
জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, একটি মহল ইসলামকে সহ্য করতে না পেরে ইসলামকে জঙ্গিবাদের সাথে তুলনা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদেশের হক্কানী উলামায়ে কেরাম জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আছে থাকবে। কিন্তু জঙ্গিবাদের অজুহতাতে ইসলামের উপর আঘাত করলে কাউকে ছেড়ে দেয়া হবে না।
সোমবার বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে সম্প্রচার নীতিমালা বন্ধ এবং বিচারপতিদের অভিশংসন সংসদে ফিরিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহরের স্বাধীনতা স্কয়ার চত্বরে জেলা সভাপতি মুফতী মুহিব্বুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সেক্রেটারি মুফতী আল-আমিন সিরাজী, মাওলানা আবুল কালাম, মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, মাওলানা ব্দুস সামাদ, ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
তারিখ: ২৯/০৯/২০১৪ ইং
Website: http://www.islamiandolanbd.org
Email: [email protected]
Facebook: http://www.facebook.com/iab87
Twitter: http://www.twitter.com/islamiandolanbd
Youtube: http://www.youtube.com/islamiandolanbd
©somewhere in net ltd.