![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্কর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। (আল ময়েদা:২) তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার, যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সত্কর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ (মুসলিম)। (আল কুরআন ৪১:৩৩) কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা (সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪)
দাড়ান আমারে গালা-গালি পরে করিয়েন। যারা ভাল মেয়ের বাবা তারা নিছে নামেন।
মায়ের সাথে জিনা কিরা।।।
আপনরা নিশ্চয় ভাবছেন কি খারাপ লোকরে বাবা ।
অনেকেই এরই মধ্যে আস্তাগফিরুল্লাহ
কয়েকবার পড়ে ফেলেছেন নিশ্চয়।
গালিও কয়েকটা বোধহয় দিয়েছেন?
অথচ নিজের মায়ের সাথে জিনা করার
চাইতে বহুগুণ
একটা খারাপ গুনাহ আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত।
যারা সেই গুনাহের সাথে জড়িত তাদের
আমরা বন্ধু বানাচ্ছি, তাদের সাথে মেয়ের
বিয়ে দিচ্ছি ,
সেই গুনাহের সাথে জড়িত হবার জন্য ভাল
করে পড়া লেখা করছি ।
যারা আলেম , তারা বুঝে ফেলেছেন
আমি কিসের কথা বলছি।
হ্যাঁ , আমি সুদের কথা বলছি।
হাদিসে এসেছে ” এক দিরহাম সুদ নেয়া,
মায়ের সাথে জিনা করার চেয়েও ভয়াবহ ” ।(আহমদ )
মনে করেন আপনার মেয়ে অথবা বোনের জন্য
পাত্র দেখছেন। ধরেন খুব ভাল একটা প্রস্তাব এসেছে।
ঘটক বলল ছেলের সব ভাল। এমন পাত্র আর হয়না।
৯৯% ভাল। খালি মাঝে মধ্যে মায়ের
সাথে একটু জিনা করে!!!!!!
হেঁ হেঁ হে।
দিবেন বিয়ে সেখানে?
বিয়ে তো দিবেনই না , বরং এমন প্রস্তাব দেবার জন্য হয়ত ঘটক বাবাজিকে কয়েকটা ঝাড়িও দিতে পারেন।
অথচ ঘটক যদি বলত , ছেলে অমুক ব্যাংকে বর চাকরি করে।
মাসে লাখ টাকা বেতন, সেই একই আপনি আনন্দে আত্মহারা হয়ে ঘটক কে মিষ্টি মুখ করাবেন ।
সুদের গুনাহ আর দশটি গুনার মতন না। এটা এমন এক
অপরাধ যার সম্বন্ধে আল্লাহ অত্যন্ত কঠোর
হুশিয়ারি দিয়েছেন। যারা সুদ খায়
তারা যেন আল্লাহ ও তার রাসুলের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত।
“… কিন্তু
যদি তোমরা এমনটি না করো তাহলে জেনে রাখো,
এটা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে তোমাদের
বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ৷ ” (২ – ২৭৯)
অন্য কোন গুনাহের ব্যাপারে আল্লাহ কি যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন?
আমি সুদের ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনায় যেতে চাচ্ছিনা। এর উপর অনেক ভাল ভাল বই , প্রবন্ধ আছে ।
আমরা যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি আকাঙ্ক্ষা করি, আমাদের অত্যন্ত
সতর্ক থাকা দরকার যাতে আমরা এই সুদের আশেপাশেও না যাই।
কারণ যে সুদ দেবে , যে নেবে , যে এর
হিসাব রাখবে , এবং যারা এর সাক্ষী হবে , তাদের সবাই কে আল্লাহ অভিশাপ দেন। (তিরমিজি)
প্রস্তুত আছেন আল্লাহর অভিশাপ নিতে?
আল্লাহর যুদ্ধের ঘোষণা গ্রহণ করতে?
আমাকে অনেক ভাই প্রশ্ন করেন
যে তাহলে ব্যবসা কিভাবে করব?
অথবা যারা অলরেডি ব্যংক
অথবা সুদি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন ,
তারা বলেন ,
আমি এখন কি করব? চাকরি কই পাব?
আমার জীবন মান বজায়
রাখতে পারি এমন
ইনকাম সোর্স কোথায় পাবো?
আমি বলি, ভাই আপনার এই প্রশ্নের উত্তর
আমার কাছে হল(যদিও হয়তো যথাযথ নয়)
:-দরকার হলে একটু কম খাবো, কম সুখ করবো দুনিয়াতে, কোরআন সত্য, আখিরাত সত্য তাতে কোন সন্দেহ নেই। কি হয় ৫০/৬০ বছর একটু কষ্ট করে কবরে গেলে? দুনিয়াটাতো আমাদের জান্নাত না? সবছেয়ে কমজোর জান্নাতির বেহেসত হবে ১০ দুনিয়া সমান। আলহামদুলিল্লাহ!
(সুদ ছাড়া যে ধনি হওয়া যায়না এমনটা না। আপনি হালাল ব্যাবসা করুন। কিছু না পারলে গরিব থাকুন। সাহাবা রা: রাও অনেকেি গরিব, রাখাল, মজলুম, ছিলেন। নাকি উনারা কম বুজতেন আমরা বেশীই বুজি?)
যাই হউক আপনি কি আসলেই আল্লাহের প্রতি ইমান এনেছেন। আপনার কি আসলেই আল্লাহর উপর ভরসা ও তাওয়াককুল আছে?
আমরা তো জিহাদের ময়দানে নেই যে সে রকম ভাবে আল্লাহর
প্রতি তাওয়াককুল এর প্রমাণ দেব।
এই ছোট ব্যপারে একটু আল্লাহর অপর ভরসা করে দেখেন না ,
তিনি আপনাকে চালায় নাকি?
“…যে ব্যক্তিই আল্লাহকে ভয়
করে চলবে আল্লাহ তার জন্য কঠিন অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় সৃষ্টি করে দেবেন৷ এবং এমন পন্থায় তাকে রিযিক দেবেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না৷… “(৬৫ ২-৩ )
আল্লাহ আপনাদের ও আমাকে হেফাজত করুন। আমাকে সহ সবাইকে সঠিক বুজ দান করুণ।
©somewhere in net ltd.