নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারন একজন বালক!

মিসকাতুর রহমান

সাধারন মানুষ!

মিসকাতুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নরপিচাশের দল!!

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:০৬

৯ম থেকে ১২শ শ্রেনী, মুলত ছেলেমেয়েদের আবেগীয় একটা সময়। সত্যি বলতে এই সময়টাতে মেয়েরা একটু বেশি আবেগপ্রবন থাকে।
জীবনের বিভিন্ন রং দেখতে পায় এই সময়টায়। আর ঠিক এই আবেগের সুযোগটাই নেয় কিছু নরপিশাচ।
একাদশ- দাদশ শ্রেনী পড়ুয়া একটা মেয়েকে খুব সহিজেই পটিয়ে নিতে পারে অনার্স ১ম অথবা ২য় বর্ষ পড়ুয়া ছেলেগুলা। জানিনা কেনো মেয়েগুলো রাজি হয় তবে খুব সম্ভবত তাদের ভবিষ্যতে বিয়ে হবে এই ধারনাটা থাকতে পারে।
চলুন আমার খুব কাছের একজন মানুষের কথা বলি।
সবে ১১শ শ্রেনীতে উঠেছে। নতুন কলেজ, নতুন পরিবেশ।এক বান্ধুবির বদৌলতে অনার্স ২য় বর্ষ পড়ুয়া একটা ছেলের সাথে সম্পরকে জড়িয়ে পরে সে।ভালোই চলছিলো তাদের সম্পর্ক। ৬ মাস না যেতেই ছেলেটি মেয়েটিকে রুম ডেটের প্রস্তাব দেয়। আর এই ৬ মাস ছেলেটি মেয়েটির খুব কেয়ার করে। ১ মিনিট ম্যাসেজের রিপ্লে দিতে দেরি হলে এত্তুগুলা রাগ করতো।মেয়েটির বিশ্বাস পুরোটা জিতে নিয়েছিলো ছেলেটা। মেয়েটা প্রথম প্রথম প্রেমে পড়েছে তাই একটু সন্দেহ করে। কিন্তু অই যে সংগ দোষে লোহা ভাসে। মেয়েটির বান্ধুবির কথায় ছেলেটির সাথে রুম ডেটে চলে যায় সে।মেয়েটিকে বিয়ে করার ওয়াদা দেয় সে। তার পরের ১ সপ্তাহ তাদের মধ্যে ঠিক আগের মতই ভাব। শেয়ারিং কেয়ারিং। কিন্তু বিপত্তিটা আসে তার পরেই। ১ সপ্তাহ পরেই কেমন যেনো বদলে যায় ছেলেটা। ঠিকমতো কল ধরে না মেয়েটার। ম্যাসেজের রিপ্লে দেয় না। হঠাৎ কেমন যেনো অপরিচিত একটা মানুষ হয়ে গেলো মেয়েটা ছেলেটার কাছে। আর ঐ যে বান্ধুবী যার কথায় মেয়েটি গিয়েছিলো সে ও অন্য সুরে গাইতে লাগলো। আস্তে আস্তে দূরে সরে যায় ছেলেটা। চোখের সাম্নেই যেনো অন্ধকার হয়ে আসছিলো মেয়েটার। ২ বার সায়ানাইড খেতে গিয়ে ও পারেনি। আত্মহত্যার চেষ্টা অনেক ভাবে করেছিলো সে। পারেনি।
একটা সময় সে উপলব্ধি করে কার জন্য সে আত্মহত্যা করবে? ঐ নিমকহারাম ছেলেটার জন্য না তার বান্ধুবির জন্য?
না কখনোই করবেনা সে আত্মহত্যা, প্রয়োজনে সে বিয়ে না করেই থাকবে সারাজীবন যদি না কেউ তার সত্যটা শুনে তাকে বিয়ে করে।
আজ মেয়েটা বুয়েটে ম্যাকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়সে। জীবনটা অনেকাংশে গুছিয়ে নিয়েছে সে। চিনে গেছে মুখোশধারী ভদ্র সমাজটাকে। আর তাই এখন প্রেমের কথা শুনলেই হাসি পায় তার।
সময় পরিবর্তনশীল।
গিরগিটির রং ও পরিবর্তনশীল।
কিন্তু মানুষ তাদের চেয়ে বেশি পরিবর্তনশীল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.