![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার বিশেষ কোন গুন নাই
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিয়ম অনুযায়ী- আপিল করতে পারে কেবলমাত্র ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তি শাস্তি কমানোর জন্য। আর যেকোন বিচারের রায় যাই হোক সেখানে বাদীপক্ষ ওই বিষয়ে আর শাস্তি বাড়ানোর জন্য আপিল করার সুযোগ নাই। এখানে একটামাত্র উপায় খোলা আছে, আর সেটা হলো ৬টি মধ্যে যে মামলাটি প্রমাণিত হয়নি, তার সাক্ষ্য প্রমাণ হাজির করার মাধ্যমে বাদীপক্ষ কেবলমাত্র ওই মামলাটির জন্য আপিল করতে পারবে। বাকী ৫টার জন্য আর নতুন কোন আপিল গ্রহণযোগ্য হবে না। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের নামে সরকার আমাদের চোখে ধুলা দিচ্ছে, হয়তো এটাও রাজনীতির নোংরা খেলার অংশ।
ঘটনা (উদাহরণ): প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাওয়ার আগমুহূর্তে প্রেমিক বেচারার মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। প্রেমিক তখন পাগলা কুত্তার মত হয়ে যায়। প্রেমের শক্তিতে শক্তিমান হয়ে সে তখন অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। উগ্রতার সীমা লঙ্ঘনও করতেও তার ততটা কষ্ট হয় না। নিজের মূল্যবান জীবন নিয়ে যে কোন ঝুঁকি নিতে তার অতটা দ্বিধাবোধ হয় না (অন্ধ প্রেম বলে কথা)। কিন্তু প্রেমিকার বিয়ের ২মাস পর সেই ক্রেজি প্রেমিক চুটিয়ে আরেকটা মেয়ের সাথে প্রেম করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো হয়, সেই প্রেমিক পুরুষটি যখন থেকে জানতে পারবে যে, তার প্রিয় প্রেমিকার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তার অল্পকিছুদিনের মধ্যেই প্রেমিকার বিয়ে হযে যায়। তখন প্রেমিকার বিয়ের বিষয়টি মেনে নিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা তার জন্য সহজ হয়। কিন্তু যদি ঘটনা তার উল্টো হয়, অর্থাৎ সে প্রথমে শুনল তার প্রিয় প্রেমিকার অন্য আরেকজন পুরুষের সাথে আংটি বদল হল, তার কয়েকদিন পর শুনল আক্দ হয়েছে, তার পর শুনল বিয়ে হয়েছে- তাহলে তার মনের অস্থিরতা বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয় (আবার এর ভিতরে যে কোন সময় বিয়েটা ভেঙ্গে যাওয়ারও একটা সম্ভাবনা থাকে)। কিন্তু সে ঠিকই পরবর্তীতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। কেননা, "জীবনতো তার আপন গতিতেই চলবে, কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না"-এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে সে নতুনভাবে স্বপ্ন দেখে ভালোভাবে জীবন যাপন করার চেষ্টা করবে। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ব্যাপারটা যদি এভাবে প্রথমে আংটি বদল, তারপর আক্দ, তারপর বিয়ের মতো হয় তাহলে জামাত শিবিরের অস্থিরতাও সেই প্রেমিকের মতো হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সরকার কি আদৌ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে, নাকি আমাদের আবেগ নিয়ে খেলে রাজনৈতিক ফায়দা লুটানোর পায়তারা করছে???? আমি নিরুত্তর, হতাশাগ্রস্থ। ঘুণা শুধু যুদ্ধাপরাধীদের জন্য নয়, সাথে যারা যুদ্ধাপরাধকে ইসু্ করে আমাদের আবেগ নিয়ে খেলছে তাদের জন্যও।
তারপরও মন বলছে------- স্বাধীনতার ৪২ বছর পরও আমার আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ, ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রম কোনটারই বিনিময় পাইনি। বড় বেশি ঋণী হয়ে থাকলাম তোমাদের কাছে। তোমাদের এ ঋনের অতি সামান্যটুকু শোধ করার যে একটা রাস্তাটা ছিল তাও নোংরা রাজনৈতিক খেলার মধ্যে রুদ্ধ হয়ে আছে। আমাদের ক্ষমা করো- হে মহান দেশ প্রেমিকগণ....ক্ষমা করো...ক্ষমা করো।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪২
অল্পভাষী বলেছেন: রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করতে পারবে শুধুমাত্র যে মামলাটি প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি সেটার জন্য। বাকী ৫ টার জন্য আপিল করা যাবে না-এটা ট্রাইবুনালের নিয়ম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
নন্দনপুরী বলেছেন: রাষ্ট্র পক্ষেরও আপিল করার সুযোগ আছে..........
কাদেরের সামনে ফাঁসিও হইতে পারে.........