নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিদ্রোহী ভবঘুরে

মহাকালের প্রেতাত্মা

অসীম মহাকালের মাঝে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছি,চারপাশের জগতটাকে দেখছি,ছোট মাথায় মাঝে মাঝে কিছু ভাবি এবং লিখি

মহাকালের প্রেতাত্মা › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাশিয়া কর্তৃক ISIS এর মুখোশ উন্মোচন ও এর জনক আমেরিকা-সৌদি-ইসরায়েলের কপালে ভাঁজ

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

ISIS সহ মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অস্থিরতার পিছনে যে আমেরিকা ও তার সাম্রাজ্যবাদী সহযোগীদের তেল-রাজনীতি দায়ী তা আরেকবার প্রমাণিত হল।সিরিয়া আর ইরাকে ত্রাস সৃষ্টিকারী এই ISIS কে দমন করার জন্য আমেরিকা ও তার মিত্র জোট গত ১ বছর ধরে হামলা চালিয়ে কিছু করতে পারল না(নাকি করার ইচ্ছা ছিল না),কিন্তু রাশিয়া মাত্র কয়েকদিনেই প্রায় গুড়িয়ে দিয়েছে ISIS এর সদর দপ্তর সহ বোমা বানানোর কারখানা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র গুলো।এখানে,স্পষ্টত বোঝাই যাচ্ছে যে ISIS এর সৃষ্টির পিছনে নেপথ্য ভূমিকা রয়েছে আমেরিকা,ইসরায়েল আর তাদের মিত্র ক্ষমতালোভী মূর্খ আরব বাদশাহদের,যাদের উদ্দেশ্য হল রাশিয়া-ইরানের মিত্র বাশার আল-আসাদ কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে আমেরিকার তেল-রাজনীতির নীল নকশা বাস্তবায়ন।সিরিয়া যুদ্ধ চলছে গণতন্ত্র আর মানবতার দোহাই দিয়ে কিন্তু যারা এসব বলছে সেই আমেরিকাই বিশ্বব্যাপি মানবতালঙ্ঘনকারী আর আরব বাদশাদের নিজেদের দেশেই তো নেই কোনরকম গণতন্ত্রের লেশমাত্র!
এখন রাশিয়ার ক্রমাগত হামলার মুখে ISIS এর পতন যখন সময়ের ব্যাপার,তখন আমেরিকা,ইসরায়েল,সৌদি আরব,কাতার,কুয়েত এর মত দেশগুলোর রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে;কারন এটা এখন স্পষ্ট যে ISIS কোন অদম্য শক্তি ছিল না,এটা ছিল জাস্ট পথের কাটা বাশার আল-আসাদ কে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র,আর তা বাস্তবায়নে তারা গত ১ বছর যাবত ISIS এর সাথে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা খেলেছে যার পরিণতিতে প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে একটি দেশ আর ভূমধ্যসাগরে ডুবে মরেছে হাজারো শরণার্থী।
রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে পুতিনের প্রশংসা করতে হয়,১৯৭০-৮০ দশকের স্নায়ুযুদ্ধের পর সেই যে সোভিয়েত ভাঙল এর পর রাশিয়া বোধহয় এবারই আমেরিকার সাথে ব্যাটলফিল্ডে মুখোমুখি হল।এখানে আমেরিকা ও তার পশ্চিমা আর আরব মিত্ররা ক্ষুব্ধ হলেও কার্যত চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার নাই,যে কারণ দেখিয়ে সিরিয়ায় ISIS এর উপর হামলা চালিয়েছে তারা(আসলে হামলার অভিনয় করে সাহায্য করেছে ISIS কে আর সাধারণ মানুষদের উপর হামলা চালিয়ে দোষ চাপিয়েছে বাশারের কাঁধে) সেই একই কারণে রাশিয়া হামলা চালাচ্ছে।এদিক দিয়েও জমে উঠেছে খেলা,আমেরিকা শাসিত এককেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থায় ভারসাম্য আসতে পারে রাশিয়া ও চীনের উত্থানে।
প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদও দুধে ধোয়া তুলসী পাতা না,তার মত একজন স্বৈরশাসককে সাপোর্ট করাটা অগ্রহণযোগ্য কিন্তু নামমাত্র গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমেরিকার হাতের পুতুল বসানোর চেয়ে আসাদের মত একজন শক্ত স্বাধীনচেতা দেশপ্রেমিক স্বৈরশাসক মন্দের ভালো।
ইরাক,আফগানিস্তান ধ্বংস করে সিরিয়াকে প্রায় ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে এতদূর এগিয়েও মধ্যপ্রাচ্যের তেল দখলের নীল নকশা বাস্তবায়নের মাঝপথে রাশিয়ার এমন বেরসিক হামলা আরো একবার আমেরিকা-ইসরায়েল ও তাদের জিগরি দোস্ত সৌদি আরবের হৃদয় ভেঙ্গে দিল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.