![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী। ফিচার এডিটর- বাংলাপোস্ট, যুক্তরাজ্য।
বাংলাদেশের গণতন্ত্রঃ এক দূর্লভ সোনার হরিণ
প্রতিবাদী বলে বাংলাদেশের মানুষের যা সুনাম ছিল তা ছিল মূলত ভ্রান্ত ধারণা। আগে যারা সম্পদ লুন্ঠন করত তারা বাঙালীদের লুন্ঠিত সম্পদের ভাগ দিত না। এইজন্যই বৃটিশ বিরোধী ও পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলন সফলতা পেয়েছিল বাংলাদেশে। কিন্ত এখন বাংলাদেশের সম্পদ লুন্ঠন করে হয় জিয়া পরিবারের লোকজন কিংবা শেখ পরিবারের লোকজন। এই লুন্ঠন প্রক্রিয়ায় তারা ছিটেফোঁটা হলেও ভাগাভাগি করে তাদের সমর্থিত কর্মী বাহিনীর সাথে। যার কারণে দেশকে ভালবেসে প্রতিবাদী হওয়ার মত লোক আর খুঁজে পাওয়া যায়না।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রাজতন্ত্র ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হলেও তথাকথিত গণতন্ত্রের লেবাসে বাংলাদেশে জাকিয়ে বসছে রাজতন্ত্র। আর তাতে সুবিধাভোগীরা বেছে নিয়েছে সবচেয়ে নিরাপদ পথ। কারণ বাংলাদেশে এই দুই পরিবারের বাইরে কেউ নেতৃত্বে আসলে অন্য কেউ মেনে নিতে চায়না, কারণ যে ক্ষমতায় আসে সেই থাকে নিজের আখের গোছানোর মতলবে। একারণেই এই পরিবারের কাউকে কর্তাব্যক্তি ভেবে তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করে সফল হওয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ রুটিরুজির। আর এর মাধ্যমেই অলিখিত সামাজিক ও রাজনৈতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে পারিবারিক রাজতন্ত্র।
আজ থাইল্যান্ডে নৌকা করে পালিয়েছে সাংসদ ও মন্ত্রীরা। তরুণদের মাধ্যমে গড়ে ওঠা অরাজনৈতিক সংগঠনের তোপে শোষকের ভিত নড়ে উঠেছে। যারা নিজের আখের গোছানোর জন্য জিয়া বা শেখ পরিবারের নামে আন্দোলন করে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে চায় তাদের মাধ্যমে শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও সাধারণ মানুষের কাছে গণতন্ত্র সোনার হরিণ হয়ে থাকবে।
১৮ ই নভেম্বর ২০২০
যুক্তরাজ্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই নভেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: গনতন্ত্র নিয়ে কেউ মাথায় ঘামায় না। সবাই নিজের ইয়ানফসি করে। দেশ যাক রসাতলে তাতে কার কি?