![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুদ্র এই অবনী পরে,রয়েছে কী কেউ আজীবন ধরে. ...তবুও কেন এতো হিংসা -বিদ্বেষ, আমাদের এই লোক লোকান্তরে..
আল্লাহ সুবানাহু ওয়া তা’আলা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “আমি আমার বন্দার প্রতি যাহা অবতীর্ন করেছি, তাহাতে তোমাদের বিন্দুমাত্র কোন সন্দেহ থাকলে, তোমরা ইহার অনুরুপ কোন সূরা আনয়ন কর। এবং তোমরা যদি সত্যবাদি হও তাহলে আল্লাহ ব্যাতিত তোমাদের সকল সাহায্যকারীকে নিয়ে আস। যদি আনয়ন না কর তবে সেই আগুনকে ভয় কর কাফিরদের জন্য যাহা প্রস্তুত করিয়া রাখা হয়েছে। (সূরা বাকারা:২৩, ২৪)।
কোরআন নাজিলের সময় বৈজ্ঞানিক পরিস্থিতি: সপ্তম শতাব্দিতে কোরআন নাযিল হয়। মানুষ তখন প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে কুসংস্কার ও প্রাচীন উপকথায় বিশ্বাসী ছিল। তখন মানুষ মহাবিশ্ব, পদার্থ, জীববিজ্ঞান, মানুষের সৃষ্টি, বায়ুমন্ডলের গঠন এবং জীবন ধারনের প্রয়োজনীয় উপাদান ইত্যাদি সম্বন্ধে সঠিক কিছুই জানতো না।
এরকম এক সময়, যখন মানুষের জ্ঞান বিজ্ঞানের বহর ছিল ঠিক উপরের অবস্থা সেই সময়েই নাযিল হয়েছিল আল-কোরআন। যাতে শুধু বিজ্ঞানের সাথে রিলেটেড আয়াতের সংখ্যাই আছে হাজারের বেশি। অথচ সেই কোরআনেরই ১ টি আয়াতও পর্যন্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয় নি। বরং বিজ্ঞানেরই কিছু ভুল ধারণা পরবর্তিতে সংশোধন করলে দেখা গেছে, তা কোরআনের সাথে মিলে গেছে। এরকমই কয়েকটি উদাহরণ দিয়েই বিষয়ভিত্তিক আলোচনা শুরু করা যাক:
(৫) :- কে স্থির আর কে গতিশীল: টলেমী বিশ্বাস করতেন থিওরী অফ জিওছেনট্রিজম এ। আর মতবাদটি হল- পৃথিবী একদম স্থির, আর সূর্য সহ সব গ্রহ নক্ষত্রগুলো ঘুরছে পৃথিবীর চারিদেকে। এ মতবাদটি ষোড়শ শতাব্দি পর্যন্ত বিজ্ঞান হিসেবে টিকে ছিলো। এরপর কোপার্নিকাস এসে প্রমাণ করলেন, পৃথিবী সহ অন্যান্য গ্রহগুলো সূর্যের চারিদেকে প্রদক্ষিণ করছে। মাত্র ২৫ বছর আগেও বিজ্ঞান মানুষকে জানাচ্ছিল সূর্য স্থির থাকে, এটি তার নিজ অক্ষের চারপাশে প্রদক্ষিন করে না। কিন্তু আজ এটা প্রমানীত যে পৃথিবী ও সূর্য দুটোই গতিশীল। আর এদের দুজনের রয়েছে আলাদা কক্ষপথ। চলুন দেথি দেড় হাজার বছর আগের কোরআন এই ব্যাপারে কি বলে! আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “তিনিই একজন যিনি দিন ও রাত সৃষ্টি করেছেন, সুর্য ও চন্দ্র সৃষ্টি করেছেন, প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কক্ষপথে পরিভ্রমন করছে। (সূরা আম্বিয়া:৩৩)। এমনকি আরো বলেন “এবং সূর্য তার নিজস্ব পথে চলছে যা সর্ব শক্তিমানেরই আয়ত্বে। তিনিই সব জানেন।” (সূরা ইয়াসিন:৩৮)। এই কিছুদিন আগে প্রমাণিত হয়েছে যে, সূর্যও স্থির নয় বরং গতিশীল এবং ২০ লক্ষ বছরে একবার ওর নিজস্ব কক্ষপথে আবর্তন করে। আর এর গতি ৭২০০০০ কিমি/ঘন্টা। “আকাশ, যা পথ ও কক্ষপথ দ্বারা পরিপূর্ণ”(সূরা জারিয়াত:৭) এটা প্রমাণ করে যে, মহাবিশ্বের অন্য তারকারাজিও স্থির নয় বরং গতিশীল। যার সাথে আধুনিক বিজ্ঞান একাত্বতা ঘোষণা করেছে।
(৬):- ব্লাক হোলস: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “আমি শপথ করছি সেই জায়গার যেখানে তারকারাজি পতিত হয়। নিশ্চই এটা একটা মহাসত্য, যদি তোমরা তা জানতে।” (সূরা ওয়াক্বিয়া : ৭৫, ৭৬) ৭৫ নং আয়াতটি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছে, মহাবিশ্বে এমন জায়গা আছে, যেখানে তারকা পতিত হয়। ঠিক পরের আয়াতেই এটাকে, মহাসত্য বলে দাবি করা হয়েছে। মহাকাশে এরকম স্থান আছে, এটা মাত্র কিছুদিন আগে আবিষ্কার করা হয়েছে। এই জায়গাগুলোর নাম দেয়া হয়েছে ব্লাক হোলস। এগুলোতে শুধু নক্ষত্র নয়, যে কোন কিছুই এর কাছাকাছি এলে, এখানে পতিত হতে বাধ্য।
(৭) :- নিরাপত্তার ছাদ: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন“আমরা আকাশে একটি সংরক্ষিত ও নিরাপত্তার ছাদ বানিয়েছি।” (সূরা আম্বিয়া : ৩২)। আয়াতটি বলছে আকাশে এমন কিছু আছে যা পৃথিবীকে নিরাপত্তা দেয়।
বায়ুমন্ডলের একেবারে উপরিভাগে ভ্যান-এলেন-বেল্ট নামের একটি অতিরিক্ত স্তর রয়েছে। এই স্তরটি প্রায় ৬০,০০০ কিলোমিটার উপরে অবস্থিত। এই স্তর শুধুমাত্র সেই সমস্ত রশ্মিই পৃথিবীতে আসতে দেয় যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। এটা সত্যি বিষ্ময়কর যে শুধু রেডিও ওয়েভ বা আল্ট্রা ভায়োলেট রে এর মত ক্ষতিকর রশ্মিগুলোই পৃথিবীতে আসতে পারে না। যা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। একইসাথে এই স্তর সূর্যের ক্ষতিকর কসমিক রে কে পৃথিবীকে আসতে বাধা দেয়। অতিরিক্ত কম ঘনত্বের কারণে, এই স্তরটি আয়োনিত বা প্লাজমা অবস্থায় আছে। এই প্লাজমা মেঘ প্রায় ১০০ বিলিয়ন আনবিক বোমার (হিরোসিমায় মাত্র ১ টা ফেলা হয়েছিল) সমান পরিমান ক্ষতিকর শক্তি বিশিষ্ট রশ্মিকে আটকিয়ে দিতে পারে!
আবার এই স্তর পৃথিবীকে মহাকাশের অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে, যা মাইনাস ২৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড।
দেড় হাজার বছর আগে মহানবী (স কি করে জানলেন, পৃথিবীর উপরের এই সংরক্ষিত আর নিরাপত্তার ছাদের কথা ? তার এই তথ্যের উৎস কোথায় ?নিশ্চয় তা আল্লাহর বানী এতে কোন সন্দেহ নেই..
(১১):- চাদের আলো কার আলো?: আল্লাহ সুভহানাহুওাতা’লা পবিত্র কুরআন শরিফে বলেন “আল্লাহ তায়ালাই এই সূর্যকে করিয়াছেন তেজস্কর আর চন্দ্রকে করিয়াছেন পিতিবিম্বিত আলো”। (সূরা ইউনুস:৫) এবং “কত কল্যাণময় তিনি, যিনি নভোমন্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাসিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপ এবং চাদ-যাহার রহিয়াছে ধার কার আলো”। (সূলা ফুরকান:৬১) চাদের আলো যে প্রতিবিম্বিত আলো অন্য কথায় ধার করা আলো একথাটা দেড় হাজার বছর আগের একটা বইয়ে আসাটা খুবই স্বাভাবিক, যদি সে বইটা হয় এমন এক মহাসত্বার কাছ থেকে যিনি সাময়িক জাগতীক ধ্যান-ধারণার অনেক উর্ধে। সুবহানাল্লাহ। যেখানে আজকের বিজ্ঞান সুস্পষ্ট কোরআনের সাথে পুরপুরি একমত।
©somewhere in net ltd.