নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাহিত্য হতে গ্রাম হারিয়ে যাচ্ছে

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১২

সাহিত্যে গ্রাম বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে হুমায়ূন সাহিত্য নিয়ে খুব আলোচিত হচ্ছে। তিনি গ্রামীণ পটভূমিতে তেমন সাহিত্য রচনা করেননি। যা করেছেন তা ফ্যান্টাসী ধরনের। অথচ বাংলাসাহিত্যের প্রধান উপন্যাসগুলো গ্রামকে উপজীব্য করেই রচিত হয়েছে। অনেকেই মনে করেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ‘পথেরপাচালী’ বাংলা উপন্যাসের মধ্যে সেরা। এর সূচনা এবং সিংহভাগ গ্রামকে নিয়েই লেখা। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের সিনেমা ‘পথেরপাচালী’ আরো আকর্ষণীয় হয়েছে, উপন্যাসের শহুরে অংশটুকু বাদ দেয়ার কারণেই। বাংলা সাহিত্যের আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস সমরেশ মজুমদারের ‘সাতকাহন’ এর প্রথম পর্বের অধিকাংশই গ্রামীণ। এর আকর্ষণও এখানেই। লেখক এর দ্বিতীয় পর্ব লিখেন নায়িকা দিপাবলীর শহুরের জীবনকে আশ্রয় করে। সেটা আগের মতো আকর্ষণীয় থাকেনি। সমরেশের লেখার মূল উপজীব্য শিলিগুড়ির পাহাড়ি এলাকা। তিনি যখনই এর বাইরে এসেছেন, আর আকর্ষণটা থাকেনি। বুদ্ধদেব গুহ বনজঙ্গলের বাইরে গিয়ে সুবিধা করতে পারেন নি। ইমদাদুর হক মিলন এর সবচেয়ে ভাল কাজ অবশ্যই ‘নুরজাহান’। এরজন্য আনন্দ পুরষ্কার পেয়েছেন। এটি গ্রামীণ কাহিনী নিয়ে লেখা। তাঁর আরেকটি জনপ্রিয় উপন্যাস ‘অধিবাস’ও বিক্রমপুর নিয়ে লেখা। মিলনের অধিকাংশ চেষ্টাই শহরকে নিয়ে। কখনো কখনো এতে হালকা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কিন্তু পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাননি। মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাস। এর উপজীব্য গ্রামীণ জেলে পাড়া এবং জেলে জীবন। এটা নিয়েও চলচ্চিত্র হয়েছে। সৈয়দ ওয়ালী উল্লাহর ‘লাল সালু’ উপন্যাসে গ্রামের মানুষেরা ভ- ধর্মব্যবসায়ীদের দ্বারা কিভাবে প্রতারিত হন তা নিপুণভাবে তুলে ধরেছেন। একটি ‘পথেরপাচালী’, একটি ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ একটি ‘লাল সালু’ আমরা পাচ্ছি না বর্তমান সময়ে।

উপন্যাস হতে গ্রাম হারিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ, পুঁজিবাদ। পুুঁজিবাদ চাকচিক্য পছন্দ করে। গ্রামে আর গরীবের ঘরে চাকচিক্য তেমন একটা থাকে না। চলচ্চিত্র এবং নাটকে পুঁজিবাদ এমনই হানা দিয়েছে যে, সেখানে শহরের গরীবের ঘরেও লক্ষ লক্ষ টাকা দামের আসবাবপত্র থাকে, গায়ে থাকে দামী পোষাক। লেখক প্রকাশকরাও বুঝে যাচ্ছেন, গ্রাম নিয়ে লিখলে সেখানে গ্লামার থাকে না। এর পাঠকও থাকে না। এটা হচ্ছে ভাল উপন্যাসিকের অভাবের কারণেই। আমরা তীব্রভাবেই অভাব বোধ করছি বিভূতিভূষণ, ওয়ালীউল্লাহ আর মানিক বন্দোপাধ্যায়দের। বতর্মান লেখকরাও শহরেই থাকেন। গ্রামকে নিয়ে লিখতে গেলে, গ্রামকে তো হৃদয় দিয়ে বুঝতে হবে। সেই বুঝার সময়টাই বা কোথায়? টিভি নাটকে গ্রাম মাঝে মধ্যে থাকে। তবে সেটা ফ্যান্টাসী বা রম্য। এখন টিভি নাটকে রম্য রচনার পটভূমি হচ্ছে গ্রাম। অথচ গ্রামের মানুষের সমস্যা, অভাব-অনটন, সামাজিক নিরাপত্তাহীনতার কথা উঠে আসে না। গ্রামের দরিদ্র নারী অহরহই সম্ভ্রম হারাচ্ছে, দরিদ্র মানুষ জমি হারাচ্ছ এসব উঠে আসে না। গ্রামের অধিকাংশ মানুষই সহজ, সরল, বোকা এবং অশীল। তাদের ভাষা ভদ্রচিত নয়, জীবন যাপনও নয়। গ্রাম্য টাউটরা ভয়ংকর। শহরের নামী দামী রাজনৈতিক নেতারা এদের পোষেন। তারা ভয়ংকর সব অপরাধে জড়িয়ে থাকেন। কিন্তু শিক্ষিত মানুষরা এসব টের পান না, সাহিত্যে এরা নেই বলেই।

এনজিওগুলো গ্রামের মানুষের রক্ত চুষে নেয়ার ফাঁদ পেতে আছে; সেই ফাঁদে সর্বশান্ত হচ্ছে মানুষ। তারা মহাজনী ব্যবসাকেও হার মানিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি একজন ইউনিয়ন পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতা জানালেন, একজন এনজিও ঋণগ্রহীতা নারী তার কাছে এসেছিলেন কিস্তির টাকা ধার করার জন্য। এজন্য নারীটি শরীর বিকিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। তিনি এ ধরণের কয়েকটি ঘটনার কথাও জানালেন। এসব বিষয় আর উপন্যাসে উঠে আসে না। প্রভাবশালী কারো দ্বারা ধর্ষিতা হলে সেই নারীর জীবনে নেমে আসে আরো বহুবিধ দুর্বিপাক। গ্রামে ঘটে যাওয়া এক ভয়ংকর ঘটনাও শুনলাম। এক বিবাহিতা ও গর্ভবতী নারী স্বামীর সাথে মাঠের মধ্য দিয়ে আসছিলেন। গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে স্বামী দৌড়ে চলে যায়। নারীটি ধীরে ধীরে হাটছিলেন। নির্জন পাটক্ষেতের ধারে তিনি ধরা পড়েন এক ধর্ষকের হাতে। তিনি ধর্ষিতা হন, ওখানেই তার এবর্সন হয়ে যায়। বাড়িতে ফিরলে মামলা করাতো দূরের কথা, প্রভাবশালী মহল স্ত্রীকে তালাক দিতে বাধ্য করেন। এই সব ঘটনা গ্রামে অহরহই ঘটে কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পত্রিকায় আসে না। উপন্যাসেও আসে না। লালসালু উপন্যাসটি পাঠ্যবই হওয়াতে ধর্মব্যবসায়ীরা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের জন্য আজ আর লালসালু লেখার কেউ নেই।

ড. হুমায়ূন আজাদ উপন্যাসিক হলেও তিনি সাহিত্য সমালোচকও ছিলেন। তার রচনাও শৈশব নির্ভর। স্মৃতিচারণমূলক একটি অসাধারণ গদ্য ‘ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’ তিনি লিখেছেন শৈশবে দেখা বিক্রমপুর নিয়ে। কিন্তু তিনি যখনই উপন্যাস লিখলেন, ছেড়ে গেলেন গ্রামকেই। গ্রামের দুর্বিসহ চিত্র কেউ ফুটিয়ে তুলতে চান না। শহরের চকচকে গল্প সহজেই ফেদে ফেলা যায়। হুমায়ুন আজাদ এ বিষয়ে বলেছেন, গ্রামকে নিয়ে শ্রেষ্ঠ উপন্যাসটি বিভূতিভূষণ লিখে ফেলেছেন, তাই আর এ নিয়ে উপন্যাস লিখতে চাই না। যতটুকু লিখেছেন সেখানে আর সমস্যাসংকুল পুর্ণাঙ্গ গ্রাম থাকেনি। হয়তো কোথাও কোথাও ছাপ ছিল গ্রামের। সৈয়দ শামসুল হক, শওকত আলী কিছুটা যে লিখেন নি তা নয় তবে তারা গ্রামের প্রতিনিধিত্ব করেন নি শরৎচন্দ্রের মতোও। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছিলেন, গ্রাম এখনো শিক্ষিত মানুষের বসবাসের উপযোগী হয়ে উঠেনি। এই সত্যটা সব লেখকরাও বুঝেন। তারা গ্রামে নিজেরাও ঢুকতে চান না আবার গ্রামকে তাদের সাহিত্যেও ঢুকাতে চান না। এ জন্যই সৈয়দ হকের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘খেলারাম খেলে যা’ এবং শওকত আলীর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘উত্তরের খেপ’ গ্রামের সমস্যার উপন্যাস নয়; শহরের যান্ত্রিক উপন্যাস।

আমাদের গ্রাম এখন চরমভাবেই অবহেলিত। শুধু সাহিত্যে নয়, বাস্তবেও। বড় ব্যবসায়ী, বড় চাকুরীজীবী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার গ্রামে শুধু থাকেন না তা নয়, গ্রামের সাথে সম্পর্কও রাখতে চান না। প্রধান রাজনীতিবীদদের অনেকে অবশ্য শুধু নিজ নির্বাচনী এলাকার সাথে সম্পর্ক রাখতে বাধ্য হন ভোটের রাজনীতির জন্য। সেটাও গভীরভাবে নয়। গ্রামের টাউট শ্রেণী ও প্রভাবশালীদের সাথেই সম্পর্ক রাখেন। সাধারণ মানুষের ধারে কাছেও ঘেষেন না। এর একটা কারণ আছে। গ্রামের অশীল মানুষের সাথে তারা সম্পর্ক রাখতে চান না। দরিদ্র আত্মিয়স্বজন থেকে দূরে থাকতে চান। গ্রামের এতো অভাব-অভিযোগের মধ্যে কখন কে হাত পেতে বসেন- টাকার জন্য, চাকুরির জন্য, তদবিরের জন্য। সাহিত্যিকরা কেন দূরে সরে গেলেন তা বোধগম্য নয়। শুধু বাংলা সাহিত্যেই যে এই সমস্যা তা নয়, বিশ্ব সাহিত্যও শহর নির্ভর হয়ে উঠেছে। জীবন সংকট ও টানাপোড়েন; যা আকর্ষণীয় তা কি শুধু শহরেই রয়েছে। গ্রামের মানুষ শুধু অশীল নয়; অশিক্ষিত, দরিদ্র, কুৎসিত এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন। গ্রামে শহরের মতো একজন সুন্দরীকে নায়িকা হিসাবে পাওয়া সহজ নয় আবার একজন সুগঠিত নায়কও গ্রামে থাকে না। ফলে লেখকদের রসায়ন মেলানো সহজ হয়ে উঠে না। তাহলে বাংলা সাহিত্যের প্রধান তিনটি উপন্যাস কিভাবে গ্রাম নির্ভর হল। আসল সমস্যা হল, গ্রামকে নিয়ে একটি উপন্যাস লেখা সহজ নয়।

সাহিত্যের একটি নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। এখন অনেকেই ইতিহাস নির্ভর সাহিত্য লিখে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন। হুমায়ূন আহমেদের আকর্ষণীয় উপন্যাস- জ্যোৎ¯œা ও জননীর গল্প’, ‘বাদশাহ নামদার’, ‘মধ্যাহ্ন’ কিংবা অপ্রকাশিত ‘দেয়াল’ ইতিহাস নির্ভর। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়তো ঢাউস ঢাউস উপন্যাস লিখছেন কিংবদন্তী চরিত্র নিয়ে। ভারত কেন্দ্রীক প্রধান দুটি উপন্যাস অরুন্ধতী রায়ের ‘গড অফ স্মল থিকস’ কিংবা সালমান রুশদীর ‘দি মিড নাইট চিলড্রেন’ পূর্ববর্তী সময়ের উপন্যাস। উইলবার স্মীথতো চার হাজার বছর আগের গল্প নিয়ে লিখেছেন, ‘রিভার গড’ উপন্যাস। আলেক্স হ্যালীর ‘রুটস’ আমেরিকায় দাস প্রথার শুরুর অবস্থা নিয়ে লেখা। ‘আংকেল টমস কেবিন’ একই ধরনের উপন্যাস। আলবেয়ার কাম্যুর ‘প্লেগ’ও তাই। এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় উপন্যাস ইতিহাস নির্ভর। এই ধারা এবং সাম্প্রতিক শহর নিয়েই লেখা উপন্যাসগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর বাইরে ফ্যান্টাসী এবং সায়েন্স ফিকশন ধর্মীও প্রচুর উপন্যাস লেখা হচ্ছে। শুধু উপন্যাস থেকে গ্রামই হারিয়ে যাচ্ছে। এটা হয়তো জনপ্রিয়তার চিন্তা করেও হয়েছে। গ্রাম নিয়ে লিখে জনপ্রিয়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলেও হয়তো লেখা হচ্ছে না।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

সিংহমামা বলেছেন: সাহিত্যে গ্রাম বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। বর্তমানে হুমায়ূন সাহিত্য নিয়ে খুব আলোচিত হচ্ছে। তিনি গ্রামীণ পটভূমিতে তেমন সাহিত্য রচনা করেননি। যা করেছেন তা ফ্যান্টাসী ধরনের। অথচ বাংলাসাহিত্যের প্রধান উপন্যাসগুলো গ্রামকে উপজীব্য করেই রচিত হয়েছে। অনেকেই মনে করেন বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের ‘পথেরপাচালী’ বাংলা উপন্যাসের মধ্যে সেরা।----------একদম সত্য আর সঠিক কথা বলেছেন মামা,,,,,,,,,আজকের নাগরিক সাহিত্য কেমন কেমন খোসা খোসা লাগে,,,,,,,,,প্রাণহীন সহবাসের মত,,,,,,,,,



একটু মুখ মিষ্টি করেন মামা------

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সাহিত্য থেকে গ্রাম হারিয়ে যাচ্ছে! আসলেই তো, পড়াশনা শেখার পরে পাখা গজিয়ে সব মানুষ শহরে চলে যায়, গ্রাম নিয়ে লেখার না আছে লেখক, না আছে পাঠক।

অনেক দারুণ লেখা। প্রিয়তে নিলাম ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: মাথা ছাড়া জেনারেল, নাকী সব জেনারেলই মাথা ছাড়া! মামা জানাবেন কি?

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

ছাদ্দাম হুসেন বলেছেন: গ্রাম থেকেও সাহিত্য হারিয়ে যাচ্ছে ।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: গ্রাম থেকে সাহিত্য অবশ্যই হারিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষিত জনেরা গ্রামে থাকতে চায় না। গোবিন্দ দাস সহ অনেক কবিই গ্রামে গ্রামে থেকেছেন। অথবা অনেকে গ্রামে দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন। এখন শিক্ষিত মেধারীরা জন্ম থেকে শহরে। ধন্যবাদ।

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

হাবিব০৪২০০২ বলেছেন: হুমায়ুন স্যারের তেতুল বনে জোছনা পুরোটাই গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে লেখা

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের গ্রামকে নিয়ে অনেক উপন্যাস আছে। আমি মন্তব্য করেছি - এগুলো ফ্যান্টাসী ধরনের। তিনি উপন্যাসে গ্রামকে উঠিয়ে আনেন নি বিভূতিভূষণের মতো।

৬| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

প‌্যাপিলন বলেছেন: ভ্রাতা, আপনিই শুরু করে দেন গ্রাম নিয়ে বাংলার প্রথম স্বার্থক উপন্যাসখানা। আরেকটা কথা ভ্রাতা - আংকেল টমস কেবিন বা কামুর প্লেগ ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস হয়ে কেমনে?- একটু বুঝিয়ে দিয়েন

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: প্লেগ উপন্যাসটিকে ইতিহাস নির্ভর বলেছি এই কারণে যে, এই উপন্যাসে যেভাবে ইদুর থেকে প্লেগ রোগাক্রান্ত হয়ে বহু লোক মারা গেছে ঠিক একই ভাবে ইউরোপে একসময় বহুলোক প্লেগে মারা গেছে। এ ধরণের ঘটনা পূর্বে ঘটেছে। আংকল টমস কেবিন হল- দাস প্রথা নিয়ে লেখা উপন্যাস। এগুলো ঐতিহাসিক সত্য। এজন্যই বলা। এগুলোকে ইতিহাস নির্ভর উপন্যাস হিসাবে ধরলে মিথ্যা বলা হয় না। আপনি নাও ধরতে পারেন।

৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৩

সুফিয়া বলেছেন: আমার গ্রামেক আমি অত্যন্ত ভালোবাসি। তাই আমার লেখায় গ্রামের প্রতি পিছু টানের চিত্রটা সব সময় উঠে আসে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ও প্রয়োজনীয় একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য। একটু সময় করে আমার ব্লগে ঘুরে আসবেন।

Click This Link

৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার কবিতাটি পড়লাম। ধন্যবাদ প্রকৃতি নিয়ে লেখার জন্য। ভাল মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

৮| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

সিংহমামা বলেছেন: জ্বি মামা,,,,,,,,,,, :( :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.