![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
দেশজুড়ে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াকে নিয়ে বিষেদাগার চলছে। বুদ্ধিজীবী ও সুশীলসমাজের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে আমাদের একমাত্র সমস্যা হাসিনা খালেদা। এটা একটা প্রচারণা ছাড়া আর কিছু নয়। পরিসংখ্যান তা বলে না। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া মিলেই নব্বইতে স্বৈরশাসক এরশাদকে হটিয়েছে। নব্বই এর পরে দেশে যত উন্নয়ন হয়েছে এরকম উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কমই হয়েছে। অমর্ত্য সেনসহ অনেকেই বলছেন, বাংলাদেশ অনেক েেত্র ভারতের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল ৯১ সালে। সেই অগ্রযাত্রা এখনো চলছে। এখন দেশে দারিদ্রের হার অনেক কম, মানবাধিকারের সুচক উন্নত হয়েছে। দুর্নীতিও কমছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সময় একটি দুর্ভি হয়েছিল। দেশ ছিল অস্থিতিশীল। এখন দেশ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ, এবং অনেকটাই গণতান্ত্রিক। কিছুটা অসহিষ্ণু। বাংলাদেশের মতো দেশে এরচেয়ে স্থিতিশীলতা থাকে না। রাস্তাঘাট, মানুষের বাড়িঘর, বড় শহরগুলোর প্রাচুর্য অনেক উন্নত হয়েছে। এখন ঢাকা মহানগর। অনেকগুলো জেলা শহরও এগিয়েছে। ব্যাংকগুলোতে কয়েকটি বড় দুর্নীতি হলেও, সাধারণ মানুষ ভাল সেবা পাচ্ছে। মিডিয়া অনেকটা স্বাধীন। আমারদেশ বন্ধ করাটা একটি কলঙ্কজনক ঘটনা, এর আগে চ্যানেল ওয়ানও বন্ধ হয়েছে। অনুমতি পাচ্ছে না যমুনা টিভি। এগুলোকে এখনো বিচ্ছিন্ন ঘটনাই বলা যায়। এখন পত্রিকাগুলো কিছুটা লিখতে পারে। দেশে নারীদের একটি জাগরণ হয়েছে, জ্ঞানের চর্চা হচ্ছে ঢালাও নকলের পরিবর্তে। গার্মেন্টস শিল্প মহিরুহতে রূপ নিয়েছে। ঔষধ, সিমেন্ট, সিরামিকসসহ অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। নব্বই পরবর্তীতে মূলত প্রবাসী রেমিট্যান্স ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি েেত্র উন্নয়ন অভাবনীয়। এসব দুই নেত্রীই করেছেন। তারা দুজনই সফল। এখনো তারাই দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয়। বাংলাদেশে তৃতীয় জনপ্রিয় নেতা নেই। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াই দেশের দুটি ধারাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আমাদের বড় নেতা ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক। তিনি মতায়ই থাকতে পারলেন না। জিয়াউর রহমানের সময়ও অনেক ক্যু হয়েছে। এরশাদের সময় সবচেয়ে বেশি বিদেশি সাহায্য ও ঋণ এসেছে। এর একটি বড় অংশই পাচার হয়েছে বলে মনে করা হয়। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত দুর্নীতিও নাই বললেই চলে। তাদের পরিবারের উপর কিছু অভিযোগ উঠলেও তা পরিমাণে কম। কোকোর বিরুদ্ধে মাত্র ১২ কোটি টাকার অভিযোগ নিশ্চিতের দাবী করেছে সরকার। এটা হাজার কোটি টাকার তুলনায় তুচ্ছ। তারেকের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণই করা গেল না ৬ বছরে। জয়-পুতুলের বিরুদ্ধে শুধু শোনা কথা। আমরা যারা শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢালাও বলি তারা পরিসংখ্যান ছাড়াই বলি। এরশাদ যেভাবে নিপিড়ন করেছে, তার তুলনায় এখনও বিরোধী দল কম নিপিড়িত হচ্ছে। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা কারাগারে এটা সত্য, কয়েকজন নেতাকে গুম করা হয়েছে এটাও মানি। সা¤প্রতিক পুলিশের গুলিতে শতাধীক হত্যার ঘটনা ঘটলেও এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দমনপীড়নের সাথে তোলনা করা চলে না। তখন প্রতিটি প্রতিবাদেই মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকতো। পরিবেশ অতটা দমবদ্ধকর নয়।
আমরা দুই নেত্রীর মাইনাসের কথা বলি। সাধারণত জাপা, জামাত, কমুনিস্টরা বলি রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য। শেখ হাসিনা মাইনাস হলে, মতায় আসবে শেখ রেহানা বা জয়। তারা কি এখনো নিজেদের শেখ হাসিনার চেয়ে প্রাজ্ঞতার পরিচয় দিতে পেরেছে। খালেদা জিয়ার পরিবর্তে মতায় আসবে, তারেক রহমান। মতায় থাকাকালীন হাওয়া ভবন কেন্দ্রিক মতার চর্চা থেকেই তিনি নিজেকে বিরত রাখতে পারেন নি। এই ভূখণ্ডের অনেক নেতাকেই হাসিনা খালেদার চেয়ে বড় মনে হয়। এটা যৌক্তিক নয়। দেশ স্বাধীনতায় বঙ্গবন্ধু অনেক ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু স্বাধীন দেশে তিনি কি সফল ছিলেন? প্রশ্ন থেকে যায়। জিয়ার চেয়েও খালেদাকে বেশি সফল মনে হয়। এসব দিক বিবেচনা করে মনে হয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়ার এখনো প্রয়োজন। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। তাদের আরো সুযোগ রয়েছে এগিয়ে নেয়ার। ভিন্ন মতের ও দলের প্রতি সহিষ্ণুতাটা হলেই দেশ অনেক এগিয়ে যেত।
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৪
মুজিব রহমান বলেছেন: দেশের অগ্রযাত্রায় এই দুই নেত্রীর ভূমিকা রয়েছে বলেই মনে করেছি। তাদের নিয়ে যত সমালোচনা হয় তা তাদের প্রাপ্য নয়, কিছু প্রশংসাও তাদের প্রাপ্য।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:১১
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: গণতান্ত্রিক (?) রাজতন্ত্র! অধিকাংশ বিষয়ে একমত নই............