নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা গদ্য কবি ও কবিতা

০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬

গীতাঞ্জলির কবিতাগুলো ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছিল গদ্যে। ইংরেজি ভাষায় এই অনুবাদ, কাব্য হিসাবেই গণ্য হয়েছিল। সেই অবধি রবীন্দ্রনাথের মনে প্রশ্ন ছিল, পদ্য ছন্দের সুস্পষ্ট ঝংকার না রেখে ইংরেজিরই মতো বাংলা গদ্যে, কবিতার রস দেয়া যায় কি না। তিনি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তকে অনুরোধ করেছিলেন, তিনি স্বীকারও করেছিলেন। কিন্তু ছন্দের জাদুকর সে চেষ্টা করেন নি। রবীন্দ্রনাথ নিজেই শুরু করেন গদ্য কবিতা লেখা। তার ‘লিপিকা’ কাব্যগ্রন্থে এই গদ্য কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তিনি এ বিষয়ে লিখেছেন, ছাপার সময় বাক্যগুলিকে পদ্যের মতো খণ্ডিত করা হয়নি- বোধ করি ভীরুতাই তার কারণ। বর্তমানে গদ্য কবিতাকে পদ্যের মতো খণ্ডিত করার আবশ্যিকতাও নাই। ভাব ও উপস্থাপনার পার্থক্যই গদ্য ও গদ্য কবিতার মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে দেয়।

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তকে বলা হয় যুগসন্ধিকালের কবি। অর্থাৎ তিনি মধ্যযুগ ও আধুনিক যুগের সংযোগ ঘটিয়েছেন। তিনি মধ্যযুগের শেষ কবি এবং আধুনিক যুগের প্রথম কবি। বাংলা সাহিত্যে তখনো গদ্য প্রচলিত হয়নি। গদ্যের জনক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। বাংলা সাহিত্য গদ্যের আগে কাব্যে গদ্য দেখা যায় মাইকেল মধুসূদন দত্তের কাছ থেকে। অনেক সমালোচক মাইকেল মধুসূদন দত্তকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম আধুনিক কবি বলে মনে করেন। অনেকে মনে করেন রবীন্দ্রনাথকে, কেউ কেউ আরো পরবর্তী ত্রিশের কবিদেরই মনে করেন প্রথম আধুনিক কবি। প্রথম আধুনিক বাংলা কবিতা পাই মাইকেলের নিকট থেকেই সেজন্য বলা যায় তিনিই আধুনিক বাংলা কবিতার জনক। তিনি মেঘনাদবধ মহাকাব্য এবং চতুর্দশপদী কবিতা লিখেই বিখ্যাত হন। যদিও বছর সাতেকের সাহিত্য জীবনে লিখেছেন আরো তিনটি কাব্যগ্রন্থ। তিনিই বাংলা সাহিত্যে প্রবর্তন করেন মহাকাব্য, সনেট ও মনোনাট্যের। তিনিই চৌদ্দ মাত্রার পয়ারে আট-ছয়ের চাল ভেঙ্গে দেন এবং আঠারো মাত্রার মহাপয়ার রচনা করেন। তিনি ১৮৬০ সালে তার পদ্মাবতী নাটকে অন্তমিল বর্জন করে শুরু করেন গদ্য কবিতার মতো সংলাপ। এই প্রচেষ্টা পাই তার রচিত দুটি প্রহসন ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’ তে। এগুলোই সম্ভবত আমাদের গদ্য বা গদ্য কবিতার সূচনা। অর্থাৎ আমাদের আধুনিক কবিতা এবং গদ্য কবিতার বয়স সমান।

চর্যাপদ বাংলা হলে, চর্যাপদ থেকে মধ্যযুগ পর্যন্ত আমাদের সাহিত্য মানেই পদ্ম সাহিত্য। রবীন্দ্রনাথ শুরু করলেও গদ্য কবিতা পূর্ণতা পায় ত্রিশের কবিদের হাতেই। এর আগে গোবিন্দচন্দ্র দাস থেকে নজরুল ইসলাম পর্যন্ত ছন্দের দিকে দৃষ্টি রেখেই কবিতা রচনা করেছেন। একই সালে (১৮৯৯) জন্মগ্রহণ করলেও নজরুলের চেয়ে ভিন্নধারায় কবিতা লিখেন জীবনানন্দ দাশ। জীবনানন্দের ‘ঝরা পালক’ অন্তমিলের কাব্যগ্রন্থই, ধূসর পাণ্ডুলিপিতে তিনি প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। মৃত্যুর পরে প্রকাশিত ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থও একই ধারার। তিনি তার প্রতিভার চূড়ান্ত স্ফুরণ ঘটান ১৯৪২সালে ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থে। বনলতা সেন কবিতাটি অন্তমিলের কবিতা তবে এখানেই তিনি রচনা করেন ‘হাওয়ার রাত’, ‘আমি যদি হতাম’ ও ‘নগ্ন নির্জন হাত’ এর মতো অসাধারণ গদ্য কবিতা। তাঁর ‘সাতটি তারার তিমির’ কাব্যগ্রন্থের ‘আকাশলীনা’ কবিতটিও অসাধারণ গদ্য কবিতা- সুরঞ্জনা, ওই খানে যেয়ো নাকো তুমি;/ বলোনাকো কথা ওই যুবকের সাথে/ ফিরে এসো সুরঞ্জনা/ নক্ষত্রের রূপালী আগুন ভরা রাতে। তিনিই প্রথম সফল ও সার্থক গদ্য কবিতা রচনা করেন। ‘বনলতা সেন’ যেমন জীবনানন্দের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ তেমনি নজরুলের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’। অগ্নিবীণার ১৮ বছর পরে প্রকাশ পায় বনলতা সেন। বাংলা জনপ্রিয়তম কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে এদুটি অন্যতম। নজরুল বিদ্রোহী কবিতা লিখেছেন ৬ মাত্রার মুক্তক মাত্রাবৃত্তে। ত্রিশের প্রধান পাঁচ কবির অন্যরা হলেন অমীয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দে, বুদ্ধদেব বসু ও সুধীন্দ্রনাথ দত্ত। ত্রিশের দশকের আরো গুরুত্বপূর্ণ কবি রয়েছেন- প্রেমেন্দ্র মিত্র, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রমুখ। অবশ্য এই দুই জনের সাথে বুদ্ধদেব বসুকে মিলিয়ে কল্লোল যুগের প্রধান তিন কবিও বলা হয়। ত্রিশের কবির মধ্যে সুধীন্দ্রনাথ কবিতা লিখেছেন মাত্র ১৩০টি, যদিও কাব্যগ্রন্থ ৭টি। তার কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আগেই রবীন্দ্রনাথকে লিখেছিলেন, আমার মনে হয় কাব্যের প্রধান অঙ্গ লিরিসিজম নয় ইনটেলেকচুয়ালিজম। ত্রিশের কবিরাই মূলত আধুনিক গদ্য কবিতার পুরোধা। সমসাময়িক কবি জসীম উদ্দিন পল্লীকবি খ্যাতি লাভ করেছেন, কিন্তু গদ্য কবিতার দিকে হাঁটেন নি। মাত্রাবৃত্ত ও স্বরবৃত্ত ছন্দে তিনি মধ্যযুগের মতো কাহিনী কাব্য রচনা করেও আলোচিত হয়েছেন। এরপরেও অনেকে বলেন, কবিতায় আধুনিকতা এসেছে চল্লিশের দশকে। নজরুলের পরে এই চল্লিশের দশকেই বেশ কয়েকজন মুসলমান আধুনিক কবিকে পাই- ফররুখ আহমদ, আহসান হাবীব ও সৈয়দ আলী আহসান এর মধ্যে প্রধান। চল্লিশের দশকের অন্যতম প্রধান কবিও এই তিন কবি। সৈয়দ আলী আহসান ভাঙা গদ্য ও টানা গদ্য কবিতাও লিখেছেন। সাতচল্লিশে দেশ বিভাগের পরে কবিরাও ভাগ হয়ে গেছেন। হিন্দু স¤প্রদায়ের কবিরা চলে যান পশ্চিম বঙ্গে। এদের মধ্যে বিনয় কুমার মজুমদার এবং সুনীল গঙ্গোপাধ্যরা দেশভাগের কারণে বাংলাদেশের কবি না হয়ে ভারতের কবি হয়েছেন। এই দেশভাগে ঢাকা কেন্দ্রিক কবিদের উত্থান ঘটে। ঢাকা কেন্দ্রিক সাহিত্যের নেতৃত্ব দেন মুসলমান কবিগণই। এরাই পশ্চাশ ও ষাটের দশকের কবি হিসাবে স্বীকৃতি পান। এরাই হয়ে উঠেন বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম আধুনিক কবি। হাসান হাফিজুর রহমান, সুফিয়া কামাল প্রমুখ কবিরা এ সময় সমহিমায় উঠে আসেন। মধ্য পঞ্চাশের আরেক প্রধান কবি আল মাহমুদ। তবে আধুনিক বাংলা সাহিত্যে ধর্মীয় বিভেদ কখনোই সৃষ্টি হয়নি। ফলে বাংলাদেশে এখনো নির্মলেন্দুগুণ, মহাদেব সাহা, অসীম সাহা অন্যতম প্রধান আধুনিক ও গদ্য কবি। সুভাষ মুখোপাধ্যায় আর শক্তি চট্টোপাধ্যায় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন প্রকৃত প্রস্তাবে তুমুল গদ্য কবিতা লিখেই। বিনয় মজুমদার তার ‘ফিরে এসো চাঁকা’ কাব্যগ্রন্থে সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরণের আধুনিক গদ্য কবিতা রচনা করেন। আর সুনীল রচনা করেন অনেকগুলো পাঠকপ্রিয় গদ্য কবিতা।



ষাটের দশকের কবিদের মধ্যে প্রধান কবি বলা হতো শামসুর রাহমানকে। ষাটের কবিরা গদ্য কবিতায় সম্পূর্ণতা এনেছেন। এদের মধ্যে শুধুমাত্র আল মাহমুদই পরিচিতি পেয়েছেন সনেট লিখে। অন্যদের সফল বিচরণ গদ্য কবিতায়। শামসুর রাহমান শুরুতে মাত্রাবৃত্ত ছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে তিন ছন্দেই লিখেছেন কিন্তু তিনি শামসুর রাহমান হয়ে উঠেছেন গদ্য কবিতা লিখেই। শামসুর রাহমানের অনেক গদ্য কবিতা মুক্তক অক্ষরবৃত্তে সাজানো। তিনি মুক্তিযুদ্ধের এবং শহরের আধুনিক কবি হিসাবেই নিজেকে মেলে ধরেছেন। তিনি মাত্রাবৃত্ত ছন্দ, স্বরবৃত্ত, গদ্য ছন্দ কিংবা সনেট সর্বত্রই সাবলিল কিন্তু মুক্তক অক্ষরবৃত্ত তার সাভাবিক ছন্দ। শামসুর রাহমানের পরে গুরুত্বপূর্ণ কবি আল মাহমুদ। একইভাবে তিনিও শুরু করেছিলেন ছন্দোবদ্ধ কবিতা লিখে। তার প্রথম দুটি কাব্যগ্রন্থে গদ্য কবিতা ছিল মাত্র একটি করে। তৃতীয় এবং সবচেয়ে আলোচিত ‘সোনালী কাবিন’ কাব্যগ্রন্থে গদ্য কবিতা দাঁড়ায় ৮টিতে। সা¤প্রতিক কয়েকটি কাব্যগ্রন্থে তিনি শুধুমাত্র গদ্য কবিতাই লিখেছেন। আমাদের প্রধান কবিদের হাত ধরে এভাবেই পদ্ম কবিতাকে ছাপিয়ে স্থান করে নিচ্ছে গদ্য কবিতা। আল মাহমুদ গদ্য কবিতা লিখে আলোচনায় আসেন নি, আলোচিত হয়েছেন সোনালী কাবিন কাব্যগ্রন্থের সনেটগুলো লিখে। তবু তার শেষ আশ্রয় গদ্য কবিতায়। আমাদের আরেকজন গদ্য কবি শহীদ কাদরী। তার জনপ্রিয় কবিতাগুলো গদ্য। তবে তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেলে কবিতাও তাকে ছেড়ে চলে যায়। রফিক আজাদ, মো: রফিক, হুমায়ুন আজাদ এর অধিকাংশ কবিতাই গদ্য কবিতা। এর মধ্যে হুমায়ুন আজাদ তার শেষ কাব্যগ্রন্থ ‘পেরোনোর কিছু নেই’ কাব্যগ্রন্থে ছন্দ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিলেন। হয়তো গদ্য কবিতাতেই কাব্য সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পায়। গদ্য কবিতা কবিতার বিবর্তনের আধুনিকতম রূপ।

বিশ শতকের শেষ কয়েক দশক ও একুশ শতকের শূন্য দশকে এসে আমরা অসংখ্য তরুণ প্রতিশ্র“তিশীল কবির দেখা পাই। কিন্তু একুশ বছর বয়সে নজরুল, সুকান্ত যে রকম জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এ প্রজন্মে তা দেখা যায় নি। বদরে মুনীর, আলফ্রেড খোকন, কামরুজ্জামান কামু, রহমান হেনরী, টোকন ঠাকুর, সরকার আমিন, ব্রাত্য রাইসু, তপন বাগচী, সুব্রত অগাস্টিন গোমেজ, রেজাউদ্দিন স্টালিন, আবু হাসান শাহরিয়ার, জাহিদ হায়দারসহ আরো অনেকে কবি স্বীকৃতি পেয়েছেন। এরা গদ্য কবিতার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, এগিয়ে নিচ্ছেন। কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ সহজ হওয়া বা অনেক বেশি কবিতা লেখায় তাদের কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা অনেক। কিন্তু একটি বহুল আলোচিত কবিতা এদের কাছ থেকে আসেনি। আরো আগে রুদ্র মোহাম্মদ শহিদুল্লাহর ‘বাতাসে লাশের গন্ধ’ তুমুল আলোচিত হয়েছিল। হেলাল হাফিজ প্রকৃতপক্ষে একটি কাব্যগ্রন্থই রচনা করেছেন, ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। এই কাব্যগ্রন্থের ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ (এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়)সহ বেশ কয়েকটি গদ্য কবিতা জনপ্রিয়তা পায়।

কবিতার উদ্দেশ্য, পরিধি, গঠন, কৌশল, ছন্দ, আবৃত্তি ইত্যাদি কারণে দশকে দশকে বদলে গেছে কবিতা। কবিতার পরীক্ষা নিরিক্ষা হয়েছে নিয়মিত। রবীন্দ্রনাথের জীবীতাবস্থায় ত্রিশের কবিরা কবিতা বদলে দিয়েছেন। এই রেশ কাটতে না কাটতেই হাজির হয়েছের চল্লিশ-পঞ্চাশ-ষাটের কবিরা। এই বিবর্তন ধারায় বাংলা কবিতা সমৃদ্ধ হয়েছে। এই চেষ্টার পেছনে রয়েছে মানুষ যাতে কবিতা থেকে দূরে চলে না যায়, সাধারণ মানুষের ভাষা থেকে বিচ্ছিন্ন না হয়ে যায়। গদ্য ভাব প্রকাশের সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম। ছন্দবদ্ধ কবিতা যথাযথ ভাবপ্রকাশের গতির সাথে চলতে পারতো না। তাই অনিবার্য ছিল গদ্য কবিতার। এতে কবিতার সুসময় ফিরে এসেছে তা নয়। তবে কবিতা মাঝে মাঝে তীব্র আলোর ঝলকানি ছড়িয়েছে। সেটা গদ্য কবিতার কারণেই। শামসুর রাহমানের ‘স্বাধীনতা তুমি‘ কবিতাটি স্বাধীনতা নিয়ে লেখা যে কোন প্রবন্ধ, গল্প-উপন্যাস, ইতিহাসের চেয়ে শক্তিশালী। এই গদ্য কবিতাটি মানুষ গ্রহণ করেছে বিপুলভাবে। শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো?’ সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের, ‘কেউ কথা রাখেনি’, সুকান্ত ভট্টাচার্যের ‘ছাড়পত্র’, গদ্য কবিতা হলেও বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কবিতা গদ্য না পদ্ম কাঠামোর, তার চেয়ে বড় হয়ে উঠে মানের বিষয়টি। আবার অসংখ্য গদ্য কবিতা পাঠক প্রিয়তা পায়নি দুর্বল গঠন ও দুর্বোদ্ধতার জন্য। কবিতার মধ্যে সৌন্দর্যতা থাকলে তা পাঠক গ্রহণ করে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৫৮

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ০৫ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২

সুপান্থ সুরাহী বলেছেন:
চমৎকার অবজার্ভেশন!

ভাল লাগলো বাংলা কবিতার বাঁক অনুবাঁক নিয়ে আপনার লেখা...

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: Thanks.

৩| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:০০

বালক৪২০ বলেছেন: দারুন লিখেছেন।গদ্য কবিতার লেখার কোন নিয়ম আছে?যেমন মাএাবৃও,অক্ষরবৃও,স্বরবৃও

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: গদ্য কবিতা হতে পারে, গদ্যে পদ্ম লেখা।

৪| ০৫ ই জুন, ২০১৩ রাত ১১:৫১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভালো লাগলো।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ০৬ ই জুন, ২০১৩ রাত ১:২৫

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভালো লাগল
প্লাস লন

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪

মুজিব রহমান বলেছেন: Thanks.

৬| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: @বালক৪২০- ছন্দ কবিতার অপরিহার্য অঙ্গ। ছন্দই গদ্য থেকে কবিতাকে আলাদা করে। গদ্য কবিতা লেখা হয় প্রধানত: অক্ষরবৃত্ত (রবীন্দ্রনাথের ভাষায় মিশ্র কলাবৃত্ত ) ছন্দে। মাঝে মাঝে মাত্রাবৃত্ত ছন্দেও লেখা হয়। স্বরবৃত্ত ছন্দে গদ্য কবিতা লেখা হয় কিনা জানা নেই। এটা ছড়া বা অন্ত্যমিলসহ লেখা কবিতার জন্যই উপযোগী। আরেকটা কথা, গদ্য কবিতায় মাত্রা সমতার বিষয়টি অপরিহার্য বিবেচিত হয় না। আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মুজিব রহমান বলেছেন: অক্ষরবৃত্ত কবিতাকে গদ্য কবিতা বলা যায় না, নাকি? মাত্রাবৃত্ত, স্বরবৃত্ত ইত্যাদির বাইরেই লেখা হয় গদ্য কবিতা।

৭| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: অনেক কিছু জানতে পারলাম ।
ভালো লাগলো আর পোস্ট প্রিয়তে নিলাম ।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১০ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩২

তুষার আহাসান বলেছেন: পোস্ট প্রিয়তে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬

মুজিব রহমান বলেছেন: Thank you.

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: Click This Link

২৩ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আপনার বিপুল লেখা কিন্তু আমার আগ্রহ সাহিত্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.