নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাওলানা সফি ইসলামের বিরুদ্ধে বলেন নি।

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬

সাম্প্রতিক সময়ে হেফাজতের সফি সাহেবকে নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সফি সাহেব যে সব কথা বলছেন তা নতুন কোন কথা নয়। আমার শৈশব থেকেই ওয়াজ মাহফিলে এ ধরনের কথা শোনে আসছি। আমার মনে আছে একবার রংপুর থেকে যাচ্ছিলাম পায়রাবন্ধ। আমার সঙ্গী দুজন খ্রীস্টান মহিলা। গাড়িতে সায়েদী সাহেবের ওয়াজ শুনে খুব লজ্জা পাচ্ছিলাম। ওনি মেয়ে বাছুর নিয়ে অশালীন ভাষায় ওয়াজ করছিলেন। সফি সাহেবের ওয়াজ নিয়ে তসলিমা নাসরিনের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। আমার ভাল লেগেছে যে, তসলিমা সঠিক কথাটি বলেছেন। আজ যতটা রাজনৈতিক কারণে আমরা সফি সাহেবকে নিন্দা করছি ততটা অন্যদের করছি না। বাঙ্গালি মুসলমানদের অধিকাংশই ভিতরে ভিতরে মাওলানা সফির মতো। এরা নারী সাধীনতায় বিশ্বাস করে না। হুমায়ূন আজাদ বলে ছিলেন, বাংলাদেশে নারীবাদের কোন জননী নেই, জনক আমি। তিনিও প্রকৃতপ্রস্তাবে নারী স্বাধীনতার জনক ছিলেন না। এদেশে কোন পুরুষই নারী স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। সম্প্রতি দুজন নারীর বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগ উঠেছে। আমারা ছি ছি করছি। ড. ইউনুস সাহেব কোথায় যেন সমকামীদের প্রতি অনাচারের বিরুদ্ধে বলেছিলেন। তাতে কিন্তু আওয়ামীলীগ সমর্থক পত্রিকাগুলোও সরব। কিছু মৌলবাদী আবার ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে শ্লোগান তুলছেন। আশ্চর্য হই এরা না বুঝেই সর্বদা শ্লোগান তুলে। ইউনুস তো সমকামীতার পক্ষে বলেন নি, বলেছেন তারা যেন নির্যাতিত না হয় সে বিষয়ে। তারাও মানবাধিকার প্রাপ্য। আমি একবার হুমায়ূন আজাদ স্যারের সাথে একই প্রাইভেট কারে ঢাকা যাচ্ছিলাম। তাকে আফগানিস্তানের অবস্থা নিয়ে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বলেছিলেন, আফগানে যা হচ্ছে তা ইসলাম বিরোধী নয়। সেভাবে আজ আমি বলতে পারি, মাওলানা সফি সাহেব যা বলেছেন তা ইসলাম বিরোধী নয়। তিনি পর্দার তীব্রতার কথা বলেছেন, এটা ইসলাম সমর্থন করে। তিনি নারীদের তেতুলের সাথে তুলনা করেছেন। তিনি যে অর্থে তেতুল বলেছেন তা ইসলাম সমর্থন করে। আমরা বর্তমান পৃথিবীতে অনেক ধর্মীয় বিধানই মেনে চলি না। এটাও একটি অধিকার। সব ধর্মের মধ্যেই এ ধরণের সমস্যা রয়েছে। আমি মনে করি ইসলাম অনেক আধুনিক ধর্ম, অন্য অনেক ধর্মের চেয়ে। ধর্মকে ধর্মের স্থানে থাকতে দিন। ধর্মের প্রভাব আধুনিক মানুষ অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। আগামী শত বছর পরে হয়তো বিজ্ঞানের আরো জয় জয়াকার হবে। আজ ইউরোপ আমেরিকায় বিজ্ঞান ধর্মের চেয়ে শক্তিশালী। বাংলাদেশেও হতে পারে। কিন্তু ধর্ম নিয়ে উগ্রতা সৃষ্টি, হানাহানি করলে তা কখনোই বিজ্ঞান মনষ্কতার জন্য সুফল বয়ে আনবে না। কমুনিস্টরা পছন্দ করে ইসলাম বিরোধীতা। এটা করতে গিয়ে বাংলাদেশে তার শূন্য হয়ে যাচ্ছে। আমরা দেখছি প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মকে ব্যবহার করছে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য। ধর্মকে গালি দিয়ে তাকে পক্ষে আনা যাবে না। ধর্ম একটি বিশ্বাস, বিশ্বাসীদের অধিকার রয়েছে তাদের ধর্মের বিধানাবলী প্রচারের, আপনার অধিকার রয়েছে সেগুলো মানার বা না মানার।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮

অপরিপক্ক বলেছেন: আসলে আমাদের স্কুলগুলোতে কোরান পড়ানো হয়না। এটা করলে অনেক সমস্যার সমাধানই আমরা নিজেরাই করতে পারতাম

২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: !! Sorry??

২| ২৬ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৬

টুন্টু কুমার নাথ বলেছেন: বিজ্ঞানের সূত্র অনুসা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.