![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
আমার নিজের মেয়েটি আবারো বিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার হল। ভাগ্যকুল হরেন্দ্রলাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে নির্যাতন করা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার কন্যা উক্ত বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী, রোল ১, শাখা - ক এবং ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্ত। গত ০৭-০৪-২০১৪ তারিখে বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জনাব আব্দুল মান্নান সাহেব শ্রেণিকক্ষে নবদূত গাইড বই না নেয়ার অপরাধে(!) নির্মমভাবে বেত দিয়ে ৪০জন ছাত্রীকে প্রহার করে। (এখানে গাইড বই ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে)। এতে আমার কন্যা প্রহারের যন্ত্রণা ও আতঙ্কে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা ধরাধরি করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। পরবর্তীতে তার চিকিৎসার জন্য ডাক্তার ডাকতে হয়। নির্মমভাবে প্রহারের কারণে আহত মেয়েটিকে প্রহারের জন্য বিচার দিতে হয়নি, এমনিতেই ছড়িয়ে পড়েছিল। আমি ও আমার স্ত্রী চাকুরির কারণে বাড়িতেও ছিলাম না। পরদিন বিদ্যালয়ে গেলে জনাব আব্দুর রহিম ও জনাব ফেরদৌস নামের দুজন শিক্ষক তাকে বাড়িতে বলার অভিযোগে আবারো অপমান অপদস্ত করে। জনাব রহিম ইংরেজির শিক্ষক হলেও তার বিরুদ্ধে পড়াতে না পারার অভিযোগ করেছে। ভুল উচ্চারণ, শব্দের ভুল অর্থ বলায় তা ধরে ফেলায় এমনিতেই ভাল ছাত্রীদের উপর তিনি ক্ষিপ্ত ছিলেন। এবার মেয়েটিকে অপমান করে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিয়ে নিজের মনের ঝাল মিটালেন। ফেরদৌস নামের আরেক শিক্ষক কি পড়ান তা শিক্ষার্থীরা বুঝেনা; এ কারণে তিনিও শিক্ষার্থীদের পছন্দ করেন না। বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মারধর করতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন নেছার স্যার। তিনি ৩০/৩৫ বছর আগেও আমাদের পড়াতে পারতেন না, মারতেন। এখনও তার কিছু মনে থাকে না। কোন ক্লাসে গিয়ে বললেন, এই ক্যাপ্টেন কে? দাঁড়াও। ক্যাপ্টেন দাঁড়ালো কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন। একটু পড়েই ক্যাপ্টেনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মারলেন। এই ক্যাপ্টেনও আমার মেয়ে। কদিন আগে একটি বাচ্চা মেয়েকে মেয়ে অজ্ঞান করে ফেললেন। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে তাকে অভিযুক্ত করা হয়, না খেয়ে আসার। পড়াতে না পারা আরো কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধর করার ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।মূলত মেরে ভীতি তৈরি করে এরা শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। কারণ শিক্ষকরা কখনো নিজের প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীকে মারেন না। বিদ্যালয়গুলো নিম্নমানের গাইড বই প্রকাশকরে নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণ করে তা শিক্ষাথীদের কিনতে বাধ্য করে। কষ্টের বিষয়, কোন শিক্ষক মারধর করলেও তার পক্ষেই সকল শিক্ষক থাকেন। অথচ বর্তমান আইনে যে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মারবেন তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে হবে। যদি ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়েও যারা ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হন তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করতে হবে।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবশ্যই আপনি আইনগত ব্যবস্থা নিন।
নইলে এই মূখ্য আর স্বার্থপরদের বাড় বেড়ে যাবে।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২
মুজিব রহমান বলেছেন: আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে সব শিক্ষকরা আমার মেয়ের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলবে। ও এখনও মানসিকভাবে নির্যাতিত হচ্ছে। কতিপয় শিক্ষক ওকে বলছে, একজনের বাপ বুদ্ধি জীবী হইচে, মারনের বিরুদ্ধে সংগ্রম করচে।
৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩
সোহানী বলেছেন: আরে এটা কি মগের মুল্লুক নাকি !!!!!!!!!!! প্লিজ মিডিয়ারে খবর দেন। এদেশে থানা পুলিশ দিয়ে কিচ্ছু হবে না। একমাত্র মিডিয়ায় আসলেই শুধু টনক নড়ে। আপনার মেয়ের প্রতি সহমর্মিতা থাকলো। প্লিজ ওকে ধৈর্য্য ধরতে বলেন, আর হতাশ না হতে বলেন।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
মুজিব রহমান বলেছেন: মিডিয়ার বন্ধুরা চেয়েছিল রিপোর্ট করতে। আমার মেয়েকে যেহেতু ঐ বিদ্যালয়েই পড়তে হবে এজন্য আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম যাতে রিপোর্ট না করে।
৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: কইসা দুইডা চটকানা লাগায়া দেন, আমার ক্ষেত্রে হলে ছাড় পাইতোনা। আইনের গুষ্টি কিলাই.........
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬
মুজিব রহমান বলেছেন: চটকানার কাজই কেরেছে। কিন্তু শত হলেও আমাদের তারাই শিক্ষা দিয়েছেন।
৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
ক্যাচালবাজ বলেছেন: আপনার মেয়ের প্রতি সহমর্মিতা থাকলো
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৪
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪
দেওয়ান কামরুল হাসান রথি বলেছেন: মামলা করে দেন ভাই। ইদানীং আমাদের সমাজে শিক্ষক রুপি কিছু পশুর দেখা পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের সময়ও স্যাররা আমাদের মারতো। কিন্তু অকারনে কোনদিন মার খেয়েছি এখন পর্যন্ত মনে পরেনা। পৃথিবীর কোন শিক্ষিত বা সুস্থ সমাজে এই মারামারির চলন নেই।
অন্যান্য দেশে দেখা যায় বাবা মার চেয়ে স্কুলের শিক্ষক সবচেয়ে ভালো বন্ধু হয়ে থাকে।
আপনি সরাসরি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দাখিল করুন।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮
মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের শিক্ষকদের পিট্টি দেয়ার অভ্যাস হয়ে গেছে। এ থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৫
মদন বলেছেন: দু:খজনক।
গাইড বই না রাখার অপরাধে যদি এই হাল করে প্রমান সাপেক্ষে আপনি অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩১
মুজিব রহমান বলেছেন: প্রমাণ তো রয়েছেই। আমি লিখিত আবেদন করেছিলাম প্রধান শিক্ষক বরাবর। তারা সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর কোন শিক্ষার্থীকে মারবেন না।
৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৭
গুগলরকস বলেছেন: মামলা করেন
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩০
মুজিব রহমান বলেছেন: আমি চেয়েছি, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মার দেয়াটা বন্ধ হউক। সে চেষ্টাটা করেছি।
৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬
আমি অপদার্থ বলেছেন: পাঠ্য সূচির মত সৃজনশীল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া জরুরী। না হলে পিচ্চি পোলাপাইনের উপর অহেতুক মাইর চলতেই থাকবে।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৩
মুজিব রহমান বলেছেন: এজন্য আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। পিচ্চিদের মারের হাত থেকে বাঁচানো দরকার।
১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১
দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: আপনার মেয়ের জন্য সহমর্মিতা । প্রথমেই মিডিয়া ডেকে কাজ নেই, আপনি স্কুল পরিচালনা কমেটিকে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে থানায় সাধারণ ডাইরৗ করতে পারেন।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মুজিব রহমান বলেছেন: প্রধান শিক্ষককে লিখিত দিয়েছি। আমি চেয়েছি, আর যেন কাউকে পিটানো না হয় কোন কারণে-অজুহাতে।
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১০
অদ্ভূত একজন বলেছেন: ভাই আপনি এত বড় পদে থেকেও যদি কিসু না করতে পারেন, তাইলে কিসু বলার নাই। সব ওভিভাবক এক সাথে আলোচনা করে কঠোর ব্যবস্সা নিন।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মুজিব রহমান বলেছেন: আমার ধারণা ঐ বিদ্যালয়ে আর কোন শিক্ষার্থী আর নির্যাতিত হবে না।
১২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬
রোহান খান বলেছেন: আপনি এখনো বসে আছেন, সীধা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা করে দিন। দেখবেন বাসায় এসে পায়ে ধরবে আর জীবনেও এমন কাজ করবে না। সালাগুলোকে ধরে চাপকে পিঠের ছাল তুলে দিতে ইচ্ছা করছে।
১৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
পথহারা নাবিক বলেছেন: এখনো সময় আছে ব্যাবস্থা নেন নাহলে পড়ে কিন্তু বিশাল কিছু একটা হয়ে যেতে পারে।
১৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:০৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: আপনার মেয়ের জন্য সহমর্মিতা জানবেন।
দ্রুত ব্যবস্থা নিন ।
আর লোভীরে নবদূত গাইড আস্ত একটা খাওয়াইয়া দেন।
হারামীরা শিক্ষার্থীরে না পড়াইয়া ব্যবসা করতে আইসে।
শিক্ষক নামের কুলাঙ্গার।
১৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৭
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: আজ আপনার মেয়ের সাথে ভুল ব্যবহার করেছে কাল অন্যের মেয়ের সাথেও একই ব্যবহার করবে এর প্রতিকার হওয়া উচিত জোরালো প্রতিবাদ এর একমাত্র সমাধান চুপচাপ বসে থাকলে কাল আরও বড়ো অন্যায় করে ফেলবেছেলে মেয়ে অন্যায় করলে মাতাপিতাকে বলতে পারে শাসন করবেন কেনো ? শিক্ষক শিক্ষকের মতোই আচরণ করবেন ।
১৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৫৮
সংগ্রামী বালক বলেছেন: মুজিব রহমান ভাই,কিছু এমন শিক্ষক রয়েছেন যারা আসলে কিছুই জানেনা।তারাই স্কুলে গাইড বইকে প্রাধান্য দেয়।যার ফলে আমাদের দেশ শুধু পুথিগত বিদ্যায় পারদর্শী হলেও সৃজনশীলতায় একদম পিছিয়ে।আপনার মেয়ের সাথে যেমন টি হয়েছে আমার সাথেও ঠিক এমন টি হয়েছিলো ৮ম শ্রেনীতে থাকা কালীন।আমাকে এবং আরো ৬ জন ছাত্রকে পুরো ক্লাস দাড়িয়ে থাকতে হয়েছিলো শুধু বাংলা গাইড বই না আনার অপরাধে।তারপর থেকে ওইখানেই ওই স্কুলে পড়ার সমাপ্তি টানি।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মুজিব রহমান বলেছেন: শিক্ষকদের হাতে নির্যাতিত হয়ে বহু শিক্ষার্থীই লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছেন।
১৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:১৩
আরজু পনি বলেছেন:
শক্তের ভক্ত বলে একটা কথা আছে...সময় থাকতে শক্ত হোন...
মেয়ের জন্য দোয়া রইল ।।
১৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭
বাংলার রাবণ বলেছেন: আমি নিজেও একজন শিক্ষক...... ঘটনা জেনে নিজে অনেক লজ্জা পেলাম....আপনার মেয়ের জন্য দোআ রইলো..... এবং আপনাকে অনুরোধ করলাম যথাযত ব্যবস্থা নেবার জন্য....।
১৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৪২
আশীষ কুমার বলেছেন: ক্লাস টেন। টেস্ট পরীক্ষার আর বেশি কয়েকদিন বাকী। আমাদের স্কুলের বাংলা শিক্ষক এলেন তার ট্রেড মার্ক আধ হাত সাইজের জালি বেত নিয়ে। আসলে বাংলা শিক্ষক বলে কোন কথা ছিল না। উনি অঙ্ক বাদ দিয়ে সব বিষয়ই পড়াতেন (স্কুলে যেমন হয়ে থাকে)। আগের দিন কী একটা ব্যাপারে আমি দ্বিমত করেছিলাম। টপিকটা কি ছিল আজ এত বছর পরে আর মনে নেই। কিন্তু দ্বিমত ছিল স্পষ্ট। আমি তার বক্তব্যের বিরোধীতা করেছিলাম।
সেদিনের ঘটনা। উনি এলেন। এসেই বললেন, "তোরা নাকি অঙ্ক ভালো পারিস? করতো দেখি, একটা অঙ্ক।" বাংলা ক্লাসে অঙ্ক!! আমরা প্রবল উৎসাহ নিয়ে করতে লাগলাম। আশ্চর্য!! অঙ্ক মিলে না। হায় হায় এত সহজ অঙ্ক মিলে না ক্যান্? মিলে না ক্যান্....।
অঙ্ক মিলেনি! মিলেছিল বেধড়ক পিটুনি। শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে প্রত্যেককে চার-পাঁচটা করে বেতের বাড়ি। মাঝখান থেকে আমাকে বাদ দিয়ে সবাইকে মারা হয়ে গেছে। আমিতো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাকে মারেন নাই কেন? সবাইকে পাওনা বুঝিয়ে দিয়ে আমাকে ডেকে আনলেন টেবিলের সামনে। তারপর সেই আধ হাতী জালি বেতের সাতাশটা বাড়ি আমার মাথা থেকে পা পর্যন্ত...। আমি গুণিনি। সহপাঠীরা গুনেছিল। মেঝেতে শুয়ে পড়তে হয়েছিল আমাকে। কোন রকমে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, "স্যার অঙ্কটা করে দিয়ে যান"। তখনো আমি টেবিলের সামনে বাঁকা হয়ে দাঁড়িয়ে।
স্যার জীবনের প্রথম অঙ্ক করাতে গেলেন। অঙ্কতো মিলে না। মিলে না। মিলে না। হঠাৎ খেয়াল করে দেখলাম অঙ্কের ডাক ভুল। একটা খুব সহজ বীজগণিত ছিল এটা। বললাম স্যার এটার ডাক ভুল দিয়েছেন।
"...শুয়রের বাচ্চা, কয়দিন পরে টেস্ট পরীক্ষা, আর অঙ্কের ডাক ভুল ধরতে এতক্ষণ লাগলো...।" এর পর কয়টা পড়েছে পিঠে দ্রুততার জন্য সহপাঠীরা গুণতে পারেনি।
এর পর থেকে আমি স্যারের ক্লাস আর একটাও করিনি। খুব বেশি ক্লাস বাকিও ছিল না।
স্যার বেঁচে নেই। কিন্তু আমার তীব্র ঘৃণাটা রয়েই গেল।
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪১
মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত, কষ্ট লাগলো। তবে মনে হয় আমাদের সকলেরই এ ধরণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এখন শিশুদের বাঁচাতে হবে।
২০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫১
জহিরুলহকবাপি বলেছেন: আইন হওয়া উচিত এই কুমিগুলা দাড়িয়ে থাকবে তারপর প্রথমে ছাত্র-ছাত্রীরা এদের জুতাপেটা করবে (অন্যায় এর প্রতিবাদ শিক্ষার শুরু । ছোট বড় যেই অন্যায় করুক তার প্রতিবাদের শিক্ষা) । দ্বিতীয় - তাকে অভিভাবকরা “নবদূত” পেটা করবেন । তৃতীয় - এর গলায় ঝুলানো থাকে এটি বিক্রয় কর্মী, মিথ্যা শিক্ষক সাজার অপরাধে একে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
২১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বলেন কি! অবশ্যই আপনি ব্যবস্থা নিবেন। নিয়ম মাফিক যদি কাজ না হয় তাহলে পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের জানান, আমরা অবশ্যই আছি। সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি বিশাল।
আর আপনার মেয়েকে সাহস দিন।
২২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৯
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: মুজিব ভাই, আমার স্কুলবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। ৯৯% শিক্ষকই ছিলেন এরকম। কারা গ্রামের স্কুল মাস্টারী করে, তা সবাই জানে। আমি সব ক্লাশেই প্রথম হয়েছি। কিন্তু নটরডেম কলেজে ভর্তি হবার পর বুঝেছিলাম, গ্রামে কি অপদার্থ শিক্ষকের কাছে...............
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
মুজিব রহমান বলেছেন: দাদা নটরডেমে গিয়ে আমিও প্রথম শিক্ষকদের পার্থক্যটা টের পাই।
২৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৪৫
নীল জোসনা বলেছেন: দুনিয়াটা শক্তের ভক্ত , নরমের যম ।
মেয়েকে সাহস দেন । আপনি উপযুক্ত ব্যাবস্থা নেন । আজ পার পেয়ে কাল আরেকজনের মেয়ে/ ছেলে কে অন্যায় ভাবে পিটাবে ।
২৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪০
সুফিয়া বলেছেন: অবশ্যই এ সমস্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ জানাতে হবে। কোনমতেই ছাড় দেয়া চলবে না।
আপনাকে জানিয়ে রাখি যে আমিও অভিভাবক হিসেবে এ ধরনের একটি ঘটনা মোকাবেলা করেছি। আমার বোনের ছেলে মিরপুর বিসিআইসি কলেজে পড়ত আমার বাসায় থেকে। বিসিআইসি এর কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়ের বাইরে বাকী ছাত্রদেরকে ঐ কলেজের কোন কোন টিচাররা অন্য চোখে দেখত। সামান্য অপরাধ কিংবা অপরাধ ছাড়াই ওদের উপর চড়াও হতো। আমার বোনের ছেলেক একদিন ক্লাসে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলেছিল তার ক্লাস শিক্ষক। শিক্ষকের নামটি এ মুহূর্তে মনে নেই। ওর বন্ধুরা এই অবস্থা দেখে ওকে ভর্তি করে রাস্তার ঐপাড়ের হাসপাতালে। সেখান থেকে ওকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ওষধপত্র দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। আমি সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় ফিরে দেখি ওর জ্বর এসেছে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চাইলে ও যেতে চাইল না। বলল লাগবেনা, ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমার সন্দেহ হলে আমি ওর শরীরে হাত দিতেই ও চীৎকার করে উঠে। মারেরকারণে ওর ফিঠে ও সারা শরীরে দাগ পড়ে আছে। এরপর সবকিছু আমার কাছে খোলে বলে আমার বোনের ছেলেটি। মুহূর্তের জন্য আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই। সাথে সাথে কলেজের প্রিন্সিপাল বরাবরে একটি প্রতিবাদ পত্র লিখি। পরদিন অফিসে না গিয়ে আমার বোনের ছেলেটাকেসহ যাই ওর কলেজে। প্রিন্সিপালের সাথে দেখা করে চিঠিটা দিই এবং জোড়ালো কন্ঠে প্রতিবাদ জানাই এই ধরনের ব্যবহারের। বলা বাহুল্য সেই শিক্ষক পরবর্তীতে সাসপেন্ড হয়েছিল।
২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:২৯
আজীব ০০৭ বলেছেন: সহানুভুতি রইলো ...
০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫
মুজিব রহমান বলেছেন: সবাইকে ধন্যবাদ। আপনাদের সহানুভূতির কথা আমার কন্যা শুনে খুশি হবে। এজন্যও ধন্যবাদ।
২৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেছেন: আপনার মেয়ের মতো অসংখ্য কোমলমতিরা লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ হারায় শুধুমাত্র এইসব তথাকথিত শিক্ষকদের জন্য। প্রচন্ডরকম স্যাডিস্ট। কোনমতেই ছেড়ে দিবেন না। অন্যান্য অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে হেড মাস্টার এর সাথে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দিয়ে আসুন। এলাকার মুরুব্বিদেরও সাথে নিতে পারেন।
২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৫৪
মুজিব রহমান বলেছেন: লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। প্রধান শিক্ষক, শিক্ষকদের সাথে সভা করে মারধর না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু যিনি মেরেছেন এখন তিনি বিদ্যালয়ে কিছু ঘটলেই বলেন, এই ছবি তুল ব্লগে দে, ফেসবুকে দে, ইন্টারনেটে দে..। তিনি ক্লাসে গিয়ে বলেন, তোমাদের মারলে তো আবার এক বুদ্ধিজীবী চিল্লাবে... । কি করার ওনি বলতে থাকুক তবু মার বন্ধ হউক।
২৭| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:১০
জুলিয়ান সিদ্দিকী বলেছেন: বেশিরভাগ স্কুলই তারছিঁড়া আর লোভী শিয়াল টাইপের লোকজন দিয়ে চলে।
১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৯
মুজিব রহমান বলেছেন: একদম সত্য। এই শেয়ালরা শিক্ষার্থীদের মুরগীর বাচ্চা মনে করে।
২৮| ২৭ শে মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৬
নতুন বলেছেন: আপনার মেয়ের প্রতি সহমর্মিতা থাকলো
স্কুলে ছাত্র/ছাত্রীদের মারধর না করার জন্য আইন করা উচিত... কারন কিছু কিছু শিক্ষক তাদের সাথ` হাছিলের জন্য মারধর করেথাকে..
১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৫৮
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। অবশ্যই আইন এবং তার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
২৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:০৫
চড়ুই বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষার যে অবস্থা কিছু আর বলার নাই। মারধর করে কখনও পরাশুনা হইনা।
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৯
মুজিব রহমান বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। শিক্ষার বেহাল অবস্থা। এর থেকে উত্তরণ প্রয়োজন।
৩০| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৪
আমি স্বর্নলতা বলেছেন: শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর আর যখন সেই শিক্ষক এমন ব্যবহার করে তখন তার প্রতি শ্রদ্ধাটুকু আর থাকেনা। আপনি শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিন। চুপ করে অন্যায় সহ্য করবেন না।
আর আপনার মেয়েকে সাহস দিন।
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪০
মুজিব রহমান বলেছেন: ওভাবে ৪০ জন ছাত্রী গণপিটুনি খাওয়ার একটা প্রভাব ওর মধ্যে পড়েছে। আমি ওকে সাহস দিচ্ছি। শিক্ষকদের অনুরোধ করেছি, যাতে আর কাউকেই না মারা হয়।
৩১| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:৩৬
রাইসুল সাগর বলেছেন: আপনার মেয়ের জন্য দোয়া রইল। আর যত দূত সম্ভব শিক্ষা অফিসারকের জানান।এবং ব্যাবস্থা নিন। শুভকামনা নিরন্তর।
১০ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৩
মুজিব রহমান বলেছেন: শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমার পরিচিতই। তাদের জানাইনি, চেয়েছি স্কুল শিক্ষকদের সাথে কথা বলে সমস্যাটার সমাধান করতে। মেয়েটিতো ওখানেই পড়বে। তবে এটাও শিক্ষকরা ভাল চোখে দেখেনি। তারা এখন মারতে চায়, ক্লাসে গিয়ে আমার উপর ক্ষোভ ঝাড়ে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২০
আহলান বলেছেন: সব গুলোরে বেধে কুষ্টিয়ায় লুলু পাগলের আস্তানায় রেখে আসার ব্যবস্থা করুন। নতুবা সামনে আরো বিপদ আছে .... সহানুভুতি রইলো ...