![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
ফরমালিন কৃষক মেশায় না, কিন্তু তারাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়, চাপাই নবাব গঞ্জের কানসাট ঘুরে তাই মনে হল। পোকা দমন, ঝরে যাওয়া থেকে রক্ষা, বোটা শক্ত করা, ভিটামিন দেয়া ইত্যাদি কারণে কৃষকগণ ক্যামিকেল ব্যবহার করেন। কিন্তু তারা ফরমালিন ব্যবহার করেন না। কাঁচা আম পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয় কার্বাইট। মুকুল থেকে শুরু করে আম পারা পর্যন্ত কয়েকবার ওধুষ ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে সকল আমই প্রায় পাকার মুখে (ফজলী ও আশ্বিনি বাদে) ফলে এখন কার্বাইট ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। যেহেতু ফরমালিন মেশায় ব্যবসায়ীরা আম যাতে দীর্ঘদিন নষ্ট না হয় তার জন্য।
শ্রীনগর থেকে ৪২ জনের একটি টীম নাটোর-রাজশাহী-চাপাই নবাবগঞ্জ ঘুরে আজ সকালে শ্রীনগরে এসে পৌঁছেছে। টীমের নেতৃত্বে ছিলেন মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মু. জাহাঙ্গীর খান এবং মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জিএমএ লতিফ। এই দলের সাথে আমিও ছিলাম। আমি এর আগে বিভিন্ন সময়ে দেশের ৬৩টি জেলা ভ্রমণ করেছি বিভিন্ন কারণে। এবছরই এর আগে ৬৩তম জেলা হিসাবে খাগড়াছড়ি যাই। এবার চাপাই নবাবগঞ্জ যাওয়ার কারণে সারাদেশের সকল জেলা ঘুরে বেড়ানো সম্পন্ন হল। আমরা প্রথমে যাই রাজশাহীর বাঘা মসজিদ দেখার জন্য, রাস্তায় দেখি পুঠিয়ার জমিদার বাড়ি, পুঠিয়ার বৃহৎ মন্দির (এলাকাবাসী মনে করে এটি দেশের বৃহত্তর মন্দির) দেখে যাই নাটোরের দিঘাপাতিয়ার জমিদার বাড়ি দেখতে। এগুলো আমার আগেই দেখা ছিল। দিঘাপাতিয়ার জমিদার বাড়িটি উত্তরা গণভবন নামে পরিচিত। এখানে ক্যাবিনেট মিটিংও হয়েছিল। বাড়িটি আরো সৌন্দর্যমণ্ডিত হয়েছে। কিন্তু বাহিরে থাকা শ্বেতপাথরের মূর্তি চারটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আমার খুব ইচ্ছা ছিল মূর্তি চারটিকে আবারো দেখার। কিন্তু ব্যর্থ হলাম। এরপর আমরা যাই চাপাই নবাবগঞ্জের কানসাট ও ছোট সোনামসজিদ, সোনামসজিদ স্থল বন্দর দেখতে। বাংলাদেশে তিনটি স্থল বন্দর রয়েছে, বাকী দুটি হল- বেনাপোল স্থল বন্দর এবং হিলি স্থল বন্দর।
আমের হাট বসে সকাল ৬টা থেকে। কানসাট বাজার থেকে আরো বহুদূর পর্যন্ত রাস্তার পাশে কৃষকগণ আম নিয়ে আসেন। ল্যাংড়া, হিমসাগর, লক্ষণভোগ, গুটি আমই বেশি। আম কিনতে হলে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি কেনাই ভাল। এতে ভাল আম কমদামে পাওয়া যায়। ওখানে ল্যাংড়া আম এর মূল্য প্রতি মন (৪৬ কেজি) ১৬শ থেকে ২৪শ টাকা করে। প্রতি কেজির দাম গড়ে ৪৫ টাকা কেজি। হিমসাগরের দাম সবচেয়ে বেশি। এটি ২২শ থেকে ৩৪শ টাকা পর্যন্ত মন। প্রতিকেজির দাম ৬০ টাকা করে। এর পর আম মাপতে হবে আড়তে নিয়ে, ৪০ টাকার কার্টুন কিনে প্যাকিং করতে হবে। এখানে আড়তে কিছু টাকা দিতে হবে। যদি অন্যদের দিয়ে প্যাকিং করার তারও ব্যয় আছে। আমরা শ্রীনগরে খোঁজ নিয়ে দেখি আমের দাম শ্রীনগরে হিমসাগর ৭০/৭৫ টাকা কেজি এবং ল্যাংড়া ৫৫/৬০ টাকা কেজি। সব খরচ দিয়ে তেমন লাভ নেই বটে তবে ফরমালিন-কার্বাইট জুটি ছাড়া আম পাওয়া আর কি? কানসাট থেকে গাছও কিনতে পারেন। আমের চাড়াও কেনা যায়। ফজলীর চাড়া ১০০-১৫০ টাকা, ল্যাংড়া/হিমসাগর ১৭৫-২০০ টাকা দরে কিনতে পারবেন। তবে দেখে নিতে হবে কলমের পরে নতুন শিকড় বের হয়েছে কিনা।
©somewhere in net ltd.