![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
এই খানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে
তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে।
জসীম উদদীনের কবর কবিতা বাংলা সাহিত্যেও অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। অস্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় দেশব্যাপী এটি আবৃত্তির প্রতিযোগিতা হয়। তখন আমি লম্ব ও লিকলিকে ছিলাম। পাঞ্জাবী ও দাঁড়ি টুপি লাগিয়ে বুড়ো †সজে আবৃত্তি করে বেড়াতাম। কেউকেউ ভাবতো আমি কোন বুড়োই। আমার সাথে ফারুক নাতির চরিত্রে থাকতো। এখনো আমাদের এলাকার বহুজন তাকে নাতি বলেই ডাকে। ও আমাকে নানা বলে সম্বোধন করে এখনো। আমাদের সাহিত্যমোদী শিক্ষক ছিলেন আলী ইমদাদ স্যার। তিনি আমাকে মাত্রা ধরে ধরে কবিতাটির আবৃত্তি শিখিয়েছিলেন। গত শুক্রবার আমার মেয়েকে পড়ে শোনাতে গিয়ে দেখি আমার চোখে অশ্রুর প্লাবন চলে আসছে, দুগাল বেয়ে অঝরে ঝরছে শেষ দিকে বাষ্পরুদ্ধ হয়ে যাই। কবিতাটির শক্তি দেখে এখনো বিস্মিত হই।
এতটুকু তারে ঘরে এনেছিনু সোনার মতন মুখ,
পুতুলের বিয়ে ভেঙ্গে গেল বলে কেঁদে ভাসাইতো বুক।
স্ত্রীকে তীব্র ভালবাসা দিয়েছেন, কত আনন্দ, হাসি তামাশায় সময় অতিবাহিত হয়েছে। এরপর মৃত্যুর হৃদয়বিদারক মিছিল।
তারপর এই শূন্য জীবনে যত কাটিয়াছি পাড়ি
যেখানে যাহারে জড়ায়ে ধরেছি সেই চলে গেছে ছাড়ি
পুত্র, কন্য, পুত্রবধু, নাতনির মৃত্যুর করুণ গাঁথা নিয়ে এই কবিতা। রচনাশৈলীতে রবীন্দ্রনাথের দুই বিঘা জমির সাথে কিছুটা তুলনা করা যায়। অনিন্দ্য এই কবিতাটি যদি আবারো দেশব্যাপী আবৃত্তির ব্যবস্থা করা যেত তাহলে এখনকার শিক্ষার্থীরা দেশের একটি শ্রেষ্ঠ কবিতার স্বাদ আবারো পেতো। আমার জীবনে এই কবিতাটির অবদান অনেক। মানুষ চীরদিন বেঁচে থাকে না, কবর দেশেতে ঘুমাতে হবে; তা আমার ভিতরে এই কবিতাটিই ঢুকিয়ে দিয়েছিল।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৮
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কবিতাটির সম্মোহন ক্ষমতা অসাধারণ ।
৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৮
হানিফঢাকা বলেছেন: আমার প্রিয় কবিতা। আমার প্রিয় দুইটি লাইনঃ
"আমারে ছাড়িয়া এত ব্যাথা যার কেমন করিয়া হায়
কবর দেশেতে ঘুমিয়ে রয়েছে নির্জন নিরালায়"।
৪| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত অনেকগুলো বানান ভুল ছিল বলে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১২
নাবিক সিনবাদ বলেছেন: আমার প্রিয় ১টি কবিতা।