নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারি নাই, আপনি পারেন?

১৪ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০০

শাহজাহান বাচ্চু ভাই খুন হওয়ার পরে আমার দুজন হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধু প্রায় একই রকম প্রশ্ন করলো, পৃথিবীতে মুসলিমরাই কি নিজেরা হানাহানি করে সবচেয়ে বেশি মরছে?
তারা প্রেক্ষাপটও ব্যাখ্যা করলো, এই যে ইয়েমেনে সৌদীজোটের হামলায় অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে। সিরিয়া, আইএস ইস্যুতে মুসলিম দেশগুলোর ভিন্ন অবস্থান, আফগানিস্তানে তালেবান বনাব আইএসের দ্বন্দ্ব, কাতারের উপর সৌদী আরবের অবরোধ, পাকিস্তানে জঙ্গীদের তাণ্ডব... ইত্যাদি। এছাড়া বাংলাদেশেও মুসলিম লেখক, প্রকাশক, ব্লগার ও বুদ্ধিজীবীগণ মুসলিম উগ্রপন্থীদের হাতে খুন হচ্ছেন। এটা কি অন্য কোন ধর্মে আছে?
আমি বলার চেষ্টা করি, এটা দেশগুলোর শিক্ষার মান, বিজ্ঞান চর্চা - বিজ্ঞানমনষ্কতা ও মানবিকতার বিকাশ ইত্যাদির উপর নির্ভর করে। কয়েক শ বছর আগে ইউরোপেও খৃস্টানরা মুক্তচিন্তার মানুষের উপর এভাবে নিপিড়ন করতো। ব্রুনোকে হত্যা করা হয়েছে, গ্যালিলিওকে খৃস্টানরাই অসম্মান করেছে। এখন ভারতেও গোরক্ষার নামে বেশ কয়েকজন মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে, গোমাংস খাওয়া বা রাখার অভিযোগ তুলে। ইউরোপ শিক্ষায়, বিজ্ঞান চর্চায়, মানবাধিকার ও অর্থবিত্তে এগিয়ে যাওয়ার পরে ওরা অনেকটা সভ্য হয়ে উঠেছে। এখন ওসব দেশে বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষই সংখ্যাগরিষ্ঠ। চীন জাপানে ধর্মবিশ্বাসী মানুষের মধ্যে বৌদ্ধরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ওসব দেশের বৌদ্ধরা সহনশীল কিন্তু মিয়ানমারের বৌদ্ধরা সহনশীল নয়। এমনকি ইহুদিদের রাষ্ট্র ইসরাইলেও কোন ইহুদীকে অন্য ইহুদী ভিন্নমতের কারণে এভাবে হত্যা করে না। ওরা জ্ঞান-বিজ্ঞানে এতোটাই অগ্রগতি করেছে যে, সারা পৃথিবীতেই ওদের সংখ্যা মাত্র ১ কোটি ৪০ লক্ষ হওয়া সত্বেও, ওদের সাথে মুসলিম জাহানের ১৪০ কোটি মানুষ একত্রিত হয়েও পারছে না। এখন সংখ্যার চেয়ে মান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে মুসলিমরাই শুধু নয় ও হিন্দুরা এগিয়ে যেতে পারে নি।
জবাব দিতে গিয়ে অপ্রাসঙ্গিক কথা বলেছি কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করতে পারিনি কারণ আমার কাছেও একই রকম তথ্য রয়েছে। এ প্রশ্ন আমাকেও লজ্জিত করে। আমিও চাই শুধু মুসলিমরাই নয়, সব ধর্মের মানুষই মানবিক গুণাবলীতে আলোকিত হোক। শুধু নিজ ধর্মের মানুষের হাতেই নয়, কারো হাতেই যেন কেউ খুন না হন।
রমজান মাসে শাহজাহান বাচ্চু ভাইর হত্যাকাণ্ডে বহু কট্টরপন্থীই উল্লাস প্রকাশ করেছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ খুশি হয়েছে। অথচ তারাও বলে, রমজান সিয়াম সাধনার মাস। এই রমজান মাসে সংঘটিত একটা হত্যাকাণ্ড যাদের খুশি করেছে, তাদের কোনভাবেই মানবিক বিকাশ ঘটেনি। তারা আত্মসংযমের প্রকাশ ঘটাতে পারেননি। তারা কৃচ্ছপূর্ণ জীবনযাপনের মাধ্যমে রিপুকে দমনের পরিবর্তে জিঘাংসায় মেতে উঠলেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে খুন করেছে সেই দিতে পারবে এই প্রশ্নের উত্তর...

২| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:১০

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন:


প্রশ্ন: পৃথিবীতে মুসলিমরাই কি নিজেরা হানাহানি করে বেশি মরছে?

উত্তর: না। না এর পক্ষে তথ্য --

১. দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ লোক মারা যায়। যারা ধর্ম বিশ্বাসে খ্রিস্টান। যেমন-জার্মানের হাতে ব্রিটিশ। উভয়েই খ্রিস্টান। কিন্তু ইতিহাসে কোথাও লেখা নাই খ্রিস্টানের হাতে খ্রিস্টান নিহত হয়েছে। লেখা আছে জার্মানদের হাতে ব্রিটিশ নিহত হয়েছে।

২. বলা হয় হিটলারের হাতে ৬০ লক্ষ্য ইহুদি নিহত হয়েছে। বলা হয় না খ্রিস্টানের হাতে ৬০ লক্ষ্য ইহুদি নিহত হয়েছে অথবা বলা হয় না জার্মানদের হাতে ৬০ লক্ষ্য ইহুদি নিহত হয়েছে। ধরা যাক, আব্দুল করিমের হাতে ৬০ লক্ষ না (কল্পনাই করা যায় না), ১০০ জন নিহত হয়েছে। এটা ইতিহাসে লেখা থাকবে মুসলমানদের হাতে ১০০ জন নিহত। আব্দুল করিম মানেই মুসলমান। অর্থাৎ আব্দুল করিমের কাজ মুসলমানদের কাজ বলে গণ্য হবে। কিন্তু হিটলার মানে খ্রিস্টান না। হিটলারের কাজ খ্রিস্টানদের কাজ বলে গণ্য হবে না। এটা শুধুই হিটলারের কাজ।

৩. ১৯৫০ সালের কোরিয়া যুদ্ধে ২৫ লক্ষ মানুষ হতাহত হয়েছে। সবাই ধর্ম বিশ্বাসে বৌদ্ধ।

৪. ১৯৪৫ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত চীন বিপ্লবে সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ হতাহত হয়েছে। ধর্ম বিশ্বাসে বৌদ্ধ বা কোন ধর্ম মানে না।

৫. ভিয়েতনাম যুদ্ধ ১৯৫৫-১৯৭৫, হতাহতের সংখ্যা হতাহতের সংখ্যায় প্রায় ২০ লক্ষ। বুদ্ধের হাতে বুদ্ধ অথবা খ্রিস্টান-বুদ্ধ।

৬. তালিকা এত দীর্ঘ হবে যে এখানে দেয়া সম্ভব না। শুধু নাম উল্লেখ করছি, কম্বোডিয়া যুদ্ধ (বুদ্ধ-বুদ্ধ), লাওস (বুদ্ধ-বুদ্ধ) .

৭. আর যদি আরো পিছন দিকে যান অর্থাৎ ষোড়শ থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত, ইউরোপের অবস্থা ভয়াবহ। সবটাই খ্রিস্টান বনাম খ্রিস্টান।

৮. মৌর্য সম্রাট অশোকের নেতৃত্বে কলিঙ্গ যুদ্ধে এক লক্ষের মত বৌদ্ধ নিহত হয়। যারা বেছে ছিল তারা (বৌদ্ধরা) পূর্ব এবং উত্তর পূর্ব দিক দিয়ে পালিয়ে চীন এবং ইন্দো-চীন অঞ্চলে চলে যায়।ইন্ডিয়াতে আর বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশ লাভ ঘটে নাই।

৩| ১৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর দিবে সরকার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.