![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
বর্তমানে বাংলাদেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবী
ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
ইলেক্ট্রোরাল ল রিফর্ম এর দুইদিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ। একটি সেশনের প্রধান অতিথি হিসাবে ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করলাম। আমাদের অফিসের বস তরিকুল গণি চেতন (সাবেক মন্ত্রী মশিউর রহমান যাদু মিয়ার পুত্র) স্যার বললেন, সম্ভবত রাজি হবেন না তবে কথা বলে দেখতে পারেন। আমি ভাবলাম একটি জেলার ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ছিলাম এবং স্যারের দেশের অর্থাৎ শ্রীনগর উপজেলার কথা বলে হয়তো রাজি করাতে পারবো। কিন্তু তিনিতো চলেন আদর্শের ভিত্তিতে। ছাত্রমৈত্রীর সম্মেলনে উদ্বোধক হিসাবে তাকে পাওয়া যত সহজ, একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে পাওয়া ততই কঠিন। তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন, এ ধরনের অনুষ্ঠানে আমি যাই না। অথচ দাওয়াত দিতে মন্ত্রী এমকে আনোয়ারের বাড়িতে, মন্ত্রী এম. শামসুল ইসলামের বাড়িতে, মানবাধিকার নেত্রী সিগমা হুদার অফিসে ইত্যাদি গিয়েছি। তারা অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। স্যার আড়িয়ল বিলে বিমান বন্দর হউক তার বিরুদ্ধে ছিলেন। এজন্য তাকে ৫ নম্বর আসামী করে মামলা দেয়া হয়। কিন্তু পরবর্তীতে কেউ কেউ বলছিলেন এই সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী নন মামলা দেয়া হয়েছে ডা. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নামে। এজাহারে অবশ্য ডা. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর নামই ছিল। কিন্তু তিনি বুঝলেন ডা. লিখলেও এই নাম তারই। সেখানে তার আরো দুই ভাইর নামও রয়েছে। যেমন আহবায়ক (১) ডাঃ ফকরুল ইসলাম চৌধুরী (৬০), কোষাধ্যক্ষ (২) আজাহার হোসেন (৫০), সদস্য সচিব (৩) সাইদুর রহমান সাইদ (৫০), (৪) ডাঃ ফয়জুর রহমান আল সিদ্দিকী, (৫) ডাঃ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী ও (৬) ডাঃ আমানুর ইসলাম চৌধুরীদের নাম। তাই তিনি মুন্সীগঞ্জে গিয়ে জামিন নিয়ে আসলেন। এই হলেন দেশের একমাত্র বুদ্ধিজীবী। বুদ্ধিজীবী হওয়ার বৈশিষ্ট এদেশে আর কারো মধ্যে নেই।
তাঁর জন্ম ১৯৩৬ সালে ২৩ জুন আমাদের শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে। তিনিও একাধারে প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, গল্পাকার, সমালোচক, কলামিস্ট, সম্পাদক, অধ্যাপক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার ইত্যাদি। বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার, পরিবেশ সুরক্ষা, দুর্নীতি প্রতিরোধ, সামাজিক ন্যায়বিচার ইত্যাদি বহু আন্দোলনের পুরোধা। তিনি মার্কসবাদী চেতনা ধারন করেন, একই সাথে প্রগতিশীল ও মুক্তমনা মানুষ। একজন নটরডেমিয়ান হিসাবেও তাকে নিয়ে গর্ববোধ করি। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের লিডস এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। অধ্যয়ন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় যোগ দেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃক দুবার উপাচার্য হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কিন্তু এটা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন দুবারই। তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন। একাশি বছর পার করেও এখন তিনি যে ‘নতুন দিগন্ত’ পত্রিকাটি সম্পাদনা করছেন তা প্রগতিশীল ও মুক্তমনের মানুষের জন্য এখনো শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
ড: সিরাজুল ইসলাম হয়তো মোটামুটি ভালো মানুষ; তবে, উনাকে বাংলার সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলতে দেখিনি, উনাকে বুদ্ধিজীবি বলা ঠিক হবে না।
৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:২৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনি ছাত্র রাজনীতিবিদ! তাই তো আপনার পোষটগুলো আগডুম বাগদুম
৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪
রাজীব নুর বলেছেন: সিরাজুল ইসলামের অনেক প্রবন্ধ পড়েছি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: Excellent job