নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাঙালির যৌন তাড়না পর্ব- চার/শেষ

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৫

পূর্ব পর্বগুলোর পর
প্রথম পর্ব Click This Link
দ্বিতীয় পর্ব Click This Link
তৃতীয় পর্ব Click This Link

১৬
সম্প্রতি ইতালিতে আবারো এক ছাত্রী বাঙালিদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হলেন। সৌদি আরবেও ধর্ষণ করে শিরোচ্ছেদের শিকার হয়েছে বহু বাঙালি। শ্বেতাঙ্গ নারীর নগ্ন পা দেখেই বহু বাঙালির স্খলন ঘটে যায় শুরুতে। এ বছর ঢাকাতেও একটি নামকরা স্কুলের এক ছাত্র, ক্লাসে শিক্ষিকার নগ্ন পেটের ছবি তুলে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়েছে। প্রবাসে গিয়েও কিছু তরুণ বিচে শুয়ে থাকা বিকিনি পরা নারীদের দেখে চোখ ফেরাতে পারে না। দেশে এসে এসব বর্ণনা করে আর তা শুনেই অনেকে শ্বেতাঙ্গীদের নগ্ন পা দেখার স্বপ্ন দেখে স্বপ্নদোষ ঘটায়।
প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির বিপুল অভিযোগ ছিল। লাম্পট্য, খুন, মিথ্যাচার, প্রতারণা, স্বৈরাচারী শাসন, ভোট ডাকাতি কি করেননি ক্ষমতায় থেকে? বহু নারীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলাটাই ছিল তার চরিত্রের বড় দিক। জেনাকে ইসলাম সমর্থন না করলেও বিপুল সংখ্যক মৌলবাদী বাঙালিকেই এরশাদের মৃত্যুর পর তার জন্য দুচোখ ভাসাতে দেখলাম। ডক্টর ইউনুস, এম শাখাওয়াৎ হোসেনসহ সুবিধাভোগীরা তার জন্য গদগদ। মিলিয়ে দেখলাম কারা এই পতিত ও প্রয়াত স্বৈরাচারের পক্ষে। অধিকাংশ ধর্মান্ধ মৌলবাদী তার পক্ষে কথা বলেছেন। এই শ্রেণিটাই লাম্পট্যে অভ্যস্ত। শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকার তারাই বেশি করেন। এরশাদকে পছন্দ করার পেছনে তার লাম্পট্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যারা লাম্পট্য করার স্বপ্ন দেখে তাদেরও একজন নেতা দরকার, কবি দরকার। এতগুলো বদগুণ একসঙ্গে আর কোথায় পাবেন তারা?

১৭
গণ সাহায্য সংস্থা (জিএসএস) এক সময় শীর্ষস্থানীয় এনজিও ছিল। শুধু মোহাম্মদপুরেই তাদের ১৭টি অফিস ভবন ছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল শুধু নির্বাহী পরিচালক মাহমুদুল হাসানের সীমাহীন লাম্পট্যের কারণে। তিনি সকাল সাড়ে ৭টায় অফিসে এসে যুবতী সুইপারকে দেখে যৌন তাড়না উপভোগ করতেন। একদিন সুইপারকে ধর্ষণ করতে গেলে ঝামেলা বেঁধে যায়। তিনি জনে জনে বলে বেড়ান তাকে ধর্ষণ করতে চাওয়ার কথা। ফাঁস হতে থাকে আরো বহু মেয়েকে ধর্ষণ ও ধর্ষণ চেষ্টার কথা। ওখানে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন নারী নেত্রী মালেকা বেগম। তিনিও অনেককাল নারীদের মুখ বন্ধ রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। শেষে বিস্ফোরণ ঘটে। সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। জিএসএস বন্ধ হয়ে যায়। বহু সুবিধাভোগী রথী মহারথীও বাঁচাতে পারেননি। প্রশিকা, আর্থ ফাউন্ডেশনসহ আরো কয়েকটি বৃহৎ এনজিওর বিরুদ্ধে দুর্নীতির সাতে নারী নিপীড়নের অভিযোগ ছিল। এসব এনজিও টিকেনি।
দাতাগোষ্ঠীর চাপে এবং কম বেতনের কারণে এনজিওতে বিপুল সংখ্যক নারীর চাকরির সুযোগ হয়। বাঙালি পুরুষের সামনে এমন ঘটনা বিরল ছিল। তাদের কাছে চোখের সামনে এমন নারী ছিল অসহনীয়। কিছু লম্পট সরকারি কর্মকর্তা মনে করতো এরা বুঝি ভোগ্যপণ্য। কিছু এনজিওর পুরুষ নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধেও এমন মানসিকতার অভিযোগ ছিল।
নারীর ক্ষমতায়নে এনজিওগুলোর বিপুল ইতিবাচক ভূমিকা রয়েছে। পাবনার একটি এনজিওর নির্বাহী পরিচালক ছিলেন মমতা আপা। তিনি প্রকাশ্যে স্বামীর পাশে বসে, পেশোয়ারে নাতনির জানালা দিয়ে হিসি করতে চাওয়ার মতো গল্প শুনিয়েছিলেন। বগুড়ায় টিএমএসএস বহুবার দেখা হয়েছে হোসনে আরা আপার সাথে। তিনি পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন হরমোনের কারণে। তাঁর স্বামীর সাথেও দেখা হয়েছে। বনিবনা ছিল না। ভদ্রলোক একদিন আমার সামনেই তাকে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করলেও কোন জবাব দেননি আপা। এই এনজিওতে কয়েকজন সাহসী ও সংগ্রামী নারী আমাকে মুগ্ধ করেছিল। বেবী দি ছিলেন খৃস্টান মেয়ে, আশ্রমে মানুষ হয়েছেন। বাবা মা কে? তারা কোন ধর্মের জানতেন না। আলোকিত মেয়ে ছিল শিমুল। যেমন মেধাবী তেমনি ব্যক্তিত্ব। মানবিক সাহায্য সংস্থার সাফিয়া আপা সাঁইত্রিশ বছর বয়সে বিয়ে করেন। শুধু ভাইবোনদের মানুষ করার ব্যয় নির্বাহ করার জন্য আগে বিয়ে করেন নি। বরিশালের পলিদের বাড়ি ছিল চরমোনাই। পীরদের বহু হুমকির মধ্য দিয়ে এগিয়েছে সাহসী মেয়েটি। বরিশাল শহরে ভাই বোনকে নিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন, তবুও হুমকিতে চাকরি ছাড়েন নি। নাসরিনকে দেখেছি ফেমাতে। ওনার জানার পরিধি ছিল বিপুল, ব্যক্তিত্বও ছিল প্রখর। এসব নারীদেরও তৈরি করেছে এনজিও। তারা নিজেদের জীবনকে সাজিয়েছেন ভোগ্যবস্তু না হয়ে।

১৮
বাঙালির যৌন তাড়নার বহুমাত্রিক প্রকাশ দেখি মহানগরের পাবলিক বাসে। নারীরা বাসে উঠার সময় পুরুষ যাত্রী ও হেল্পারগণ একটু ছুঁয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় নামে। হেল্পারগণ এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকে। নারীদের বাসে উঠতে সহযোগিতা করার নামে ওরা যৌন কামনা চরিতার্থ করে। বাস থেকে নামার সময়ও ওরা একই আচরণ করে। ওদের তুলনায় অভিজাত নারীদের প্রতি যৌন তাড়না থেকেই এটা করে। দুএকজন হেল্পারকে এই আচরণ কেন করলেন? জানতে চাইলে এক কথাই বলে, নামতে সহযোগিতা করলাম আর আপনি কি কন? সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া সড়কে আপন পরিবহনে, এক নারী যাত্রীকে নাজেহাল করার প্রতিবাদ করলে, ওরা কয়েকজন আমাকেই নাজেহাল করার করে। বাসের ভিতরে ভীর থাকলে, কিছু পুরুষ যাত্রী মওকা পেয়ে যায়। সম্প্রতি কয়েকটি প্রতিবাদ দেখলাম। লম্পট এক পুরুষ আবার উল্টো ঝাড়ি দিতে চাইলে ধমক দেই। এর একদিন আগেও এক নারীর সাথে খারাপ আচরণ করায় এক বুড়োকে ধমক দিলাম, ‘বুড়ো হচ্ছেন আর আক্কেল জ্ঞান লোপ পাচ্ছে’। বুঝি এসব যৌন তাড়না থেকেই করেন। নারীদের প্রতিবাদে কাজ হচ্ছে। আরেকটু প্রতিবাদ বাড়লে লাম্পট্যের ভক্তরা আরো কোনঠাসা হয়ে পড়বেন। কয়েকবারই নারীকে দেখেছি হেল্পারকে ধমক দিতে। নারীর সাহস দেখলে ভাল লাগে, মনে হয় সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে।

১৯
‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ ঝড় তখনও শুরু হয়নি। আমার এক নারী সহকর্মীর সাথে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার সময় শুনেছিলাম তাকে যৌন হয়রাণী করার ঘটনা। তাঁরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ছিলেন তিনি। এরশাদের নামের সাথে মিল থাকা ওই স্বাধীনতা বিরোধী ও প্রতারকের বিরুদ্ধে আরো বহু অভিযোগ উঠেছিল। সহকর্মী মেয়েটি ছিল খুবই সুন্দরী, দীর্ঘাঙ্গী কিন্তু হতাশায় ভরপুর। ওই মানসিক সংকট থেকে বহু বছর পরেও তিনি বের হতে পারেননি।
মুশফিকা লাইজু আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। তাঁর সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর অভিযোগ ছিল প্রয়াত শিক্ষক, নাট্যকার সেলিম আল দীনের বিরুদ্ধে। ওনার প্রথম ব্যাচের ছাত্রী মুশফিকা লাইজু। লাইজু ফেসবুকে লিখেছিলেন, “এই মহান শিক্ষক এক বিকালে দুটো বই আনতে তার বাসায় যেতে বলেন। সেখানেই একা পেয়ে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং চুমু খান। বড় ওভারকোট থাকায় সম্মান নিয়ে কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পাই আমি। লাইজু আপাকে ধন্যবাদ, মৃত্যুর পরও অভিযোগ উত্থাপন করার সাহস দেখানোর জন্য। তসলিমা নাসরিনও তার আত্মজৈবনিক গ্রন'গুলোতে কয়েকজন মহৎ বাঙালির যৌন বিকৃতির অভিযোগ উঠিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ফেসবুকে #মি-টুতে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে হইচই ফেলেন মডেল অভিনেত্রী মাকসুদা আক্তার প্রিয়তি। তিনি অভিযোগ করেন, বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করার পেমেন্ট আনতে রফিকুলের অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। রফিকুল ইসলাম হঠাৎ করে টেবিল থেকে উঠে এসে তার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেন। প্রিয়তি তাঃক্ষণিকভাবে সেখান থেকে বের হন। তিনি জানান, সেদিন রুম থেকে বের হয়ে একজনকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কেঁদেছেন। এরপর তিনি অপেক্ষা করছিলেন কতদিনে দেশ ছাড়বেন। অভিযোগ উঠেছিল ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক প্রণব সাহার বিরুদ্ধেও। অভিযোগকারী তারই এক সময়ের সহকর্মী ও প্রেমিকা সুপ্রীতি ধরের মেয়ে শুচিস্মিতা সীমন্তি। বর্তমানে নেদারল্যান্ডে বসবাসরত সীমন্তি অভিযোগ তুলেছিলেন, ১১ বছর আগে, যখন তাঁর বয়স ১৬ বছর, তখন তার শরীরে অভিযুক্ত ব্যক্তি বহুবার আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করেছেন। ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর ফেসবুকে #মি-টু নিয়ে অভিযোগ করে সীমন্তি লিখেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সবার অগোচরে এই বেদনা বয়ে বেড়াচ্ছিলাম। আমার হৃদয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছিল’।
সিপিডির পাবলিকেশন্স অ্যাসোসিয়েট হিসেবে কাজ করেছেন আসমাউল হোসনা। এর আগে কিছুদিন সংবাদপত্রেও কাজ করেছেন। তিনি সংবাদ পাঠক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লিখেছেন, ‘শিল্পকলার ক্যান্টিন থেকে মৎস্য ভবনের গেইটের দিকে হেঁটে যাচ্ছেলেন তিনি। জামিল আহমেদ হোসনার বাম কাঁধে হাত রেখে দুদকের অফিসের পাশ দিয়ে একটু হাঁটার অনুরোধ করেন। তখন অন্ধকার নেমেছে। রাস্তায় কোনো লোক ছিল না। কিছু বুঝে উঠার আগেই লোকটি আমাকে জোর করে ধরে চুমু খেলো আর আমার শরীরে বাজেভাবে হাত দেওয়া শুরু করল। আমি প্রচণ্ড ভয় পেলাম। তাড়াতাড়ি তাকে ধাক্কা দিয়ে মৎস্য ভবনের দিকে দৌড়াতে লাগলাম। রাস্তা পার হয়ে একটি রিক্সায় উঠে পড়লাম। ওই দিন সারারাত আমি ঘুমোতে পারিনি’।
ডেইলি স্টারের কূটনৈতিক প্রতিবেদক রেজাউল করিম লোটাসের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন তারই সাবে সহকর্মী আলফা আরজু। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ওই নারী সাংবাদিক দাবি করেছেন, ‘একদিন অফিস শেষে লোটাসের গাড়িতে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথে লোটাস তাঁর গায়ে আপত্তিকরভাবে হাত দেন’।
তাসনুভা আনান নামে এক অভিনেত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন প্রকাশনী প্রতিষ্ঠান ‘পাঠক সমাবেশ’ এর কর্ণধার শহীদুল ইসলাম বিজুর বিরুদ্ধে। তাসনুভা তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘পাঠক সমাবেশের গুলশান ব্রাঞ্চে চাকরি দেওয়ার কথা বলে একদিন শহীদুল ইসলাম বিজু তার অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে জোর করে চুমু খান এবং নিজের গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করেন। চিকৎকার করতে চাইলে বিজু দরজা খুলে দেন এবং তাসনুভা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।
জাকিয়া সুলতানা মুক্তা নামের এক তরুণী ফেসবুকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন আবৃত্তিকার মাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। মাহিদুল ইসলামের আবৃত্তি সংগঠন সংবৃতায় যুক্ত হওয়ার পর একদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে কবিতা আবৃত্তি অনুশীলনের সময় মাহিদুল ইসলাম জোর করে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছেন।
অধস্তন সহকর্মীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এ দেশে বিপুল। তবে খুব কমই প্রকাশিত হয়েছে। একুশে টিভির চিফ রিপোর্টার এমএম সেকান্দার, সহকর্মীকে যৌন নিপীড়ন করলে সাংবাদিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়। তারা আন্দোলন করেন। অভিযোগ দেয়ার পরও মনজুরুল আহসান বুলবুল কোন ব্যবস্থা না নিলে এবং নিপীড়কের সমর্থন করলে, মদতদাতা হিসেবে বুলবুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন চ্যানেলটির সংবাদকর্মীরা।
‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলন নারীদের উপর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের যৌন হয়রাণী কমাতে সহযোগিতা করেছে। তবে এটা বন্ধ হয়েছে মনে করলেই লম্পট বসরা আবারো চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

২০
যৌন তাড়নার প্রথম প্রকাশে, বিপরীত লিঙ্গের মানুষের প্রতি আকর্ষণ জন্মে। অনভিজ্ঞ তরুণ বা তরুণী প্রেমে পড়ে। অধিকাংশ সময় এ দুধভাত প্রেম বা বাছুরে প্রেম টিকে না। সমবয়সীদের প্রেমও সাধারণত পরিণতির দিকে যায় না। প্রেম যেহেতু যৌন তাড়না ছাড়া কিছুই নয়, তাই প্রেমের সফল পরিণতি, সুখী সংসারের নিশ্চয়তা দেয় না। সমমানের সঙ্গি খুঁজতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এটা হয়। কোনরূপ প্রতিষ্ঠা ছাড়া বিয়ে করলেও আর্থিক সংকট সুখ দূর করে দেয়।
আমাদের সমাজে প্রেম করে বিয়ে করার ঘটনা খুবই কম। প্রেমের ঘটনাও খুব কম। আবার প্রেমিক যুগলের সাক্ষাৎ কমই হয়। অনেকের সম্পর্ক শুরু ও শেষ ভার্চুয়াল জগতে। শুধু একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে কিছুটা সহজ। আমাদের প্রেমিক যুগলের একত্রবাস সমাজ ও আইন গ্রহণ করে না। রাশিয়ায় যারা পড়েছেন, তাঁরা বলেন, ওখানে প্রেমিক যুগল এক কক্ষে যাকতো ছাত্রজীবনেই। আমাদের প্রেমিক যুগল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে কেউ আর স্বীকার করেন না, তারা প্রেমে পড়েছিলেন। ব্যতিক্রমি ঘটনা ছাড়া কেউ স্বীকার করেন না সামাজিক নিন্দার ভয়েই।
আমাদের সিনেমা প্রেম নির্ভর ছিল, তখন তা চলেছেও। এখনকার সিনেমার কমই আধুনিক তরুণ তরুণীর প্রেম ধারন করে। খুবই নিম্নমানের সিনেমা ‘ঢাকা এটাক’ তবুও ওই প্রেমের কারণেই সফল হয়েছে। সফল ছিল বেদের মেয়ে জোছনাও। তবে এখনকার প্রেমিক প্রেমিকাদের যে চাওয়া পাওয়া বদলে গেছে, মন মানসিকতা বদলে গেছে সেটাই ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন আমাদের পরিচালকগণ। সমাজ পরিবর্তনের ধারা ধরতে পারেননি আমাদের বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদগণও। ফলে তারাও তরুণদের আগ্রহের তালিকায় নেই।
যৌন আবেগ মানুষের থাকবেই, থাকবে যৌন তাড়নাও। মানুষের অধিকার ক্ষুন্ন করে, কাউকে অসম্মান করে যেমন যৌন কামনা নিবৃত্ত করা যায় না আবার পারস্পারিক ভাল লাগা থেকে, ভালবাসা থেকে সৃষ্টি যৌন কামনাই প্রকৃত যৌন সুখ দিতে পারে। ভালবাসাহীন, প্রেমহীন যৌন কামনা প্রত্যাশিত নয়।

সমাপ্ত

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আবারও পোষ্ট টি দুইবার এসেছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত! কেন যে দুবার হয়ে গেল বুঝতে পারি নি। ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১০

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: কী করবেন!!!
বাঙালির একটা অংশ ধার্মিক হওয়ার চেষ্টা করে হয় বিরাট বকধার্মিক।
আর ধর্মের লেবাস লাগালে সব ধর্ষণ মাফ!!!

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা দেখছি দেশে ইমামদের হাতে বহু ধর্ষণ এবং এক তরফা বলাৎকার হচ্ছে। তারা শয়তানের উপর দায় চাপালেও তার কারণটা ধরার চেষ্টা করেছি। সমাজ কেন এসব অপরাধ গোপন করতে চায় তাও বুঝতে চাচ্ছি। ধর্মের নামে অপরাধ মাফ করে দিতে চাই না।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:২৩

অনল চৌধুরী বলেছেন: বাংলাদেশে চুরি-দুর্নীতি-ব্যাভিচার কোনোটাই দোষের না ,দোষ প্রকাশ্যে নিজেকে নাস্তিক বললে।
এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম করেছিলো,তই সে মোল্লাদের কাছে এতো প্রিয়।
২। ইউরোপ-এ্যামেরিকায় ধর্ষণের পরিমাণ এদেশের চেয়ে অনেক বেশী। বাঙ্গালীরা বিদেশে এসব কমই করে।
৩। দেশের পুরো মিডিয়া জগতটাই নিয়ন্ত্রণ করছে লম্পটরা।
এদের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আমাকে এখানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।
৪।দুই হুমায়ন-সৈয়দ শামসু,তসলিমা-একজন আরেকজনের চেয়ে বড় লম্পট।
৫।শিক্ষিত নামধারী বহু নারীও আছে যারা নিজেকে পতিতা বানিয়ে সব পেশায় উপরে উঠতে চায়।
৬।মুশফিকা লাইজু আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড। তাঁর সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর অভিযোগ ছিল প্রয়াত শিক্ষক, নাট্যকার সেলিম আল দীনের বিরুদ্ধে। ওনার প্রথম ব্যাচের ছাত্রী মুশফিকা লাইজু। লাইজু ফেসবুকে লিখেছিলেন, “এই মহান শিক্ষক এক বিকালে দুটো বই আনতে তার বাসায় যেতে বলেন। সেখানেই একা পেয়ে তিনি আমাকে জড়িয়ে ধরেন এবং চুমু খান। বড় ওভারকোট থাকায় সম্মান নিয়ে কোনোমতে দৌড়ে পালিয়ে রক্ষা পাই আমি-এভাবে নাম নিলে এখানে মহাবিপদ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনর অধিকাংশ কথাই সত্য।
৪ নং যাদের কথা বলেছেন তাদের অতো লাম্পট্য নেই। হুমায়ুন আজাদ ব্যক্তি জীবনে লাম্পট্য করেন নি।
৬ নং বলতে চাই মুশফিকা লাইজু নিজেই নিজের ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন। ওনার নামসহ আমি ফেসবুকেও লিখেছি সেখানে ওনি আপত্তি করেননি। ওনি নিজেই চেয়েছেন সত্যটা প্রকাশ হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.