![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
বাংলাদেশের একজন ভিক্ষুক কি ট্যাক্স দেন? সত্যিটা হল হ্যাঁ দেন! তারা ব্যক্তিগত আয়কর দেন না বটে তবে আরেক ধরনের ট্যাক্স প্রত্যক্ষভাবে দেন এবং পরোক্ষভাবে আরো বহুরকমের ট্যাক্স দেন। ধরি একজন ভিক্ষুক গড়ে দৈনিক ১৫০/- টাকা করে মাসে ৪৫০০/- টাকা আয় করেন। তিনি কোথায় কোথায় তা ব্যয় করেন-
১। খাদ্যসামগ্রী কিনেন ২৫০০/-
২। কনজুমার পোডাক্ট কিনেন ৫০০/-
৩। ওষুধ কিনেন ১০০০/-
৪। টয়লেট্রিস প্রোডাক্ট কিনেন ৫০০/-
৫। সঞ্চয় ০০ টাকা (মূলত ঋণ করেই চলেন। দেনা বাড়তে থাকে।)
তিনি যাই কিনেন না কেন, তার উপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) রয়েছে। ওষুধে অনেক কম (কারণ অধিকাংশ পণ্যেই ভ্যাট ১৫%) অর্থাৎ মাত্র ২.৪ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয় তাকে। শুধু কি তাই? ধরুন তিনি হাইপ্রেসারের জন্য কোট আটা কোম্পানীর ৫/২০ খান। ডাক্টারের ভিজিটের ভয়ে তারা ওষুধের দোকানদারদেরই ডাক্টার মনে করেন। আর এই সুযোগে তারা আটা কোম্পানীর ওষুধ গছানোর ভাল জায়গা পেয়ে যান। ওষুধটির ত্রিশটির ভ্যাটসহমূল্য ৩৬০/-। ভ্যাট বাবদ (যদি ২.৪% কার্যকর থাকে) দিতে হয় প্রায় ৮টাকা। এটা প্রত্যক্ষ। আর পরোক্ষ-
১। ওষুধ কোম্পানীর বড় কর্তাদের বেতন ও তাদের থেকে দেয়া ইনকাম ট্যাক্স
২। মালিক পক্ষের ব্যক্তিদের ইনকাম ট্যাক্স, কোম্পানীর আয়কর
৩। ব্যাংক ঋণের সুদের থেকে ব্যাংক যা আয় করে তা থেকে সরকারকে প্রদত্ত ট্যাক্স
৪। কোম্পানীর মেশিনারিজ ও কাচামাল ক্রয়ের সময় প্রদত্ত ট্যাক্স
৫। উৎপাদন ট্যাক্স (যদি থাকে)
৬। ট্রেড লাইসেন্স, হোলিং ট্যাক্স, কোম্পানীর গাড়ির ট্যাক্স ইত্যাদি
..
এমনি অনেক ট্যাক্স যা সরকারকে কোম্পানীটি পরিশোধ করেছে তাও আদায় করা হয় বিক্রি হওয়া ওষুধ থেকেই। যখন একজন ভিক্ষুকও ওই পন্য কিনেন তাকেও এসব ব্যয় ধরেই ওষুধের নির্ধারণ করা দাম পরিশোধ করতে হয়। ফলে বলা যায় না তিনি শুধু ওই ৮টাকাই ভ্যাট পরিশোধ করেন। যদি এসব ভ্যাট না থাকতো তাহলে পণ্যের দাম কমে যা হতো, সেই ব্যবধানটাও ওই ভিক্ষুকই আমার মতো পরিশোধ করেন। অন্য ক্ষেত্রগুলোতেও প্রত্যক্ষ পরোক্ষ ভ্যাট/ট্যাক্স তিনি দেন। বাজার থেকে সাধারণত তিনি একই মূল্যেই সওদা ক্রয় করেন। কখনো তিনি পোকায় খাওয়া বেগুন কিনেন। তাতে খুব লাভ নেই। ওই পচাটুকু ফেলে দিলে দাম প্রায় একই রকম হয়ে যায়। কিন' তাঁর আয় যে ওই ১৫০/- টাকাই।
বাদ দিই ভিক্ষুক।
একজন বাস হেল্পারের আয় দৈনিক ৩০০/- টাকা
একজন দোকান কর্মচারীর দৈনিক আয় ১৫০/- টাকা থেকে ৩০০/- টাকা
একজন গৃহকর্মীর দৈনিক আয় বললে আবার অনেকে খাবার খুটা দিবে তাই বললাম না। কিন্তু তাদের প্রদত্ত ভ্যাটের হিসাবটাতে কিন্তু পার্থক্য নেই।
পার্থক্যটা আমি জানি আমি ট্যাক্স দেই আর ওই ভিক্ষুক জানেন না যে, তিনিও ট্যাক্স দেন। ওই বাস হেল্পার, দোকান কর্মচারী, গৃহকর্মীও জানেন না তিনিও ট্যাক্স/ভ্যাট দিচ্ছেন।
বি.দ্র.: কেউ যাতে ভিক্ষুক দেখে কষ্ট না পান তাই কার্টুন ছবি।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১
মুজিব রহমান বলেছেন: সিগারেটের উপর উচ্চমাত্রার প্রত্যক্ষ ট্যাক্স আপনাকে দিতেই হয়।
২| ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওষুধের উপর VAT ১৫%। ওষুধের দোকানের VAT ধরলে ১৭.৪০%। সব পর্যায়ের vat শেষ পর্যন্ত ক্রেতাকেই দিতে হয়। এত পরোক্ষ কর পৃথিবীর কোথাও আছে নাকি জানি না। পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর বেশী হওয়া উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:০১
রাজীব নুর বলেছেন: আরে ভাই সামান্য একটা সিগারেট খেলেও তো অদৃশ্য ভাবে ট্যাক্স দেওয়া হয়।