নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাবির ধর্ষিতা সুশিলা কেন রুখতে পারলেন না?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:০৪

সুশিলা যখন আকস্মিক ধর্ষকের খপ্পরে পড়েন তখন তাঁর ভিতরে গভীর আতঙ্কই কাজ করেছে। তাঁর কাছে রাস্তায় পড়ে থাকা সূতাকে মনে হয়েছে অজগর। আতঙ্কের কারণেই মজনু মিয়াকে সুঠামদেহী ও প্রভাবশালী লোক মনে হয়েছিল। সুশিলা একদম সাহস সঞ্চয় করতে পারেনি। আমরা নারীদের আরো দুর্বলভাবে তৈরি করি তারা যতটা না দুর্বল। মজনু মিয়া মাদক গ্রহণ করতে করতে ক্ষীণকায় হলেও তাকে ওই আতঙ্কের কারণেই মনে হয়েছিল দ্য রকের মতো শক্তিশালী। আতঙ্কের সময় চিৎকার করার মতোও শব্দ গলা দিয়ে বের হয় না। চিৎকার করার সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ভাবনাও আসে না। মনে হতে থাকে, চিৎকার করলে আমাকে মেরে ফেলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তাঁর শক্তি অথচ সুশিলা সেই শক্তিকেই অবহেলা করেছে। মনে করেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী পরিচয় দিলে ওই লোকটি তাকে মেরে ফেলবে। কেন এমনটা হল?

মনোবিজ্ঞানীরা ভাল বলতে পারবেন। কেন সুশিলা প্রতিরোধ করতে পারলেন না, না বলে চিৎকার করতে পারলেন না। আমার দুটো বিষয় মনে হয়-

১। সুশিলা সম্ভবত সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পুরুষদের সাথে মেশা ও চলাও তাঁর খুব কমই হয়েছে। ফলে তাঁর মধ্যে ছিল পুরুষভীতি। মজনু মিয়া দেখতেও কদাকার, মাদকাসক্ত, ক্ষীণকায়, খর্বকায়। একটি ধমকেই সে পালাতো। চিৎকার করলেতো কথাই নেই। মজনু দরিদ্র ভিক্ষুকদের ধর্ষণ করে অভ্যস্ত। রাতের বেলা সে রাস্তায় ভুল করেই সুশিলাকে ধরেছিল। সুশিলার ভয়ই তাকে বিপদে ফেলে দিয়েছে। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকেও মেয়েরা আকস্মিক বিপদ থেকে প্রতিরোধের বিষয়গুলো শিখে না এমন কি না বলার অভ্যাসও গড়ে উঠে না।

২। আমাদের মেয়েরা বিভিন্ন কারণেই বিপদে পড়ে। যারা সহশিক্ষা নেই এমন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে আসে তাদের মধ্যে পুরুষদের সম্পর্কে বিস্তার ভুল ধারণা তৈরি হয়। পরবর্তীতে তারা সাভাবিকভাবে পুরুষ সহকর্মী/বন্ধু/সহপাঠীর সাথে মিশতে পারেন না। আবার সহশিক্ষা নিয়েও অনেকে পুরুষ বন্ধুদের থেকে নিজেদের পারিবারিক চাপে নিজেকে সরিয়ে রাখেন। এ ধরনের মেয়েরা এমনকি হঠাৎ করেই কোন পুরুষের সান্নিধ্যে আসলে তার প্রেমে পড়ে বিপদে পড়েন। ফেসবুকে বন্ধুত্ব করেই তার সাথে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। সামান্য ছেকা খেয়েই আত্মহননের কথা ভেবে বসেন।

মেয়েটির নাম জানি না। জানলেও প্রকাশ করতাম না। ওনাকে খুবই সুশীল মনে হয়েছে বলেই নাম রাখলাম সুশীলা। ছদ্ম নাম। দিল্লীর ধর্ষিতা মেয়েটির যেমন ছদ্ম নাম দেয়া হয়েছিল নির্ভয়া। মজনু মিয়া ধর্ষণের কথা শিকার করেছে এটা নিশ্চিত নই। পত্রিকায় পড়েছি সুশীলা নিশ্চিত করেছে মজনুই ধর্ষক। সুশীলা মা তোদের এসব মজনুদের রুখে দেয়ার সামর্থ্য অর্জন করতে হবে।
https://www.facebook.com/tenjing.dibra/videos/1065052520499164/?hc_location=ufi

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


মজনু কি "জর্জ মিয়া"?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:১৮

মুজিব রহমান বলেছেন: জজ মিয়াকেতো আর আমি বানাইনি, তারাই বানিয়েছিল। তাদের বিশ্বাস করা কঠিনই।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
কেন ধর্ষণ জানতে চাই

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণটা ব্যতিক্রম এবং গ্রহণযোগ্য।

তবে, অনেকগুলো প্রশ্নের মীমাংসা হওয়া প্রয়োজন। স্বয়ং মজনু মিয়াকেই প্রতিবন্ধী মনে হয়েছে। আদালতে নেয়ার পর সে বসে পড়েছিল, তার হাত পা কাঁপছিল। বিচারকের দিকে তাকিয়েছিল, কোনো কথা বলে নি। এর একার পক্ষে মেয়েটার জিনস প্যান্ট পালটানো, ৩ ঘণ্টা আটকে রাখা কি সম্ভব? ওখানে নাকি সুন্দর করে কিছু বই বিছানো ছিল- এটা কীভাবে সম্ভব হলো? কে করলো? প্রতিটা শরীরের ন্যাচারাল কিছু প্রতিরোধ থাকে। হালকের মতো বিরাটকায় মানুষ পুঁচকে একটা বাচ্চাকেও হঠাৎ ঝাঁপটে ধরলে বাচ্চাটা ন্যাচারালি প্রতিরোধ করে উঠবে এবং ছুটে পালানোর চেষ্টা করবে। মজনু মিয়ার মতো লোক একা সুশীলাকে কীভাবে কাবু করে ফেললো, এমনটা কী করে সম্ভব, তা এক বিরাট প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।

আপনার এই কথাটা ভালো লেগেছে- মজনু মিয়া ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তা নিশ্চিত নই। তাহলে এটাও বলুন, সুশীলা যে মজনু মিয়াকেই তার ধর্ষক বলে শনাক্ত করেছেন, আপনি কি নিশ্চিত? মজনু মিয়ার কাপড় চোপড়ে কি স্পার্মের কোনো আলামত পাওয়া গেছে? আমার একটা বিষয় জানা নেই- কতদিন আগে একটা মানুষের বীর্যপাত ঘটেছে, বা কতবার বীর্যপাত হয়েছে, তা টেস্ট করার কোনো ইন্সট্রুমেন্ট আছে কিনা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: বিষয়টা দেখতে দেখতে ধামাচাপা পড়ে গেল। হয়তো সেই লক্ষ্যই ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.