নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামী স্বর্ণযুগের দর্শনিকদের নিয়ে কতটা গর্ব করি আর কতটা সহ্য করি

১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:২৫


ইবনে সিনা, আল রাযী, আল ফারাবী, আল বিরুনী, জাবির, আল খোয়ারিজমি, আল কিন্দি, ওমর খৈয়াম, ইবনে রুশদ .. . আরো অনেক নাম৷ তাঁরা অনেকেই বহুমাত্রিক প্রতিভাধর৷ তারা দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, সাহিত্যসহ বহুদিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন৷ আমরা আজও তাদের নিয়ে গর্ববোধ করি৷ সারা পৃথিবীও শ্রদ্ধা জানায়৷ তাঁরা কখনো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন, কখনো চরম নিগৃহিত হয়েছেন৷ নিগৃহিত হওয়া চূড়ান্ত হলেই বন্ধ হয়ে যায় মুসলিমদের জ্ঞান সাধনা, যা আজও চলছে৷
দার্শনিক আল কিন্দি বলেছিলেন, 'আল্লা জগতের স্রষ্টা কিন্তু তিনি জগতের কোন কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন না৷' তিনি ছিলেন মোতাজিলা সম্প্রদায়ের৷ পুরো মতবাদটিকেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়৷
আল ফারাবী স্রষ্টার সর্বাধিপত্য স্বীকারের পাশাপাশি সৃষ্টিকেও শাশ্বত বলে মনে করতেন৷ বলেছিলেন, স্রষ্টা জড় বস্তুর উৎস৷
ইবনে সিনা বলেছেন, 'জগতের প্রতিটি বস্তুই অসম্পূর্ণ এবং এ অসম্পূর্ণ বস্তুগুলো পূর্ণতা পাওয়ার জন্য সচেষ্ট৷' এ বক্তব্য বিবর্তনবাদকেই সমর্থন করে৷ তিনিও সে বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছিলেন, 'তাহলে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন?' তিনিও বহু নিপীড়নের স্বীকার হন৷
আল বিরুনী বলেছেন, 'বৃত্তিক গতিতে পৃথিবী ঘোরে৷' সূর্যগ্রহণের নকশা করেছিলেন৷ জাবির একজন আল কেমি ছিলেন৷ কেমিষ্ট্রির জনক বলা হয় তাকে৷ আল খোয়ারিজমিকে বলা হয় এলজেবরার জনক৷ তাঁর একটি বইর নাম থেকেই নামটি এসেছে৷ তাঁরা সকলেই কখনো পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন৷ কখনো থেকেছেন দৌড়ের উপর৷
ওমর খৈয়াম বিখ্যাত হয়েছেন কবি হিসেবে৷ তবে তিনিও বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ছিলেন৷ তিনি একটি রুবাইতে লিখেছেন, 'পাপীরা যদি বেহেস্তে না যায় তবে সেটা দয়া নয়৷'
ইবনে রুশদ বলেছেন, 'অজ্ঞতা থেকে ভীতি তৈরি হয়, ভীতি ঘৃণার সৃষ্টি করে আর ঘৃণা থেকে আসে হিংস্রতা৷' তিনি আরো বলেছেন, 'যে ব্যক্তির যৌক্তিকতা পৃথিবীকে যতবেশি বুঝতে সক্ষম হয়, তিনি তার কাজে কর্মে তত বেশি যৌক্তিক এবং নৈতিক হন৷' শুরুতে তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন৷ শেষে তাকে নাস্তিক বলেই তাড়ানো হয়৷ তাঁর সমস্ত বই পুড়িয়ে দেয়া হয়৷ শেষ জীবনে আর লিখবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ফিরতে পারেন৷
আজ যাদের নিয়ে গর্ব করি একসময় তাদেরই নিদারুণ নিপীড়ন করেছি৷ হুমায়ুন আজাদ এজন্যই বলেছিলেন, 'আজ যারা আমাকে হত্যা করতে চাচ্ছেন তারাই শত বছর পরে আমাকে নিয়ে গর্ব করবে৷' কাজী নজরুলও নাস্তিক খেতাব পেয়েছিলেন৷ পূজনীয় হতে শত বছর লাগেনি৷
বিজ্ঞান ও জ্ঞান চর্চাকে উগ্রপন্থী মুসলিমরা ঘৃণার চোখে দেখে৷ হুমায়ুন আজাদসহ কয়েকজন খুন হওয়াতে অনেক জ্ঞানী মানুষই দেশ ছেড়েছেন৷ যারা জ্ঞানীদের খুন করতে চান তারা প্রায় সকলেই হয় স্বল্প শিক্ষিত না হয় উগ্র মতাদর্শের মানুষ৷ রাষ্ট্রও জ্ঞানীদের রক্ষায় এগিয়ে আসে না৷ যদি এভাবে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা হুমকির মধ্যেই থাকে তাহলে মুসলিম জাতির সেই স্বর্ণযুগ আর ফিরে আসবে না৷
ইবনে সিনা, আল রাযী, আল ফারাবী, আল বিরুনী, জাবির, আল খোয়ারিজমি, আল কিন্দি, ওমর খৈয়াম, ইবনে রুশদ .. . আরো অনেক নাম৷ তাঁরা অনেকেই বহুমাত্রিক প্রতিভাধর৷ তারা দর্শন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, সাহিত্যসহ বহুদিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন৷ আমরা আজও তাদের নিয়ে গর্ববোধ করি৷ সারা পৃথিবীও শ্রদ্ধা জানায়৷ তাঁরা কখনো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন, কখনো চরম নিগৃহিত হয়েছেন৷ নিগৃহিত হওয়া চূড়ান্ত হলেই বন্ধ হয়ে যায় মুসলিমদের জ্ঞান সাধনা, যা আজও চলছে৷
দার্শনিক আল কিন্দি বলেছিলেন, 'আল্লা জগতের স্রষ্টা কিন্তু তিনি জগতের কোন কাজে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেন না৷' তিনি ছিলেন মোতাজিলা সম্প্রদায়ের৷ পুরো মতবাদটিকেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়া হয়৷
আল ফারাবী স্রষ্টার সর্বাধিপত্য স্বীকারের পাশাপাশি সৃষ্টিকেও শাশ্বত বলে মনে করতেন৷ বলেছিলেন, স্রষ্টা জড় বস্তুর উৎস৷
ইবনে সিনা বলেছেন, 'জগতের প্রতিটি বস্তুই অসম্পূর্ণ এবং এ অসম্পূর্ণ বস্তুগুলো পূর্ণতা পাওয়ার জন্য সচেষ্ট৷' এ বক্তব্য বিবর্তনবাদকেই সমর্থন করে৷ তিনিও সে বিতর্কিত প্রশ্নটি করেছিলেন, 'তাহলে স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন?' তিনিও বহু নিপীড়নের স্বীকার হন৷
আল বিরুনী বলেছেন, 'বৃত্তিক গতিতে পৃথিবী ঘোরে৷' সূর্যগ্রহণের নকশা করেছিলেন৷ জাবির একজন আল কেমি ছিলেন৷ কেমিষ্ট্রির জনক বলা হয় তাকে৷ আল খোয়ারিজমিকে বলা হয় এলজেবরার জনক৷ তাঁর একটি বইর নাম থেকেই নামটি এসেছে৷ তাঁরা সকলেই কখনো পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছেন৷ কখনো থেকেছেন দৌড়ের উপর৷
ওমর খৈয়াম বিখ্যাত হয়েছেন কবি হিসেবে৷ তবে তিনিও বহুমাত্রিক গুণের অধিকারী ছিলেন৷ তিনি একটি রুবাইতে লিখেছেন, 'পাপীরা যদি বেহেস্তে না যায় তবে সেটা দয়া নয়৷'
ইবনে রুশদ বলেছেন, 'অজ্ঞতা থেকে ভীতি তৈরি হয়, ভীতি ঘৃণার সৃষ্টি করে আর ঘৃণা থেকে আসে হিংস্রতা৷' তিনি আরো বলেছেন, 'যে ব্যক্তির যৌক্তিকতা পৃথিবীকে যতবেশি বুঝতে সক্ষম হয়, তিনি তার কাজে কর্মে তত বেশি যৌক্তিক এবং নৈতিক হন৷' শুরুতে তিনি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন৷ শেষে তাকে নাস্তিক বলেই তাড়ানো হয়৷ তাঁর সমস্ত বই পুড়িয়ে দেয়া হয়৷ শেষ জীবনে আর লিখবেন না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশে ফিরতে পারেন৷
আজ যাদের নিয়ে গর্ব করি একসময় তাদেরই নিদারুণ নিপীড়ন করেছি৷ হুমায়ুন আজাদ এজন্যই বলেছিলেন, 'আজ যারা আমাকে হত্যা করতে চাচ্ছেন তারাই শত বছর পরে আমাকে নিয়ে গর্ব করবে৷' কাজী নজরুলও নাস্তিক খেতাব পেয়েছিলেন৷ পূজনীয় হতে শত বছর লাগেনি৷
বিজ্ঞান ও জ্ঞান চর্চাকে উগ্রপন্থী মুসলিমরা ঘৃণার চোখে দেখে৷ হুমায়ুন আজাদসহ কয়েকজন খুন হওয়াতে অনেক জ্ঞানী মানুষই দেশ ছেড়েছেন৷ যারা জ্ঞানীদের খুন করতে চান তারা প্রায় সকলেই হয় স্বল্প শিক্ষিত না হয় উগ্র মতাদর্শের মানুষ৷ রাষ্ট্রও জ্ঞানীদের রক্ষায় এগিয়ে আসে না৷ যদি এভাবে জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা হুমকির মধ্যেই থাকে তাহলে মুসলিম জাতির সেই স্বর্ণযুগ আর ফিরে আসবে না৷

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৪৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: পড়লাম জানলাম বুঝলাম।

২| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সহমত।

৩| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪০

সোনালি কাবিন বলেছেন: ভাল লিখেছেন

৪| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১৪

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: নজরুলকে নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়েছিলো এমন কোনো প্রমাণ পত্র পেশ করা যাবে কি?

৫| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:১৯

রাকিব আর পি এম সি বলেছেন: উগ্রপন্থা অজ্ঞতারই প্রতিচ্ছবি। হয়ত সেজন্যই তারা জ্ঞানের চর্চাকে মেনে নিতে পারে না।

৬| ১৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: Right

৭| ১৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: যোগ্য লোকেরা যুগ যুগ টিকে থাকবে্ন। হোক তারা মুসলিম বা হিন্দু।

৮| ১৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৫৮

নতুন বলেছেন: কিছুদিন আগেই এক ব্লগার নিজেকে ইসলামী চিন্তাবিদ বলে দাবি করে। বলেছিলেন যে ইসলামে গবেষনার দরকার নাই। ভাইরাস গবেষনা ঠিক না এবং তিনি নিজেও ডাক্তারের কাছে চিকিতসা নিতে যান না।

এমন গোড়া অন্ধ মানুষের জন্যই ইসলামের অনুসারীরা বিজ্ঞান চচায় আগ্রহ হারায়।

৯| ১৫ ই মে, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: সোর্স উল্লেখ করলে উপকৃত হতাম

১৫ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ! লেখাটি খুবই ছোট তাই সোর্স উল্লেখ করিনি।

১০| ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান ও জ্ঞান চর্চার নামে অনেকে ধার্মিকদের গালি দেয়। আবার ধার্মিকরা জ্ঞান চর্চাকারীদের গালি দেয়। দুইটাই খারাপ। ধার্মিকের কাছেও পুরো জ্ঞান নেই আবার জ্ঞান চর্চাকারীও সব জানে না। গালি দেয়া বন্ধ হওয়া উচিত।

১১| ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৩২

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন:

এই পোস্টের সাথে এই ছবিটা না দিলে অর্থহীন। ইসলাম ইকড়া দিয়ে শুরু হলেও কোরান হাদিস ভিন্ন অন্য কিছুর অপশন নাই। তা যাই হোক। আর সেটা যদি বিজ্ঞান হয়, মুক্তচিন্তা হয় তাহলে তো কথাই নাই।

কবি ক্বাবকেও এভাবে মেরেছিলো মোহাম্মদসহ নির্দেশে। ইমরুল কায়েসের টুকলি কোরান ছিলো এটা বলার কারনে এক মহিলাকে মরতে হয়েছিলো।

ইহাই সহী ইসলামে, রিদ্দার সাজা

২৯ শে মে, ২০২০ রাত ৮:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ছবিটা দেয়ার মতোই ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.