নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ করেই কি পশ্চিমে সূর্য উঠা সম্ভব?

২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৩৫

পৃথিবী অবিরামভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বে আবর্তন করে চলছে। প্রতি ঘন্টায় ১৬৭০ কিলোমিটার বেগে। এ কারণেই দিন রাত হয়। আমাদের মনে হয়, সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত ঘটছে। বাস্তবিক সূর্যের উদয় বা অস্ত যাওয়া বলতে কিছু নেই। পৃথিবীই আমাদের ঘুরাতে ঘুরাতে সূর্যের কাছে আনে আবার দূরে সরিয়ে দেয়।
বাসে চলার সময় আমরা টের পাইনা এতো জোড়ে চলছি। কারণ বাসটি আমাদের নিয়েই চলতে থাকে। যদি হঠাৎ ব্রেক করে তবে সামনের দিকে ধাক্কা খাই।
যদি পৃথিবীর ঘুর্ণন হঠাৎ থেমে যায় কি হবে? এটি পৃথিবীতে বসবাসরত সমস্তকিছুর জন্য হবে এক মহা ভয়ানক বিপর্যয়। প্রথমেই মুহুর্তের মধ্যে পৃথিবীর পৃষ্ঠে থাকা সবকিছু ছিটকে গিয়ে কমপক্ষে ঘন্টায় ১৬৭০ কি.মি বেগে পূর্ব দিকে উড়তে শুরু করবে। মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখি, রাস্তাঘাট, বিল্ডিং, পাহাড় পর্বত এমনকি মুহূর্তেই ধ্বংস হয়ে যাবে সবকিছু। সমুদ্রের পানি পর্যন্ত পূর্ব দিকে প্রবাহিত হতে শুরু করবে! এতে করে প্রথমত সকল সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চলে বিশাল আকৃতির ঢেউ সৃষ্টি হবে। যার ফলে সমুদ্র উপকূলীয় শহরগুলো নিমিষেই ধ্বংস হয়ে যাবে। পানি চলে যাবে দুই মেরুর দিকে। এসময় পুরো পৃথিবীর বায়ুমন্ডল প্রচন্ড গতিবেগের সাথে সম্পূর্ণ পৃথিবী পর্যায়ক্রমে ঘুরতে থাকবে। পৃথিবীর এই অ্যাটমোসফিয়ার এত জোরে ঘুরবে যে পৃথিবীতে সেসময় প্রচন্ড গতিতে বাতাস প্রবাহিত হবে। আর বাতাসের সাথে সাথে কিছুক্ষন পরপর আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটবে ফলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুরু হবে ভয়ানক ধুলোর মেঘ জমা। যা শুরু করবে বর্তমানের প্রচণ্ড ঝড়গুলোর চেয়ে দশগুণ প্রচন্ড ঝড় এবং বজ্রপাত। সেই বজ্রপাতের ফলে প্রচন্ড বিদ্যুতায়নের সৃষ্টি হবে। এর সাথে সাথে, হঠাৎ করে পৃথিবী থেমে যাওয়ায় প্রচন্ড ধাক্কার কারনে বাতাসে যে বিশাল ঢেউ বা শকওয়েভের সৃষ্টি হবে, তা পারমানবিক বোমা বিস্ফোরনের শকওয়েভের চাইতে বহুগুন ভারী। পৃথিবীর কেন্দ্রে ভারসাম্য নষ্ট হতে শুরু করবে। আর এতে করে প্রথমত ঘন ঘন তীব্র ভূমিকম্প হতে থাকবে। ভূমিকম্পের পাশাপাশি সেসব স্থানে আগ্নেয়গিরি দেখা যায়; সেখান থেকে ঘন ঘন অনেকক বেশি পরিমানে আগ্নেয়গিরি উত্তাল হতে থাকবে। আগ্নেয়গিরি ধীরে ধীরে অনেক বড় শহরে প্রবেশ করে শহরের যাবতীয় পরিকাঠামোকে ধ্বংস করে দিতে শুরু করবে। তাছাড়াও পৃথিবীর কেন্দ্রাতিক অবস্থার পরিবর্তনের কারণে হারিকেন ঘূর্নিঝড় সৃষ্টি হবে। পৃথিবীর ঘূর্ণন বন্ধ হয়ে গেলে পৃথিবীর সাপেক্ষে সূর্যও স্থির হয়ে যাবে। দিনরাত বলে কিছু থাকবে না। পৃথিবীর গতি থেমে যাওয়ার পর প্রচণ্ড গতির বায়ুর ঘর্ষণের ফলে পৃথিবীর পৃষ্ঠে আগুন লেগে যাবে। আর এই আগুন এর জ্বালানি হিসেবে কাজ করবে ‘অক্সিজেন’! এই ভয়ানক আগুনের ফলে মহাপ্রলয় সৃষ্টি হবে। ওজন স্তর নষ্ট হয়ে যাবে। সৌরমন্ডলীয় বায়ু আমাদের পৃথিবীতে প্রবেশ করে মারাত্মক রেডিয়েশন এর সৃষ্টি করবে ; যার ফলে পৃথিবী আমাদের থাকার অযোগ্য হয়ে পড়বে। পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণের পরিসমাপ্তি ঘটবে।
এরপরে আসে পৃথিবীর উল্টো দিকে ঘূর্ণন। সেটা শুরু করলেই কেবল সূর্য পশ্চিম দিকে উঠতে পারবে। হঠাৎ করে পৃথিবীর আবর্তন বন্ধ হবে না। লক্ষ কোটি বছর পরে বন্ধ হলেও উল্টো দিকে ঘূর্ণন শুরু করবে না। অত দিনে মানুষ বিকল্প বাসস্থল খুঁজে পাবে যদি টিকে থাকে।
ফলে পশ্চিমে সূর্য উদয় দেখার সুযোগ কোন দিনই আসবে না।

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: হঠাৎ করেই কি পশ্চিমে সূর্য উঠা সম্ভব? শিরোনামের উত্তর আপনিই শেষ লাইনে দিয়ে দিয়েছেন।

২| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৮:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহ সুবহানাতায়ালা চাইলে অবশ্যই সম্ভব।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: অলৌকিকতার কথা বলবেন তো? পৃথিবীতে কোন অলৌকিক কিছু কিন্তু ঘটছে না। সবকিছুরই ব্যাখ্যা আছে। আপনি এর একটা বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যাখ্যা দেন।

৩| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: সায়েন্টিফিক রেফারেন্স দরকার ছিল।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ছোট লেখা। এখানে এমন কোন তথ্য দেয়া হয়নি যা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।

৪| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: চমৎকার লেখনী। ঘূর্ণন বেগ ১৬৭০ কিমি/ঘন্টা বিষুব রেখা বরাবর, এই তথ্য যোগ করলে মনে হয় ভাল হয়।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। সেটাই উল্লেখ করা উচিৎ ছিল।

৫| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যদি পৃথিবীর ঘুর্ণন হঠাৎ থেমে যায় কি হবে? এটি পৃথিবীতে বসবাসরত সমস্তকিছুর জন্য হবে এক মহা ভয়ানক বিপর্যয়।

আর সেই বিপর্যের নাম কেয়ামত। কেয়ামতের দিন পশ্চিমে সূর্য উঠবে।
মুসলমান হিসেবে কেয়ামতকে বিশ্বাস করতেই হবে।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: জি সূর্য মাথার মুঠোম হাত উপরে চলে আসবে। মগজ গলে গলে পড়বে।

৬| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ৯:২৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: পশ্চিমে সূর্য উদয় দেখার সুযোগ কোন দিনই আসবে না।
শুক্র গ্রহে বেড়াতে গেলেও কি এই সুযোগ আসবে না ?

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: শুক্র গ্রহকে কোনভাবে বাসযোগ্য করা গেলে যেতেও পারে। তবে বিপর্যয় শুধু পৃথিবীতেই নয় হয়তো সে সময় পুরো সৌীরজগতেই উলটপালট হয়ে যাবে। তাই নাও আসতে পারে দেখার সুযোগ।

৭| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৩৬

অনল চৌধুরী বলেছেন: সন্ত্রাসী এ্যামেরিকা বুঝে গেছে,পৃথিবীতে আর বাস করা যাবে না। তাই করোনার মধ্যেও মহাকাশে গোপনে যান পাঠিয়েছে।

৮| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১০:৫৪

নতুন বলেছেন: ভাল লেখা। ++

ছবি এড করুন লেখায় প‌্যারা দিন। পড়ে আরাম লাগবে।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। চেষ্টা করবো।

৯| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১০

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সময়োপযোগী শিক্ষণীয় ও বিশ্লেষণমূলক পোষ্ট।

১০| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১১:১৮

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: পশ্চিম দিকে সূর্য উদয় সম্ভব। একটা থিওরী আছে এ নিয়ে। সম্ভবত নাসার।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আযহারী সাহেব দাবী করলেও এমন কোন থিওরিতো দেখিনি। আপনি যদি পান তবে জানাবেন।

১১| ২৬ শে মে, ২০২০ রাত ১১:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পশ্চিম দিকে সুর্য উদয় হবে এই থিওরী পালে হাওয়া পায় যখন কোপার্নিকাসের একটা ঘটনার ব্যাখ্যা নাসা নতুন করে ব্যাখ্যা করে।

সুর্যের চারপাশে সব গুলো গ্রহ এন্টি ক্লকওয়াইজ ঘুরলেও ভেনাস আর ইউরেনাস অন্য দিকে ঘুরে। ইউরেনাস ওপর থেকে নীচ আর ভেনাস ঘুরে ক্লকওয়াইজ। কিন্তু একটি নক্ষত্র সৃস্টির সময় যখন গ্রহ গুলো ফর্ম করতে থাকে তখন এই তত্বটা খাটার কথা না। যদিও বাজারে সবচে ভালো যে ব্যাখ্যা সেটা হলো ৪ বিলিয়ন বছর আগের কোনো এক সময়ে এর সমান একটা গ্রহের সংঘর্ষে মিলিত হয়ে একটা নতুন গ্রহের সৃস্টি করে ফলে তারা ধ্বংস হবার পরিবর্তে সম্পূর্ন নতুন গ্রহ সৃস্টি হয় এবং তাদের সংঘর্ষের গতিশক্তি ও সংঘর্ষের কৌনিক কারনে ঘূর্নন সেভাবে পাল্টায়।

কিন্তু সমস্যা সেটা না, মঙ্গল গ্রহের ঘূর্নন আমরা একবার এন্টি ক্লকওয়াইজ দেখলেও সেটাকে একসময় ক্লকওয়াইজ মনে হয়। এটা কেন? গোলাকার বস্তুর ঘূর্নন মাপা হয় তার ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা নক্ষত্রের অবস্থানের রেফারেন্সে। সেক্ষেত্রে আমরা সুর্যের কাছাকাছি হওয়ায় আমাদের গতি মঙ্গলের থেকে বেশী এবং মঙ্গল শুধু আমাদের যে দিকটা দিন থাকে সেদিক থেকেই দেখা যায় মানে সুর্য ওঠার কাছাকাছি দিকে। ফলে মঙ্গল যখন তার কক্ষপথে ডান দিক থেকে বা দিকে ঘুরে আবার ঐ পাশে বা দিক থেকে ডানে গিয়ে বৃত্ত পূর্ন করতে যায় তখন আল্টিমেটলি আমাদের কাছে ঘড়ির উল্টোদিকে মনে হয়

একে বলে রেট্রোগেট ঘূর্নন।

নাসার এই বক্তব্যের রেশ ধরে মুসলমান বিশেষ করে শিয়া সাইট গুলো এই যুক্তি দেয়া শুরু করে যে পৃথিবীরও এটা হতে পারে অথচ আসল ঘটনা এটা শুধুই দৃস্টিভ্রম বা আমাদের আপেক্ষিকতা। এবং এটা মহাবিশ্বে একটা সাধারন ঘটনা।

এটার ফলেই অনলাইনে নেটিজেনরা কথা বলতে শুরু করে যখন নাসা এই ইন্টারেস্টিং ব্যাপারটা নিয়ে একটা প্রবন্ধ লেখে যেটা কিনা আদতে কোপার্নিকাসেরই ব্যাখ্যা। তার আগে টলেমির মডেলে কি ছিলো সেটা নিয়ে কথা বললাম না।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। উল্টো দিকে সূর্য উঠতে গেলে কি হবে সেটাই বলেছি। মানব সভ্যতার বিনাশই ঘটবে। পৃথিবীর যাবতীয় প্রাণেরও বিনাশ ঘটতে পারে।

১২| ২৭ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:৫৮

মোঃ লতিফুর রহমান (রুবন) বলেছেন: আসলে এই মহাবিশ্বে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। আমরা মানুষ (শ্রেষ্ঠ জীব) অনেক কিছু জেনেছি এবং করেছি (যার কারনে আজকে মানব জাতি উন্নতির চরম শিখরে) তাই বলে আমাদের জানার সীমাবদ্ধতা নেই তা কিন্তু নয়। বরং প্রতিনিয়ত আমরা নতুন কিছু জানছি এবং শিখছি। কখনো নতুন কিছু আবিস্কার পুরনো কিছু কে ভুল প্রমানিত করে। তাই জানার কোন শেষ নেই। আজকে যেটা অসম্ভব মনে হচ্ছে হয়তো ভবিষ্যতে সেটাই সম্ভব হলেও হতে পারে মানুষের চেষ্টায় অথবা প্রাকৃতিক কোন কারনে। তাই এক কথায় অসম্ভব বলার চেয়ে বর্তমান জ্ঞান/বিজ্ঞান অনুযায়ী সম্ভাবনা কম বলাই যুক্তি যুক্ত। কারন আমরা কেউই জানিনা আগামীকাল/ভবিষ্যতে কি ঘটবে, সুধু জ্ঞান/বিজ্ঞান দ্বারা অনুমান (অনেক সময় নির্ভুল)/ প্রমান করতে পারি।

এইবার মূল কথায় আসি। পৃথিবীতে সূর্য পশ্চিম দিকে উদয় হতে হলে পৃথিবীকে বর্তমান আহ্নিক ঘূর্ণন সম্পূর্ণ থামিয়ে তারপর উলটো ঘুরতে হবে এইটা একটা পদ্ধতি/ব্যাখ্যা হতে পারে, কিন্তু এটাই যে একমাত্র পদ্ধতি/ব্যাখ্যা বা অন্য কোন পদ্ধতি/ব্যাখ্যা নেই/ভবিষ্যতে হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই। যেমন ধরুন পৃথিবীর বর্তমান আহ্নিক এবং বার্ষিক গতি না থামিয়ে শুধু কোন কারনে (সেটা যেটাই হোক না কেন) যদি পৃথিবীর বর্তমান উত্তর মেরু খুব ধীরে (ধরলাম হয়ত কয়েক মাসে বা তারও বেশি সময় ধরে) ১৮০° ঘুরে (তাতে পৃথিবীর উপর যে প্রভাবই পরুক না কেন) বর্তমান দক্ষিণ মেরুর স্থানে চলে আসলো, তাহলে কিন্তু ঠিকই সূর্য পশ্চিম দিকে উদয় হয়ে পূর্ব দিকে অস্ত যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ধন্যবাদ।

১৩| ২৭ শে মে, ২০২০ ভোর ৫:৩৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রুবন ভাই, পোল শিফট হচ্ছে প্রতি ২০০ মিলিয়ন বছর ধরে, কেবল ৩০ ডিগ্রী সরেছে। কিন্তু আপনি যেভাবে সুর্য ওঠাতে চাচ্ছেন তার জন্য দরকার দ্রাঘীমাংশ বরাবর যে ঘূর্নন সেটা। এখন পোল ওপর থেকে পাশে সরে গেলেও তাতে তো এফেক্ট পড়ছে। পোল সরে যাওয়া নির্ভর করে ডাইনামো এফেক্ট না কোরের ওপর এটা বলা যাচ্ছে না তবে এটা হবার কারনেই এত ঝড় ঝঞ্ঝা সুনামী মহাদেশ চলন বলন এমনকি ভূমিকম্প ঘটছে।

এখন রূপকথার ধর্মগ্রন্থে যা বলা আছে এগুলো সুমেরিয়ানদের টুকলি আর সেটা হতে হলে কয়েক বিলিয়ন বছর লাগবে এবং হুট করে হলে বিশাল বিপর্যয়। অন্তত ডাটা তাই বলে

১৪| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০২

মোঃ লতিফুর রহমান (রুবন) বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন ভাই, ধরে নিলাম যে কোন কারনে (হতে পারে কোন উপগ্রহ/গ্রহাণু/উল্কা এর সাথে সংঘর্ষ অথবা অন্য যে কোন কারণই হোক না কেন, হবেই তা নয় কিন্তু যদি কখনো) জিওগ্রাফিক নর্থ পোল (আক্সিস অফ রোটেশন অফ আর্থ) যদি ১৮০° ঘুরে যায় (তাতে পৃথিবীর উপর যে প্রভাবই পরুক না কেন) তাহলে কিন্তু ঠিকই সূর্য পশ্চিম দিকে উদয় হয়ে পূর্ব দিকে অস্ত যাবে। এটা হবে কি হবে না, হওয়া বা না হওয়ার সম্ভাবনা কিছুই আমি বলি নাই। শুধু এটুকু বোঝাতে চেয়েছি পৃথিবীতে সূর্য পশ্চিম দিকে উদয় হতে হলে পৃথিবীকে বর্তমান আহ্নিক ঘূর্ণন (দ্রাঘিমাংশ বরাবর যে ঘুর্নন) সম্পূর্ণ থামিয়ে তারপর উলটো ঘুরতে হবে এইটা একটা পদ্ধতি/ব্যাখ্যা হতে পারে, কিন্তু এটাই যে একমাত্র পদ্ধতি/ব্যাখ্যা এবং অন্য কোন পদ্ধতি/ব্যাখ্যা নেই/হতে পারে না তা নয়। ধন্যবাদ।

২৭ শে মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যাওয়ার কারণেও যদি ঘুর্ণন উল্টে যায় সেই একই বিপর্যয়ই ঘটবে।

১৫| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: রুবন ভাই আমি কি সেই কথাটা বলিনি? অলরেডি ৩০ ডিগ্রী সরে গেছে। কিন্তু সেটা হলেও দ্রাঘিমাংশে চেন্জ হচ্ছে না চেন্জ হচ্ছে অক্ষাংশে তখন সুর্য উত্তর দক্ষিনে সেটার কারনই বা কি? কারন ত্রিশ ডিগ্রী ঘুরপাক পরও এর ঘূর্নন বা সুর্যের দিক পরিবর্তন হয় নাই। আর এটা সিম্পলি ম্যাগনেটিক ফিল্ড। ঘূর্নন হইতেছে গ্রাভিটির কারনে এবং যেভাবে কক্ষপথে আছে সেটার কারন কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখ বলের কারনে। আর যে পরিমান কাইনেটিক এনার্জী দরকার তাতে তো পুরো পৃথীবীই উড়ে যাবে।

ধরে নিলাম আপনি পশ্চিম দিকে সত্যি উঠাতে চান তাহলে এই যে ঘূর্নি এর সাথে সম্পর্কযুক্ত এমন একটা কিছু দেখান। গ্রাভিটি তো কখনোই ম্যাগনেটিক ফিল্ডের সাথে ইন্টারেক্ট করে না, এটা তো ফিজিক্সের ব্যাসিক ল।

আপনি কি ফিজিক্স দিয়ে বুঝিয়ে বলবেন পোল শিফটের হাইপোথিসিস কিভাবে পৃথিবীর দ্রাঘিমাংশ বরাবর ঘূর্ননকে প্রভাবান্বিত করে? আপনি যদি টিল্ট বা কৌনিক বক্রতা নিয়ে কথা বলেন সেটার কারন সূর্য বড় হচ্ছে আর অন্যান্য গ্রহের আকৃতির তারতম্য প্লাস বিভিন্ন তারা গ্রাভিটেশনাল প্রভাব। তারপরও সব সিঙ্ক্রোনাইজড

১৬| ২৭ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পৃথিবীর ঘূর্ণন হঠাৎ থেমে গেলে বস্তুগুলোর ছিটকে পড়ার আদিবেগ হবে সর্বোচ্চ ১৬৭০ কিঃমিঃ, সর্বনিম্ন ১৬৭০ কিঃমিঃ না। পৃথিবীর গতির চাইতে ছিটকে পড়ার গতি বেশি হবে না।

পৃথিবী নিজ কক্ষপথে চলা এবং নিজের আবর্তন থামিয়ে দিলে এটা হুট করে হয় সূর্যের আকর্ষণে সূর্যের ভেতরে ঢুকে যাবে অথবা ছিটকে আরো বাইরে চলে যাবে। অলৌকিকভাবে এর কোনোটাই যদি না হয়, তবে দিনরাত বলে আর কিছুই থাকবে না এবং পৃথিবীতে সেদিন কিয়ামত হবে। কিন্তু, যদি নিজের আবর্তন থামিয়ে দেয় কিন্তু কক্ষপথে চলমান থাকে, তবে তখনো পৃথিবীতে দিনরাত থাকবে, কিন্তু সেই দিনের দৈর্ঘ্য হবে বর্তমান দিনের ৩৬৫ দিনের সমান। অর্থাৎ, সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরে আসতে যেই সময়টা লাগে।

কিছু রেফারেন্স দিয়া লিখতে পারতেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.