নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানসম্মত শিক্ষা ছাড়া গতি হবে না!

২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:১৮

‘বিজ্ঞানে মুসলমানদের অবদান’ চার খণ্ড পড়ে ভীষণ লজ্জা পেয়েছিলাম। বইগুলো পড়ে মনে হয়েছিল, লেখক একজন বড় মাপের আবর্জনা। লেখার ধরন দেখাচ্ছি- ওহমের সূত্র জনৈক মুসলমান বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেন। অতপরঃ সে আবিষ্কার আলেকজান্দ্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত ছিল। জাদুঘরটি আগুণে পুড়িয়ে দেয়া হলে তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। অনেক পরে মিঃ ওহম ওই সূত্র আবিষ্কার করেন।..

.. প্রশ্ন জাগবেই, আপনি জানলেন কেমনে ওহমের সূত্রই ওই লাইব্রেরিতে ছিল? আর জানলে আগে কেউ বলেনি কেন? এভাবে অন্যের অবদান ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে গতি হয় না। আমাদের পদার্থবিদ্যায় এমএসসি করতে গিয়ে কোন মুসলমানের আবিষ্কার করা কিছু পড়তে হয়নি। ইসলামিক স্বর্ণযুদের বিজ্ঞানীরা অনেক অবদান রাখছিলেন। তাদের নির্মমভাবে ধ্বংস করার পরে মুসলিম-বিশ্ব জুড়েই রয়েছে মানহীন ও বিজ্ঞানবিরোধী শিক্ষা। তারা বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনষ্কতাবিমূখ। এ অবস্থায় তাদের বিজ্ঞানে অবদান থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। আগেতো অর্জন করতে হবে, তারপর প্রত্যাশা করতে হবে। শুধু কি বিজ্ঞানী? একজন বিশ্বমানের সাহিত্যিক, দার্শনিক, রাষ্ট্রনায়ক, অর্থনীতিবীদ মুসলিম দেশগুলোতে আমরা দেখি না। শুধু মনে মনে সন্দেশ খেলে লাভ নেই, কিনে খাওয়ার অথবা বানিয়ে খাওয়ার সামর্থ্য অর্জনটাই বড় কথা।

ডা. মরিস বুকাইলি রচিত ‘বাইবেল কোরআন বিজ্ঞান’ বইটি পড়েছিলাম সেই ছাত্রজীবনে। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে আমি বুজেছি তিনি ডাক্তার হতে পারেন, বিজ্ঞান বুঝেননি। পরে পড়লাম তার ‘আল কুরআন ও আধুনিক বিজ্ঞান’। মরিস মুসলমান হননি কেন? এটা একটা বড় প্রশ্ন। যিনি ‘বাইবেল কোরআন বিজ্ঞান’ লিখবেন তিনি মুসলমান না হন কি করে? তাহলে কি এটাও তাঁর বাণিজ্য? তিনি সৌদি রাজপরিবারের চিকিৎসক ছিলেন, মিশরের আনোয়ার সাদাতের পরিবারও তার চিকিৎসা নিতেন। তাঁর প্রথম বইটি খুবই আলোচিত হয় এবং মুসলিম দেশগুলোর বহু ভাষায় অনুদিত হয়। আমি আগেও ভেবেছি, এ বই তাহলে তার লেখার উদ্দেশ্য কি? বই বিক্রিই শুধু? হিন্দুদের অবস্থাও কাছাকাছিই। বছরখানেক আগে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার একজন শিক্ষকের সাথে পরিচয় হয়েছিল- তিনি কালীর সাধনা করেন!! এর মানে হল, পদার্থবিদ্যার সাধনা করার সামর্থ্য তার নেই। আমি তার সাথে অনেক বিতর্ক করলাম। তিনি কোন যুক্তি মানবেন না, বস্তু বুঝবেন না- শুধু অলৌকিকতা বিশ্বাস করবেন। তিনি বললেন, কালিও শক্তি, পদার্থও শক্তি, এক হলো না! কি করার? তবে আশাও আছে? জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় বন্ধু আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ভাই জানিয়েছিলেন, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে, বিজ্ঞান শিক্ষা ও বিজ্ঞানে আগ্রহী শিক্ষার্থী অনেক বেড়েছে।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইসলামের সোনালী যুগ এখন, এখন শতকোটী মানুষ আরবী পড়তে পারেন, বুঝেন, কোরান পড়তে পারেন, সবার কাছে কোরান আছে। মাত্র ১০০ বছর আগেও শুধুমাত্র জমিদার পরিবার ছাড়া অন্য কারো কাছে কোরান ছিলো না। এখন মুসলমান শিক্ষিতদের যেই অবস্হা আগে কি অবস্হা ছিলো?

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: খলিফা আল মামুন কিছুটা নাকি পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। এর আগে পরে শিক্ষা-বিজ্ঞানচর্চা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পায়নি। এখনো বাংলাদেশে মেধাবীদের একটা লক্ষ্য থাকে- দেশ ছাড়ার। বা্স্তবিক আগের অবস্থা আরো খারাপই ছিল। এমনকি ইসলামি স্বর্ণ যুগেও রাষ্ট্র তরোয়াল নিয়েই ধাওয়া করতো।

২| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:০৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলমানদের বড় সমস্যা,তারা মনে করে কোরআনে বিজ্ঞানের সকল বিষয় লিখা আছে তাারা খুঁজে পায় না। নতুন কিছু আবিষ্কার হলেই তারা সেটা কোরআনে দেখতে পায়,কিন্ত আগে পায় না।কোন কিছুতেই তাদের কোন গবেষণ বা পর্যবেক্ষন নাই এমনকি কোরাআন নিয়েও।কেবল মুখস্ত করে।

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: এটা একেবারেই হাস্যকর কথা। হিন্দুরাও দাবি করে বেদ থেকেই সব আবিষ্কার করা হয়েছে।

৩| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:০৫

খাঁজা বাবা বলেছেন: মুসলিম বিশ্বের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই নিম্ন মানের। অনেক মুসলিম ছাত্র তো ইউরোপ, আমেরিকা বা চায়নায় পরাশুনা করে। অনেক মুসলিম ছাত্র জন্ম থেকেই ইউরোপ আমেরিকায় পরাশুনা করে। তারা কে কি থিওরি আবিষ্কার করেছেন, জানা থাকলে তা নিয়ে একটা পোষ্ট দেবেন।

আপনি বস্তুবাদী বোঝা গেল।
তবে বিজ্ঞান যা আবিষ্কার করতে পারে নি তা মিথ্যা হয়ে যায় নি।
আজ যা বস্তুবাদীরা বিশ্বাস করছেন, ২০০ বছর আগে তা তা বস্তু বাদীদের কাছে মিথ্যা ছিল।
আগে প্রতিষ্ঠিত অনেক থিওরি এখন ভুল প্রমানিত হচ্ছে, বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে।
সূতরাং বস্তুবাদ নিয়ে গর্ব করার কিছুই নেই। যা আবিষ্কার হয় নি তা যদি বিশ্বাস না করেন, তো তা আবিষ্কারে মন লাগাবেন কিভাবে?

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আব্দুস সালাম (যদিও তিনি কাদিয়ানি) এর মতো দুএকজন ব্যতিক্রমতো আছেনই। যখন সেরা বিজ্ঞানীদের ২৫% হবেন তখনই দাবি করবো মুসলিমরা ভাল করছে বিজ্ঞানে। নতুন গুল মারা ছাড়া পথ নেই।

বিজ্ঞান চলমান প্রক্রিয়া। বদ্ধ কিছু নয়।

৪| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:১৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: মুসলমান সমাজে বিজ্ঞানী হলে তখন তাদের শূলে চড়াতো। কারন তারা জানতো পড়ালেখা করলেই সে রিদ্দা বা ইসলাম ত্যাগ করবে এবং তাকে সবাই দলে দলে অনুসরন করবে। এসব বিজ্ঞানীদের ওপর যতরকম বর্বর অত্যাচার করা যায় তাই করেছিলো। আর যারা ইসলাম এ মোহাম্মদের মুখোশ খুলেও বেঁচে ছিলো তার পেছনে তৎকালীন উদারপন্থি খলিফাদের আশীর্বাদ ছিলো।
মুসলমান সমাজে বিজ্ঞানী হলে তখন তাদের শূলে চড়াতো। কারন তারা জানতো পড়ালেখা করলেই সে রিদ্দা বা ইসলাম ত্যাগ করবে এবং তাকে সবাই দলে দলে অনুসরন করবে। এসব বিজ্ঞানীদের ওপর যতরকম বর্বর অত্যাচার করা যায় তাই করেছিলো। আর যারা ইসলাম এ মোহাম্মদের মুখোশ খুলেও বেঁচে ছিলো তার পেছনে তৎকালীন উদারপন্থি খলিফাদের আশীর্বাদ ছিলো।

মরিস বুকাইলি যে পরিমান টাকা খেয়েছে, প্রিন্স মারা যাবার পর তার আর কোনো কাজ করতে হয়নি। কোরানকে উপ্রে তুলতে গিয়ে কি মিথ্যা যুক্তি দিয়েছেন যখন পশ্চিমারা সেগুলো খন্ডন করে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতো সে তখন চুপ চাপ তার ফ্লাটে আয়েশূ জীবন যাপন করতেন। তবে নিজের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে সতর্ক ছিলেন বলেই ভুলেও এ পথে আসেননি। কিথ মুর ছিলেন আরেকটা মাথা বেচা পাবলিক। এদের দ্বারাই প্রমানিত যে ইসলামের প্রসারের জন্য সৌদীরা কত ডেসপারেট। যত টাকা তারা তেল বেঁচে সারা বছর কামায় তার চে কয়েকগুন টাকা তারা একটা হজ্বেই কামিয়ে ফেলে


মরিস বুকাইলি যে পরিমান টাকা খেয়েছে, প্রিন্স মারা যাবার পর তার আর কোনো কাজ করতে হয়নি। কোরানকে উপ্রে তুলতে গিয়ে কি মিথ্যা যুক্তি দিয়েছেন যখন পশ্চিমারা সেগুলো খন্ডন করে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতো সে তখন চুপ চাপ তার ফ্লাটে আয়েশূ জীবন যাপন করতেন। তবে নিজের সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে সতর্ক ছিলেন বলেই ভুলেও এ পথে আসেননি। কিথ মুর ছিলেন আরেকটা মাথা বেচা পাবলিক। এদের দ্বারাই প্রমানিত যে ইসলামের প্রসারের জন্য সৌদীরা কত ডেসপারেট। যত টাকা তারা তেল বেঁচে সারা বছর কামায় তার চে কয়েকগুন টাকা তারা একটা হজ্বেই কামিয়ে ফেলে

২৮ শে মে, ২০২০ রাত ১০:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখজনক যে আপনার বক্তব্য সঠিক। কিথ মুরের প্রবন্ধটি পড়েছি। তিনি খুবই বাজে ভাবে, ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। এর সাথে বিজ্ঞানের কোন সম্পর্ক নেই। অবশ্য তিনি বলেছেনও বন্ধুর অনুরোধেই এভাবে লিখেছেন। ওনি কানাডিয়ান সম্ভবত। দুঃখজনক যে স্বর্ণযুগের বিজ্ঞানী-দার্শনিকদের উপর অনেক ক্ষেত্রেই অত্যাচার করা হয়েছে সীমাহীন।

৫| ২৮ শে মে, ২০২০ সকাল ১১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: মানসম্মত শিক্ষা হলেও এদেশের মানূষের লাভ হবে না। তারা চুরী দূর্নীতি করবেই। সবচেয়ে বড় কথা তারা কুসংস্কার মুক্ত হতে পারবে না। তাদের রক্তে মজ্জায় কুসংস্কার মিশে গেছে।

৬| ২৮ শে মে, ২০২০ দুপুর ২:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ডিজিটাল বাংলাদেশে ডিজিটাল শিক্ষা দরকার । বিজ্ঞানসম্মত কর্মময় আধুনিক শিক্ষা।

৭| ২৮ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মুসলমানদের বড় সমস্যা,তারা মনে করে কোরআনে বিজ্ঞানের সকল বিষয় লিখা আছে তাারা খুঁজে পায় না। নতুন কিছু আবিষ্কার হলেই তারা সেটা কোরআনে দেখতে পায়,কিন্ত আগে পায় না।কোন কিছুতেই তাদের কোন গবেষণ বা পর্যবেক্ষন নাই এমনকি কোরাআন নিয়েও।কেবল মুখস্ত করে।

সুন্দর বলেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.