নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের মন কি জিনিস?

২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:০৪


গানের বা কবিতার মন শব্দটি আসলেই দেখি কথক/গায়ক বুকে হাত দেন। যেনো মন ওখানেই আছে! গানও আছে- ‘আমার বুকের মধ্য খানে, মন যেখানে.. . ‘।
বাস্তবিক মন বুকের মধ্যে কেন কোথাও থাকে না। মন বলে আলাদা কিছু নেই। দর্শন ও মনোবিজ্ঞানও তাদের সংজ্ঞা পাল্টে নিয়েছে বিজ্ঞানের পথ ধরে। এখন আমরা জানি মানুষের মস্তিষ্ক থেকে উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মন গড়ে উঠে। মন বলতে বুঝি- বুদ্ধি এবং বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ, ইচ্ছা এবং কল্পনার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মানুষের মনের প্রবৃত্তির কোন কিছুই শরীর থেকে ভিন্ন নয়। মন হলো এমন কিছু যা নিজের অবস্থা এবং ক্রিয়াগুলি সম্পর্কে সচেতন। মনের সরুপ লক্ষণ হলো চেতনা যার থেকে মনকে জড়ো থেকে আলাদা করা হয়। বুকের মধ্যে হৃদপিন্ড থাকে, হৃদয় বলতে আমরা যেমনটা বুঝি তেমন কিছু থাকে না। হৃদপিন্ড রক্তসঞ্চালন করে। বিশুদ্ধ রক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি পৌঁছে দেয় কোষে। হৃদপিন্ড অকেজো হয়ে গেলে মৃত্যু নিশ্চিত। অবশ্য এখন পেসমেকারও লাগানো হয়। আচ্ছা আমাদের ভালবাসা ছেড়ে গেলে বুকে ধক করে উঠে কেন? ছ্যাকা খাওয়ার আঘাতটা লাগে আসলে মস্তিষ্কে সেই ধাক্কায় সংকট তৈরি হয় রক্তসঞ্চালনে তাই অনুভবটা হয় বুকে। মানুষের মস্তিষ্ক থেকে উদ্ভূত শারীরবৃত্তিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মনের ভাব গড়ে উঠে। বাস্তবিক মন বলে আলাদা কিছু নেই। এখন আমরা ‘মনে থাকে’ বলতে বুঝি মগজে থাকে মানে মেমোরি সেলে সংরক্ষিত থাকে। মন মস্তিষ্কের সাথে প্রায় অনুরূপ এবং স্নায়ুসংক্রান্ত ক্রিয়াকলাপ।মনকে চেতনা প্রবাহের মতো চিত্রিত করা হয় যেখানে অনুভূতি এবং মানসিক চেতনা ক্রমাগত পরিবর্তিত হয়।

মনোবিজ্ঞানের সংজ্ঞা বদলে গেছে। এখন মনোবিজ্ঞান হল এমন এক বিজ্ঞান যা মানসিক অবস্থার সরাসরি তদন্ত করে। আনন্দ, ভয় বা আবেশের মতো দৃড় মানসিক অবস্থার তদন্ত করতে এটি সাধারণত অভিজ্ঞতামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করে । মনোবিজ্ঞান এই মানসিক অবস্থাগুলি একে অপরের সাথে আবদ্ধ করে এমন আইনগুলি অনুসন্ধান করে।

যেহেতু মানসিক প্রক্রিয়াগুলি শারীরিক প্রক্রিয়াগুলির সাথে অন্তরঙ্গভাবে জড়িত। প্রাকৃতিক বিজ্ঞানগুলি মানুষের যে বিবরণগুলি দেয় তা মনের দর্শনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আচ্ছা ভালবাসা চিহ্নটা এমন কেন? আসলে হৃদপিন্ডের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে। যেহেতু মনে করা হতো মন থাকে বুকের ভিতর। আসলে সেখানে থাকে হৃদপিন্ড। ভাবা হতো সেখানেই হৃদয় থাকে। আর হৃদয়ের বিনিময়ই হল ভালবাসা। তাই ভালবাসার চিহ্নও হৃদপিন্ড। এটাও ভুল। ভালবাসার বোধটা তৈরি হয় মস্তিষ্কেই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

ভালো।
পোষ্টের লেখা ২ বার এসেছে; ডিম পেড়ে খালাস, উহা দেখার দরকার নেই?

২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখিত পোস্ট দেয়ার পরে নেট চলে যাওয়ার কারণে আর ঢুকতে পারিনি। ধন্যবাদ।

২| ২৯ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: মন নিয়েই তো আমাদের কত মাতামাতি!

৩| ২৯ শে মে, ২০২০ দুপুর ১:৪২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুবই চমৎকার একটা লেখা। কিন্তু সাহিত্যে এই মন নিয়ে অনেক কাজকারবার

৪| ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৮

নাসরীন খান বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপ।

৫| ৩০ শে মে, ২০২০ সকাল ১০:১৯

এস সুলতানা বলেছেন: সুন্দর উপস্থাপ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.