নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায় সূর্য! আহা সূর্য!!

০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:২১


লক্ষণকে বাঁচাতে হলে হিমালয় থেকে শিকড় আনতে হবে। হনুমান একলাফে চলে গেলো লংকা থেকে হিমালয়ে। সে ভুলে গেলো গাছের নাম। তাই পুরো গন্ধমাদন পর্বত তুলে নিয়ে আরেক লাফে লংকায় ফিরবেন। পথে দেখলেন সূর্য তখন পূর্বাকাশে উঠছিল। হনমান এক থাবা দিয়ে সূর্যকে বগলদাবা করলেন। সূর্য উঠতে পারলো না। ফলে সূর্য উঠার আগেই ওষুধ নিয়ে আসতে পারায় লক্ষণও সে যাত্রায় বেঁচে উঠে। সূর্যের এমন ভূগান্তি আর কখনো হয়নি। আরেকবার সূর্য বিপদে পড়েছিল। পাণ্ডবেরা যুদ্ধে ব্যর্থ হতে থাকলে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ মায়া দ্বারা তমসা সৃষ্টি করে সূর্যকে আচ্ছন্ন করে দেন। এই সুযোগে অর্জুন জয়দ্রথের শিরশ্ছেদ করে দেন। শ্রীকৃষ্ণ আবার মায়া দ্বারা অন্ধকার সরিয়ে দেন।
কোরান হাদিসে দেখি সূর্য পৃথিবীর চারদিকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবর্তন করে এবং রাতের বেলা আল্লাহর আরশের নিচে অবস্থান করে। বিশ্রাম নেয়। আল্লার যিকির করে। সেজদা করে। পরের দিন পুনরায় উদিত হয় পূর্ব দিকের জায়গা থেকে। এমন এক সম্প্রদায়ের ওপর উদিন হয় যারা সূর্যের কাছাকাছি হওয়ায় তাপ থেকে কোন আড়াল পায় না। সর্বপশ্চিমে সূর্য অস্তগমন করে এক পঙ্কিল জলাশয়ে।
বিভিন্ন ধর্মে সূর্যকে নিয়ে বিভিন্ন রকম গল্প আছে। আজ বিজ্ঞান যে সত্যকে উন্মোচন করেছে তার সাথে কোন মিলই নেই সেইসব বিশ্বাসের।

বিজ্ঞান কি বলে?
পৃথিবী থেকে সূর্যের গড় দূরত্ব ১৫ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীতে সূর্যের আলো আসতে সময় লাগে গড়ে ৮.৩১ মিনিট। সূর্যের ব্যাস পৃথিবীর ব্যাসের ১০৯ গুণ, আয়তন ১৩ লক্ষ গুণ এবং ভর ৩.৩০ লক্ষ গুণ বড়। সৌরজগতের মোট ভরের শতকরা ৯৯.৪৬ ভাগ হল সূর্যের। সূর্যের পৃষ্ঠদেশের তাপমাত্র ৫৫০৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

পৃথিবীতে দাঁড়িয়ে পৃথিবীর চেয়ে ১৩ লক্ষ গুণ বড় সূর্যকে বগলদাবা করা কম কথা নয় তাও ঐ তাপমাত্রার সূর্যকে।
এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও জানে, আসলে সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে না, পৃথিবীই সূর্যের চারদিকে ঘোরে। পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর ঘুরছে বলেই এমনটা মনে হয়। ঘূর্ণয়মান একটি ফুটবলের উপর একটি টর্চের আলো ফেলে বিষয়টা তারা বুঝে নেয়। অথচ এটা বুঝতে মানুষের লক্ষ লক্ষ বছর লেগেছে। ফলে বিভিন্ন স্থানের মানুষ সূর্যকে নিয়ে বিভিন্ন চিন্তা ভাবনা করেছে। শুরুতে সূর্যকেই দেবতাজ্ঞান করে এর আরাধনা, পূজা অর্চনা করতো। মাত্র কয়েকশো বছর আগে দুএকজন মানুষ বুঝতে পারে আসল ঘটনা। কোপার্নিকাসতো মরে গিয়েই বেঁচে গিয়েছিল। বিষয়টা যখন ব্রুনো বুঝলো এবং প্রচার করলো তখন তাঁর পরিণতি হলো ভয়াবহ। তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারা হলো। আরো পরে গ্যালিলিও বুঝতে পারলো। তাঁকেও বহু অপমান অসম্মান করা হলো। তিনি নিজের কথা ফিরিয়ে নিয়ে বছর সাতেক বেঁচেছিলেন বন্দি হয়ে।

আমাদের হাকিম স্যার বলতেন, পৃথিবীতে এখনো দুএকটা মূর্খ আছে যারা এসবকে সত্য বলে মানে না। আমি বুঝি এখনো দুএকজন নয়, মূর্খের সংখ্যা মানহীন শিক্ষার দেশগুলোতে কোটি কোটি। তারা না মানলেও পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরা থামাবে না, পৃথিবী নিজ অক্ষের উপরও ঘুরতে থাকবে।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১০:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কোন ধর্মের রূপকথা সুর্যের আসল ব্যাখ্যার সাথে মিল আছে?

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: রুপকথার সাথে ধর্মীয় ব্যাখ্যার মিল আছে কিন্তু বিজ্ঞানের সাথে কোন মিল নেই।

২| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:০৬

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: আজ যদি এই উপমহাদেশের ধর্মীয় গুরুরা যদি বলতে শুরু করেন সূর্যের কোন অস্তিত্ব নাই, এইটা সম্পূর্ন ভুয়া একটা হলুদ থালার মতো কিছু একটা। আমি হলফ করে বলতে পারি ১ সপ্তাহ পর এই কথা বিশ্বাস করার মানুষ হাতে গুণে শেষ করতে পারবেন না।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৭:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: তেঁতুল হুজুরের কথায় এদেশে হাজার হাজার মানুষ তাদের কন্যাকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়, হুজুরদের কথা তাদের শিশু কন্যাকে বিয়ে দিয়ে দেয় হুজুরের সাথেই তারা এখনো জানেই না সূর্য কি? পৃথিবী কি? কিভাবে চলে, কেন চলে? তারা বিজ্ঞান বুঝে না, বুঝে হুজুর কি বলে, বাবা কি বলে- তাতেই মত দেয়।

৩| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৩৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পৃথিবীতে এখনো দুএকটা মূর্খ আছে যারা এসবকে সত্য বলে মানে না।
.....................................................................................................
পৃথিবীতে এখনো অগনিত মূর্খ আছে যারা করোনা মহামারী বিশ্বাস করে না ।

৪| ০২ রা জুন, ২০২০ রাত ১১:৪৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যুগ যুগ ধরে মূর্খ ছিলো এবং থাকবে।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?

ঠিক তেমনি আমরা জেগে উঠলেই অন্যরাও আলো দেখবে। এজন্য দেশে তেমন কাজ হয়নি। কাজ করলে ফলও আসবে।

৫| ০৩ রা জুন, ২০২০ রাত ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: শিক্ষিত লোকেরাই কুসংস্কার বেশি বিশ্বাস করে।

০৩ রা জুন, ২০২০ সকাল ৮:০০

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের শিক্ষার মানটাই মূল সমস্যা। স্কুলে বিজ্ঞানের চেয়ে অলৌকিকতাই বেশি শেখানো হয়। তবুও প্রগতিশীলদের মধ্যে সিংহভাগই শিক্ষিত।

৬| ০৩ রা জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৪৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: িছুই মাথায় ধরে না, কোন পথে যাই!

০৩ রা জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: যেটাকে সত্য মনে হবে, আলোকিত মনে হবে, বিজ্ঞানভিত্তিক মনে হবে সেটািই গ্রহণ করবেন।

৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২০ রাত ১২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বলেন তো জ্বর হইলে, গা গরম করলে থার্মোমিটার বগলে দেয় কেন? আপনার এই লেখার সাথে ভানুর একটা কৌতুকের সম্পর্ক আছে। সেখানে উত্তরটাও আছে। না জানলে বলছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.