![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি পুলিশ, ডাক্তার ও ব্যাংকারদের। হচ্ছেও তাই। এ পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার জন পুলিশের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১৭ জন বা তার বেশি। শুধুমাত্র করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গিয়েই তারা আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথাও লকডাউন কার্যকর করতে হবে, মানুষের জমায়েত ঠেকাতে হবে, পরিবহন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে- সবখানেই বাস্তবায়ন করে পুলিশই।
মানুষকে অসুস্থ হলেই যেতে হয় ডাক্তারের কাছে। রোগীর প্রেসার মাপা, চোখ দেখা, পালস দেখা, খুব কম দূরত্বে থেকে কথা বলা সবখানেই ঝুঁকি। তারাই আক্রান্তও হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। বরিশালে একজন ডাক্তার সুস্থ হয়ে কাজে যোগ দেয়ার পরে আবারো আক্রান্ত হয়েছেন।
মিডিয়াতে ব্যাংকের ক্যাশ সেকশন আর টাকা উঠানো-জমা দেয়াটাকেই দেখানো হয়। টাকা গ্রহণের সময় গ্রাহকের কাছেই থাকতে হয়। কথা বলতে হয়। অন্য টেবিলগুলোতেও সরাসরি খুব কাছ থেকেই কথা বলতে হয়। উপকরণ স্পর্শ করতে হয়। বৈদেশিক রেমিট্যান্স দেয়া, ভাতা দেয়া এমনকি সঞ্চয়পত্র বিক্রি বা ভাঙ্গানো সব ক্ষেত্রেই মানুষের সংস্পর্শে যেতেই হয়। কোন কোন ব্যাংকের শতাধিক কর্মকর্তা শনাক্ত হয়েছেন। ব্যাংকারদের মৃত্যুর খবরও প্রায়ই পত্রিকায় দেখি।
এই তিন পেশার মানুষই মানুষকে সেবা দিতে গিয়েই শনাক্ত হচ্ছেন। সেবাটা যদিও বিনা পয়সায় কেউ দেন না তবুও এই করোনাকালেও তাদের সেবা দেয়া ছাড়া কোন বিকল্পও নেই। বেসরকারী ডাক্তারগণই শুধু চাইলে সেবা না দিয়ে ঘরে বসে থাকতে পারেন। কিন্তু তাদের অনেকেও দায়িত্ব পালন করছেন। এই তিন পেশার মানুষই সচেতন ও অধিক স্বাস্থ্যবান। পুলিশের করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার মোট হারের এক পঞ্চমাংশ। তারা সুস্বাস্থ্যের অধিকারী ও সচেতন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই এই তিন পেশার মানুষের। তাদের করোনা সংক্রমণ হওয়া দোষের কিছু নয়, অপরাধ নয়, কোন পাপের ফল নয়, অসচেতনতা নয় শুধুই সম্ভাবনা বেশি বলেই তারা আক্রান্ত হচ্ছেন।
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১১
মুজিব রহমান বলেছেন: শনাক্তইতো হচ্ছে দৈনিক আড়াই হাজার করে।
২| ০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:০৫
মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: এই মুহূর্তে তাদের কাছে বিকল্প কোন অপশন আর নেই। তারা অফ গেলে আমাদের সাধারন মানুষের খবর হয়ে যাবে।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: এদের কাজটাই পাবলিকের সাথে, কিছু করার নাই ।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:১৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: ইদানিং দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দূত বাড়ছে। এই তিন পেশার মানুষ ফ্রন্ট লাইনে তাই আক্রান্তও হচ্ছে বেশী।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: বর্তমানে চলাফেরাই ঝুকিপূর্ণ ।লোক ছাটাই হবে পোষাক খাতে।
৬| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৯
আমি সাজিদ বলেছেন: আজকে জাফরুল্লাহ সাহেব ও নাসিম সাহেবের অবস্থার অবনতি। পিজি হাসপাতালের ইউরোলজির সাবেক হেড মারা গেলেন। অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। @চাঁদগাজী সাহেব
৭| ০৫ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: করোনার অবস্থা আমাদের দেশে এখনও অবনতির দিকে।
৮| ০৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:০৩
পদ্মপুকুর বলেছেন: গণমাধ্যমকর্মীরাও ফ্রন্টলাইনে থেকেই কাজ করছে।
সমস্যা হলো, যখন অফিস খোলা থাকে, তখন কোন ডেস্কে জনঘনত্ব বেশি বা মিথস্ক্রিয়া বেশি হয়, এটা অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণ ছুটির সময়ে কয়েকদিন অফিস করে দেখলাম- হয়তো আমার টেবিলে বাইরে থেকে কেউ আসে না, কিন্তু বাইরে থেকে যে সব ডেস্কে বেশি মানুষ আসে, সে ডেস্কের অফিসার আমার কাছে আসে। এ ছাড়াও অফিসের সাবস্টাফ, ক্লিনিং কোম্পানির লোকজন, সিকিউরিটির লোকজন, তাদেরকেতো সব অফিস অফিশিয়াল ট্রান্সপোর্ট দিতে পারে না...
পার্সোনাল প্রেটেকশন বিষয়টা বলতে যতটা চমকপ্রদ, দীর্ঘক্ষণ বাসার বাইরে থাকাবস্থায় বাস্তবে মেনেচলা কঠিন। আপনাকে দুপুরে খেতে হবে, নামাজ পড়তে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। একটা ম্যাসাকার অবস্থা। আমাদের মনে হয় প্রপার সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়ে যাচ্ছে...
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:১৪
মুজিব রহমান বলেছেন: প্রতিটি পেশাতেই সমস্যা। একজন শ্রমিক, রিকসা পোলার, দোকানদার আসলে সিংহভাগ মানুষের নিরাপদে থাকার সুযোগই নেই। বাইচান্স তারা আক্রান্ত নন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
দেশে করোনা সংক্রমণ কি দ্রুত বাড়ছে?