![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
বিস্ময়কর কিছু মানুষ হার্ড ইমিউনিটির কথা বলে সবাইকে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলছেন যে, তাতে করোনা ভাইরাস আর কাউকে খুঁজে পাবে না। এক্ষেত্রে ৭০-৮০% মানুষ আক্রান্ত হলেও চলবে! মানে ৫শ কোটি মানুষকে আক্রান্ত হতে বলছে। যদি ৬% হারে মারা যায় তবে মৃত্যু হবে ৩০ কোটি মানুষের উন্মাদনা আর কাকে বলে? ভ্যাকসিনেশন বা সেই ভাইরাসের প্রতিরোধী টিকা প্রদানের মাধ্যমে ৫০০ কোটি মানুষকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন করে গড়ে তো যেহেতু সম্ভব নয় তাই সবাই আক্রান্ত হয়ে যাও। আক্রান্ত হবে কারা? কারা আবার গরিব গোবরাগণই? ৩০ কোটি গরিবের প্রাণের বিনিময়ে বাঁচতে চায় সকল ধনীরা।
কিন্তু ভাইরাসটি দ্বারা সবাইকে সংক্রমিত হওয়ার আবহ সৃষ্টি করে দেয়ার প্রক্রিয়া দেখছি দেশে দেশে- ব্রাজিলে, আমেরিকায়, মেক্সিকো, ইরান, তুরস্ক, দক্ষিণ এশিয়ায়। এই খুনে পরিকল্পনাকারীদের রুখে দেয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। ব্রিটিশ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা ঘোষণা দিয়েছে তারা সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। ২টি নতুন চুক্তি হওয়ার পর তাদের সক্ষমতা দ্বিগুণ হয়ে যাবে। তারা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে এ ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা দুটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি করেছে, যাতে তাদের উৎপাদনক্ষমতা দ্বিগুণ হবে। বিজ্ঞানের আশির্বাদে এটা দিয়েই তৈরি হোক হার্ড ইমিউনিটি। অবশ্য বরিশালে দেখলাম একজন ডাক্তার দুবার আক্রান্ত হয়েছেন। হয়তো রোগ তার শরীরে সুবিধা করতে পারবে না। তাই যেনো হয়।
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:২১
মুজিব রহমান বলেছেন: এটা একটা গবেষণার ফল যে ৮০ ভাগ যদি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে তবে সেখানে আর ছড়ায় না। চেইন ব্রেক হয়ে যায়।
২| ০৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৫:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
মৃত্যুর হার ৬%?
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৩
মুজিব রহমান বলেছেন: শনাক্তদের বর্তমান মৃত্যুহার এটা। শনাক্তদের মধ্যে আরো অনেকেই মারা যেতে পারেন তখন হার বেড়ে যাবে আবার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বাড়ানো গেলে মৃত্যুহার ভবিষ্যতে কমতেও পারে।
৩| ০৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
আমি সাজিদ বলেছেন: সোনাবীজ ভাইয়ের কমেন্টই মেডিকেল সায়েন্সের ভাষ্য এই হার্ড ইম্ম্যুনিটি নিয়ে।
৪| ০৫ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাধারণ পাটিগণিতের হিসাব থেকেই বোঝা যায় যে প্রাকৃতিক ভাবে হার্ড ইমিউনিটি পদ্ধতিতে কয়েক কোটি লোক মারা যাবে। এর জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার হয় না। তাই যারা এটার প্রচার করছে এরা আসলে জ্ঞান পাপী অথবা ঠিক মত পরাশুনা করেনি। সংবাদ পত্রগুলি না বুঝেই লিখে যাচ্ছে। একটা অবাস্তব পদ্ধতিকে সমর্থন করছে।
০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৭
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। প্রাকৃতিক ইমিউনিটি মানেই ঢালাও মৃত্যুর দিকে ঝাপিয়ে পড়া।
৫| ০৫ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: ভয়ের কিছু নাই।
আশা করি আগামী চার মাসের মধ্যে করণা আপনাতেই বিদান নেবে। অবশ্য এর মধ্যে হয়তো পাঁচ লাখ লোক মারা যাবে।
৬| ০৬ ই জুন, ২০২০ রাত ১২:৪৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: কক্স বাজার মাত্র রেড় জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:৫৬
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: করোনার ক্ষেত্রে হার্ড ইমিউনিটি কার্যকর হবে কিনা তা নিশ্চিত না। আর, হার্ড ইমিউনিটিতে সংক্রমণের মাত্রা কমে আসতে থাকে, কিন্তু জিরো হওয়া সম্ভব না। ১০০ জন লোকের মধ্যে ৯০ জন আক্রান্ত হয়েছে, বাকি ১০জনও করোনার সংস্পর্শে আসলে আক্রান্ত হতে থাকবে। এটা এমন না যে, বাকি ১০জনের জন্য একটা সুরক্ষা বলয় তৈরি হয়ে গেছে। সংক্রমনের জন্য কথিত ১০০০ ভাইরাস কারো শরীরে একিউমুলেট হতে পারলেই সে ইনফেক্টেড হবে।
আপনার সাথে পুরোপুরি একমত। হার্ড ইমিউনিটির অজুহাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয়ার অর্থ হলো সবাইকে আগুনের মধ্যে ছুঁড়ে ফেলে পুড়িয়ে মারার সমতুল্য। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স।