নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাভাগ কি অনিবার্যই ছিল?

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০১

ভৌগোলিক ও যাতায়াত ব্যবসার সমস্যার কারণে বঙ্গের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চল প্রায় বিচ্ছিন্নই ছিল। ১৯০৫ সালে মূলত প্রকাশ্য এ কারণেই এবং হয়তো হিন্দু এলিট শ্রেণির ক্ষমতা খর্ব করার উদ্দেশ্যে বঙ্গ ভঙ্গ হয়। পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ জমিদার ও এলিট শ্রেণির মানুষ বিভিন্নভাবেই কলকাতায় বসবাস করতো। জমিদারদের আয়ের উৎস ও জমিদারিত্ব এবং এলিট শ্রেণির ভিটা রক্ষা এতে হুমকির মধ্যে পড়ে। এ বিভক্তি বঙ্গের হিন্দু এলিট শ্রেণির যথেষ্ঠ ক্ষতির কারণ হয়ে উঠে এবং তারা বিরক্ত হয়ে সরকারের উপর চাপ তৈরি করে। সরকার বাধ্য হয়েই বঙ্গভঙ্গ রদ করে। বঙ্গভঙ্গ হওয়াতে মুসলিমদের মধ্যে একটি ধারণা জন্মায় যে, এতে তাদের শিক্ষা ও কর্মসংসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। ফলে বঙ্গভঙ্গ বাতিল হওয়াতে তারা খুশি হননি।

বঙ্গভঙ্গ রদ হলেও বঙ্গ বিহার উড়িষ্যা ছোট নাগপুর আসাম ইত্যাদি আলাদা হয়ে যাওয়াতে পুরো বাংলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে। তার মধ্যে রাজধানী সরিয়ে নেয়া নেয়া দিল্লীতে। এর প্রেক্ষিতে আস্তে আস্তে হিন্দু এলিট শ্রেণির নেতাদের ক্ষমতা খর্ব হয় এবং মুসলিম নেতৃত্বের উত্থান ঘটে বঙ্গে। যা এলিট হিন্দু শ্রেণির কাছে ছিল দুঃস্বপ্ন। অবিভক্ত বাংলার প্রধানমন্ত্রীর পদ তৈরি হলে সেখানে পরপর তিনজনই মুসলিম নির্বাচিত হন- যথাক্রমে একে ফজলুল হক, খাজা নাজিমউদ্দিন ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। বঙ্গের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য এটা ছিল খুবই মর্ম পীড়ার কারণ। এতোবছর সারা ভারতের স্থানীয় রাজনীতির নেতৃত্ব দিয়ে আজ তারাই ক্ষমতায় থাকতে পারছে না।

তারা বুঝে নেয় বঙ্গ ভাগ না হলে তারা আর রাজ্যের/রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জয়া চ্যাটার্জীর গবেষণাগ্রন্থ ‘দেশভাগের অর্জন বাঙলা ও ভারত ১৯৪৭-১৯৬৭’ গ্রন্থের ২২ পৃষ্ঠায় লিখেছেন-
‘একথাও সত্য যে, দেশভাগের মূল ভিত্তি লন্ডন ও দিল্লি ঠিক করে দেয়, আর এসব ভিত্তি ঠিক করার সময় প্রাদেশিক চিন্তা-ভাবনার চেয়ে রাজধানী ও সর্ব-ভারতীয় উদ্দেশ্যগুলি প্রাধান্য পায়। লন্ডন ঘোষণা করে যে, বেঙ্গল বিধানসভাকে দু‘ভাগে ভাগ করতে হবে। এক ভাগে থাকবে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলির নির্বাচিত সদস্য এবং অন্য ভাগে থাকবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ জেলাগুলির নির্বাচিত সদস্য। যেকোনো ভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যদি প্রদেশ ভাগের পক্ষে ভোট দেয়, তাহলে বাঙলাকে ভাগ করা হবে। অতঃপর ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বেঙ্গল আইনসভাকে দু‘ভাগে ভাগ করা হয় এবং তারা প্রদেশভাগের ওপর ভোট দেয়। ঐতিহাসিক এই ভোটে ‘হিন্দু’ ভাগের অধিকাংশ সদস্য প্রদেশ ভাগের পক্ষে ভোট দেয়। আর যা আশা করা হয়েছিল ঠিক সেইভাবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম বাঙলাকে অবিভক্ত রাখার পক্ষে ভোট দেয়।’

যদি দুই ভাগের বিধানসভার সদস্যরাই অবিভক্ত বাংলার পক্ষে ভোট দিতো তাহলে বাংলা ভাগ হতো না। এখানে এলিট শ্রেণির কাছে ক্ষমতায় যাওয়া ও ধর্মীয় স্বার্থের কাছে বাঙালী জাতীয়তাবাদ গৌণ হয়ে যায়। এর পরিণতিতে বাংলা দ্বিখণ্ডিত হয় বিভিন্ন হিসাব নিকাশ করে। এতে পূর্ব বঙ্গে থেকে যাওয়া হিন্দুরা বিপাকে পড়ে। ভারত ভাগের পরে ৫০-৬০ বছর ধরে হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করতে থাকে। পূর্ববঙ্গের হিন্দুদের অর্ধেকের বেশি পশ্চিমবঙ্গে চলে যায়। আনুপাতিক হারে কম হলেও পশ্চিমবঙ্গ থেকেও বহু মুসলিম পূর্ববঙ্গে চলে আসে। এই দেশ ত্যাগের সাথে জড়িত হয় বিভিন্ন শ্রেণির স্বার্থ। ধর্মীয় বিদ্বেষ ছাড়াও জমি-জমা ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি দৃষ্টি পড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠদের। এই স্রোত সাম্প্রতিক সময়েই এসে থেমেছে বলে মনে হচ্ছে।

বর্তমানে পশ্চিমঙ্গের আয়তন ৮৯ হাজার বর্গ কিলোমিটার আর বাংলাদেশের আয়তন ১লক্ষ ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গ মোট ভূখণ্ডের ৩৭.৫% জায়গা নিয়ে গঠিত হয় আর বাংলাদেশ ৬২.৫% জায়গা নিয়ে গঠিত হয়। জনসংখ্যার দিক দিয়ে পশ্চিম বঙ্গের ৯ কোটির বিপরীতে বাংলাদেশে ১৮ কোটি রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ৯ কোটির মধ্যে প্রায় ২.৫ কোটি মুসলিম আর ৬.৮ কোটি হিন্দু। বাংলাদেশের ১৮ কোটির মধ্যে মুসলিম ১৫.৬ কোটি আর হিন্দু (উইকিপিডিয়ায় প্রদর্শিত ১২.১% ধরে) ২.২ কোটি। দুই বাংলার মোট জনসংখ্যা হিসাব করে দেখুন- মুসলিম ১৮.১ কোটি আর হিন্দু ৯ কোটি। ফলে অখণ্ড বঙ্গ থাকলে তার নেতৃত্বও দিত মুসলিমরাই। এজন্যই কলকাতার হিন্দুরা চেয়েছিল বঙ্গ আবারো ভাগ হোক। যদি ভারত ভাগ নাও হয় তবুও বঙ্গ ভাগ হোক। এতে ধর্মীয় রাজনীতি যারা করেন তারা হিসেব করে বলবে তাহলেতো পশ্চিমবঙ্গের এলিট হিন্দুদের লাভই হয়েছে। তারা বঙ্গের ৩৭.৫ ভাগের শাসনতো করতে পারছে। মুসলিমরা হয়তো বলবে আরে তাহলেতো পুরো বাংলার ক্ষমতায় মুসলিমরাই থাকতো। বঙ্গ ভাগ হয়ে তাদের ক্ষতিই হয়েছে। দেশভাগের কারণে দেশত্যাগের হিড়িক পড়ায় দুই ভূখণ্ডেই সংখ্যালগুরা আরো সংখ্যায় কমে গিয়েছে। নিপীড়নের মুখে পড়েছে অবশিষ্ট সংখ্যালগুরা। দেশত্যাগ করেও সংখ্যালঘুদের অনেকেই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ভারত ভাগের প্রক্কালে এর জেরে সারা বাংলার বহু দাঙ্গা হয়েছে। বহু মানুষ মারা গিয়েছে। মানুষের মধ্যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে মানুষের মনে জেঁকে বসেছে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ। ভ্রাতৃত্ববোধ, সহমর্মীতা ও সহনশীলতার পরিবর্তে মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ধর্মীয় বিদ্বেষ। বঙ্গভঙ্গটা ধর্মীয় রাজনীতি ও ধর্মব্যবসায়ীদের লাভবান করলেও মানবিক মানুষের জন্য জন্য ক্ষতই তৈরি করেছে।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:০৬

বিজন রয় বলেছেন: অনিবার্য ছিল কিনা এখন তো তা বোঝা যাচ্ছে।

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মুজিব রহমান বলেছেন: দিনে দিনে বাড়িয়াছে দেনা।

যদি আগে থেকেই এমন একটা ভাবাদর্শ তৈরি থাকতো যে, দেশভাগ হবে না। মিলেমিশে থাকতে হবে। রাষ্ট্র যদি চলতে থাকতো নেহেরুর ভাবনার মতোই স্যেকুলার রাষ্ট্রের দিকে। তাহলে দাঙ্গা এমন ভয়ঙ্কর রূপ নিতো না যে, মানুষ বুঝে নিতো দেশভাগ অনিবার্য। ভাগ নিশ্চিত করতেই দাঙ্গা লাগানো হয়েছে। আবার দাঙ্গা লাগাতে পেরেছিল বলেই ভাগ নিশ্চিত হয়েছে।

২| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১১

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: পুরা ভাগ এবং রায়টের জন্য জিন্নাহকেই আমি দায়ী মনে করি। ওদিকে শেরে বাংলা সহ অন্যান্য নেতাদের ক্ষমতার লোভ তো ছিলোই। গান্ধী যদি একটু শক্ত হতেন তাহলে রায়ট দেশ ভাগ সব এড়ানো যেতো। জিন্নাহর মতো জানোয়ার গুলোই সব নস্ট করছে। ইতিহাসে এদের কর্মকান্ডই তার প্রমান

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: গবেষণায় কি বলে? জিন্নাহকেতো নিরপেক্ষ গবেষকগণ একচ্ছত্র দায়ী করেন না। প্যাটেল, নেহেরু, গান্ধীর দায় কতটুকু? সব নিয়েইতো গবেষণা হয়েছে, হচ্ছে, হবে। নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে গবেষণায়। জয়া চ্যাটার্জীর দুটো গবেষণামূলক বইতেও আপনার দাবি সমর্থন করেনি।

৩| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভাগ বাটোয়ারা কোনোদিনই ভালো না। আমার খুব অপছন্দ।

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাগটা যথাযথও ছিল না। শুধু নেতারা ক্ষমতা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছেন।

৪| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: অবিভক্ত বাংলা থাকলেই বেশি ভালো হতো।

১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: তবে অবশ্যই যদি হতে পারতো অসাম্প্রদায়িক স্যেকুলার রাষ্ট্র।

৫| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:৪০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ধর্মীয় রেষারেষির জের হিসাবে ১৯৪০ সালে লাহোর প্রস্তাব উত্থাপিত হয়। ধর্মীয় রেষারেষি ক্রমশ বাড়ছিল। এ রেষারেষির কারণে ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র গঠনের দাবি ক্রমশ বেগ পাচ্ছিল, যা ১৯৪৬-এ গিয়ে দাঙ্গায় রূপ নেয়। কোনো একক ব্যক্তি না, ক্ষমতা ভাগ করে নেয়ার লোভ ছিল সবার মধ্যেই। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ ছিল অনিবার্য। তখন দেশভাগ না হলেও এক দেশ হিসাবে ভারত বেশিদিন এগোতে পারতো না। আর, বাই চান্স যদি এটা এখনো একটা দেশই থাকতো, তাহলে ভারতবর্ষে এখনো পাঞ্জাব, কাশ্মীরের মতো আগুন জ্বলতো, যেমন জ্বলে কলকাতায়ও।

বাংলাভাগ কি অনিবার্য ছিল? পুরো ভারতের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলায়। দাঙ্গা হয়েছে বাংলায়। এখান থেকেই ছড়িয়েছে অন্যান্য জায়গায়। বাংলাকে এক রেখে দেশ ভাগ সম্ভব ছিল না।

জয়া চ্যাটার্জীর বইয়ে প্রচলিত অনেক ভুল ধারণা ভাঙানো হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

পোস্টটা ভালো লেগেছে, বিশেষ করে লাস্ট প্যারার পর্যালোচনা।

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: বইটি দীর্ঘদিনের গবেষণার ফল। পড়লে শাণিত ‍যুক্তি টের পাওয়া যায়। যুক্তি এবং তথ্যকে অস্বীকার করা যায় না।

৬| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:১১

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯০৫ সালে যে হিন্দুরা দেশ ভাগ করা মানে মাকে ভাগ করা এইসব সস্তা কথা বলেছিলো,তারাই আবার ১৯৪৭-এ বাংলা ভাগ করার জন্য ভোট দিয়েছিলো।
প্রথমে শেরে বাংলা ফজলুল হক এবং পরে সোহরাওয়ার্দী-শরৎ বসুর কলকাতাকে রাজধানী করে স্বাধীন যুক্ত বাংলা প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবও তারা মানেনি, যেটাতে জিন্নাহ রাজী ছিলো ,কিন্ত নেহেরু-প্যাটেল ছিলো যার ভয়ংকর বিরোধী।
সেটা হলে আজ ভারতে এতো জঙ্গী-সন্ত্রাসী থাকতো না,কাশ্মীর,গুজরাট,উত্তর প্রদেশ,দিল্লীসহ সারা ভারতে সংখ্য্যলঘুদের উপর মারাঠি-গুজরাটি শোষকশ্রেনী এতো অত্যাচার করতে পারতো না।
এখন পশ্চিবঙ্গের বড় একটা লোক বলে যে তারা অবাঙ্গালীদের শোষণ-নির্যাতনে স্বীকার। বাংলা পক্ষ নামে ফেসবুক পেজ এ এ ব্যাপারে নিয়মিত লেখা দেয়।
আর বিজেপি অভিযোগ করেছে,মমতা পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাতে চান।
https://www.banglatribune.com/foreign/news/495177/পশ্চিমবঙ্গকে-‘বাংলাদেশ’-বানাতে-চান-মমতা-বিজেপি

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলার গুরুত্ব কেন্দ্রের কাছেও অনেক বেশি থাকতো। বাংলাভাগ নিশ্চিত করার জন্য দাঙ্গা হয়েছে আবার দাঙ্গার কারণেই বাংলাভাগ নিশ্চিত হয়েছে। আমরা ক্ষমতা যাওয়ার জন্য দেশকে নিয়ে, জণগণকে নিয়ে যা ইচ্ছা তাই করতে দেখলাম।

৭| ১৩ ই জুন, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: হয়তো অনিবার্যই ছিলো, বাংলা ভাগ না হলে যুক্ত বাংলার বররতাম অঞ্চল গুলো যতটুকু স্বাধীনভাবে শাসিত হচ্ছে বাংলা ভাগ না হলে সেটা সম্ভব হতো না। ধর্মীয় বিদ্বেষ যেভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হইছিলো তাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সবসময়ই লেগে থাকতো।

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

মুজিব রহমান বলেছেন: শাসক শ্রেণি চাইলে দাঙ্গা বন্ধ করা সম্ভব ছিল। শাসকগণই যদি অসাম্প্রদায়িক ও স্যেকুলার রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করে তবে জণগণও সেই মতাদর্শেই বেড়ে উঠে। চীনের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ফল দেখুন।

৮| ১৩ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:১১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বাংলা ভাগের দরকার ছিল। স্বাধীনতা মানুষ ভালোবাসে

১৩ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: সংখ্যালঘুদের চোখ দিয়ে তাকিয়ে বলেন।

৯| ১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ৯:১৯

বিজন রয় বলেছেন: এখানে আপনি আামর মন্তব্যের উত্তর দিলেন না যে!!

১৪ ই জুন, ২০২০ রাত ১০:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: আজকের প্রেক্ষাপটে জবাব দেয়া সহজ ছিল না বলে দেইনি। আবার বলাতে জবাব লিখলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.