নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মোদীর ধর্ম ও জাতীয়তাবাদই পুঞ্জি! উত্তর ও পূর্ব ফ্রন্টে কি করবেন?

১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৩


এই মহাকরোনাকালের মধ্যেই গত এপ্রিলে মোদী আমেরিকা থেকে ১২০০ কোটি টাকার সমরাস্ত্র কিনতে প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতকে এই মারণাস্ত্র বিক্রির করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে আমেরিকা। সমরাস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে সব দেশের ওপরে রয়েছে ভারত। স্টকহোমের ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক প্রতিবেদেন জানানো হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে পৃথিবীতে মোট অস্ত্র আমদানির মধ্যে ভারত একাই কিনেছে ১৩ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল পরবর্তী তিন বছরও। ‘টেন্ডস ইন ইন্টারন্যাশনাল আমর্স ট্রান্সফার ২০১৯’ শীর্ষক আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিশ্বব্যাপী মোট অস্ত্র আমদানির ৯ দশমিক ২ শতাংশ আমদানি করে ভারত অস্ত্র আমদানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তারা এবছর আমেরিকা থেকে ১৫ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনার প্রস্তাব দেয়ার পরেই আরো ৮১ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনবে রাশিয়া থেকে। তার অস্ত্র দরকার। করোনা দমনের চেয়ে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য তিনি জাতীয়তাবাদী চেতনা আরো জাগ্রত করার জন্য প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে যুদ্ধ বাধানোতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।

১। বাংলাদেশঃ এনআরসি করে বাংলাদেশের সাথে ঝামেলা পাকানোটা অনেকটাই সেরে রেখেছেন। এখন দ্বন্দ্ব বাধানো খুবই সহজ হবে। লক্ষ লক্ষ বাংলাভাষী মুসলিমকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিয়ে ধর্মীয় জিকির তুলতে পারলেই কেল্লা ফতে। এমনিতেই মুসলিম বিরোধী একটা মতাদর্শ তৈরি করে রেখেছে। এই লোকগুলোকে ঠেলে দিতে হবে দাঙ্গাও লাগাতে হবে। তাহলে উগ্রপন্থীহিন্দুরাও মুসলিমদের ঠেলে বাংলাদেশে ঢুকানোর চেষ্টা করবে।

২। পাকিস্তানঃ গত বছর ভারতের লোকসভা নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতীয় কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) কর্মীর উপর আত্মঘাতি হামলায় ৪০ জন কর্মী নিহত হয়। জঙ্গী সংগঠন জয়শ-ই-মোহাম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করে কিন্তু পাকিস্তান নিজেদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে। এই হামলার প্রেক্ষিতে ভারত পাকিস্তানে হামলা চালায়। এর ফলে বিজেপি নির্বাচনী নিরুঙ্কুষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। নির্বাচনের আগে অতি প্রয়োজনীয় হামলায় বিজেপি ব্যাপকভাবে লাভবান হয়। ফলে এ সময়ে কেন জয়শ-ই-মোহাম্মদ বিজেপির স্বার্থের জন্য হামলা চালালো তার প্রশ্ন উঠবেই। আবার জোশ তুলে সারা ভারতের বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত কাশ্মিরীদের উপর হামলা চালানো হল।কাশ্মিরী ছাত্রদের ভর্তি বাতিল করে ও সর্বত্র তাদের বর্জন করে একটি কাশ্মির বিরোধী হাইপ তুলে।কাশ্মিরের জন্য বিশেষ আইন বাতিল হয়ে যায়।

৩। নেপালঃ নেপাল ছিল পৃথিবীর একমাত্র হিন্দু রাষ্ট্র এবং ভারতের সাথে সুদীর্ঘকাল ধরেই সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল। বিজেপি সরকার বারবার নেপালের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিপুল মাত্রায় হস্তক্ষেপ করে, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে সম্পর্কর অবনতি ঘটায়। নেপাল সংকট থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়েই চীনের সাথে হাত মেলায়। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ভারতের দখলে থাকা কিছু এলাকাকে নিজেদের দাবী করে মানচিত্র বদল করে। নেপালের সাথে শক্তি প্রয়োগ করে বিজেপে সুবিধা নিতে চাইবে। তবে নেপালের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু হওয়ায় সেখানে বেশি সুবিধা নাও আসতে পারে। আবার ভারতের শত্রু রাষ্ট্র চীনের সাথে সম্পর্ক করার বিষয়টা যদি জনগণকে খাওয়াতে পারে তবে তা কাজেও লাগতে পারে।

৪। চীনঃ ভারতের সীমান্তে থাকা সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী রাষ্ট্র চীন। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে মোদী ট্রাম্পের সাথে সম্পর্ক বেশি উন্নতি করায় চীনের সাথে একটা দ্বন্দ্ব বৃদ্ধি পায়। এমনিতেই পাকিস্তানের সাথে চীনের সুসম্পর্ককে ভারত ভাল চোখে দেখে না। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে চীনের সাথে সীমান্ত নিয়ে সংঘাত হয়েছে। দালাইলামাকে আশ্রয় দেয়াতেও অতীতে সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। চীন জুজুর ভয় তুলে ভারত তার সামরিক শক্তি অতি মাত্রায় দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি করছে। চীন এটাকেও ভাল চোখে দেখছে না। খুবিই নিন্দনীয়ভাবে চায়না সেনারা ভারতীয় অন্তত ২০জন সেনাকে তারকাটা লাগানো রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। চীন বুঝে বাংলাদেশ-নেপাল বা পাকিস্তানের জন্যই এতো আয়োজন নয়। ভারত চীনকে মাথায় রেখেই এসব করছে। মোদীর ফাঁদে চীনও যদি পা দিয়ে যুদ্ধ আরো জটিল করে তবে সেটাও মোদীর লাভের খাতাতেই যাবে। ভারতের জনগণের জাতীয়তাবাদী চেতনা গভীরতর করা সম্ভব হবে।

আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। জরিপ বলছে তৃণমূল কংগ্রেস এগিয়ে আছে। এই ব্যবধান দূর করে বিজেপি চাইবে ক্ষমতায় যেতে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যর্থতা, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যর্থতা, ভারতীয় জনগণের মধ্যে ঐক্য ধরে রাখতে ব্যর্থতা ঢাকতে হলে পূর্ব ও পূর্ব উত্তর ফ্রন্টে প্রতিবেশি রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ দরকার। ভুটান বাদে এ অঞ্চলের তিন রাষ্ট্র নেপাল, বাংলাদেশ ও চীনকেই ব্যবহার করতে হবে। ভারতের জনগণের ক্ষতি করেও কিভাবে তাদের খুশি রাখতে হয় সেটা বিজেপি ভালই জানে। ধর্ম ও জাতীয়তাবাদ খাওয়ানো ছাড়া বিজেপির কোন পথই খোলা নেই। অসচেতন জনগণও খাওয়ার জন্য হা করে বসে আছে। চীনের সাথে সুবিধা করা সহজ নয়। ইতোমধ্যেই হাতাহাতি লড়াইতেও হত্যার ঘটনা তাদেরই বেশি হয়েছে। তা দিয়েই চীন বিরোধী মনোভাব তৈরিতে কাজ করছে বিজেপি। তারা চায়না পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত চীনের সাথে সমঝোতায় মোদী যাবে হয়তো। তাহলে দেখা যাক যুদ্ধটা আর কার সাথে লাগায়?

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৮:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: যুদ্ধ লাগলে মোদীর ভোজবাজী কমে যেতো। মোদি অনেক উজাইছে। মোদীকে বিচক্ষনতার পরিচয় দিতে হবে। তা না হলে মোদীর ট্রাম্পের মতো অবস্থা হবে।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রতিবেশি সবার সাথে সম্পর্ক নষ্ট করা বিস্ময়কর। এই বিশ্বায়ন কালে কতোটা গোঁড়া-অন্ধ-মৌলবাদী হলে সেটা সম্ভব। সে প্রেক্ষিতে সাইনিং ইন্ডিয়ার প্রবৃদ্ধি মোদি কালিমালিপ্ত করেছেন। তবুও মৌলবাদীরা অলৌকিক ক্ষমতার আশায় মোদীকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। অবশ্যই এগুলো সাময়িক। ঢাক ঢোল বাজিয়ে যে করোনাভাইরাস দূর করা যায় না সেটা তাদের প্রমাণ করা লাগতো না।

২| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:০৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: শেষ পর্যন্ত বড় ধরণের যুদ্ধ হয়ত হবে না, আর হলে ভারতের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি ।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: যুদ্ধ না হলেই ভাল। যুদ্ধ লেগে গেলে ভারত আরো অস্ত্র কিনবে, দারিদ্রতা বাড়বে এবং অনিবার্যভাবে সবদোষ চাপাবে মুসলিমদের উপর। নিপীড়ন বেড়ে যাবে।

৩| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ৯:৩৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: ভারতের দৌড় সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশী হত্যা করা পর্যন্ত।
সেখানে মানুষ খাবার না পেয়ে ঘাস খায় আর নেতারা বোমা বানায়, চাদ-মহাশূন্যে যান পাঠায়!!!!
ভারতীয় সেনারা পারে কাশ্মীরে নারী ধর্ষণ করতে। যুদ্ধ করা কোনো ক্ষমতা নাই।
এতোগুলি সৈন্যের মৃত্যু এর প্রমাণ।
পারলে চীনের সাথে লড়াই করে দেখাক।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: দুঃখজনক যে হাতাহাতিতেই তাদের ২০ সেনা মরে গেল!

আশা করবো ভারত ও চীন সংযত থাকবে। যুদ্ধ লাগলে তার প্রভাব থেকে আমরাও বের হতে পারবো না।

৪| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:০৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: চীয়নারা রড় দিয়ে পিটিয়ে ২০ জন মেরেছে ইন্ডিয়ান সেনা । ওদের যেত শক্তি ও সাহস আমাদের সাথে । কারণ আমাদের নেতা বলে আমরা স্ত্রী ।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: মোদী বুঝতে চাচ্ছেন না- প্রতিবেশি দেশ বদলানো যায় না। সুসম্পর্ক তৈরি করাই প্রধান কাজ। শুধু ভয় দেখিয়ে নেপালকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা গেল না।

৫| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ভারত ছিল জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোর প্রথম কাতারের সৈনিক।সেই ভারত এখন চীন বিরোধী আমেরিকান জোটে জোগ দিচ্ছে ,তারই ফলশ্রুতি চীন,পাকিস্তান,নেপাল,ভূটান এক জোট।যুদ্ধ হবে না,হাল্কা পাতলা শিক্ষা হবে।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রতিবেশি দেশ বদলানো যায় না। প্রতিবেশি দেশের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করাই প্রধান কাজ। শুধু ভয় দেখিয়ে নেপালকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা গেল না। চীনতো আরো শক্তিশালী দেশ। লাগতে গেলে নিজেকেই মরতে হবে।

যুদ্ধ বন্ধ হোক।

৬| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১০:৫৮

ঊণকৌটী বলেছেন: ভারত এর সাথে নেপাল,ভুটান, চীন এর মাঝে কুনো কাটা তারের বেড়া নায়।এর মধ্যে নেপাল এবং ভুটান এর নাগরিক রা ভারতে আসতে গেলে পাসপোর্ট বা ভিসা র প্রয়োজন নেই। তারা সরকারি চাকরি থেকে বাড়ি কেনা সব কিছুই করতে পারে । ভারতের সেনা বাহিনী তে বিশাল সংখ্যক নেপালিরা চাকরি করে এবং ভুটানিরা প্রতি বছর 6 মাস ভারতে bussiness করে কনো পেপার ছাড়াই, চীনের সাথে ও কাটা তার নাই করান 14 থেকে 16 হাজার ফিট উপর দুর্গম বরফঢাকা প্রাণ বিহীন তা সম্ভব না। বাকি রইল পাকিস্তান আর বাংলাদেশ তা হলে গরিব ভারত কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন শুধু এই দেশ দুটো কে কাটা তার দিয়ে ঘিরতে চাইছে কি আতঙ্কে ? এই আতঙ্কের কারন কি ? এইটা কি কুনো দিন ভেবেছেন।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

মুজিব রহমান বলেছেন: দেখুন সাম্প্রদায়িক হিন্দু মুসলমানরা পরস্পরকে সবচেয়ে ঘৃণ্য শত্রু মনে করে। এই সীমান্ত দিয়ে ব্যাপক হারে চোরাচালানও হয়ে থাকে। আবার জঙ্গীদের অবাধ যাতায়াতও ভারত বন্ধ করতে চায়। তাই অর্থনীতি, রাজনীতি ও ধর্মীয় বিষয় বিবেচনা করেই এখানে কাটাতারের বেড়া।

৭| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:০৩

সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চীনের সাথে কে টেক্কা দিবে, ঘটে কি মাল নাই!

৮| ১৯ শে জুন, ২০২০ রাত ১১:২৭

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: চীনে সঙ্গে যুদ্ধ হলে সেখানে ভারতের অনুকূলে ফল আনা অসম্ভব। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র বিক্রি করার জন্য যুদ্ধ সহায়ক হবে । আর পাকিস্তান নেপাল যদি চীনের সঙ্গে শক্ত আতাত গড়ে তুলতে পারে তাতে পরিস্থিতি কিছুটা আচ করা যায়। বাংলাদেশের উচিৎ সঠিক স্ট্রাটেজি নির্ধারণ। ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অবস্থানে থাকা । নিজের অধিকার বিষয়ে শক্ত অবস্থানে থাকা । নতজানু রাজনীতি সমর্থন যোগ্য নয় ।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলাদেশকেও এ অবস্থা থেকে সুবিদা নেয়া শিখতে হবে।

৯| ২০ শে জুন, ২০২০ রাত ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজেপি জানে কিভাবে জনগণের ক্ষতি করে জনগণকে খুশি রাখা যায়। এ কথাটা ঠিক বলেছেন। ফলে ভবিষ্যতে যতদিন মোদী ক্ষমতায় থাকবে ততদিন সামরিক ব্যয় অনেক বাড়বে, প্রতিবেশীর সাথে সংঘাত জিইয়ে রাখা হবে, দেশের ভিতর মুসলমানদের নিয়ে খেলবে, উগ্র জাতীয়তাবাদ ধরে রাখা হবে, কিন্তু পরিণামে দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজবে। কারণ ক্ষমতায় টিকে থাকতে এই অস্ত্র গুলি বিজেপিকে সাহায্য করেছে। কিন্তু বর্তমান বিশ্বে অর্থনীতি আর বেকারত্বের হার নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে কোনও সরকারই পরিণামে টিকে থাকতে পারে না সেটা আমেরিকা হোক কি ভারত। চীনের সাথে ভারত লাগতে যাবে বলে মনে হয় না। আপাতত সদ্য ঘটা অপমান সহ্য করাই ভারতের জন্য উত্তম হবে। দরিদ্র দেশের পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখা ঠিক না।

২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ভারতে করোনা আসার আগেই প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে নেমে এসেছিল। আরো খারাপ অবস্থাই আশঙ্কা করেছিল বিশেষজ্ঞরা পরের প্রান্তিকগুলোতে। মানুষ সহজে ধর্মান্ধতাথেকে বের হতে পারে না। সময় লাগলেও শুধু ধর্মান্ধতা দিয়ে দেশ চলে না।

১০| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৭:২৭

বিজন রয় বলেছেন: ধর্মবাদীরা পৃথিবীকে কতটুকু দিয়েছে, দিচ্ছে?

১১| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:০৮

কল্পদ্রুম বলেছেন: বর্তমানে বাংলাদেশের বড় মিত্র কে — ভারত না কি চায়না?

১২| ২০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভারত চীন সীমান্তে কিছু ঘটলে বাংলাদেশের কিছু মানুষ প্যান্টের বোতাম না লাগিয়েই দৌড় শুরু করে।

আর আপনার BBC র ম্যাপটি তো ফটোশপ করা। ফটোশপ করার মত এত টাইম পান কোথায়?
ম্যাপে লেখা - "এই অংশটুকু চীন পাকিস্তানকে ছেড়ে দেয়"

বাস্তবতা হচ্ছে ঊল্টোটা - পাকিস্তানের দখলকৃত কাশ্মিরের এই অংশটুকু চীনকে ছেড়ে দেয়, মানে বিক্রি করে দেয়।
স্বাধীন কাশ্মিরের জন্য অর্ধেকটা পাকিস্তানের কাছে আমানত রেখেছিল কাশ্মিরিরা, অতচ একটা বড় অংশ চীনের কাছে বিক্রি করে দিল পাকিস্তান!
বাংপাকীদের লজ্জা ঢাকতে ফটোশপ?

BBC র অরিজিনাল ম্যাপটি দেখুন -


২০ শে জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: আমি সরাসরি বিবিসির কাছ থেকেই নিয়েছি। হয়তো অনুবাদে পাল্টে গেছে, বা ভুল হয়েছে। পোস্ট দেয়ার সময় খেয়াল করিনি।

১৩| ২১ শে জুন, ২০২০ রাত ৩:৫৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনুবাদে পুরো বাক্যের অর্থ পাল্টে যেতে পারে না।
অনুবাদে ছবি বা ইমেজের কোন পরিবর্তন হয় না।
যারাই ম্যাপটিকে এডিট করে থাকুক খুব সচেতন ভাবেই এদেশী পাকিপন্থিদের পক্ষে করেছে।

২১ শে জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার বক্তব্যই যৌক্তিক।
শুধু জানি আমি একটি বিজ্ঞাপন এনে তা ছাপানোর পরে দেখেছিলাম লেখার কোথাও কোথাও বদলে গেছে। পিডিএফ ফাইল না দেয়ায় সেটা হয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল ছবিটি নিয়েছি বিবিসির রিপোর্ট থেকেই। হয়তো ভুল হচ্ছে। পোস্ট করার সময় লেখা খেয়াল করিনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.