নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর চরিত্র যেন শিমুল তুলা

০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৫


আমার রাজবাড়ি জেলার এক বন্ধু তার ছাত্র জীবনের একটি ঘটনার কথা বলেছিল। একটি নাটকের সংলাপ ছিল, ‘মেয়েটির চরিত্র ভাল না’। ওদের ক্লাসের খুবই সপ্রতিভ ও মেধাবী একটি মেয়ের উপর ওরা ওই ডায়ালগ চাপালো। কিন্তু ‘মেয়েটির চরিত্র ভাল না’ কথাটি দাবানলের মতো ছড়িয়ে গেল। মেয়েটির পরিবারের কাছেও গেল। ওর স্কুলে যাওয়া আজীবনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। বাস্তবিক মেয়েটি খুবই সচ্চরিত্রের ছিল। সমাজতো এখন বলছে, তোমার চরিত্র খারাপ না হলে, লোকে বলে কেন? অন্যদের ব্যাপারেতো বলে না!

আমাদের বিক্রমপুরের একজন মেধাবী মেয়ে আমাদের সাথে সংগঠন করতো। সে দেখতে ভাল, ভাল গান গায়, আবৃত্তির ক্যাসেট বের হয়েছে, জাতীয় পত্রিকায় তার কবিতা ছাপা হয়, উপস্থাপনা করেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। আমাদের সংগঠনেরই আরেকজন পুরুষ হঠাৎই মেয়েটি সম্পর্কে বাজারে ‘ওর চরিত্র ভাল না’ এমন কথা রটাতে থাকে। মেয়েটির কানেও যায়। সে আমাদের প্রোগ্রামে আসা বন্ধ করে দেয়। আমি খোঁজ নিয়ে বিষয়টি জানতে পারি। ওই তথাকথিত ভদ্রলোকের কাছে জানতে চাই- ওর সম্পর্কে এমন মিথ্যা কথা কেন বলেছেন? সে উত্তরে জানায়, ‘আমার মনে হয়েছে সে ভাল মেয়ে নয় এজন্যই বলেছি’। কথা হল! আপনি খোঁজ নিবেন না? কদিন পড়েও যখন বিষয়টি নিয়ে তার সাথে আবার কথা বলি তখন সে দুঃখ প্রকাশ করে। তবে মেয়েটি আর আমাদের সাথে আগের মতো সক্রিয় থাকেনি।

একটি মেয়ে রাজনীতি করে। তার সম্পর্কে কয়েক ডজন নেতার যৌন সম্পর্কের কথা প্রচার দেয়ার লোকের অভাব হয় না। কিছু প্রতারক পুরুষ এমন প্রচারণা দিয়েই মজা পায়। কিন্তু সমাজে মেয়েটি যে বিতর্কিত হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল করে না। যদি দুষ্টু লোকদের এসব মিথ্যাচারকে মেয়েরা গ্রাহ্য না করতে পারে, সামনে এসে প্রমাণ চাইতে পারে তবেই সমাজ বদলে যাবে। যৌন সম্পর্ক দিয়ে আমাদের সমাজ মেয়েদের চরিত্র যাচাই করে। আর পুরুষদের জন্য এককালে সারাদেশে হাজার হাজার পতিতালয় ছিল, সেখানে কদিন পরে থাকলেও পুরুষদের চরিত্রে কালিমা লাগতো না। আর কোন মেয়ে কারো সাথে হেসে কথা বললেই সর্বণাশ হয়ে যায়। এমন নিকৃষ্ট ভাবাদর্শ বদলাতে হবে। যারা এমনটা করে তাদেরই কথা শুনিয়ে মুখ বন্ধ করে দিতে হবে।

আমি উত্তরবঙ্গে গিয়ে শত শত মেয়েকে বাইসাইকেল চালাতে দেখে অনুপ্রাণিত হই। আমাদের স্কুলে অনেক দূর থেকে অনেক মেয়ে পায়ে হেঁটে স্কুলে আসে। ভাবলাম যদি আমার মেয়েকে সাইকেল কিনে দেই তবে, দূর থেকে আসা মেয়েরাও অনুপ্রাণিত হয়ে সাইকেল চালিয়ে স্কুলে আসতে পারবে। আমার এক বন্ধুও তার মেয়েকে সাইকেল কিনে দিয়েছিল। দুষ্টু লোকেরা কটু কথা অনবরত বলতে থাকায় ওরা বাধ্য হল সাইকেল চালানো বন্ধ করতে।

সুশিক্ষিত ও সচেতন সমাজ যদি এসব নিয়ে সক্রিয় না থাকে, নারীদের পাশে না দাঁড়ায় তবে নষ্টদের দখলে থাকা সমাজ সহজে বদলানো যাবে না। আমাদের কথা বলতে হবে অনবরত। আর নারীর চরিত্র শিমুল তুলা নয় তাই নারীকেও এসব কথা ফু দিয়েই উড়িয়ে দিতে হবে শিমুল তুলার মতোই।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি কি হারমোনিয়াম পার্টির মানুষ?

০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: জি, অনবরত বাজাচ্ছি। খুব বিরক্ত হচ্ছেন?

২| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫০

কল্পদ্রুম বলেছেন: অপবাদের কবলে ছেলে মেয়ে উভয়কেই পড়তে হয়।ছেলেদের উপর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ে না।মেয়েদের ক্ষেত্রে পড়ে।উপেক্ষা করার পাশাপাশি যদি যারা অপবাদ দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেত তাহলে কেউ ইচ্ছে মত কথা বলার আগে ভাবতো।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: থানায় গেলেতো প্রায়শই মেয়েরা উল্টো বিপদে পরে যায়। কদিন আগেই দেখলাম থানায় একজন নারী ট্রেন যাত্রী গণধর্ষণের শিকার হলেন। আইনের প্রয়োগে যারা শিথিলতা দেখায়, উল্টো নারীকে ঝামেলায় ফেলে তাদেরও শায়েস্তা করা দরকার। ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। পান থেকে চুন খসলেই মেয়েদের চরিত্র সম্পর্কে অপবাদ দেয়া হয়। যা একটি মেয়ের জীবনের বাঁক পরিবর্তন হতে বাধ্য হয়ে যায়। সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সুন্দরী ও মেধাবী হলে কথাই নেই। বখাটেদেরও রুখা যায় না, ওরা সংঘবদ্ধ থাকে। মানুষের ভুল ভাবাদর্শ বদলাতে হবে। যৌনতা পুরুষের মতোই নারীর একটি বিষয়। আলাদা করে দেখার কিছু নেই।

৪| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার লেখার সাথে একমত। এগুলি নারীর মেধা বিকাশের অন্তরায়। এই সুযোগে একটু ওয়াজ নসিহত করছি, মাইন্ড করিবেন না;

অপবাদ রটনাকারীর শাস্তি : ‘কোন পূতচরিত্রা নারীর বিরুদ্ধে কেউ (ব্যভিচারের) অপবাদ দিয়ে যদি চার জন সাক্ষী উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে অপবাদ রটনাকারীকে শাস্তি হিসেবে ৮০ বেত মারবে। আর কোনদিন তার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। এরা সত্যত্যাগী।’ (সূরা নূর ৪)

সহিহ বোখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিসে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমরা সাতটি গুরুতর ক্ষতিকর কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাক। উলি্লখিত সাতটি গুনাহর অন্যতম হচ্ছে সতী-সাধ্বী ও নিরীহ মুমিন নারীর ওপর ব্যভিচারের অপবাদ আরোপ করা।'

কিন্তু চোরায় না শোনে ধর্মের কাহিনী।

সৌদি আরবে মেয়েকে কয়েকজনে মিলে ধর্ষণ করার পর উলটা অপরাধীরা মেয়েটির চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং নিজেরাই সাক্ষী হয়ে যায়। পরে মেয়েটিকে শাস্তি হিসাবে মৃত্যু দণ্ড দেয়া হয়। আর ছেলে গুলি বেকসুর থেকে যায়। এরকম অনেক ঘটনা ওখানে ঘটে।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!

সম্পূর্ণ একমত যে, ধর্মীয় কারণেই নারীরা সবচেয়ে বেশি নিপীড়নের মুখে পড়ে। ধর্মীয় আইনগুলো হয়তো একটির চেয়ে আরেকটি বেশি বা কম খারাপ। সবার উদ্দেশ্যই নারীকে শায়েস্তা করা, ঘরে থাকতে বাধ্য করা, যৌনদাসী বানানো. . .

৫| ০২ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সুলিখিত ।   ভালো থাকুন।

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনিও ভাল থাকবেন।

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ইসলামের আইন ঠিক আছে। সমস্যা হলও বিচার প্রক্রিয়ার অনাচার। আমাদের দেশের প্রচলিত আইন খারাপ না। কিন্তু আইনের অপপ্রয়োগ, বিচারের নামে প্রহসন, নিম্ন আদালতে সর্বস্তরে দুর্নীতি, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা এসব কারণে বিচার পায় না সাধারণ মানুষ।
Justice delayed, justice denied.
Justice hurried, justice buried.

০৩ রা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মুজিব রহমান বলেছেন: চার বিয়ের সুযোগ খারাপ নয়। চুরির শাস্তি হাত কাটা খারাপ নয়। জেনার সাজা মৃত্যু খারাপ নয়। ধর্ষণের চার জন পুরুষ সাক্ষী লাগবে।

বলুন কোন আইনটি খারাপ?

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়ে ভালো লাগলো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার ভাললাগা মানে- পোস্টটি সম্পর্কে একটি বার্তা আমার জন্য।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামী শরিয়ায় চুরির শাস্তি হিসাবে হাত কাটার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র আছে; এগুলো পূরণ না হলে হাত কাটা হয় না। চুরিকৃত বস্তুটি যদি মূল্যবান ও দরকারী কিছু হয়, চুরি যাবার আগে জিনিসটি যদি সম্পদ বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য রাখার স্থানে রাখা হয়(খোলা স্থানে অরক্ষিতভাবে ফেলে রাখা না হয়), চুরির যদি অকাট্য প্রমাণ পাওয়া যায়, চুরি যাওয়া জিনিসটির মালিক যদি দাবি করে—কেবলমাত্র এ সব ক্ষেত্রে জন্য চোরের হাত কাটা যায়।
এ ছাড়া একটি নির্দিষ্ট মূল্যমানের বেশি দামের দ্রব্য চুরি গেলে হাত কাটা যায়। হাদিস দ্বারা এই মূল্যমান নির্ধারিত হয়েছেঃ ১.০৬২৫ গ্রাম স্বর্ণের মূল্য। এর কম দামের কোন জিনিস চুরি গেলে সে জন্য হাত কাটা যায় না। বরং নিয়মাধীন অন্য শাস্তি দেয়া হয়। অর্থাৎ এটা কেসের মেরিটের উপর নির্ভর করে। সৌদি আরবে হাত কাটা লোক দেখা যায় না পথে ঘাটে। ১৯৮০ সালে সৌদি প্রবাসী বাঙ্গালীরা বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার সময় ঘর তালা দিতেন না। এখন চুরি কিছু বেড়েছে তার পরও অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব কম।
ধর্ষণের ক্ষেত্রে ৪ জন সাক্ষী লাগে না। ধর্ষিতা ও পারিপার্শ্বিক অন্যান্য প্রমাণাদি দ্বারা অপরাধী শনাক্ত করা হয় ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ব্যভিচারের ক্ষেত্রে ৪ জন সাক্ষী লাগে। কারণ অন্যথায় শুধু ১ জন বা ২ জন সাক্ষীর উপর ভরসা করে রায় দিলে অবিচার হওয়ার শম্ভবনা থাকে (সাক্ষীদের মিথ্যা বলার কারণে)।

পুরুষদের বহুবিবাহ প্রথা বহু যুগ ধরে বহু ধর্মে বহু সমাজে স্বীকৃত ছিল। বিভিন্ন যুগের রাজা বাদশা, পয়গম্বর, বিত্তশালী লোক বহু বিবাহ করেছেন। আগে এর কোনও মাত্রা ছিল না। ইসলাম একে সীমিত করেছে। সম্ভবত পুরুষদের মনস্তত্ত্বে বহুগামিতা রয়েছে। আর ৪ টা বিবাহ করা জরুরী নয়। কিছু শর্ত সাপেক্ষে ৪ টা বিয়ে করা যায়। ব্যভিচার করার চেয়ে একাধিক বিয়ে করা ভালো।

৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ১ গ্রাম স্বর্ণের দাম ধরলাম ৫ হাজার টাকা। তার জন্য হাত কাটা কোন সভ্য আইন নয়। ৫ হাজার কোটি টাকা চুরির জন্যও হাত কাটা যায় না। এগুলো স্রেফ বর্বরতা।
ব্যভিচার বলতে পরকীয়া বা বিবাহবহির্ভূত যৌন সম্পর্ককে বুঝায়। যেমন বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বিয়ের আগে তার গার্লফ্রেন্ডকে গর্ভবতী করেছেন। এটাও ব্যভিচার। চারজন পুরুষ সাক্ষী দেখবে কোন একজন পুরুষ কোন নারীর সাথে ব্যভিচার করছেন। ওই চারজন পুরুষ চুপচাপ দেখে পরে এসে সাক্ষী দিবে? এসব বাতুলতা মাত্র। ওই চারজন হয় ওখানেই ব্যভিচারে লিপ্ত হবে নইলে একটি দফারফা করে দিবে। হাস্যকর আইন।
চার বিয়ে কোন স্ত্রীর জন্যই সম্মানের নয়। এটা স্ত্রীর প্রতি অত্যাচার ছাড়া কিছুই নয়। লম্পটরাই এটা করে থাকে। কোন সভ্য আইনে বহুবিবাহ এভাবে অনুমোদন করে না।
ধর্মীয় আইন কোথাও মানবিক ও ন্যায়সঙ্গত নয়।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চুরির ক্ষেত্রে আমি বলেছি যে এটা কেস এর মেরিটের উপর নির্ভর করে। চুরি মানেই হাত কাটা এমন না। বিচারক পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়েই বিচার করেন।
অনেক সময় ব্যভিচারী নারী ও পুরুষ হাতে নাতে ধরা পরে সেক্ষেত্রে ৪ জন সাক্ষী। তবে আল্লাহ চান বান্দার গোপন গুনাহ গোপন রাখতে সে কারনেই এভাবে ৪ জন সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে। রসুল (সাঃ) এর জমানায় এভাবে ৪ জন সাক্ষী কখনও পাওয়া যায় নাই। আর ব্যভিচারী পুরুষ বা নারী যদি অবিবাহিত হয় সে ক্ষেত্রে ১০০ দোররা মারার বিধান মৃত্যুদণ্ডের বদলে।
একাধিক বিয়ের ব্যাপারটা সমাজের সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে। আরব সংস্কৃতিতে এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। আরব জাতি মানেই কিন্তু বর্বর বেদুইন বুঝায় না। আর বহু বিবাহের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশের কয়টা মানুষ বহুবিবাহ করে বলেন। এটা একটা সীমা পুরুষদের জন্য দেয়া আছে কিন্তু বাদ্ধবাধকতা নাই। ইসলামের বিধান সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য এই জন্য এটাকে প্রসারিত করে রাখা হয়েছে। পশ্চিমের অনেক কিছু আমাদের কাছে অশ্লীল লাগে কারণ ওদের সংস্কৃতির সাথে আমাদের ব্যবধানের জন্য। একটা উদাহরণ হিসাবে বললাম ওটাকে আমি সমর্থন দিচ্ছি না (দৃষ্টি ভঙ্গি ও সমাজের পার্থক্যের ব্যাপারটা বুঝানর জন্য বললাম)। আপনার কথার অর্থ দাড়ায় যেহেতু আরবের লোকেরা বহুবিবাহ করে তাই তারা লম্পট। একটা জাতির সবাই লম্পট না। ওখানকার ভালো মানুষও একাধিক বিয়ে করে। আমাদের দেশেও অনেক ভদ্র, ভালো মানুষ একাধিক বিয়ে করেন। তাদেরকে কেউ লম্পট বলে না। পশ্চিমের সভ্য আইনের কথা আপনি বললেন যেখানে উলঙ্গ হয়ে হাঁটলেও আইন কিছু বলে না। উলঙ্গ হয়ে প্রকাশ্যে চলা কি রকম সভ্যতার পরিচয় বহন করে। ১০০ বছর আগে ইউরোপ আমেরিকায় এগুলি ছিল না। ওদের দাদা, দাদার বাবা যদি এগুলি দেখত তাহলে আত্মহত্যা করত। এগুলি আধুনিকতার নামে অসভ্যতা। আপনি কি পারবেন ওদের মত চলতে।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: গোপন করা এক ভয়ঙ্কর বিষয়। হুজুরগণ যে বলাৎকার করেও পার পেয়ে যায় এবং বলাৎকারকে মাদ্রাসার সংস্কৃতি বানিয়ে ফেলেছে তার কারণ ও গোপন করার সংস্কৃতি। আমাকে একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বলেছিলেন, তার মাদ্রাসার সকলেই এই আকামে অভ্যস্থ কিন্তু কিছু বললেই শুনিয়ে দেয়- গোপন করেন, পরকালে আপনার দোষ আল্লাহ গোপন করবে? আল্লাহতো ন্যায় বিচারক- আমার দোষ গোপন করলে তিনি কিভাবে ন্যায় বিচার করবেন? মানে ব্যাভিচার করলেও তা গোপন করতে হবে সেটাই উদ্দেশ্য! হতভম্ব হচ্ছি। এগুলো ন্যায় বিচারের পরিপন্থী এবং বর্বর আইন। কোন ভদ্রলোকই স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করেন না। যৌনকাতর লম্পটদেরই দেখি বহুবিবাহ করতে। অনেকে গৃহকর্মীকে দাসীজ্ঞান করে সেক্স করে ধরা পরে বা প্রেগনেন্ট করে বিয়ে করে।

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যভিচার আর বলাৎকার এক জিনিস নয়। বলাৎকারের ক্ষেত্রে ৪ জন সাক্ষীর দরকার হয় না। কাজেই বলাৎকার গোপন করতে ধর্মে বলে নাই। বলাৎকার একটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ তাই এখানে গোপন করার কোনও সুযোগ ইসলামে দেয়নি। এ ব্যাপারে আমি আগেও বলেছি। চরিত্রহীন কিছু মাদরাসার শিক্ষককে উদাহরণ হিসাবে দেখিয়ে ইসলামকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। ইসলামের অনুসারীরা কি করলো এটা না দেখে প্রকৃত ইসলাম কি বলেছে এটা দেখা উচিত। কারণ অনুসারীরা পাপ মুক্ত নয় কেউই। ব্যক্তির দোষের কারণে ধর্মের বিধানকে দোষ দেয়া যায় না। কাজের মেয়ের সাথে এক লম্পট খারাপ কাজ করবে আর বলবেন এটার জন্য ইসলাম দায়ী এটা কোনও যুক্তি হলও না। ধর্মের অপব্যাখ্যা করে খারাপ লোকে সুবিধা নেয়। তার জন্য আপনি ধর্মকে দোষ দিতে পারেন না। লম্পট তাদের বলে যারা অবৈধ ও অনৈতিক ভাবে যৌন আকাঙ্খা মেটায়। যারা একাধিক বিয়ে করে তারা সমাজকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে বিয়ে করে। তাই বৈধভাবে যৌন চাহিদা মেটালে কেউ তাকে কখনও লম্পট বলে না। দুই জন স্ত্রী থাকলে কেউ বলে না দ্বিতীয় স্ত্রী চরিত্রহীন অথবা সে লম্পটের স্ত্রী। আমাদের একটা বড় টেলিভিশন চ্যানেলের চেয়ারম্যান সাহেব একাধিক বিয়ে করেছেন। কিন্তু কেউ তাকে লম্পট বলে না। তার অন্য দোষ ত্রুটি থাকতে পারে সেটা ভিন্ন বিষয়। আপনার সংজ্ঞা অনুসারে অনেক নবী রসুলও লম্পট।

০৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
দাসীদের ভোগ করার বিষয়ে ইসলাম কি বলে?
ওই টিভি চ্যানেলের প্রধানকে নিয়ে দেশের মানুষের একটা ধারণা রয়েছে। তাকে কেন ট্রল করা হয়? তার ভাবমূর্তি কি সমাজে? এগুলো ভাল কিছু নয় তার জন্য। তাকে কোন ভাল মানুষ বলে কেউ বলে না।
শিশু বলাৎকার অবশ্যই ব্যভিচার বা যিনার মধ্যেই পড়ে। শুধু পরকীয়া বা সমকামিতাই যিনা নয়- পশুকামিতা, পায়ুকামিতা, ধর্ষণসহ যৌনতা বিষয়ক ধর্মের নিষেধাজ্ঞাসমূহ করাই ব্যভিচার।

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দাসীদের ব্যাপারে একটা আলাদা পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে। যার কথা বলছেন উনি ওনার অন্যান্য কাজের জন্য সমালোচিত ওনার বিয়ের জন্য নয়। আমাদের সমাজে একাধিক বিয়ে করলে তাকে কেউ লম্পট বলে না। ধর্ষণ আর ব্যভিচার এক জিনিস না। ইসলামে ধর্ষণ, ব্যভিচার বা অন্য কোনও যৌন বিকৃতিই অনুমোদিত না। কাজেই এগুলির জন্য ইসলামকে দোষারোপ করা যায় না। ইসলামের অনুসারী কেউ পাপ করেলে সেটার দায় ইসলাম নেবে না।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্ষণ অবশ্যই ব্যভিচার। ধর্ষণ কি তাহলে নারীর প্রতি ন্যায় বিচার?
ধর্ষণ অবশ্যই ব্যভিচার। চারজন পুরুষ সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে। বাস্তবিক কেউ চারজন পুরুষ সাক্ষীর সামনে ব্যভিচার করে না। চারজন পুরুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখবে আর কেউ ধর্ষণ করবে এমনটা বাস্তবসম্মত নয়। এটা শুধুই ধর্ষককে উৎসাহিত করা ধর্ষণ করতে। ব্যভিচারকারীর জন্য এই আইন সুসংবাদ বয়ে আনে।

১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৩

রাতুল_শাহ বলেছেন: মেয়েদের পায়ে পায়ে দোষ!
তবে দিন পাল্টাইতেছে।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: নারীরা প্রমাণ করেছে নিজেদের। তারাও সবকিছুর সমান অংশিদার। ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিবন্ধকতা তারা অতিক্রম করবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.