নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

টাইম মেশিনে অতীত ভ্রমণ ও প্যারালাল ইউনিভার্স

০৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫


কল্পবিজ্ঞানের সৌজন্যে টাইম মেশিনে চড়ে অতীতে যাওয়া ও প্যারালাল ইউনিভার্সের বিষয়টি খুবই জনপ্রিয়। অনেকেই এগুলোকে সত্য বলেই ধরে নেন। মনে করেন খাঁটি পদার্থবিদ্যা। মঝে মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ ও গণ মাধ্যমগুলোতে বেশ হইচই পড়ে যায়- কেউ কেউ দাবী করে বসেন নাসার বিজ্ঞানীরা প্যারালাল ইউনিভার্সের সন্ধান পেয়েছেন! আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান কি প্যারালাল বিশ্বকে সমর্থন করে? প্যারালাল ইউনিভার্স থিওরির অনুসারে আমাদের এই ব্রহ্মান্ডের সব বস্তু সব জীব এমন কি প্রতিটি স্থিতির প্রতিরুপ কোন না কোন সমান্তরাল মহাবিশ্বে অবশ্যই মজুদ আছে। কেন এমনটি বলা হয়? শূন্য থেকে পৃথিবী সৃষ্টি সম্ভব সেই ধারণা থেকেই এমনটা বলা হয়। অর্থনৈতিকভাবেই এর ভাল ব্যাখ্যা দেয়া যায়। ধরুন মি. রিচার্ড এর কোন টাকা নেই, মানে শূন্য। তিনি ব্যাংক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিলেন। অর্থাৎ শূন্য থাকা অবস্থাতেও তিনি ১০ লক্ষ টাকার মালিক হতে পারেন যদি কোথাও ১০ লক্ষ টাকা ঋণ থাকে। এমনই একটি ধনাত্মক চার্জের বিপরীতে সমান একটি ঋণাত্মক চার্জ থাকলে শূন্যই থাকবে। একটি ধনাত্মক বস্তুর বিপরীতে সম্পূর্ণ ঋণাত্মক বস্তু থাকলে আমরা বলতে পারি শূন্য থেকেই সৃষ্টি হয়েছে। আরো আকর্ষণীয় করে বললে, মহাবিশ্বে কোথাও আপনার মতো দেখতে আরেকজন যমজ রয়েছে যা ঋণাত্মক। প্যারালাল ইউনিভার্স কোনো মৌলিক তত্ত্ব নয়, অনেকগুলো তত্ত্বের অনুসিদ্ধান্ত হিসেবে এই ধারণাটি সামনে আনা হয়।বাস্তবিক এটা কোন পদার্থবিদ্যা নয় নিছকই দর্শন অর্থাৎ মেটাফিজিক্স।এটি একটি কল্পনা মাত্র। আমাদের এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে একটি মহাবিশ্বের পরিবর্তে প্যারালাল বহু মহাবিশ্বের কথা বলা হয় যেখানে সময় চলে বিপরীত দিকে।বাস্তবিক প্যারালাল বিশ্ব সম্পর্কে পদার্থবিদ্যা কোন প্রমাণ দেয়নি।

ভবিষ্যতে বা অতীতে পরিভ্রমণ বা টাইম ট্রাভেল নিয়ে কথা বলতে গিয়েই এটা সামনে আসে। এখানেও মজাদার অনেক প্যারাডক্স রয়েছে। ধরুন কেউ টাইম মেশিনে অতীতে গিয়ে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর খুনি মোশতাক গংদের খুন করে আসলো। কি হবে?

হারবার্ট জর্জ ওয়েলস রচিত বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী দ্য টাইম মেশিনই হয়তো এইসব আজগুবির মূলে। এই গল্পে টাইম মেশিনে করে খৃস্টপূর্বে চলে যায। আবার তিনি তিন কোটি বছর ভবিষ্যতে চলে যান। সেখানে দেখেন মৃতপ্রায় পৃথিবীতে মাত্র কয়েকটি প্রাণি বেঁচে আছে। লাল কাঁকড়ার মত কিছু প্রাণি সমুদ্রসৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অসংখ্য প্রজাপতিকে ধাওয়া করছে। তিনি একসময় দেখতে পান সূর্য আরও বড় লাল ও নিস্প্রভ হচ্ছে ও পৃথিবী শান্ত ও ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা সাইন্স ফিকশন। তবে আইনস্টাইনের একটি সূত্র দিয়ে এর ব্যাখ্যা দেয়ারও চেষ্টা করেন কেউ কেউ। আইনস্টাইনের মতে আলোর গতির চেয়ে বেশি গতিসম্পন্ন বস্তুকণা থাকতে পারে না। কোনো বস্তুর গতি আলোর গতির যত কাছাকাছি যাবে, ততই মনে হবে সেটা যেন ভারী হয়ে যাচ্ছে। যদি সেই বস্তু আলোর গতির একদম কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে সেটা অসীম ভরসম্পন্ন বস্তুর মতোই ভারী হয়ে যাবে। তখন এর চেয়ে আরও বেশি গতি অর্জন করতে হলে অসীম পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হবে, যা অসম্ভব। তাই তাত্ত্বিকভাবেই বলা যায়, কোনো বস্তুর পক্ষে আলোর গতির সমান বা তার চেয়ে বেশি গতি অর্জন সম্ভব নয়। সময়, ভর ও শক্তির সূত্রগুলোতে সূর্যের আলোর চেয়ে বেশি গতি বসিয়ে দেখুন কি হয়। শক্তির সূত্রে বসালে শক্তি অসীম হয়ে যাবে, সময়ের সূত্রে বসালে সময় ঋণাত্মক হয়ে যাবে। অথচ কোন বস্তুর গতি সূর্যের গতির চেয়ে বেশি ধরেই এসব সাইন্স ফিকশন লেখা হয় এবং তাকেই বিজ্ঞান ভাবা হয়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
যার কিছুই নেই তাকে কি কেউ ঋণ দেবে?

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ডিপেন্ড করে। ধরুন আপনার েএকজন আত্মীয় নিস্ব হয়ে পড়েছে। এখন বিদেশ যেতে চায়। আপনাকে বলল- কিছু টাকা দিতে। আপনি ঋণ কিন্তু দিবেন।

তবে ব্যাংকের কথা বললে, সেটাও ডিপেন্ড করবে। একজন বর্গাচাষীকেও ঋণ দেয়া হয়। তবে বেশি টাকা নিতে হলে মর্টগেজ লাগবে, ব্যবসা লাগবে।

২| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: 'টাইম মেশিন' নামে একটা মুভি আছে দেখলাম। ফ্যান্টাসি টাইপ মুভি। আমেরিকানরা বানিয়েছে, তাদের দেখাদেখি আরো অনেকেই এই মুভি করেছে। ভারতও দেখলাম করেছে।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৫

মুজিব রহমান বলেছেন: টাইম মেশিনে অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়ার বিষয়টাই মূখ্য ওসব ছবিতে। বাস্তবিক এটা বিজ্ঞান সমর্থন করে না। অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:২৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: খুনি মোস্তাকের মত লোক এখনো আছে । সুযোগ পায় না। দেশের সম্পদ লুটেরা সব মোস্তাকই

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: মোস্তাকের বিকল্প একমাত্র মীরজাফর। এতো বড় প্রতারণা এতো শীর্ষে থেকে খুব বেশি হয় না। অতীত ভ্রমণ নিয়ে অনেক উদাহরণ দেখেছি তািই নতুন একটি উদাহরণ দিলাম।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৭

সত্যপীরবাবা বলেছেন: মহাবিশ্বে কোথাও আপনার মতো দেখতে আরেকজন যমজ রয়েছে যা ঋণাত্মক।
ধনাত্মক আর ঋণাত্মক বলতে কি matter and antimatter বুঝাচ্ছেন?

জন্মসূত্রে ছাড়া নিজের যমজ পা্ওয়ার আরেকটা সম্ভবনা হচ্ছে আমাদের মহাবিশ্ব যদি অকল্পনীয় বড় হয়। Googolplex দুরত্বে মহাবিশ্বের বিভিন্ন উপাদান (গ্রহ, নক্ষত্র এমনকি আপনিও) duplicate হওয়া শুরু করবে --- এই রকমই একটা বৈজ্ঞানিক ধারনা মনে হয় আছে। কাজেই প্যারালাল বিশ্ব পর্যন্ত যাওয়ার আগেই আপনার জমজ এই বিশ্বেই পেয়ে যেতে পারেন। তবে সেই অভিজ্ঞতা সুখকর নাও হতে পারে।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: এই বিশ্বে মানে পৃথিবীতে এমনটা পাওয়ার কোন নজির নেই। এক জাতিগোষ্ঠীর বাইরে গেলেই আরো ভিন্ন মানুষ। আপনি সারা মঙ্গোলিয়াডদের মধ্যে একজনও দ্রাবিড় বা অস্ট্রিক বা নিগ্রোয়েড বা ককেশিয় পাবেন না।

৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫০

নতুন বলেছেন: টাইম ট্রাভেল যদি সত্যই সম্ভব হতো তবে কিছু ব্যাপার কি ঘটতো না?

ভবিশ্যতে কেউ টাইম ট্রাভেল করার পদ্বতি আবিস্কার করে অতীতে ঘুরতে আসতো??

ভবিশ্যতের কেউ এসে অতীত পরিবত`নের চেস্টা করতো।

আর কেউ যদি অতীতে গিয়ে কিছু একটা পরিবত`ন করে তখন তার কারনে কিন্তু ভবিষ্যত পাল্টে যাবে.... তখন যেই মানুষ টাইম ট্রাভেলের পদ্বতি আবিস্কার করেছে হয়তো তারই জন্ম হবেনা।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। এটা স্রেফ একটা সাইন্স ফিকশন। কোন বিজ্ঞানই কখনো বলেনি অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব। যে গাণিতিক হিসেবে তারা বলে তার ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে তারা বলে।

৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৪:০৫

কল্পদ্রুম বলেছেন: অনেকগুলো প্যারালাল ইউনিভার্স থাকলে সবগুলোতে সভ্যতার বিকাশ কি একই ভাবে হবে?একটি টাইমলাইনে কেউ টাইম মেশিন আবিষ্কার করে অতীতে কোন পরিবর্তন ঘটালে ভিন্ন একটি টাইমলাইন তৈরি হতে পারে।সেই টাইমলাইনে পরিবর্তিত ইতিহাসের ফলাফল পড়বে।কিন্তু টাইম ট্রাভেলারের অরিজিনাল টাইম লাইনে তার কোন প্রভাব পড়বে না।সবই নিছক কল্পনা আসলে।বাস্তবে এর অস্তীত্ব কখনো পাওয়া যাবে বলে আমার মনে হয় না।

০৯ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। বাস্তবে অতীতে যাওয়ার কোন সুযোগই নেই। কোন বিজ্ঞানই এটা সমর্থন করেনি, কোন গণিতও এটা করতে পারেনি।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: টাইম ট্রাভেলের বেসিক কনসেপ্ট আলোর গতির সাথে সম্পর্কিত। আমার শরীর থেকে আলো বিচ্ছুরিত হয়ে চতুর্দিকে যাচ্ছে। এজন্য, আমার মতো আর মতো একটা না, যতদিকে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে, ততদিকেই আমার মতো প্রতিবিম্ব সৃষ্টি হচ্ছে। আমি এই মুহূর্তে মারা গেলে কোনো প্রাণী কয়েক ট্রিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করলে এবং তার কাছে আমার শরীরের বিচ্ছুরিত আলো পৌঁছলে আমার মৃত্যুর পরও সে দেখতে পাবে আমি বসে বসে আপনার পোস্টে কমেন্ট লিখছি।

খুনি মোস্তাকের কাছে পৌঁছতে হলে ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশকে কত দূরে অবস্থিত হতে হবে, সেই অংক করতে গেলে ব্রেইন ফেটে যাবে।

তবে এটা ঠিক বলেছেন, এগুলো কোনো ফিজিক্স না, এর কোনো প্রমাণও নেই। এগুলো শুধু কল্পনা না। এই কল্পনার উপর ভিত্তি করে টাইম ট্রাভেলের উপর অসংখ্য মুভি ও গল্প হচ্ছে, যা জনপ্রিয়তাও পাচ্ছে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
অনেকেই মনে করে আলোর গতির চেয়ে বেশি গতিতে ছুটেই অতীতে চলে যাবেন। এই গতি কতোটা প্রচণ্ড এবং কোন বস্তু এই গতিতে ছুটতে গেলে কি হবে সেটা আর আমলে নেন না। ফ্যান্টাসী ভাল লাগতেই পারে কিন্তু সেটাকেই যেনো কেউ বিজ্ঞান না ভেবে বসেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.