নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফ*ক ইউর কান্ট্রি সিস্টেম!- প্রবাসী ভুল বলেছিলেন?

১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৭


একজন ইতালি প্রবাসী অব্যবস্থাপনায় চরম ক্ষুব্ধ হয়ে নিজ দেশকেই গালি দিয়েছিল, ‘ফ*ক ইউর কান্ট্রি সিস্টেম’। অথচ এই করোনা কালেও তিনি দেশে ফিরেছিলেন দেশের প্রতি গভীর ভালবাসা নিয়েই। প্রত্যেক প্রবাসীর হৃদয়েই গভীরভাবে থাকে বাংলাদেশ। সেই ইতালিই আবারো ১৬৭ জন বাংলাদেশিকে ঢুকতে দেয়নি এবং বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ৩ মাসের জন্য। অনেকেই ইতালি প্রবাসিদের গালি দিচ্ছেন। বাস্তবিক দায়টা কার? কেন নিষেধাজ্ঞা জারি করলো? কার জঘণ্যতম অপরাধে তারা ঢুকতে পারলো না? এখন যদি আবারো কোন ইতালি প্রবাসী গালি দেয় তবে তাকে কিভাবে কাঠগড়ায় তুলবো?

জেকেজির আরিফ চৌধুরী, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক মোহাম্মদ সহিদ ও ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের চেয়ারম্যান ও লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্র্যাট লিমিটেডের মালিক মো. মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু যা করেছে তা কি শুধুই বিচ্ছিন্ন ঘটনা? তারা কি গোপনে এসব করেছেন? তাদের সাথে কি রাঘব বোয়ালরা জড়িয়ে নেই? এগুলো যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় তা হলফ করেই বলা যায়। এদের সাথে শীর্ষ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের লোক ও সাংবাদিকরাও জড়িত রয়েছেন। এক মিঠুই দীর্ঘদিন ধরে হাজার হাজার কোটি টাকার অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্র সরবরাহ করেছে হাসপাতালগুলোতে। তার পাঠানো যন্ত্রগুলো বহু হাসপাতালই খুলেও দেখেনি। বহু বাক্সেই কিছু পাওয়া যায়নি। বহু বাক্সেও বাতিল ও অচল যন্ত্রাংশ ছিল। এগুলো পাঠাতে ভূতপ্রেতরা ওয়ার্ক অর্ডার দেয়নি, বিল পরিশোধ এমনিতেই হয়নি। এর নেপথ্যে থাকা কারো বিরুদ্ধে কি কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? এখন প্রবাসীদের কে বিপদে ফেললো? তাঁর সাধের দেশইতো! আরিফ চৌধুরী ও মোহাম্মদ সহিদ কি করেছে? করোনাভাইরাস সংক্রমিণের আশঙ্কায় যারা পরীক্ষা করাতে এসেছে তাদের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে তারা ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। রিপোর্টের বিপরীতে টাকা নিয়েছে আবার সরকারের কাছেও দাবি করেছে। ইচ্ছামতো রিপোর্ট দেয়াতে যে প্রকৃত আক্রান্ত সে আক্রান্ত নয় ভেবে ঘুরে বেড়িয়েছে মনের সুখে আর যে আক্রান্ত নয় সে মনের কষ্টে গৃহে কাটিয়েছে আইসোলেশনে। এখনো আরিফের স্ত্রী ও সহিদকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাদের দিয়ে যারা কাজ করিয়েছে তাদেরও কিছু হয়নি, হবেও না। আরিফ ও সহিদের কারণেই ইতালির পত্রিকায় টাকা বিনিময়ে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। ইতালির সরকার পরীক্ষা করে দেখেছে বাংলাদেশ থেকে করোনা না থাকার সনদ নিয়ে যাওয়াদের করোনা রয়েছে। ফলে তারা বাংলাদেশিদের জন্য প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। একজন প্রবাসী যদি বলে ফ*ক ইউর কান্ট্রি সিস্টেম! সেটা বড় অপরাধ হয়ে যায় আর মিঠু-আরিফ-সহিদদের পৃষ্ঠপোষকরা থেকে যায় বহাল তবিয়তে সেটা?

যুব নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের কথা ভুলে গেছি। যাদের ছত্রছায়ায় সে জুয়ার আসর জমিয়ে বসেছিল তাদের কেউ কি গ্রেফতার হয়েছেন? তার সাঙ্গ-পাঙ্গরাই শত শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। এনু-রুপন দুই ভাই-ই ১২০টি বাড়ির মালিক, বাড়িতে নগদই পাওয়া গেছে ২৭ কোটি টাকা! বিভিন্ন ব্যাংকে আরো অনেক। তিনি যাদের ভাগ দিতেন তাদের মধ্যে কে গ্রেফতার হয়েছেন? মাঝখান থেকে ক্লাবগুলোকে শেষ করে দিয়েছেন। ওখানে ফুটবল-ক্রিকেটের পরিবর্তে জাকিয়ে বসেছিল জুয়া খেলা।

নরসিংদীর মহিলা নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউর কথাও ভুলে গেছি। ওয়েস্টিন হোটেলে তিনি গড়ে তুলেছিলেন রঙমহল। হোটেল বিল দিতেন কোটি টাকা। সেখানে সমাজের বহু দেবতারা গিয়ে উর্বশীদের নিয়ে ফূর্তিফার্তি করে আসতেন। পিউ শুধু বাংলাদেশি সুন্দরীই নয়, রাশিয়ার ভদকার সাথে ডজনখানেক সুন্দরীও নিয়ে আসতেন রংমহলে। আমরা ভুলে গেছি যে, পিউর পৃষ্ঠপোষক কাউকেই জবাবদিহি করতে হয়নি। উল্টো কয়েকজন সাংবাদিক কিছু বিষয় প্রকাশ করায় জেল খাটছেন।

কয়েকটি ব্যাংককাণ্ডও আমরা ভুলে গেছি। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসেস নামটি দেখুন নতুনই লাগছে। প্রশান্ত হালদারের কথা মনে আছে? তিনি একাই সরিয়েছেন দেড় হাজার কোটির টাকারও বেশি! হলমার্ক এর কথা তুললে কেউ বলবেন, রাবিশ! বোগাস! অ্যাননটেক্স, ক্রিসেন্ট ও থারমেক্স গ্রুপ এর ১১ হাজার কোটি টাকার কথা, বেসিক ব্যাংকের সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার কথা, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ফারমার্স ব্যাংক …।

সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুণি, নারায়ণগঞ্জের কিশোর তানভীর মোহাম্মদ ত্বকী, কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু- মন খারাপ করা নামগুলো উঠিয়ে আনতে হয়। দেশের বাইরে থাকা লোকগুলো বলতে পারে ফ*ক, ফ*ক, ফ*ক! পিরোজপুরের একটি মামলার রায় কিভাবে উল্টে গেল?!আগে শুনতাম- হাকিম নড়ে তবু হুকুম নড়ে না। সেখানে দেখলাম হুকুমের সাথে হাকিম নিজেও নড়ে গেল। ভুলে গেছি সবাই! ওই যে- বিচারক নেতাকে জামিন দিলেন না। সাথে সাথেই সড়ক অবরোধ, বিচারকের বদলি এবং নতুন দায়িত্ব নিয়েই জামিন মঞ্জুর! ভুয়া টেন্ডারের নায়ক জি কে শামীমও গোপনে জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন। আরো মামলা থাকায় রক্ষা। এতো ঘটনা কি মনে থাকে! কতো আর মনে রাখা যায়! তার উপরে বালিশ কেলেঙ্কারির মতো তুচ্ছ ঘটনা কে মনে রাখে? মনে রাখলেই মহা বিপদ! কে কি পোস্ট দিয়ে বসবো, কার অনুভূতিতে কিভাবে আঘাত লাগবে আর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জামিন না পেয়ে জেলে কাটাবেন তা বলা মুশকিল। তাই কম জানাই ভাল ও নিরাপদ। যত বেশি জানে/তত কম মানে!

আবারো জানার কথা চলে আসলো। অধিকাংশ র্যাং কিং এ বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম থাকে না। এশিয়ার একটি তালিকায় ৪১৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চীনের ৭২টি, ভারতের ৪৯টি, তাইওয়ানের ৩২টি, পাকিস্তানের ৯টি, হংকংয়ের ৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে তালিকায়। নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয় সেরার তালিকায় স্থান পেলেও, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কেনো স্থান পায়নি। পৃথিবীর হিসেবে একটি র্যাং কিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটকে ৮০১-১০০০ এর মধ্যে রয়েছে। অধিক বিষয় নিয়ে জরিপ করাদের তালিকার ৫ হাজারের মধ্যেও বাংলাদেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নেই। শিক্ষার মান নিয়ে কথা বলা ঝুঁকিপূর্ণ। কার অনুভূতিতে আঘাত লাগবে আর কে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে দিবে বলা মুশকিল।

এসব মিলিয়ে যখন ক্ষোভে-দুঃখে একজন প্রবাসী, বিদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নাগরিক সুবিধার কথা তুলনা করে গালি দিয়েই ফেলে তাতে তাকে দোষ দেয়া যায় না। I F*CK YOUR COUNTRY SYSTEM বলে বুকভরা ব্যথা ও যন্ত্রণা নিয়ে ক্ষোভে গালি দেয়াই দেশপ্রেম। যারা এসব অরাজকতা মেনে নিয়ে, এই সিস্টেমে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়িয়ে নিয়েছেন তার পক্ষে এমন গালি দেয়া সম্ভব নয়। ওই গালির অর্থ হল- আমরা এমন সিস্টেম চাই না, এমন সিস্টেমমুক্ত সোনার বাংলাদেশ দেখতে চাই। বিদেশে গিয়ে গর্বের সাথে বলতে চায়, আমি বাংলাদেশি!

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কিযে শুরু হলে নিয়ে এই ফাক
আমার মতো সবাই নির্বাক!!
কার দোষ কতটুকু ক্ষতিয়ে দেখা হোক
এক যোগে সবাই মিলে হই স্ববাক !

১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ কবি!
ক্ষতিয়ে দেখার কিছু নেই। সবইতো প্রকাশ্যে ঘটেছে আর কিছু গোপন কথা প্রকাশ্যেই রটেছে।

২| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫২

জুন বলেছেন: রিজেন্ট এর মালিক যেমন দোষী তেমনি ওই নীল গেঞ্জি সহ ইতালিয়ান প্রবাসীরা। এরাই বা কিভাবে এত বড় অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় মিথ্যা সার্টিফিকেট নিয়ে। আর প্রথমেই তারা দেশে করোনা ছড়িয়েছে কোয়ারেন্টাইন না মেনে।
আসলে আমাদের দেশের টপ টু বটম সবাই আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত। রিজেন্টের লোকটাকে একটি দৃস্টান্তমুলক শাস্তি দেয়া উচিত বলে মনে করি যেন আর কেউ এমন অন্যায় করার সাহস না পায়।

১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: জেকেজি ও রিজেন্ট এর মতো প্রতিষ্ঠানকে সাধারণ মানুষ অবিশ্বাস করতে পারে না। রিজেন্টের ৬ বছর ধরে সনদ নেই সেটা মানুষ কি করে জানবে? তাদের যারা অনুমোদন দিয়েছে তাদের কথা বলুন। সেই সনদ নিয়ে হাজার হাজার করোনা রোগী নিজেকে সুস্থ ভেবে ঘুরে বেড়িয়েছে আর রোগ ছড়িয়েছে। রিজেন্টের আশ্রয়দাতাকে ধরতে বলুন সাহস থাকলে। ওই নীল গেঞ্জি সাহস করে বলেছে- ফ*ক ইউর কান্ট্রি সিস্টেম আর তাতেই দেশ গর্ভবতী হয়ে গেছে? তেমন ভাবছেন কেন?

৩| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: অবৈধ স্বৈরাচারী মধ্যরাতের ভোট ডাকাত সরকার!
সব সমস্যার মূলে এটা মূল সত্য। এটাকে আড়াল করে অন্য সব অপরাধের ডালপালা ছেটে লাভ কিছূ হবে না।
বিএনপিকে দমনের সাফল্যে তারা কি ভাবছে এভাবে বিশ্বকেও দমন করবে?
করোনা নিয়ে শুরু করে মন্ত্রীদের বক্তব্য - এটা সামান্য ফ্লু, আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী দিয়ে সর্বনাশের যে শুরু হয়েছিল, অত:পর চুরি, দূর্নীতি, লুটপাট আর সিন্ডিকেটের গ্যাড়াকলে আমজনতার জীবন যাচ্ছে। তারপরও তাদের গলাবাজি দিয়ে দেশবাসী নিশ্চুপ থাকলেও ইটালী তো আর প্রভাবিত হয় না।
খুন, গুম আর গ্রেফতারের ভয়ে আম জনতা হয়তো চুপ করে নিয়তির অপেক্ষায়-
গণতন্ত্র হত্যা, প্রশাসনকে দলীয়করণ এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে সকল অপকর্মে চোখ বন্ধ করে থাকার বিষফল এসব ঘটনা।
বিষবৃক্ষ বাঁচিয়ে রেখে ফল কেটে বা ডালকেটে সমস্যার সমাধান নেই।

আজ ইটালীতে জাতিগত যে লজ্জ্বা আন্তর্জাতিক ভাবে পেতে হলো, এটাই কিন্তু শেষ নয়!
উদাহরনের শুরু মাত্র। তাই এক্ষুনি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে অপরাধীদের যেমন দমন করতে হবে।
তেমনি অপরাধের বিষবৃক্ষের মূলোৎপাটও সময়ের দাবী।

১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
একেকটা অপরাধ দেখে বিস্মিত হতে হয়। কোনটিরই শাস্তি হয় না নাটেরগুরুদের। কিছু মাঠ পর্যায়ের মানুষকে শাস্তি দিয়ে আইওয়াশ করা হয়। কেউ কেউ স্রেফ গলাবাজি করেই এসব ঢাকতে চায়।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

একাল-সেকাল বলেছেন: ইতালির মত অন্য দেশ গুলুও যদি বাংলাদেশ ইস্যুতে ক্রাক ডাউনে যায় তাহলে রেমিটেন্সের কি হবে ?

১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৩

মুজিব রহমান বলেছেন: সেজন্যইতো জেকেজি ও রিজেন্ট এর মতো প্রতিষ্ঠানকে কারা প্রশ্রয় দিলো তাদের ধরতে হবে। বিশ্বব্যাপী যদি প্রমাণ করা যায় অপরাধীদের শিকড় তুলে দেয়া হয়েছে তবেই ভাবমূর্তি বৃদ্ধি পাবে। শিকড়ে হাত দিতে বলতে হবে।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

একাল-সেকাল বলেছেন: সন্দেহাতীত ভাবেই ফাক সিস্টেম। মুজিব থেকে হাসিনা কেউ লাগাম টানতে পারেনি। প্রবাসীরা কি করল ? কোয়ারেন্টাইন না মেনে ছড়িয়ে দিল সারাদেশে। ভিনদেশের কান্ট্রি সিস্টেম মানতে পারলে নিজ দেশেরটা কেন না?

১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: কোয়ারেন্টিন মানাতে হয়, কেউ মানে না। কঠোর হতে হয়, আইন মানতে বাধ্য করতে হয়। যদি কেউ দেখে আইন ভাঙলে বিপদ তখনই সে আইন মানতে বাধ্য হয়। যদি দেখে ভাঙ্গলে কিছু হয় না তখন সে আইনও মানে না- কলা দেখায়।

৬| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: @ একাল সেকাল....

যত দোষ নন্দ ঘোষ। আর কত ভায়া
হা তা বটে,
তুমি আমাকে উত্তেজিত করলে, আমাকে রাগালে, তারপর মাথায় বাড়ি দিয়ে আমি দোষি বটে!
রবী ঠাকুরের সেই কথনের মতো-
এমনই প্রেক্ষাপটে উপেন আফসোসের সুরে বলেন: 'তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ, আমি আজ চোর বটে।' আমাদের সমাজে 'ভিকটিমকে' দোষ দেওয়ার মতো ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে, বিশেষ করে ক্ষমতাধরেরা তা সচরাচরই করে আসছেন।

সরকারের আপাদমস্তক ব্যার্থতারই -সাইড ইফেক্ট সেই ডায়ালগ! যাকে মেইনস্ট্রীম ক্রাইম হিসেবে এস্টাবলিশ করা হচ্ছে।
অথচ এয়ারপোট দিয়ে যখন টাকা দিয়ে টেষ্ট না করার কাহিনী ফেসবুকে আসছিল- তখন তারা চুপ! টেেষ্টর নামে অব্যবস্থাপনার চরম অবস্থা, সবকিছুকে মিথ্যা প্রচারনা বলে আড়াল করে রাখা! যখন সামাণ্য চেষ্টাতে করোনাকে শুরুতেই আটকে দেয়া যেতো- তারা বলবো করোনায় কিছু হবে না , আমরা করোনার চেয়ে শক্তিশালী! যখন মাস্ক পিপিই নিয়ে দূর্নীতির প্রমাণ দিলো, তাদের ভাগ্যে মিললো সাসপেনশন বা বদলি!
খোদ মন্ত্রীর ছেলের নাম জড়িয়ে যখন অব্যবস্থপনা নিয়ে কেউ মতপ্রকাশ করতে চায় তাদের কপালে জোটে মামলা!
ভাগ্যিস বাইরের দেশের তারা এতকিছু জানে না। জানলে আজতো শুধু যাত্রী ফিরিয়ে দিয়েছে- কাল বিমানই যেতে দেবে না।

এইসব রাজকীয় ব্যার্থতা ধামাচাপা দিতে -ঐ সব অপগন্ডরা দুটো মন্দ কথা বলে আইটেম হিসেবে বেশ যুতসই বটে!
তাই ধামাচাপার রাজনীতি বন্ধ করাই উচিত। তার বেয়াদবীর জন্য একটা বন চটকানাই যথেষ্ট, কিন্তু আজ জাতিগত যে চটকানা খেয়েছে পুরা জাতি তার প্রতিকার কি ভাবুন।
পুরা বিশ্ব তো আর অন্ধ চেতনাধারী নয়। আজও লুকোচুরি খেললে -আগামীকাল উন্নত বিশ্ব সত্যি ভয়াবহ স্বপ্ন হবে সকল বাংলাদেশির জন্য


১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। জাতির এই চটকানা প্রাপ্য।
আমরা নিরপরাধ মানুষের উপর আঙুল তুলে অভ্যস্ত। কালোদের দিকে আঙুল তুলি তারা মাদকাসক্ত-দস্যু। কিন্তু কেন তা বলতে চাই না? আমরা সাধারণ মানুষকে তুচ্ছ কারণে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকিয়ে দেই আর নিরাপদে রাখি তাদের যারা মোহাম্মদ সহিদদের প্রশ্রয় দেয়। অনেক কথা বলা দরকার এসব নিয়ে। এসব কথায় ভাসিয়ে দেয়া দরকার সামাজিক মিডিয়া। তবেই জাগরণ উঠতে পারে।

৭| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৫

মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বাবু বলেছেন: প্রয়োজনে আঁধারে ,প্রয়োজনে আলোয়
সবই উপর ওয়ালার ইচ্ছা,কাছে টানে দূরে ঠেলে।

আমরা দেখি, ঢেউয়ের সাথেই ডুবি ,ভাসি।
ঠিক লিখেছেন,সত্যিটাই তুলে ধরেছেন

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। এই তাল মেলানোর বাইরেই যদি আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলতে পারি তবেই সমাজ বদলাবে, আগাবে। আমরা কথা বলতে চাই, মত প্রকাশ করতে চাই।

৮| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: যারা এখন ফেরত আসছে তাদের ভিতর পাঁচজন পালিয়ে গিয়েছে। তাদের যে জাল সনদ দিলে তাদের কি আদৌ বিচার হবে

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: হাজার হাজার জাল সনদ দিয়েছে জেকেজি ও রিজেন্ট হাসপাতাল। এদেরকে অনমোদন দিয়েছে পরীক্ষা করার কিন্তু এরা কি পরীক্ষা করছে, তাদের কি সামর্থ্য আছে তাওতো দেখতে হবে। তা কেউ দেখেনি।

৯| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশের বেশির ভাগ লোকই ভালো। অল্প কিছু খারাপ লোক আছে। এই খারাপ লোক গুলোকে দূর করতে পারকেই দেশ এগিয়ে যাবে।
পোষ্টে বহু ঘটনা উল্লেখ করেছেন। যেসব ঘটনা ভুলতে বসে ছিলাম, সে গুলো আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন।

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২

মুজিব রহমান বলেছেন: ভাল মানুষ মানে সচেতন মানুষ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষ। কেউ যদি কুসংস্কারাচ্ছন্ন হয় তবে সে ভাল মানুষ নয়। এভাবে হিসাব করলে ভাল মানুষ দুষ্কর হয়ে যাবে।

১০| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: ঐ নীল গেঞ্জি ইটালি প্রবাসী ভুলভাল ইংরেজিতে যেটা বলার সাহস দেখিয়েছে, আমাদের মত অধিকাংশ শিক্ষিতেরই সেটা বলার সাহস নাই। বারো চৌদ্দ ঘন্টা বিমান জার্নি করে এসে ছোট বাচ্চা নিয়ে হাজী ক্যম্পের নরক সদৃষ যে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে ঐ লোক প্রতিবাদ করার যে সাহস দেখিয়েছে সেই সাহস এই দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত লোকেরই নাই। এই কারনেই আমাদের আজকের এই অবস্থা। রিজেন্ট যে প্রথম থেকেই করোনাকে পুজি করে গলাকাটা অনৈতিক ব্যবসা করে আসছিল, তা জেনেশুনেও কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি। কারন আমরা জান গেলে যাক তাও কোন ঝুট ঝামেলায় পড়তে রাজী নই।

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: অসাধারণ বলেছেন। অনেক মানুষ খতিয়ে দেখতে চায় না।
রিজেন্ট হাজার হাজার ভুয়া সনদ দিয়ে দিল অথচ কেউ দীর্ঘদিন জানলো না। বহু মানুষ অভিযোগও করেছিল যে ওখান থেকে প্রাপ্ত রিপোর্ট ভুল মনে হওয়াতে অন্যত্র পরীক্ষা করে তারা বিপরীত ফল পেয়েছে।

১১| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৫

নিমো বলেছেন: #fsystem

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১২| ১০ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৫৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টের জন্য। এই দেশে সুশীলদের তথাকথিত নোংরা চেহারা মাঝে মাঝে বের হয়ে পড়ে সংকটকালীন সময়ে। এই আমরাই আবার হিন্দুদের কাস্ট সিস্টেম এর সমালোচনা করি। আমরা নিজেরা কম কিসে?

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ। আমরাওতো কোন না কোন ভাবে পাথরের আরাধনা করি আবার মূর্তিপূজার বিরোধীতা করি- ঠিক এরকমই। সিস্টেমটা দুর্বৃত্ত আর দুর্নীতিবাজরা এমনভাবে সেট করে রেখেছেন যে, মনে হয মুক্তি নেই।

১৩| ১০ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এই সকল কথা যাদের মুখে আসে তারা ভাল লোক না।

১০ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: সুবিধাবাদী দুষ্টু লোক ওরা। ওরা নিজেরাই দেশকে ফ*ক করে দেয় বলে আঁতে ঘা লেগেছে।

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:০০

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের মানুষ নীল গেঞ্জিওয়ালা লোকটার উপর ভীষন রেগেছে।
কিন্তু লোকটার জন্য আমার মায়া লাগছে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৬

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের অনেকেই গভীরভাবে বুঝতে চায় না। তারা অধিকাংশই কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ। যে কুসংস্কার কাটিয়ে উঠেতে পারে না সে কিভাবে গভীরভাবে বুঝবে বলুন। তাদের আইসোলেশনের নেয়ার প্রস্তুতিই ছিল না, তারা ক্ষোভে গালি দিয়েছে যা ইংরেজরা অহরহই দেয়। আমাদের অনেক সিস্টেমকেই ওই গালিটা দেয়া উচিত। রিজেন্টকে কি ওই গালিটা দিবো না?

১৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৯

কহেন কবি কালীদাস বলেছেন: আমার মনে হয় উনি ঠিক বলেছিলেন, আমাদের সিস্টেম এ সমস্যা। পা থেকে মাথা পর্যন্ত দুর্নীতিগ্রস্ত।
আর বাহিরে বাংলাদেশীদের খুব একটা ভালো চোখে দেখা হয় না, শুধুমাত্র আমাদের খাসিলতের জন্য।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
দীর্ঘ জার্নি করে এসে তারা ঠিকমতো তথ্য পাচ্ছিলেন না। তাদের রাখার কোন প্রস্তুতিও লক্ষ্য করা যায়নি। ওই অবস্থায় আড়াইটা পর্যন্ত অভূক্ত থেকে কেউ সিস্টেমকে গালি দিলে পরিস্থিতিটাই বুঝতে হবে। কিন্তু আমরা কুসংস্কারই বুঝি না, মৌলবাদ-সাম্প্রদায়িকতাই বুঝি না ওইটা কিভাবে বুঝবো?

১৬| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫০

আকন বিডি বলেছেন: Eliminate all politicians, they are the route of all problems.

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তদের তারাই পৃষ্ঠপোষকতা করে। সহিদ কিভাবে এতোটা সাহস পেল যে হাজার হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিতে একটুও ভয় পেল না। আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে ফোন দিয়ে নিরাপত্তা চায়? ভাবা যায় ?

১৭| ১১ ই জুলাই, ২০২০ ভোর ৬:০৪

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: প্রবাসীর একটাই ভুল ছিল - কোরোনাকালে নিজ দেশে ফিরে আসা। এর বাইরে তার ক্ষোভ, হতাশা প্রকাশে 'ফ' শব্দ উচ্চারণ মোটেই ভুল ছিল না। দীর্ঘ বিমান ভ্রমণ শেষে দেশে এসে তিনি তারসন্তানসহ যে ট্রিটমেন্ট পেয়েছেন তার প্রতিক্রিয়ায় যে কেউ এর চাইতে অনেক বেশি প্রতিক্রিয়াই দেখাবে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ইতালিতে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল। ওরা স্বাভাবিক মনে করেছে বাংলাদেশই নিরাপদ। ওরা করোনা বিষয়ে অভিজ্ঞ ছিল না, বাঁচতে চেয়েছে। ওদের বাঁচানোর জন্যই কঠোর আইসোলেশন দরকার ছিল। সেটা না করার দায় তো ওদের না। ওরা ভুল বুঝেই বাড়ি ফিরে ক্ষতি করেছে পরিবারের। আমরা ওদের অবস্থাটা বুঝতে পারিনি।

১৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০৬

রাশিয়া বলেছেন: আপনি দেখি আরেক নীল গেঞ্জি। ভালোবাসার টানে ঐ যুবক দেশে ফিরেছিলেন আপনাকে কে বলল? ঐ সময় চীনের পরে ইটালিতে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কেবল ছড়াতে শুরু করেছিল। ভালোবাসার টানে নয় - ঐ সময়ে সে বাঙ্গালদেশকে নিরাপদ ভেবে দেশে দিতে এসেছিল। এখন আর নিরাপদ ভাবছেনা - তাই চার্টার্ড বিমানে রোমে ফিরে গেছে। যাবার আগে দেশের সিস্টেম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে ফাক করে দিয়ে গেছে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২১

মুজিব রহমান বলেছেন: প্রত্যেক প্রবাসীর মধ্যেই সবসময়ই দেশপ্রেম কাজ করে। তারা দেশকে ভালবাসে এবং বারবারই দেশে আসতে চায়, বিশেষ করে যাদের পরিবার-পরিজন দেশে থাকে।
এটাও সত্য যে ওই সময়ে বাংলাদেশে করোনার বিস্তার ঘটেনি। ওরা কি পাকিস্তানে যাবে? বাংলাদেশেই আসবে। ওদের আইসোলেশনে রাখা দরকার ছিল কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি ছিল না। ওদের আড়াইটা পর্যন্ত অভূক্ত রেখেও কোন সমাধান হচ্ছিল না দেখেই ওরা মিছিল করেছে।
ওই নীল গেঞ্জি হওয়ার সাহস আমার নেই। থাকলে আমিও অনেক সিস্টেমকে গালি দিতাম। রিজেন্টে কোন সিস্টেমে হাজার হাজার ভুয়া পরীক্ষা করলো? কোন সিস্টেমে সিকদার ভাইরা অপকর্ম করেও দেশ ছাড়তে পারলো? কোন সিস্টেমে ক্লাবগুলো হয়ে উঠলো ক্যাসিনো? পারলে একটা গালি দিন তো? ভয় পেলেনতো? ওই নীল গেঞ্জি হতে গেলে দম থাকা চাই, সাহস থাকা চাই।

১৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নীলগেঞ্জিওয়ালার কথাটাকে ঠিকমতো ইভালুয়েট করেন নি। তিনি আরো বলেছিলেন, বাংলাদেশ মুসলিম দেশ। মুসলিম দেশে করোনা হবে না। কারণ, মুসলমানরা শূকর খায় না, আরো অনেক কিছু বলেছিলেন তিনি। তিনি সিস্টেমের কোনো গলদের কথা বলতে চান নি। তার জেদ ছিল, যেই দেশে করোনাই হবে না, সেই দেশে কোয়ারেন্টাইন হবে কেন? এরকম একগুঁয়েকে সাপোর্ট করার কোনো কারণ দেখি না। সে একটা মাত্র উদাহরণ, তার মতো বেপরোয়াদের জন্য দেশে করোনা ছড়িয়েছে। ব্রাহ্মনবাড়িয়ায় আরেকজনের কথা ভাইরাল হয়েছিল, যিনি কোয়ারেন্টাইন মানতে চান নি। পুরা প্রশাসন তাকে আদর সোহাগ করে খোয়ারে নেয় তার শর্ত মেনে। শর্ত হলো- তার আর্জি অনুযায়ী তার শয্যা ও খাবার দাবার দিতে হবে।

সিস্টেমে দুর্নীতি আছে, তা কেউ অস্বীকার করবে না। কিন্তু, সেটা ঢাকতে একজন বেপরোয়া, অপরাধী নীলগেঞ্জির অন্যায্য কথাকে সাপোর্ট করা যাবে না।

আপনাকে আজ পুলিশ ধরে নিয়ে গেলে আপনাকে ছাড়ানোর জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে থানায়, নেতাদের কাছে ধরনা দিবে আপনার ভাই, বাবা, চাচারা। এটা দুর্নীতি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আপনি আদালত পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। কাজেই, যারা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে, দোষ তাদের একার না, আপনার কারণেই তারা দোষী। 'আপনি' শুধু উদাহরণ হিসাবে বললাম।

আইন মানার প্রতি আমাদের মোটেও শ্রদ্ধা নেই। এই নীলগেঞ্জি তো ক্যাম্পেই ঢোকে নি। ক্যাম্পের অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সে কিছুই জানে না। তার মূল ইগো ছিল- এ দেশে করোনাই হবে না, আমি কোয়ারেন্টাইনে যাব কেন।

কোয়ারেন্টাইনের অবস্থা কোনো দেশেই ভালো না, একমাত্র সিঙ্গাপুর ছাড়া। ইটালি, সউদি আরব, ওমান, দুবাই, ইত্যাদি যেসকক জায়গায় আত্মীয়স্বজন আছে, তাদের বর্ণনা শুনলে দম বন্ধ হয়ে আসে। এই নীলগেঞ্জিরাই ঐখানে চুপচাপ কোয়ারেন্টাইনে কাটায়, আর বাংলাদেশে এসে সিস্টেম ফাকার হইয়া ওঠে।

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আইন মানাতে হয়। সিংগাপুরে গিয়ে কি কেউ ট্রেনে টিকিট না কেটে উঠে? কোন বাঙালি? বাঙালি আরো ভয় পায়। তারা জানে উপায় নেই, টিকিট ছাড়া উঠলে বিপদে পড়তে হবে, জরিমানা গুনতে হবে এবং দিনটিই মাটি হবে।

নীলগেঞ্জি উচ্চ শিক্ষিত সচেতন মানুষ নন। তার মধ্যে এই ধারণা কে ঢুকালো যে- মুসলমানদের করোনা হবে না, শুকর খাওয়াদের হবে, ইসলামের শত্রুদের জন্য এটা গজব? যে সিস্টেম এসব বলে কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে তাদের কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে?

কেন সহিদ, আরিফরা এতোটা সাহস পায় যে, হাজার হাজার ভুয়া করোনা টেস্ট করালো। যারা রোগী ছিল তারা ছাড়পত্র পেয় গেল- করোনা না হওয়ার এবং ঘুরে বেড়ালো। কোন সেই সিস্টেম? সিকদার দুই ভাই আস্ত একটি বিমান নিয়ে পালিয়ে গেল কোন সিস্টেমে? ওই নীলগেঞ্জির সবকিছুকেই সাপোর্ট করি না। কিন্তু তাকে ওই বক্তব্যের জন্য গালিও দিতে চাই না।

২০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের এক শ্রেনির লোক নীল গেঞ্জি পরা ফাকিষ্টটা কে নবীর পর্যায়ে নিয়ে গেছে।
এই ফাকিষ্ট কোয়ারেন্টেইন না মেনে বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আমদানি করেছে।
আবার ইটালি ফিরে যাওয়ার সময় করোনা ভাইরাস নিয়ে গেছিল। এত ষ্টুপিড অপকর্ম করার পরও বাংপাকিদের কাছে সে নবী।
কিন্তু এবার ইটালিয়ানদের থাপ্পোর খেয়ে ফিরে এসেছে।
এখন সেই হজ্ব ক্যাম্পেই কোয়ারেন্টেনে। সেই হজ্ব ক্যাম্পেই।
আমার মতে এই হারামজাদাকে গরুর হাটে গলায় দড়ী দিয়ে বেধে রাখা উচিত ছিল

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। গালিগালাজ করাও আপনার অধিকার। আর ওই নীলগেঞ্জির প্রতিবাদের কথাই আমি বলেছি। ওকে নবী বানানোর কোন সুযোগ নেই এমনকি সে নিজেও আমাকে সহ্য করবে না যেমনটা আপনি করছেন না। আমাকে গালিটা দিতে পারলে হয়তো সুখবোধ করতেন। দিলেও সমস্যা নেই।

ওই সময়টা আপনি ভুলে গেছেন। তখন ওদের কোয়ারেন্টিনে রাখার প্রস্তুতি ছিল বলে মনে হয়নি। ওরা সারাদিন অভূক্ত ছিল এবং কোন নির্দেশনাও পাচ্ছিল না। ফলে ওনি সিস্টেমকে ভাগ করতে চেয়েছিলেন।

কেন সহিদ, আরিফরা এতোটা সাহস পায় যে, হাজার হাজার ভুয়া করোনা টেস্ট করালো। যারা রোগী ছিল তারা ছাড়পত্র পেয় গেল- করোনা না হওয়ার এবং ঘুরে বেড়ালো। কোন সেই সিস্টেম? সিকদার দুই ভাই আস্ত একটি বিমান নিয়ে পালিয়ে গেল কোন সিস্টেমে? ওই নীলগেঞ্জির সবকিছুকেই সাপোর্ট করি না। কিন্তু তাকে ওই বক্তব্যের জন্য গালিও দিতে চাই না। আজ ওই নীলগেঞ্জি কেন কোয়ারেন্টিন মানছে? কারণ এখন ব্যবস্থা আছে।

২১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। আইন মানাতে হয়। সিংগাপুরে গিয়ে কি কেউ ট্রেনে টিকিট না কেটে উঠে? কোন বাঙালি? বাঙালি আরো ভয় পায়। তারা জানে উপায় নেই, টিকিট ছাড়া উঠলে বিপদে পড়তে হবে, জরিমানা গুনতে হবে এবং দিনটিই মাটি হবে।

নীলগেঞ্জি উচ্চ শিক্ষিত সচেতন মানুষ নন। তার মধ্যে এই ধারণা কে ঢুকালো যে- মুসলমানদের করোনা হবে না, শুকর খাওয়াদের হবে, ইসলামের শত্রুদের জন্য এটা গজব? যে সিস্টেম এসব বলে কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে তাদের কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে?

কেন সহিদ, আরিফরা এতোটা সাহস পায় যে, হাজার হাজার ভুয়া করোনা টেস্ট করালো। যারা রোগী ছিল তারা ছাড়পত্র পেয় গেল- করোনা না হওয়ার এবং ঘুরে বেড়ালো। কোন সেই সিস্টেম? সিকদার দুই ভাই আস্ত একটি বিমান নিয়ে পালিয়ে গেল কোন সিস্টেমে? ওই নীলগেঞ্জির সবকিছুকেই সাপোর্ট করি না। কিন্তু তাকে ওই বক্তব্যের জন্য গালিও দিতে চাই না।

২২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
সময়টা আপনি নিজেই ভুলে গেছেন। তখন ওদের কোয়ারেন্টিনে রাখার যতেষ্ঠ প্রস্তুতি ছিল।
এটা হজ্বক্যাম্প, হাজার হাজার হাজি থাকতো, বাথরুম রান্না ঘর পানি সুবিধা পর্যাপ্ত, এটাকেই কোয়ারেন্টিন ক্যাম্প করা হয়েছিল। হয়তো বাথরুম একটু নোংড়া ছিল, নীলশার্টরা আসার কদিন আগেই চীন ফেরত ছাত্র ও ব্যাবসারিরা, ওন্যান্ন করোনাক্রান্ত দেশ থেকে সকল আগতরা সেখানে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিন করে গেছে। নিজেদের রুম নিজেরা পরিষ্কার করেছে।

আপনার প্রিয় নীলগেঞ্জিও ভুয়া করোনা টেস্ট করানোর একজন পার্টি। সে অপরাধের বড় একটি অংশ।
টাকার বিনিময়ে ভুয়া করোনা টেস্ট সার্টিফিকেট সংগ্রহ করা একটি বড় অপরাধ।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৭

মুজিব রহমান বলেছেন: নীলগেঞ্জি আমার প্রিয় নয় আপনি চাপিয়ে দিচ্ছেন মৌলবাদীদের মতো। যতটা মনে আছে চীন ফেরতরা এসেছিল পরে। বারবারই বলছি ওদের কোয়ারেন্টিন করানো উচিত ছিল।
আমার বক্তব্যটা সিস্টেম নিয়ে।

২৩| ১২ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: এই হারামীকে থাপড়ানো দরকার ছিল।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: অধিকাংশ দেশপ্রেমিকই উগ্র জাতীয়তাবাদী। তারা সাবরিনাকে সাপোর্ট করবে, সাহেদকে সাপোর্ট করবে, সম্রাটের পেছনে ঘুরবে, পাপিয়ার জন্য লালা ঝরাবে কিন্তু প্রতিবাদকে বাঁকা চোখে দেখবে। ধন্যবাদ আপনাকে। হাজিক্যাম্পে আছে এখন যেতে পারেন থাপড়াতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.