নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকদের ভ্রান্তি

১১ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০০


অরুণ কুমার বসাক একজন বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বরেণ্য শিক্ষক ছিলেন এবং এখনো পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে এমিরিটাস প্রফেসর। তাঁর ডান হাতের দিকে তাকিয়ে দেখুন- তর্জুনী, মধ্যমা, অনামিকা ও কনিষ্ঠা আঙুলে চারটি আংটি। তিনি শুধু শোভা বর্ধনের জন্যই এগুলো ব্যবহার করেন তা নয়, একটি বিশ্বাস থেকেই করেন। মানুষ অষ্টধাতুর আংটি পরে। কি কি ধাতু আছে এই আংটিতে? সোনা, রূপা, তামা, রাং, সিসা, পারদ ও লোহা। অনেকে কাসা, পিতল ও ব্রোঞ্জ এর কথাও বলেন। তবে এ তিনটি মৌলিক ধাতু নয়- তামা, রাং/টিন, সিসা/দস্তা এর একেক মিশ্রণ। হীরা, রুবি, নীলকান্ত, পান্না, গার্নেট, গোমেদ, মুক্তা (পাথর নয়) ইত্যাদি পাথর বসানো আংটিও অনেকে পরেন। স্রেফ স্বর্ণ বা রূপার আংটি যারা পরেন তারা অবশ্য শুধু সৌন্দর্যবর্ধনের জন্যই পরেন। অষ্টধাতুর আংটির মধ্যে থাকা পারদ ও সিসা মানব শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। অন্য ধাতুগুলোও হাতে ব্যবহার করলে ক্ষতি ছাড়া, কোন উপকার হওয়ার সুযোগ নেই। কোন পাথরেরও কোন উপকারিতা নেই। কেতু, রাহু বা শনির দোষ বলেও কিছু নেই আর কোন দোষ কাটানোর ক্ষমতাও নেই পাথরের। বসাক স্যার যখন পাথর বসানো আংটি পরেন তখন পাথর ব্যবসায়ীদের জন্য সুখ বয়ে আনেন আর বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের জন্য বিড়ম্বনা তৈরি করেন। লিটন দেওয়ান চিশতিরা দেখাতে পারেন- দেখুন দেশের সেরা পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষকও আংটি পরেন। বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেই তিনি বিজ্ঞানমনষ্ক হবেন তার নিশ্চয়তা থাকে না। যদি কেউ না হন তবে ক্ষতি অনেক।মৌলবাদী চক্র তাকে ব্যবহার করে বিজ্ঞানমনষ্কতার বিপক্ষে মতাদর্শ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন।

এমনটা আমরা দেখি এম. শমশের আলীর ক্ষেত্রেও। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন। এর আগে তিনি ইতালির ট্রিস্টে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, এর পরিচালকসহ বিভিন্ন পদে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনগুলিতেও কাজ করেছিলেন। বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি বাংলাদেশের সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ছিলেন। তিনি যখন কোয়ান্টাম মেথডের ক্লাসে বক্তব্য রাখেন তখন হতাশ হতে হয়। ধ্যানকে মানুষের আত্মউন্নয়ন ও ব্যাক্তিত্বের বিকাশে এই ম্যাথড প্রয়োগ করে। এরসাথে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কোন সম্পর্ক নেই, নামটি স্রেফ চুরি করা। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের নাম ব্যবহার করে এবং তাদের বক্তব্য বিকৃত করেই তারা কাজ করে। এম. শমশের আলী কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে একটি বই লিখেছেন ‘ইসলাম বিজ্ঞান মেডিটেশন’ নামে যা প্রকাশ করেছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। বইটিতে তার ১৭টি প্রবন্ধ রয়েছে যাতে আত্ম উন্নয়ন ও কোয়ান্টামের কথা লিখেছেন। তিনি দুই দশক ধরে কোয়ান্টাম মেথড নিয়ে কাজ করছেন বলেও বইটি থেকে জানা যায়। বইটির ভূমিকায় তিনি কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, গুরুজী ও মা-জীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি ওয়াজেও বক্তব্য রাখেন। বিভিন্ন স্থানে তাঁর নামের আগে আল্লামাও লেখা দেখা যায়। তার কারণে কোয়ান্টাম মেথড যে কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অংশ নয় সেটা মানুষকে বুঝানো মুশকিল হয়ে যায়।

এমনটা আরো দেখেছি। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের একজন শিক্ষিকার কথা আগেও বলেছি, যিনি কালী দেবীর সাধনা করেন। তাকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছিলেন, পদার্থও শক্তি কালীও শক্তি তাহলে দুটি এক হল না! ওনারই এক সহকর্মীর সাথে সাক্ষাৎ হয়েছিল যিনি তাবলিগ জামাতের নেতা। আমাদের বিক্রমপুরের সরকারি শ্রীনগর ডিগ্রি কলেজের একজন পদার্থবিদ্যার শিক্ষক ছিলেন। তিনি ক্লাসে সবসময় বলতেন, ‘পদার্থবিদ্যার সমস্তসূত্রই এসেছে কোরআন থেকে’। কোরআন ধর্মগ্রন্থ। এটাতো পদার্থবিদ্যার বই নয়।পদার্থবিদ্যায় আমিও মাস্টার্স করেছি। তাই আমি প্রমাণ করার আহবান জানিয়ে ফেসবুকেই পোস্ট দিয়েছিলাম। সেখানে বলেছিলাম, আপনার কাছেই তাহলে আগামীতে পদার্থবিদ্যার অন্তত দুটি নোবেল আসবে এমন আবিষ্কার প্রত্যাশা করছি। যেহেতু আপনি জেনে গেছেন অতীতের সব আবিষ্কারই কোরআন থেকে হয়েছে তাই আপনিই পারবেন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করতে। ওনি ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের হুমকি দিয়েছিলেন যে, কে ফাঁস করেছে? তাকে দেখে নিবেন। কিন্তু চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এগিয়ে আসেন নি।

পদার্থবিদ্যার অনেক শিক্ষকই আছেন যারা প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক। কিন্তু তাদের পরিবর্তে অপ্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক নন তাদেরই কদর বেশি সামাজিকভাবে। তারা বিজ্ঞানবিরোধী কথা বলে সহজেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এমনসব বই লিখেন যা সাধারণ মানুষ পাঠ করে দ্রুতই বিজ্ঞানমনস্কবিরোধী হয়ে উঠেন। তারা এবং কিছু সংগঠন এ ধরনের শিক্ষকদের খুবই গুরুত্ব দিয়ে বক্তা হিসেবে নিয়ে যান এবং বিজ্ঞানবিরোধী প্রচার করান। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় তারাই হয়ে উঠেন প্রতিবন্ধক

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:০১

রাশিয়া বলেছেন: বিজ্ঞানমনষ্ক কেউ যখন কুরআনের জীবন ঘনিষ্ঠতা নিয়ে কথা বলে তখন ব্লগে এক শ্রেণীর মানুষের চুলকানি উঠতে দেখা যায়। বিজ্ঞান বিজ্ঞানের জায়গায়, সংস্কার সংস্কারের জায়গায়। এদের মধ্যে তো কোন বিরোধ নেই। বিজ্ঞান তো বলেনি ভূতের কোন অস্তিত্ব নেই - বিজ্ঞান বলেছে বৈজ্ঞানিক ভাবে ভূতের অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব নয়। তাই কোন বিজ্ঞানি যদি ভূতে ভয় পাত্ম তাঁকে দোষী করা চলেনা।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২২

মুজিব রহমান বলেছেন: যা নাই বিজ্ঞান তার পেছনে দৌড়বে কেন? ভুতের প্রমাণ নাই মানেই ভুত নাই। ধর্মবিশ্বাস আর বিজ্ঞান বিপরীত বিষয়। যারা দুটোকে এক সূতায় গাঁথতে চান তারা কোন অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই তা করেন। বিজ্ঞানে অলৌকিকতার স্থান নেই।

২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পদার্থবিদ্যার অনেক শিক্ষকই আছেন যারা প্রগতিশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক।
কিন্তু তাদের পরিবর্তে অপ্রগতিশীল ও অবিজ্ঞানমনস্ক ধার্মিক শিক্ষকদের কদর বেশি সামাজিকভাবে।
তারা চতুরতার সাথে বিজ্ঞানবিরোধী কথা বলে সহজেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এবং এমনসব বই লিখেন যা সাধারণ মানুষ পাঠ করে দ্রুতই বিজ্ঞানমনস্কবিরোধী হয়ে উঠেন। তারা এবং কিছু সংগঠন এ ধরনের শিক্ষকদের খুবই গুরুত্ব দিয়ে বক্তা হিসেবে নিয়ে যান এবং বিজ্ঞানবিরোধী প্রচার করান।
বাংলাদেশে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় এরাই বড় প্রতিবন্ধক।
পোষ্টে প্লাস।।

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এদেশে প্রগতিশীলতা চর্চা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। বহু মানুষই জীবন দিয়েছে। অন্ধদেরই এদেশে অধিক সম্মান করা হয়। তবুও কিছু মানুষ চেষ্টা করে প্রগতি চর্চার।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১৩

জোবাইর বলেছেন: শিক্ষিত লোকদের এ ধরনের স্ববিরোধী কার্যকলাপ বা নিজের ব্যক্তিগত ধ্যান-ধারণাকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের তথ্য হিসাবে জাহির করা বাংলাদেশের অশিক্ষিত ও ধর্মনির্ভর সমাজের জন্য খুবই বিপদজনক! কারণ আমজনতা এসব ভ্রান্ত ধারণার বিপক্ষে যুক্তির পরিবর্তে এসব বিতর্কিত শিক্ষিত লোকদের কার্যকলাপকে সঠিক হিসাবে গ্রহণ করে।

বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ওরশ-মাজার নিয়ে যেসব পীর ব্যবসা চলে আসছে সেখানে ভন্ড পীরেরা কিছু শিক্ষিত ও সুপরিচিত লোককে বিশেষ খেদমত প্রদান করে মুরীদ করেন। এরপর আর এদের পেছনে তাকাতে হয়না। তখন অশিক্ষিত ও স্বল্প শিক্ষিত লোকেরাও দলে দলে এসে ভন্ড পীরদের ভক্ত হয়। তখন সবার মুখে যুক্তি একটাই, "এ পীরের কোন ক্ষমতা না থাকলে এত বড় শিক্ষিত ও জ্ঞানী লোকেরা কী উনার ভক্ত হতো!"

১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৭

মুজিব রহমান বলেছেন: খুবই পীড়াদায়ক এটা। এমনটাই দেখে আসছি। ভণ্ডপীরেরা উল্টো টাকা দিয়ে হলেও এদের মুরিদ বানাতে চায়। এদের মুখোশই খুলে দিতে হবে যে এরা বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেও বিজ্ঞান মনস্ক নন। এদের নিয়ে কথা বলা দরকার। ধন্যবাদ আপনাকে।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবলীগ জামাত করলে কেন পদার্থ বিজ্ঞান পড়া যাবে না? তবে তো যে কোনও সাধারণ মুসলমানেরও পদার্থ বিজ্ঞান পড়া উচিত না কারণ তারা বিশ্বাস করে যে ফেরেশতা আছে আমাদের দুই কাঁধে। মৃত্যুর সময় আজরাইল ফেরেশতা জান কবচ করে। আরও অনেক কিছু এ রকম বলা যায়। ব্যাখ্যা করবেন কি?

১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০১

মুজিব রহমান বলেছেন: বিষয়টা সাংঘর্ষিক। ধর্মবিশ্বাস আর বিজ্ঞান একসাথে চালাতে গেলে অন্তত বিজ্ঞানটা চলে না। ফলে এমন যারা শিক্ষক হয়ে আসেন তারা বিজ্ঞানের বিরাট ক্ষতি করে বসেন।

অগ্রসর চিন্তার মুসলমান রয়েছেন অনেক। তারা বিজ্ঞানমনস্ক এবং বিজ্ঞান দিয়েই সবকিচুর বিচার করতে চান।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইসব লোকও অন্ধ হয় ধর্মে। বিজ্ঞানী না হয়ে মৌলভী হলে ওয়াজ করতে পারতো।

১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০২

মুজিব রহমান বলেছেন: বিভিন্ন পত্রিকায় তার নামের আগে আল্লামাও লাগানো হয়। তিনি ওয়াজও করেন এবং ওটাই তার স্থান হওয়া ছিল যৌক্তিক।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৩

সোনালি কাবিন বলেছেন: +++

১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অগ্রসর চিন্তার মুসলমানরা কি ফেরেশতা, কবর আযাব, জীন, শয়তান এগুলি মানেন না? এগুলি না মেনে কি মুসলমান হওয়া যায়? কোনও ব্যক্তি যদি বলে আমি মুসলমান কিন্তু এগুলি মানি না। তার মানে সে আসলে মুসলমান না। কারণ এগুলি ধর্মের মৌলিক বিশ্বাস।

১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

৮| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:



অপদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষক হতে পারেন।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: খারাপ বলেননি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভেবে দেখতে পারে এমন সাবজেক্ট খুলতে। তবে ছাত্রর অভাব হবে না।

৯| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১১

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: Ramanujan is considered world's one of the finest mathematicians, yet he attributed the discovery of many of his theorems to the goddess Namgiri. This belief did not diminish or hinder Ramanujan's monumental contributions to mathematics. While some of the blog-author's points are logical, his foolhardy approach of pitting everything against physics and ultimately declarig physics as the panacea of everything is an illlearned, illusioned attempt that has no understanding of human history, phyche, belief systems, and philosophy, among others, an approach stemming from intolerance of others.

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। রামানুজ গণিতের জাদুকর ছিলেন। আপনি জানেন তার অধিকাংশ আবিষ্কারই পূর্বেই কেউ না কেউ করে রেখেছিলেন যা তিনি জানতেন না। তার সীমাবদ্ধতা ছিলই। গণিত মেধার বিকাশ ঘটায় অবশ্যই তবে বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে তৈরি করতে খুব একটা ভূমিকা রাখে না। ভারত বর্ষের মানুষ সুদীর্ঘকাল ধরেই দেবীদের আরাধনা করে আসছে। এটা পরিবার ও সমাজ তাদের মধ্যে ভাবাদর্শ গঠন করে দেয়। সেখান থেকে তারা বের হতে পারে না।

১০| ১১ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: ভ্রান্তি!
মানব জাতি আছে ভ্রান্তির মধ্যে। অথচ তারা বুঝতে পারে না। তারা মনে করে তাদের পথটাই সঠিক।
আপনি বরাবরই সুন্দর পোষ্ট লিখেন। ভালো বিষয় নিয়ে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

অন্ধরা বুঝতেও পারে না তারা বিভ্রান্তির মধ্যে আছে।

১১| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: 'প্রগতিশীলতা'র সংজ্ঞা যদি ধার্মিকতা বা আস্তিকতা বাদ দিয়ে করে থাকেন, সেই সংজ্ঞা ত্রুটিপূর্ণ। বিজ্ঞানমনস্ক ব্যক্তি যেমন ধার্মিক বা আস্তিক হতে পারেন, বা ধর্মচর্চা করতে পারেন, তেমনি একজন ধার্মিক ব্যক্তিও বিজ্ঞানমনস্ক হতে পারেন। আপনি যেখানে ধার্মিকদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞানবিরোধিতার কথা বলছেন, এটা আপনার হয়ত চোখে দেখা দু-একটা বিক্ষিপ্ত উদাহরণ হতে পারে। ধার্মিকরা ধর্মের তফসির করে থাকেন, সেখানে বিজ্ঞানের বিষয় এলে তারা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করে থাকেন। এটাকে বিজ্ঞানবিরোধিতা বলা ঠিক হয় না। অনেকে আবার, বিজ্ঞানের কিছু কিছু বিষয় কোরানের বাণীর সাথে তুলনা করে থাকেন, সেখানে বিরোধিতা না, তারা সামঞ্জস্যই অনুসন্ধান করে থাকেন।

একজন বিজ্ঞানী ধর্মচর্চা করতে পারবেন না, এটা তো ঠিক না। তিনি ধর্মচর্চা করেন তার বিশ্বাসের ভিত্তি থেকে। পোস্টে যাদের কথা উল্লেখ করেছেন, তাদের নিজ নিজ ফিল্ডে তারা সবাই একেকজন মহীরুহ। তারা বিজ্ঞানের এত গভীরে গিয়েও 'আস্তিকতা' পরিহার করেন নি। হয়ত বলতে পারেন, তাদের জ্ঞানের কমতি আছে, সেই হিসাবে আমার-আপনারও তাদের চাইতে অনেক কমতি আছে। আইনস্টাইন বা নিউটন বা স্টিফেন হকিন্স কি প্রমাণ করে দেখিয়ে গেছেন যে সৃষ্টিকর্তা বলে কিছু নেই? এদিকে বরং তারা যানই নি।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: একজন বিজ্ঞানীর পক্ষে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়াও সহজ যতটা কঠিন একজন ধার্মিকের পক্ষে বিজ্ঞানমনস্ক হওয়া। এটা সোনার পাথরবাটির মতোই মনে হচ্ছে। মহীরুহ যে কি জিনিস? এম. শমশের আলীর মৌলিক কোন আবিষ্কারও নেই, উচ্চতর গবেষণাও নেই। যেখানে বিজ্ঞানও হতে হয় ধর্মাশ্রয়ী সেখানে অবশ্য বনতুলশীই মহিরুহ!

১২| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমার নিজের কোন কুসংস্কার নেই।

এরা কোন আধুনিক মানুষ নন।
কেবলই এক জন মাস্টার।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৯

মুজিব রহমান বলেছেন: বিষয়ের ভিতরে যারা ঢুকতে পারে না, যারা বিজ্ঞানকে নয় অলৌকিকতাকেই ধারণ করে তাদের কি করে ভাল শিক্ষকই বলি বলুন।

১৩| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এইসব লোকও অন্ধ হয় ধর্মে। বিজ্ঞানী না হয়ে মৌলভী হলে ওয়াজ করতে পারতো।

সহমত।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২০

মুজিব রহমান বলেছেন: এম. শমশের আলী ওয়াজও করেন।

১৪| ১১ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সব মানুষকেই হিন্দু/মুসলিম/বৌদ্ধ/খৃস্টান হতেই হবে?
ধর্ম হীন মানুষ কি থাকতে পারবে না?
যে কোন ধর্মই তো কোন এক জন ব্যক্তির মাথা থেকেই এসেছে।
সবাই কেন সেটা মানবে?
বিশেষ করে সেটা যদি হয় হাজার বছর আগের?
পৃথিবী এখন বদলেছে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: অসাধারণ! একদম ঠিক বলেছেন।

১৫| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৩

নতুন বলেছেন: বিজ্ঞানের শিক্ষক হলেই যে ধম` বিশ্বাসী হতে পারবেনা সেটা ঠিক না।

কিন্তু যদি বিজ্ঞানের শিক্ষক হয়েও কুস্কংকারে বিশ্বাস করে তবে সেটা অবশ্যই মূখ`তা।

ধর্মের অনেক জিনিস আছে যেইগুলি পুরাপুরি সত্য বা মিথ্যা বলে প্রমানিত না। তাই তারপ্রতি বিশ্বাস বিজ্ঞানে আস্থাবানরাও করতে পারে।

কিন্তু যদি বিজ্ঞানের শিক্ষক বা ছাত্র হয়ে পানি পড়া, অস্টধাতুর পাথর, গ্রহনক্ষত্রে বিশ্বাসি হয় তবে সমস্যা আছে।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪০

মুজিব রহমান বলেছেন: অপ্রমাণিত বিশ্বাস কি কুসংস্কার নয়?

১৬| ১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
মহীরুহ যে কি জিনিস? এম. শমশের আলীর মৌলিক কোন আবিষ্কারও নেই, উচ্চতর গবেষণাও নেই। যেখানে বিজ্ঞানও হতে হয় ধর্মাশ্রয়ী সেখানে অবশ্য বনতুলশীই মহিরুহ!
তাহলে এদেরকে রেফারেন্স হিসাবে না নেয়াই সঙ্গত। এরা আম্রজনতা। এবং সেই হিসাবে আপনার পোস্টও তাহলে তেমন গুরুত্ব বহন করে না।

১২ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

আশি শুধু পদার্থ বিজ্ঞানের কয়েকজন শিক্ষকের অন্ধবিশ্বাস দেখাতে চেয়েছি। গুরুত্ব বহন না করলেও অসুবিধা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.