![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
করোনাসংক্রমনে ওরা তিনবন্ধু প্রথম তিনে এসে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প একে, দুইয়ে ব্রাজিলের বালসোনারো এবং তিনে ভারতের নরেন্দ্র মোদী! ব্যর্থতার তিন মহিরুহ। বন্ধু বলেই তাদের কমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে- তারা তিনজনই ধর্মান্ধ মৌলবাদী, জাতীয়তাবাদী এবং বিজ্ঞানমনস্ক নন। অন্যদের অসম্মান ও অপদস্ত করতে তিনজনই যা ইচ্ছা তাই বলেন। এই তিনজনই শুধু নিজ দেশ নয়, বিশ্বের জন্যই ক্ষতিকর, মানবতার জন্য ক্ষতিকর। তারা দানব হয়ে উঠেছেন। তাদেরতো থামাতে হবে, বধ করতে হবে। করোনার সাথে এই তিনটি দৈত্যর কথা মনে হলেই গোলিয়াথ দৈত্যের কথাই মনে আসে।
গোলিয়াথ নামের বিশাল দৈত্যটি গ্রামের ছেলে মেয়েদের ভয় দেখিয়ে সন্ত্রস্ত করে রাখত। একদিন, ডেভিড নামে একটি ১৭ বৎসরের রাখাল ছেলে গ্রামে তার ভাইদের কাছে বেড়াতে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে তাদের জিজ্ঞেস করল, "তোমরা, দৈত্যটার সঙ্গে লড়াই করো না কেন? ভাইয়েরা ভয়ে ভয়ে বলল, "দেখছ না, কি বিরাট চেহারা, ওকে আঘাত করাই মুস্কিল।" ডেভিড বলল, "তা হবে কেন? বিরাট চেহারা বলেই আঘাত কড়া সহজ, কোনও তাক ফস্কে যাবে না।" আমরা সবাই জানি, ডেভিড গুলতির সাহায্যে দৈত্যটিকে হত্যা করে গ্রামের ছেলে মেয়েদের সন্ত্রাস মুক্ত করেছিল। একই দৈত্য সম্পর্কে দু'রকমের দৃষ্টিভঙ্গি, সাহসীর একরকম, আবার ভীতুদের অন্যরকম। ডেভিড শক্তিশালী নয় তবুও আজও আমরা দৈত্যবধের জন্য ডেভিডকেই খুঁজি। অদৃশ্য করোনাভাইরাস, বর্ণবাদী ট্রাম্প, আমাজান খেকো বালসোনারো আর জাতি বিদ্বেষী মোদীকে গোলিয়াথের মতোই অজেয় মনে হচ্ছে অনেকের কাছে। সেই আমেরিকাতেও সাহসী লোক দেখছি। মার্কিন গবেষক অ্যান্টনি ফাউচিকে দেখছি সাহস নিয়ে দাঁড়াতে। ট্রাম্পের প্রতিটি মিথ্যার জবাব দিচ্ছেন সাহস নিয়ে। অনুজীবের বিরুদ্ধে সংঘটিত বহু যুদ্ধে তিনি বিজয়ী। এরা তিনজনই করোনা নিয়ে হাসি-তামাশা করেছে, নিজ দেশে করোনা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে, হাজার হাজার মানুষকে ঠেলে দিয়েছে মৃত্যুর দিকে। করোনার টিকা আবিষ্কারের দোরগোড়ায় রয়েছেন সারা গিলবার্ট এবং আরো কয়েকজন। করোনা যে কথার তুড়িতে, কোন দোহাইতে, ঢাক-ঢোল পিটিয়ে দূর করা যায় না তা দানবরা বুঝতে এখনো অক্ষম। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুতে তাদের কিছুই যায় আসে না। বিজ্ঞানীদের সফলতাই ট্রাম্প-মোদী-বালসোনারোদের জন্য হবে চপেটাঘাত! মাঝের দুটো মাস পরেই হয়তো আমরা পেয়ে যাবো বহু কাঙ্ক্ষিত টিকা।
ইতিমধ্যের এই প্রতিষেধকের উৎপাদনের কাজ শুরু করে দিয়েছে ব্রিটিশ ফার্মাসিউটিক্যাল জায়ান্ট ‘অ্যাস্ট্রা জেনিকা’। অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি প্রতিষেধকটির শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে ৮,০০০ স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছে। আগামী আগস্ট মাসের মধ্যেই নিশ্চিত হওয়া যাবে। করোনার বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম তাদের তৈরি টিকা, এমনটাই দাবি করলেন অক্সফোর্ডের প্রতিষেধক গবেষণার প্রধান ড. সারা গিলবার্ট। একাধিক পরীক্ষায় তার প্রমাণও মিলেছে। শুধু তাই নয়, তাদের তৈরি এই প্রতিষেধক করোনার বিরুদ্ধে বছরখানেক ধরে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম। তবে সব কিছুর আগে প্রতিষেধকের সুরক্ষার বিষয়টিকেই জোর দিয়ে দেখছেন অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীরা। এ ক্ষেত্রে কোনও রকম তাড়াহুড়ো করতে চাইছেন না তারা। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বে সবচেয়ে আশা জাগানো অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা প্রতিষেধকের (ChAdOx1 nCoV-19) মুক্তির দিন-ক্ষণ গুণছে বিশ্বের মানুষ। তারা ২০০ কোটি টিকা তৈরির প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে। প্রতিটি টিকার দাম হয়ে এক কাপ কফির দামের সমান। খুবই আশা জাগানিয়া খবর নিয়ে আসছে চিকিৎসা বিজ্ঞান।
তাড়াহুড়ো না করে প্রতিটি ধাপ অতিক্রম করে আসছেন সারা গিলবার্টের টিম। তারা খতিয়ে দেখছেন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেনো না থাকে। একটি ভুল বিপর্যয় নেমে আসতে পারে মানবজাতির উপর। দেখতে হবে টিকা যেনো সর্বোচ্চ কার্যকরী হয়। ট্রাম্প-বালসোনারো-মোদী অবশ্যই আমাদের জন্য গোলিয়াথ কিন্তু এ সময়ে আমাদের সামনে রয়েছে প্রধান গোলিয়াথ করোনাভাইরাস। এই অদৃশ্য দানবের পরাজয়ের মধ্য দিয়েই অন্য দানবদের পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিতে হবে।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪০
মুজিব রহমান বলেছেন: গল্পইতো! দৈববধের বিষয়টি ঠিকাছে।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০০
অর্ণব তনয় বলেছেন: যে চীন এই ভাইরাস পুরো পৃথিবী ছড়িয়ে দিল তাদের নিয়ে কিছু বললেন না । শি জিন পি সর্বকালের কুখ্যাত রাক্ষস রাষ্ট্রনায়ক ।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ৭:৩২
মুজিব রহমান বলেছেন: তারা ছড়িয়ে দেয়নি। তারাও আক্রান্ত হয়েছে এবং ছড়িয়ে পড়েছে। তারা সামলাতে পেরেছে কি না? পেরেছে সেটাই সাফল্য। তারা দেশকে এগিয়ে নিয়েছে। এতো সময় পেয়েও মোদী কেন পারলো না? অন্ধ বিশ্বাস, ধর্মান্ধতার কারণেইতো।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৮
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বড় মৌলবাদীরা রয়ে গেছে ।ইরান, তুরস্ক এবং সৌদি ।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৯
মুজিব রহমান বলেছেন: এই তিনটি দেশ অবশ্যই মৌলবাদ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। আমি শুধু প্রথম তিনটি দেশকেই আলোচনায় এনেছি।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের আগে কেউ কি আনতে পারবে না?
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪০
মুজিব রহমান বলেছেন: এদের অতিক্রম করা সম্ভবত সহজ হবে না। পাকিস্তানকে দ্বারা সবই সম্ভব। বাংলাদেশের অবস্থাও ভাল মনে হচ্ছে না।
৫| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:১৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: মধ্যপাচ্য শিয়া সুন্নির লড়াই চলছে চলবে
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪১
মুজিব রহমান বলেছেন: মৌলবাদীরা সবসময় নিজেদের শ্রেষ্ঠ মনে করে আর লড়াই করে। বাস্তবিক ওরা উভয়ই প্রশ্চাৎপদ।
৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫০
কল্পদ্রুম বলেছেন: ফাউচির মতো আমাদের কোন বিশেষজ্ঞ নেই যিনি ক্ষম্লতাসীনদের ভুলগুলোকে ভুল বলতে ভয় পাবেন না।অবশ্য ভয় পাওয়াটাও দোষের কিছু না।ওদের দেশে তো অন্তত সরকার বিরোধী কথা বললে কাউকে অন্তত গুম করার সুযোগ নেই।ভ্যাক্সিন আসলেও সেটা কতটা কার্যকরী হবে বলা মুশকিল।এই ভাইরাসের এন্টিজেনিক ড্রিফট খুব দ্রুত হচ্ছে।এরকম সমস্যা ইনফ্লুয়েঞ্জাকে নিয়েও আছে।ফলে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভ্যাক্সিন থাকা সত্ত্বেও তাতে তেমন লাভ হয় না।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৫
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ফাউচিরা আমেরিকায় আছে বলেই ট্রাম্পরা বেশি সুবিধা করতে পারে না। আমাদের ফাউচি থাকার সুযোগ নেই। ফাউচিরা এমনিতেই হয়নি।
৭| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: গল্প আসুক সত্যি হয়ে।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৬
মুজিব রহমান বলেছেন: সত্যি অবশ্যই হবে। গোলিয়াথ দৈত্যরা মারা পড়বেই।
৮| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ২:০০
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ট্রাম্প, মোদী, বালসোনারো
তিনজনই ধর্মান্ধ মৌলবাদী, জাতীয়তাবাদী এবং বিজ্ঞানমনস্ক নন।
বালসোনারো নাম আসাটা ভুল। উনি ধর্মান্ধ মৌলবাদী নন।
ওনার নামটা কেটে ' এরদোয়ানের' নামটা বসান।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৪৮
মুজিব রহমান বলেছেন: এরদোগান অবশ্যই মৌলবাদী এবং তুরষ্কের জন্য ক্ষতিকর, মানবসভ্যতার জন্যও ক্ষতিকর। তবে করোনা ব্যর্থতায় শীর্ষ তিনজনকেই আনতে চেয়েছি। বালসোনারো সম্পর্কে ইতিবাচক কিছু নেই। তিনি তীব্র ডানপন্থী ও অপ্রগতিশীল।
৯| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৬
অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: প্রথমেই বলবো আগে নিজের দেশ নিয়ে ভাবুন।
দৈনিক সর্বনিম্ন সংখ্যক টেস্ট, ডাক্তারদের অদক্ষতা, বেসরকারী হাসপাতালের করোনা টেস্ট জালিয়াতি, জনসচেতনতার অভাব, সর্বশেষ মেডিকেল স্টুডেন্ট দের ডাক্তারি পেশার প্রতি অনীহা সৃষ্টি। সবকিছু মিলিয়ে যে পরিস্থিতি তাতে আপাতত ভারত-আমেরিকা-ব্রাজিল বাদ রেখে নিজ দেশ নিয়া ভাবুন কাজে লাগবে।
লেখক বোধ হয় চিন সমর্থক , তাই চিনের দোষ দেখতে পাচ্ছেন না। চিনের বদ নীতির খেসারত সারা বিশ্বের মানুষ দিচ্ছে।
তারা যদি শুরু থেকেই বিশ্ববাসীকে সতর্ক করে নিজেদের লকডাউন করে দিত তাহলে আজকে চিত্রটা ভিন্ন হত।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৯
মুজিব রহমান বলেছেন: আমার বেঁচে থাকাটা কি আপনার কাছে অসহ্য লাগছে?
আসুন চীনকে নিয়ে কথা বলতে পারি। চীনে এই রোগের পাদুর্ভাব হয়েছিল সত্যি। এটা হতেই পারে। শুরুতে জানানো সহজ ছিল না। যখন চীন নিশ্চিত হয়েছে ভয়াবহ কিছু তখনই তারা জানিয়েছে। এ বিষয়ে চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর নয়। ট্রাম্প বললেইতো হবে না।
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:০১
অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: লেখককে বলছিঃ আপনার বেচে থাকাটা আমার কাছে অসহ্য কেন লাগবে বলুন তো!! আমি চাই পৃথিবীর সবাই সুখে শান্তিতে বেচে থাকুক। আমি শুধু যেটা বলতে চেয়েছি সেটা হলো, বর্তমানে আপনার দেশের যা দুরবস্থা চলছে তাতে করে নিজের ঘর না সামলে অন্যের টা মাথা ঘামানো বোকামি। সেদিন জানতে পারলাম ইতালি সহ ইউরোপের ২৬টি দেশ- জাপান কোরিয়া- মধ্যপ্রাচ্যও বাংলাদেশী প্রবেশ সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছে। "ভারত - আমেরিকা হারলে আমরা জিতে যাই" এই মানসিকতা থেকে কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে আসুন, প্লিজ। প্রার্থনা করুন সবাই যেন দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪৬
মুজিব রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে মতপ্রকাশ খুবই কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে জীবন বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। সেজন্যই বলেছি। আপনার পরামর্শ মেনে চললে কি হবে সেটা ভেবেই আঁতকে উঠছি। ধন্যবাদ।
১১| ১৮ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৪৩
অরন্যে রোদন - ২ বলেছেন: লেখক আপনি বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে যা বলতে চেয়েছেন সেটা এখানে মুখ্য বিষয় না।
যাক বাদ দিন। সুস্থ্য থাকুন- সাবধানে থাকুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
রূপকথাটিতে কিছুটা ভুল আছে।
ট্রাম্প, বালসোনারো ও মোদী, প্রত্যেকেই নিজ দেশকে ডুবায়েছে; তবে, ট্রাম্প আমেরিকাকে দীর্ঘ সময়ের হন্য ডুবায়েছে।