নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের ইতিহাস কতদিনের?

২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:০৭


খ্রিস্টান পাদ্রী জেমস উসার হিসাব করে দেখান বাইবেল অনুযায়ী জগতের সৃষ্টি খৃস্টপূর্ণব ৪০০৪ সনের ২৩ অক্টোবর রবিবার সকাল ৯টা।অন্ধবিশ্বাসীদের কাছে এটাই সত্য। আরো আগের কিছু পাওয়া গেলেই এই বিশ্বাস ভুল প্রমাণিত হয়ে যায়। আমরা ইতোমধ্যে প্রমাণ পেয়েছি-

• ৫/৭ হাজার বছর আগের মমি ও তুষারে সমাধীপ্রাপ্ত মানুষের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে।
• ৮ হাজার বছর আগে কৃষির সূচনা হয়।মানুষ নীলনদ, তাইগ্রিস-ইউফ্রেতিস, গঙ্গা-সিন্ধু, হোয়াংহো-ইয়াংসিকিয়াং ইত্যাদি বড় বড় নদীর তীরবর্তী উর্বর সমভূমিতে বসতি স্থাপন করেন। স্থায়ী বাসগৃথে মানুষ বাস করতে শুরু করে।
• ৮/১০ হাজার বছরে আগের গুহাচিত্র, হাতিয়ার, তৈজসপত্র পাওয়া গিয়েছে।
• ১২ হাজার বছর আগে নতুন প্রস্তর যুগের শুরু হয়। গৃহপালিত পশু পালন, গাছের ছাল/পাতা দিয়ে লজ্জা নিবারণ ইত্যাদির সূচনা হয়।
• ৩৫ হাজার বছর আগে আগে শুরু হয় ক্রোমাগনন মানুষের যাত্রা।
• ৩৫/৭০ হাজার বছর আগে বরফ যুগে ইউরোপে বাস করতো নিয়ানডার্থাল মানুষ।
• ২/৩ লক্ষ বছর আগের আদিম মানুষের জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে।
• ১৫/২০ লক্ষ বছর আগের হোমো সাপিন্সের পূর্বপুরুষ হোমো হ্যাবিলিসের জীবাশ্মের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

তার মানে বাইবেলে মানুষ সৃষ্টির যে হিসাব দেয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। ছয় দিনে সৃষ্টির হিসাব নিয়ে একটি প্রশ্ন জাগে-

পৃথিবীর সৃষ্টির আগে কি একদিন বলতে কিছু থাকা সম্ভব?

পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর একবার ঘুরে আসা হল একদিন। পৃথিবীই যখন ছিল না তখন আজকের এই একদিন বলেও কিছু ছিল না। এই দিনের হিসাব, ঘণ্টা, মিনিট ও সেকেন্ডের হিসাবও মানুষই বানিয়েছে। মানুষ নিজেদের যে ইতিহাস লিখছে তা কোন আজগুবি বিষয় নয়। মমি, তৈজসপত্র বা জীবাশ্মর বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে কার্বন টেস্ট করেই।আদিম মানুষের জীবাশ্ম যদি চার লক্ষ বছরের পুরাতন পাওয়া যায় তখনই বিজ্ঞানীরা আদিম মানুষের পূর্বতম সময় বদল করবেন। এখানে যা কিছু বলা হয় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েই বলা হয়।

পৃথিবী ও সূর্য সৃষ্টির আগে সকাল ৯ টা মানে কি?

মানুষই পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর একবার ঘুরে আসাকে ২৪ ঘণ্টা ধরে হিসাব করেছে। সূর্য যখন মধ্য আকাশে থাকে তখন ১২ টা আর তার বিপরীত অবস্থানকে দিন শুরু ধরা হয়। যদি ভোর ৬টা থেকে দিন শুরুর হিসাব করা হতো তাহলেও কিন্তু আজকের ৯ টা হতো ৩ টা। বিষয়টা পৃথিবীর ঘুর্ণন ও সূর্যের সাথে সম্পর্কিত। সূর্য সৃষ্টি না হলে আর পৃথিবী নিজের অক্ষের উপর না ঘুরলে (পৃথিবী সৃষ্টির আগে ঘুরার প্রশ্নই উঠে না) সকাল ৯ টার কোন মানে নেই। মানুষ সৃষ্টির সাত দিন আগে ১৬ অক্টোবর সকাল ৯ টা কিভাবে হিসাব করা হবে? তখনতো তখনতো মহাবিশ্ব, তারকা, সূর্য, চন্দ্র, পৃথিবী কিছুই ছিল না। তখন সকাল নয়টার কোন মানে নেই।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষের ইতিহাস কত দিনের এটার জন্য আমাদের বিজ্ঞানীদের কাছে যেতে হবে। ধর্ম এর সঠিক হিসাব দিতে পারবে না।
সকাল নয়টা বিষয়টা রহস্যময়।

২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
এখানে বিজ্ঞানীদের দেয়া তথ্যই দেয়া হয়েছে।

২| ২০ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বাইবেলে কি মানুষ সৃষ্টির ইতিহাস বলা হয়েছে? আপনি বলেছেন, জগত ৪০০৪ খৃষ্টপূর্বে সৃষ্টি হয়, বাইবেল অনুযায়ী মানুষ কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল, এবং কবে?

৪.৫ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবী সৃষ্টি হয় বিজ্ঞানের মতে। কোরান অনুযায়ী ৬দিনে পৃথিবী সৃষ্টি করা হয়েছে। মরিস বুখাইলি তার 'কুরআন, বাইবেল ও বিজ্ঞান' বইতে এই দিনগুলোকে পৃথিবীর দিন না বলে সময়ের একেকটা ধাপ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন এবং বিজ্ঞানের সাথে এর কোনো বিরোধ নাই বলে উল্লেখ করেছেন। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। এখানে শুধু মানুষের ইতিহাস নিয়েই কথা বলেছি। যদিও তার সাথে পৃথিবীর ও মহাবিশ্বের ইতিহাস জড়িত।

বাইবেলে ঈশ্বর আদম ও হাওয়াকে সৃষ্টি করেন এবং তা থেকেই মানুষ সৃষ্টি। এখানে সৃষ্টি পক্রিয়া নিয়ে কথা বলিনি।

আপনার বক্তব্যের উত্তর দিতে গেলে আরেকটি বড় লেখা হয়ে যাবে। হয়তো তাই করবো ভবিষ্যতে।

৩| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

লরুজন বলেছেন: @সোনাবীজ; মরিস বুখাইলি কে নবী ও রাসুল?
নাকি নবী রাসুলের চেয়ে বিজ্ঞ মরিস বুখাইলি।
নবী রাসুলে যা জানে না, তা জানে মরিস বুখাইলি আর জাকির নায়েক!
মরিস বুখাইলি হচ্ছে আস্ত একটা ধাপ্পাবাজ চিটার।

২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
মরিস বুখাইলি নিজে মুসলিম হননি। চাকরি করেছেন সৌদি রাজ পরিবারের চিকিৎসক হিসেবে। তাদের নির্দেশেই হয়তো বইটি লিখেছেন। বইটি পড়েছি এবং মনে হয়েছে একটি অর্থহীন মিথ্যাচারে ঠাসা।

৪| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: গাঁজার নৌকা পাহাড় ডিঙ্গিয়ে যায়।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
কিছু মানুষ তাই করে তবুও তারা বিজ্ঞানের সত্যটা উপলব্ধি করতে পারে না।

৫| ২০ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

কানিজ রিনা বলেছেন: সময় যখন সকাল নয়টা ছিলনা তখন পৃথিবী
সৃষ্টি হয়েছে। ছয় দিন অর্থাৎ ছয় মিলিয়ন
মিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ছয় হাজার হাজার
কোটি কোটি মিলিয়ন ট্রিলিয়ন বছর সময়ও
ছয়দিন হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বিগব্যাং বিস্ফোরন
না বলে বলতে পারত মহাবিশ্ব এক জায়গায়
স্থীর অবস্থা থেকে সম্প্রসারীত হতে শুরু করে
ও এখনও সম্প্রসারিত হচ্ছে। ধন্যবাদ।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: তাই বুঝি?
তাহলে সেই কথাটাতো বলা লাগতো। এতো বছর পরে এসে আপনি বললেন। ছয় দিন তো নির্দিষ্ট।

৬| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: সঠিক ইতিহাস এক ।মাত্র আল্লাহ সুবাহানাতালাই ভাল করে জানেন

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: কে জানে তা কি করে নিশ্চিত হই?
বিজ্ঞানতো কিছু পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে বুঝে বলছে। যারা মিনিমাম কিছু বুঝে কথা বলছে না তাদের কি করে বিশ্বাস করি।

৭| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৪

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: গল্প বলতে তো আর সত্য মিথ্যার প্রয়োজন হয় না।রবি ঠাকুরের ভাষায় বলতে হয়,”সেই সত্য যা রচিবে তুমি”

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: খুবই যৌক্তিক কথা বলেছেন।

৮| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:০২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এসব দিন সময়, সকাল বিকেল মানুষের জ্ঞানের প্রকাশ মাত্র। মানুষ যতটুকু দেখেছে তার উপর ধারণা করে এসব আজগুবি দিনক্ষণ ঠিক করেছে। বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ধর্মীয় গ্রন্থের ব্যাখ্যার চেয়ে বেশি যুক্তিপূর্ণ তবে একবারে নিখুঁত নয়।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৫

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞানীরা সর্বোচ্চ সত্যটা তুলে আনতেই চেষ্টা করেন। এটা যেহেতু এটকি নিরন্তর প্রচেষ্টা তাই আরো নিখুঁত হতেই থাকবে।

৯| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সম্প্রতি কিছু বিজ্ঞানী প্রমান করার চেষ্টা করেছেন, মানুষ এই গ্রহের প্রানী নয়। তারা অন্য কোথা থেকে এসেছে।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৬

মুজিব রহমান বলেছেন: এর পক্ষে কোন প্রমাণ নেই। অনুমান। মানুষের মতোই কিছু প্রাণি রয়েছে- গরিলা শিম্পাঞ্জি ইত্যাদি। সেগুলো এই পৃথিবীতেই বিবর্তিত হলে মানুষ কেন হবে না? আজ মানুষকে একটু বেশি অগ্রসর মনে হচ্ছে। ১৫-২০ হাজার বছর আগে কি তা ছিল?

১০| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:১৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: মানুষ সৃষ্টির রহস্য পড়ে ছিলাম অনেক আগে। তারপর ধর্মের কথা পড়লে মাথা আউল্লা হয়ে যায়।

২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: আমাদের যুক্তিবাদী হওয়াটাই যৌক্তিক। তাই হতে হবে, সত্যকে উপলব্ধি করতেই হবে।

১১| ২০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৯:৫৮

সত্যপীরবাবা বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সম্প্রতি কিছু বিজ্ঞানী প্রমান করার চেষ্টা করেছেন, মানুষ এই গ্রহের প্রানী নয়। তারা অন্য কোথা থেকে এসেছে।
বিজ্ঞানীদের কথা জানি না, তবে কিছু ছাগল যে এই নিয়ে সক্রিয় সেটা জানি। টম ক্রুজ এদের মধ্যে অন্যতম।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:১৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ছক্কা!
চমৎকার ওভারবাউন্ডারি!

১২| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৩:১৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষের মত প্রানীর আবির্ভাব আড়াই কোটি বছর আগে।
৮০ লাখ বছর আগেকার মানুষের মত প্রানীর চোয়ালের দাত সহ ফসিল পাওয়া গেছে।

মানুষ কোটি বছরের বিবর্তনে একসময় হোমস্যাপিয়েন্স হয়ে সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। বিভিন্ন ভুমিকম্প, দাবানল, সাইক্লোন বন্যা ইত্যাদি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভয় পায়,
একসময় তাঁরা প্রকৃতিকে ভয় পেত, আগুন পানি পর্বতকে ভক্তি করতো। পরে মুর্তি বা মুর্তির মত বা কিছু একটা বানিয়ে তাকেই ঈশ্বর মনে করতো। সময়ে সময়ে দেবদেবির সংখা বাড়তে থাকে।

মানুষ ক্রমশ বুদ্ধিমান হল, অস্ত্র হাতে নিল। শক্তিশালী হল; প্রকৃতির উপর অন্যান্ন জীব প্রকৃতি জগতের ওপর দখল শ্রেষ্ঠত্ব কায়েম করল। একসময় দেখা গেল মুর্তিফুর্তি আর ভয় পায়না লোকে। তাই একসময় লৌকিক মুর্তি বাদ দিয়ে অদৃশ্ব ঈশ্বর অলৌকিকে বদলে গেল। কিছু চতুর মানুষ নিজেকে ঈশ্বর প্রতিনিধী দাবি করে বিভিন্ন বুজুর্গি দেখিয়ে মানব মনের ঈশ্বর ধারনা বদলে দিল।
এসব হয়েছে মাত্র ২ হাজার বছর আগে। বড় বড় ধর্মগুলো আবির্ভাব।
অর্থাৎ মানবকুল ৯৯.৯% সময় ধর্ম বিহীন কাটিয়েছিল।

ইসলাম ধর্মমতেও আদম হাওয়াকেও পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল ধর্মবিহীন, ধর্মপুস্তক বিহীন।
ধর্ম থাকলে তো হাওয়াকে হিজাব সহ পাঠানো হতো। কিন্তু আদি পুস্তকমতে দুজনকেই দিগম্বর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।
আদমকে কোন এবাদত করতে বলা হয় নি, বরং সকল ফেরেস্তাকে হুকুম দেয়া হয়েছিল আদমকে সেজদা দিতে।
এসব আদি বাইবেল, বাইবেল/ইংজিলের কাহিনী হলেও ইসলামি পুস্তকেও স্থান পেয়েছে।

আদিম মানুষ কিছুটা সভ্য হয়ে ছোট ছোট সমাজ গঠন করে। কিন্তু একসময় গোত্রপ্রধান বা বিদ্রহী কেউ প্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহের জন্যই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এরপর সমাজ গোত্র বড় হয়, গোত্রের মাস্তান চতুররা সময় কেউ বুঝে গাছতলায় ধ্যানে বসে, কেউ পর্বতের গুহায় বসে নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে,
মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে!
বিভিন্ন মহাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও .. ধর্ম টিকিয়ে রাখছে।
অতচ মানবকুল কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন কাটিয়ে গেছে।

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৪

মুজিব রহমান বলেছেন: আড়াই কোটি বছর আগে ডাইনোসর বিরাজ করছিল পৃথিবীতে। এরপরেই পৃথিবীর উপরিভাগের অধিকাংশ প্রাণিই বিলুপ্ত হয়ে যায়। ওই সময়ের মানুষের কোন ফসিল পাওয়া যায়নি। গেলে মানব সভ্যতার ইতিহাস ভিন্ন করে লিখতে হবে। বিবর্তনবাদও পড়বে প্রশ্নের মুখে। ৮০ লাখ বছর আগের তথ্যই বা আপনি কোথায় পেলেন? বিষয়টির প্রতি আমার আগ্রহের কারণেই খোঁজ রাখার চেষ্টা করি। এমন কোন তথ্য কোথাও দেখিনি। এটা হবে আড়াই লক্ষ বছর আগে এবং ৮০ হাজার বছর আগে।

বাকি মন্তব্য ঠিক আছে এবং আপনিও যে এ বিষয়ে আগ্রহী তারই প্রমাণ করে। প্রথম তথ্যের বিষয়ে আরেকটু খোঁজ নিন।

১৩| ২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান কি নিশ্চিত হতে পেরেছে ঠিক কত বছর আগে মানুষের সৃষ্টি/ আগমন? নাকি এখনও গবেষণা চলছে?

২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৬

মুজিব রহমান বলেছেন: আদিম মানুষ সম্পর্কে যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে তাতে আদিম মানুষের আগমনের একটি সময় বলা যায় তাহল ৩ লক্ষ বছর। মানুষ হঠাৎ সৃষ্টি হয়নি বলেই বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে। এটা একটা বিবর্তনের ফল।

১৪| ২১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৩৬

সত্যপীরবাবা বলেছেন: বিজ্ঞান কি নিশ্চিত হতে পেরেছে ঠিক কত বছর আগে মানুষের সৃষ্টি/ আগমন?
নাহ, বিজ্ঞান এখনো নিশ্চিত দিন তারিখ নির্ধারন করতে পারে নাই। তবে বিজ্ঞান যদি কোন দিন তারিখ নির্ধারন করে, তার পরদিনই ধর্মপুস্তকে সেই তারিখ পা্ওয়া যাবে আর ব্লগ ভরে যাবে 'বিজ্ঞানময় কিতাবের' প্রমানে। এমনকি 'ফুলেল শুভেচ্ছা' জানানো পোষ্টও আসতে পারে কিতাবের আলোকে বাবা আদমের আগমন উপলক্ষ্যে।

২২ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩

মুজিব রহমান বলেছেন: দিন তারিখ নির্ধারণ করা অসম্ভব হবে। এক ধাপেই আজকের মানুষ যেহেতু হয়নি তাই এমন কোন তারিখ সম্ভবও নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.