![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ
বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি কথোপকথন পড়ে মনে হয়েছিল- একজন উচ্চ শিক্ষিত মানুষ কথা বলছেন একজন স্বল্পশিক্ষিত ধর্মান্ধ মানুষের সাথে যিনি তার মত চাপিয়ে দিতে জবরদস্তি করছেন আর আইনস্টাইন বিরক্ত হচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথ ছিলেন ব্রাহ্মধর্মের প্রচারক ও আধ্যাত্মবাদী চেতনার ধারক। রবীন্দ্রনাথ যে ভুল ছিলেন তার প্রমাণ হল তার ধর্মের বিলুপ্তি ঘটে যাওয়া।
সংলাপ
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১৫
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বেশ, আমার কাছে তো বেশ কিছু জায়গায় মনে হয়েছে নীলস বোর এর মত রবীন্দ্রনাথ কিছু বলতে চাইছেন যেটা আইন্সটাইন ক্লাসিক্যাল পদার্থবিদ্যার নিউটনের মত বুঝতেই চাইছেন না। ১৯৩০ সালে কোয়ান্টাম মেকানিক্স উঁকি দিচ্ছে তার প্রবল অনিশ্চয়তাবাদ এর চশমা নিয়ে, যার মধ্যে দিয়ে আমাদের চেনা জগতকে অচেনা করে দেয় রাতারাতি। যিনি সময়সূত্রের অচলায়তন ভাঙলেন একাই, সেই মহামতি আইনস্টাইন গোঁয়ারের মত বলেই গেলেন- ইশ্বর পাশা খেলেন না, খেলতেই পারেন না। এই উক্তি শুনলে পদার্থবিজ্ঞানের কোনো ছাত্র এখন হাসি চাপতে পারে না, অন্যদের কথা বাদ দিলাম। কোনো কিছু বিলুপ্ত হওয়া দিয়ে কোনো কিছুর ঠিক-ভুলের কোনো সম্পর্ক নাই। এই আলাপচারিতা নীলস বোর বা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের কোনো পান্ডার সাথে রবীন্দ্রনাথ এর হইলে বিষয়টা আরও চিত্তাকর্ষক হত বলে আমার মনে হয়।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৫
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথতো আধ্যাত্মবাদেরই থাকতে চেয়েছেন, চাপিয়ে দিতে চেয়েছেন।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথকে এভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল করার চেষ্টা বুদ্ধিমানের কাজ মনে হয় না।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫০
মুজিব রহমান বলেছেন: তুচ্ছ নয়! তার অসার ভাববাদটােই তুলে ধরেছি।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪১
শেরজা তপন বলেছেন: @ৎঁৎঁৎঁ এর সাথে সহমত! সল্পশিক্ষিত ও ধর্মান্ধ দুটোই আপত্তিজনক শব্দ। তবে যদি একাডেমিক সনদপত্রের কথা ধরেন তাহলে ভিন্ন। কাঊকে শিক্ষিত প্রমান করতে হলে তাকে কি, পদারথবিদ্যা, রসায়ন , গনিত বিদ্যার খুটিনাটি জানতে হবে? আর শিক্ষিত হলে কি তিনি ধর্মতত্ত্ব ও আধ্যাত্মবাদ সন্মন্ধে জানবেন না?
আইনস্টাইন সন্মন্ধে অনেক কিছুই হয়তো জেনেছেন এবার রবিন্দ্রনাথ সন্মন্ধে আরো আরো জানুন।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫১
মুজিব রহমান বলেছেন: দুটোইতো বাস্তবিক সত্যই।
তিনি মহান লেখক। তবে ভাববাদী।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৪
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: @শেরজা তপন, আপনি ভাল বলেছেন, আমি মুজিব ভাই এর যে কটা লেখা পড়েছি তাতে মনে হয়েছে উনি চান যে কথা-আলোচনা উঠে আসুক,
যে যার সিদ্ধান্ত সেই নেবে। উনার এই এপ্রোচ পছন্দ হয় বলে কথা বলি। এখানে আরেকটা কথা যোগ করতে চাই, ১৯৩০ এর রবীন্দ্রনাথ এবং আইন্সটাইনকে একসাথে বসায়ে কোনো লাভ নেই, দুইজনেই তখন বিলুপ্তপ্রায়- ১৯৩০ এ বাংলার বড় কবি আর নন রবীন্দ্রনাথ, সমসাময়িক পদার্থ বিদ্যায় ঐরাম আইন্সটাইন এক গোঁয়ার বটগাছ হয়ে আছেন। জীবনানন্দের ভাষা রবীন্দ্রনাথ নিতে পারছেন না, নীলস বোরদের কথা আইন্সটাইন বুঝতে পারছে না! পুরো ভিন্ন দুই জগতের অস্তায়মান সূর্য মুখোমুখি- এই সাক্ষাৎকারের এইটুকুই দীপ্তি। বরঙ নতুন ভাবনার পথে তারা কীভাবে কীভাবে বাঁধ তুলেছেন সেইটা নিয়ে একটা লেখার আইডিয়া আসলো মাথায়...
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০০
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সাক্ষাৎকারটির মূল্য আছে বলেই বহজন বহুভাবে আলোচনা করে আজোও।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৩৯
রাজীব নুর বলেছেন: আমি সামু ব্লগে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে একটা ১০০ পর্বের ধারাবাহিক লিখে ছিলাম। ৪/৫ বছর সময় লেগেছিলো। পরে সেটা বই আকারে বের হয়েছিলো রোদেলা প্রকাশনী থেকে। সেই বইয়ে রবীন্দ্রনাথ ও আইনস্টাইনের কথা বেশ ঘটা করেই লিখে ছিলাম।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৩
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। শুনে ভাল লাগলো। বইটি দেখার সুযোগ হয়নি। এটা আমি অন্য একটি বই থেকে পড়েছিলাম। তাদের সাক্ষাৎ নিয়ে অনেক ভাবনা আসে।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:২৯
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: নিজেদের বিখ্যাত মানুষদের বস্তুনিরপেক্ষ সমালোচনা না করে, তাদেরকে গুলিস্তানের ফুটপাথের ক্যানভাসার কিংবা গ্রামের চায়ের স্টলের বুড়ো খোকাদের মতো নিজস্ব ধারণার বশবর্তী হয়ে ব্যক্তি আক্রমণ করা আমাদের দেশের অনেক মানুষের অবসর-বিনোদনের একটি উপায়, বিশেষ করে খানিকটা বিজ্ঞান পড়ে যারা নিজেদের বড় তালেবর মনে করে ফেলেন। আর অন্য জাতি নিজেদের মানুষকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে, মানুষটির অবদান থাকলেই হলো, তা যত ক্ষুদ্র হোক না কেন।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৮
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথকে ছোট করতে হলে কিছু গালিগালাজ প্রাপ্যই হয়। আমরা মহান ব্যক্তিদের পূজা করতেই অভ্যস্ত। রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে ভুল বলে থাকলে বলুন। বিজ্ঞান নিয়ে ধারাবাহিক পোস্ট দেয়ার প্রতিক্রিয়াতেই এই মন্তব্য করা। রবীন্দ্রনাথের ভাববাদকে প্রত্যাখ্যান করলেও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাই পোষণ করি।
৮| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:১৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সতী দাহ , এবং বিয়ের পর হিন্দু মেয়েদের বাবার সম্পত্তি হতে বাদ দেওয়া নিয়ে রবীন্দ্রনাথে লেখা নিয়ে বিস্তারিতভাবে লিখবেন । জানতে চাই।
২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:০১
মুজিব রহমান বলেছেন: এসব নিয়েতো অনেক লেখাই আছে। তাঁর ভাববাদকে প্রত্যাখ্যান করলেও তার সুবিশাল লেখার জন্য গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে তার প্রতি।
৯| ২৮ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:৪৬
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সাড়ে তিন লাইনের পোস্ট, কোনো বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা সমালোচনা নেই, দেড় লাইনই রবীন্দ্রনাথ স্বল্পশিক্ষিত, ধর্মান্ধ আর জবরদস্ত ... এসব! বিজ্ঞানের লেবাসে কে যে প্রতিক্রিয়াশীল এসব পাঠক বুঝে। বিজ্ঞানের নামে আর লোক হাসায়েন না, জনাব। এসব ব্যাখ্যাহীন ব্যক্তিআক্রমণকারী পোস্ট অটোমেটিক ডাস্টবিনে যাওয়া উচিত।
২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৯
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ডাস্টবিনে সম্ভবত যায় নি। আপনাকেও আঘাত করতে পেরেছে। আপনিও বলতে পারেননি- রবীন্দ্রনাথ উচ্চ শিক্ষিত ছিলেন বা তিনি মুক্তমনা/প্রগতিশীল ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের আকাশ। কিন্তু তার ভাববাদ আমাদের প্রগতির ও জাগরণের অন্তরায় ছিল সেটাও বলতে হবে। তাতে তার সাহিত্য মানের কোনই ক্ষতি হবে না। কিন্তু কিছু মানুষের অন্ধত্ব হয়তো কমবে।
১০| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১:৩২
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এ ধরণের সাড়ে তিন লাইনের ছাগলামি মার্কা পোস্ট মানুষকে আঘাত করে না, তবে বিরক্ত করে প্রায় সবাইকে, কারণ কিছু ফালতু ব্লগার দিন দিন ব্লগটিকে ফেসবুকের স্ট্যাটাসে নামিয়ে নিয়ে আসছে; আপনিও সে দলে যোগ দিচ্ছেন। দুঃখিত! ব্লগে কোয়ালিটির ন্যূনতম নিয়ন্ত্রণ নেই বলে এই ফালতু পোস্ট ছাপতে পারছেন। দুঃখিত, ভালো থাকুন। ভালো, বিশদ পোস্ট লিখুন আলোচনা করা যাবে।
৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৩৫
মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ!
গালাগালি ভালই করতে শিখেছেন। এটা দীর্ঘকাল মৌলবাদীরাই করে আসছে। আমার পেজটি দেখলেই সেটা বুঝতেন এবং এ ধরনের নিম্নরুচিবোধসম্পন্ন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতেন। এই পোস্টের নিচে কথোকপথনটিও সংযুক্ত রয়েছে। কারো ইচ্ছা থাকলে সেটাও পড়ে দেখতে পারে। নিজের কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তা করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:০০
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বস্তু গঠনে ইলেট্রন ও প্রোটনের অনুপাত কত।
বস্তু মানুষের চিন্তা নিরপেক্ষ এক বাস্তবতা।