নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডারউইনের বিবর্তনবাদ বনাম সাঈদীর বিবর্তনবাদ

২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:২৫


চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার বই অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস প্রকাশ করেন। প্রথমে এটা বিজ্ঞানীদেরও সমালোচনার মুখে পড়ে। ওই সময়ে জীবের পরিবর্তনের/জীবের উৎপত্তির/ এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির উদ্ভবের নানান ধারণা প্রচলিত ছিল। এগুলোর কোনটাই পরীক্ষা দ্বারা প্রমাণিত ছিল না। ১৯৪০ এর পরে মুলধারার জীববিজ্ঞানীরা সকল বিতর্কের উর্ধ্বে উঠে বিবর্তনকে স্বীকৃতি দেন।তারা বিবর্তনকে পর্যবেক্ষণ করে নব্য ডারউইন সংশ্লেষণ ও বিবর্তনের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করেন।বর্তমানে অন্তত ৯ ধরনের (৯টি নয়) প্রমাণ রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মহল সম্পুর্ণভাবে একে স্বীকার করে নেয়। বাংলাদেশের বহু মানুষই বিবর্তনবাদ সম্পর্কে সম্পূর্ণ ভুল ধারণা পোষণ করে এটিকে হাস্যকর করে তুলতে চায়। এর কারণ হল আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বিবর্তন সম্পর্কে ভুল তথ্য উপস্থাপন। বাংলাদেশের দু‘ধরনের মানুষ, দু‘ধরনের বিবর্তনবাদ জানে- অল্প মানুষ ডারউইনের বিবর্তনবাদ ও অধিকাংশ মানুষ সাঈদীর ভুয়া বিবর্তনবাদ।

সাঈদীর ভুয়া বিবর্তনবাদে কি বলে?
বিবর্তনবাদ একটি তত্ত্ব মাত্র, এটি সত্যি কিছু নয়। তত্ত্ব হল ধারণা, সেই ধারণাতো বিজ্ঞান নয়।বিবর্তনবাদ পরীক্ষা করা যায় না। বিবর্তনবাদ বলে বানর থেকে মানুষ হয়েছে। আমাদের পাছায় নাকি লেজ ছিল? আপনারা অনেকেই পাছায় হাত দিয়ে পরীক্ষা করছেন লেজ ছিল কি না? যদি তাই হতো তাহলে পৃথিবীর সকল বানর মানুষ হয়ে যেতো। কিন্তু আমরা দেখছি এখনো বহু বানর রয়ে গেছে। এর থেকেই প্রমাণ হয় বানর থেকে মানুষ হয়নি। বিবর্তন হল সারভাইবাল দা ফিটেস্ট। জিরাফ লম্বা গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করতে করতে গলা বড় করে ফেলেছে। হাজার হাজার বিজ্ঞানীই বিবর্তনবাদ স্বীকার করেন না। আপনারা কি কেউ বানরকে মানুষ হতে দেখেছেন, ছাগলকে গরু হতে?

কিছু ছাগু এটাকেই প্রকৃত বিবর্তনবাদ ধরে বসে আছে। ওরা জানেই না এগুলো পুরোটাই ভুয়া ও মিথ্যাচার। বিবর্তনবাদকে বিতর্কিত করতেই এসব মিথ্যাচার করা হয়।

ডারউইনের বিবর্তনবাদ কি বলে?
সব জীবই সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। জীব স্থির নয়, বিবর্তনের মাধ্যমে তাদের পরিবর্তন ঘটে আসছে। তাদের কাউকেই পৃথক পৃথকভাবে তৈরি করা হয়নি। তারা সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে বিবর্তন বা পরিবর্তনের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়েছে। প্রকৃতিতে বিবর্তনের মাধ্যমে নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটে। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানত এই পরিবর্তনগুলো ঘটে থাকে। পূর্বসুরী প্রজাতি থেকে নতুন প্রজাতির উদ্ভব ঘটতে হাজার, লক্ষ এমনকি কোটি বছর লেগে যেতে পারে। বিবর্তন ঘটে অত্যন্ত মন্থর গতিতে, প্রাকৃতিক নির্বাচন, মিউটেশন, জেনেটিক ড্রিফট, ভৌগলিক বিচ্ছিন্নতা, বংশীয় বা জেনেটিক রিকম্বিনেশনসহ বিভিন্ন কারণে প্রজাতির মধ্যে ছোট ছোট পরিবর্তন ঘটতে থাকে। আর বহু মাইক্রো-বিবর্তনের মাধ্যমে ঘটা সম্মিলিত পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে এক সময় প্রজাতি বা প্রজাতিটির একটি অংশ অন্য আরেকটি প্রজাতিতে পরিণত হয়। অনেক সময় মেগা বিবর্তন বা বিবর্তনে উল্লম্ফন ঘটে। এগুলো এক প্রজন্মে ঘটে না, বিশেষ কোন সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ বছরের পরিবর্তে হাজার হাজার বছর লাগে এই তড়িৎ বিবর্তনগুলো ঘটতে। প্রজাতির উদ্ভব বা জীবের ম্যাক্রো-পরিবর্তনের তত্ত্বটি আজকে ফসিল রেকর্ড ছাড়াও আধুনিক বিজ্ঞানের বহু শাখার সাহায্যে বহু উপায়ে পরীক্ষা করা যায়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বিবর্তনবাদ আরো পরিশোধিত হবে ভবিষ্যতে এবং অনন্তকাল পর্যন্ত পরিশোধিত হতে থাকবে।

পৃথিবীর প্রথম 'প্রাণ' থেকেই যাবতীয় প্রাণী এবং উদ্ভিদের সৃষ্টি। বটগাছের পূর্বপুরুষ কী ছিল, হাতি বা সিংহের পূর্বপুরুষ কী ছিল, এগুলো স্থির হয় নি এখনো। বানর থেকে যেমন মানুষ আসতে পারে, কাঁকড়া থেকেও অন্য কোনো প্রাণীর বিবর্তন হতে পারে। বিবর্তন তো শুধু বানর আর মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: তথ্য আসবে, আরো উন্নত চিন্তা আসবে এবং আরো পরিশীলিত হবে অবশ্যই।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধার্মিকদের এটা মানতে একটু অসুবিধা আছে।তাহলে তো আদম হাওয়ার গল্পের আর কোন ভিত্তি থাকে না।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: সবকিছুই যাচাই করেই মানুষ নিবে। গল্প দিয়েতো আর মানুষকে বুঝানো যাবে না।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: চিন্তার কারন নেই ।
এক সময় ধর্ম ও এগুলোকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করবে।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ভাল বলেছেন। কারণ খৃস্ট ধর্ম ইতোমধ্যেই স্বীকৃতি দিচ্ছে।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:০০

সামুরাই_কাতানা বলেছেন: ""বর্তমানে ৯ ধরনের প্রমান রয়েছে। বৈজ্ঞানিক মহলে সম্পূর্নরুপে স্বীকার করে নেয়।""

সেই ৯ ধরনের প্রমান উপস্হাপন করেন। কোন কোন বৈজ্ঞানিক স্বীকার করেছেন তাদের নাম দেন।আমরাও যাচাই বাচাই করে দেখি আপনার তথ্য সঠিক কিনা। আমাকে আবার খুজতে বলবেন না। কারন আপনি যখন একটা তথ্য দিচ্ছেন তখন সম্পূর্ন ভাবে দিবেন। অসম্পূর্ন লেখা মানে মানুষকে ধোকা দেয়ার নামান্তর এবং সংশয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া। । সেই ৯ ধরনের প্রমান উপস্হাপন করেন এবং আমাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১১

মুজিব রহমান বলেছেন: যদি নিজে খোঁজ না করতে চান তবে অপেক্ষা করুন অথবা আমার পুরাতন পোস্ট খুঁজে দেখেন। এসব নিয়ে আমার ফেসবুকেও বহু পোস্ট পাবেন। যাচাই বাছাই করার সামর্থ্য কি আপনার আছে।

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:২০

রাশিয়া বলেছেন: জিরাফ ছাড়া আর কোন প্রাণী উঁচু গাছের পাতা খাওয়ার চেষ্টা করেনি? বানর এবং মানুষ যদি একই প্রাণী থেকে উদ্ভুত হয়, তাহলে তাদের জেনেটিক গঠন ভিন্ন হয় কেন? ক্রমোসোম সংখ্যা ভিন্ন কেন? বিবর্তনের ধারণা সমর্থন করে - এমন কেউ কি জবাব দিতে পারবে?
এই ধরণের বিবর্তন তো এক জেনারেশনেই হয়ে গেল। কিভাবে হল ব্যাখ্যা করুন তো!

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: একই ধরনের এপ জাতীয় প্রাণি, এক প্রাণি নয়। বিবর্তন কোন নিয়ম মেনে চলে না। সেটা কতটা ধীরে বা কতটা দ্রুত চলবে তা কোন কিছুর উপর নির্ভর করে কি না তাও অজানা।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: সাঈদী একজন ভন্ড। প্রতারক।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
তিনি ছিলেন দেশের প্রধান মৌলবাদী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.