নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমাণ করার সহজ উপায়

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:১৩


১। সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে পেলেই হল
ফসিল রেকর্ডে উভচর প্রাণীর উৎপত্তির আগে কোন সরীসৃপের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না আবার সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে পাওয়া যায় না। এখন পর্যন্ত এমন কোন স্তরে এমন একটি অদ্ভুত ফসিল পাওয়া যায়নি। বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করতে গেলে আমাদের এই সহজ কাজটিই করতে হবে অর্থাৎ সরীসৃপের আগে কোন স্তন্যপায়ী প্রাণীর ফসিল খুঁজে বের করতে হবে।

২। ক্যাম্ব্রিয়ান যুগে মানুষের ফসিল পাওয়া গেলেই হল
মানুষ এক ধরনের বনমানুষ থেকে বিবর্তিত হয়েছে, এখন যদি দেখা যায় বন মানুষ জাতীয় প্রাইমেট তো দূরের কথা স্তন্যপায়ী প্রাণী উৎপন্ন হওয়ার অনেক আগে সেই ক্যামব্রিয়ান যুগেই মানুষের ফসিল পাওয়া যাচ্ছে তাহলেই বিবর্তনের তত্ত্ব ভেঙ্গে পড়বে। আমাদের এমন একটি ফসিল খুঁজে বের করতে হবে।

৩। এককোষী প্রাণীর আগে পেতে হবে মাছের ফসিল
এককোষী প্রাণী, বহুকোষী প্রাণী, মাছ, উভচর প্রাণী, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ফসিলগুলো তাদের বিবর্তনের ধারাবাহিক স্তর ছাড়া অন্য পূর্ববর্তী কোন স্তরে পাওয়া যায়নি। আমরা যদি এককোষী প্রাণীর চেয়ে আরো আগে একটি মাছের ফসিল পেয়ে যাই কিংবা একটি ছাগলের তাহলেই হবে।

৪। ম্যামথের সাথে একটি হাতিকে খুঁজে পেতে হবে
সাড়ে তিনশ কোটি বছর ধরে প্রাণের পরিবর্তন অনবরত ও আকস্মিকভাবে ঘটছে তার নিদর্শন পাই মাটির বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণির ফসিল থেকে। ম্যামথ আর ডাইনোসারদের আমরা পেয়েছি ফসিল থেকেই। ওই যুগের কোন প্রাণিই এখন পৃথিবীতে নেই। আবার উল্টোও বলতে পারি আজকের পৃথিবীর কোন প্রাণীই ডাইনোসদের যুগে ছিল না। একটি হাতিকেও আমরা ম্যামথদের সাথে চলতে দেখিনি, আজকের হাতিদের সাথে একটি ম্যামথও চলে না। যদি কোনভাবে ম্যামথদের ফসিলের সাথে একটি হাতির দাঁতও পাওয়া যায় তবেই ভুল প্রমাণিত হবে বিবর্তনবাদ।

৫। প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পেতে হবে
বিবর্তনের পক্ষে অন্যতম জোরালো প্রমাণ হল - কোন ফসিলই 'ভুল স্তরে' পাওয়া যায়নি। একবার বিজ্ঞানী জেবি এস হালডেনকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল কিভাবে বিবর্তনকে ভুল প্রমাণ করা যায়? তিনি উত্তরে হালডেন বলেছিলেন,
“কেউ যদি প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পায়”। খরগোশ যেহেতু একটি পুরোপুরি স্তন্যপায়ী প্রাণী, সেহেতু সেটি বিবর্তিত হয়েছে অনেক পরে এবং বিভিন্ন ধাপে (মাছ থেকে উভচর, উভচর থেকে সরিসৃপ এবং সরিসৃপ থেকে শেষ পর্যন্ত খরগোশ), তাই এতে সময় লেগেছে বিস্তর। প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল পাওয়ার কথা নয়, কারণ বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী এ সময় (প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে) থাকার কথা কতকগুলো আদিম সরল প্রাণ – যেমন নীলাভ সবুজ শৈবাল, সায়নোব্যকটেরিয়া ইত্যাদি (ফসিল রেকর্ডও তাই বলছে)। আর স্তন্যপায়ী প্রাণীর উদ্ভব ঘটেছে ট্রায়োসিক যুগে (প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগ শেষ হওয়ার ৩০ কোটি বছর পরে)। কাজেই কেউ সেই প্রিক্যাম্বরিয়ান যুগে খরগোশের ফসিল খুঁজে পেলে তা সাথে সাথেই বিবর্তনতত্ত্বকে নস্যাৎ করার জন্য যথেষ্ট হত।

মানুষ চেষ্টা করলে কি না পারে? অবশ্যই যেকোন একটা কিছু পাওয়া যাবেই। আসুন চেষ্টা করে বিবর্তনবাদকে ভুল প্রমাণ করে দেই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৩৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: সহজ উপায় না বলুন অসম্ভব উপায়।অনেকটা সোনার পাথর বাটি খোঁজার মতো।

৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪

মুজিব রহমান বলেছেন: তাহলে কি বিবর্তনবাদ ভুল প্রমাণ করার কোন উপায়ই থাকবে না তাদের জন্য। আহারে!

২| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৩

সত্যপীরবাবা বলেছেন: বিবর্তনবাদ-বিরোধীরা, যারা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ধর্মপরায়ন, তাদের মধ্যে অদ্ভুত বৈপরীত্য দেখা যায়। ধর্মের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা বিভিন্ন আলেম-উলামাদের (যাদের ধর্মীয় গভীর জ্ঞান না ধারনা আছে বলে ধরা হয়) বই বা ওয়াজ পড়তে বা শুনতে বলেন বিস্তারিত জানার জন্য। কিন্তু বিবর্তনবাদ বিষয়ে তারা কখনই কোন বিজ্ঞানীর (প্রকৃতিবিজ্ঞানী অথবা মলিকিউলার বায়োলোজিস্ট) বই বা লেকচার পড়তে বা শুনতে রাজী না। ঘুরে ফিরে জাকির নায়েকের ওয়াজ আর pro-christian/pro-bible গোষ্ঠীর বিভিন্ন বিবর্তনবাদ-বিরোধী website ই তাদের বিবর্তন বিষয়ে সকল জ্ঞানের উৎস।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৯:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: সাঈদীর কিছু ওয়াজেও বিবর্তনবিরোধী একই রকম মিথ্যাচার শুনেছি।
আমি মনে করি, মাওলানারা অধিকাংশই বিবর্তনবাদ বুঝার সামর্থ্য রাথে না। আর যারা রাখে তারা নিজেদের বাণিজ্য/জীবিকা টিকিয়ে রাখতে উল্টো বিবর্তনবিরোধী কথাই বলতে হয়। মাওলানা মাসুদই ব্যতিক্রমভাবে কিছু সত্য প্রকাশ করেছিলেন।

৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেকগুলো অ্যাজাম্পশনই আমার কাছে ঠিক/যৌক্তিক মনে হলো না। একটা নির্দিষ্ট প্রজাতির সকল প্রাণীই বিবর্তিত হবে না। তাহলে আজকে কোনো বানর বা শিম্পাঞ্জি পাওয়া যেত না পৃথিবীতে। ম্যামথের আগে হাতি পাওয়া গেলেই বিবর্তন ভুল প্রমাণিত হবে না, বরং তত্ত্ব উলটে যেতে পারে, কিংবা আরেকটা টাইমলাইন ইন্ডিকেট করবে, কত কোটি বছর আগে ম্যামোথ গোত্র পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিল।

অপ্রমাণিত তত্ত্ব, যেটার প্রমাণের জন্য কোটি কোটি বছরের তথ্য-উপাত্ত লাগে, তা অনন্ত কাল অবধি 'যদি'র উপরে থাকবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৭

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

এটা ঠিক যে ম্যামথ খুব বেশি প্রাচীন নয়। তবে ম্যামথের পূর্বে কোন হাতির ফসিল পাওয়া যায়নি। এই তুলনাটা খুব কাছাকাছি ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ম্যামথ হাতির খুব ঘণিষ্ঠ পূর্বসূরি বা আদিরূপ। অন্য উদাহরণগুলো মিলানো অসম্ভব।

৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫২

সত্যপীরবাবা বলেছেন: দু:খিত, আমার পূর্বের মন্তব্যে "যাদের ধর্মীয় গভীর জ্ঞান না ধারনা আছে বলে ধরা হয়" না হয়ে "যাদের ধর্মীয় গভীর জ্ঞান বা ধারনা আছে বলে ধরা হয়" হবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
বুঝে নিয়েছিলাম।

৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: বিবর্তনবাদ ঠিকে আছে। থাকবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। অবশ্যই ঠিক আছে। ভুল প্রমাণিত হলে ঠিক থাকবে না। কিন্তু তেমন সম্ভাবনা তৈরি হয়নি, সুযোগও তৈরি হয়নি।

৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ৮:৪৩

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বিজ্ঞান যত অগ্রগতি লাভ করবে ধর্মীয় অনুভূতি ততই দুর্বল হয়ে যাবে।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১০

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সত্যটাই টিকে থাকুক। মিথ্যা শেষ হোক।

৭| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

নতুন বলেছেন: বির্বতনবাদ এখন পযন্ত সবচেয়ে যৌক্তিক মতবাদ।

৩১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:১২

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ-প্রভাববিস্তারকারী মতবাদ। যা খৃস্ট ধর্মকে ধ্বসিয়ে দিয়েছে এবং প্রাণ বিবর্তনের ও নতুন নতুন প্রজাতি সৃষ্টির যৌক্তিক ব্যাখ্যা দিয়েছে।

৮| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
শতকোটি, প্রায় ৫শ কোটি বছর আগে পৃথিবী নামক গ্রহে প্রানের আবির্ভাব
প্রথমে ভুমিতে বৃষ্টি .. বজ্রপাত এমাইনো এসিড+পানি
তারপর অনেক পর্বের পর জীবানু সদৃস্য প্রান
এককোষি জীব/উদ্ভিদ
এরপর এমিবা
তারপর বিবর্তনে বহুকোষি স্পঞ্জ আকৃতির সামুদ্রিক ... জীব
এরপর একসময় গিরিগিটির মত হয়ে ডাঙ্গায় উঠা
তারপর আরো কোটিকোটি বছর পর স্তন্যপায়ী জীব
এরপর বহুকটি বছর বিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতিতে ভাগহয়ে এসেছে। কিছু টিকে আছে। অধিকাংশই বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
৫০ কোটি বছর আগে ইদুরের সাইজ থেকে বিবর্তনে একপর্যায়ে বৃহৎ ডাইনাশোর জাতীয় প্রানী রাজত্ত্ব করে ১২ কোটি বছর আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে, খাদ্যাভাবে।

কোটি কোটি বছর বিবর্তিত হয়ে মানুষ জাতীয় প্রানীর আবির্ভাব মাত্র আড়াই কোটি বছর আগে। লাখ খানেক বছর আগে একসময় হোমস্যাপিয়েন্স হয়ে সভ্য হতে সুরু করে,
আর মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে।
বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব আরো অনেক পরে সুরু হয় ৬ হাজার বছর আগে হিন্দুইজম, ইহুদিজম, কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর বৌধ্যিজম। দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
ইসলাম আসে মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।
সভ্যতা ও সমাজগঠনের সুরুতে ধর্মের একটা ভুমিকা ছিল, এখনো আছে। থাকবে।
বিশ্বাসে কোন যুক্তি খাটেনা। তাই ধর্ম থাকবে, ঈশ্বরও থাকবে।
আর বিজ্ঞান বিজ্ঞানের গতিতেই চলছে এবং চলবে।

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

মুজিব রহমান বলেছেন: বিবর্তন নিয়ে আমাদের সমাজে আলোচনা পর্যালোচনা খুবই কম হয়। এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করা দরকার। মানুষ প্রকৃতটা জানুক।

৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ঈদ মোবারক !
ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মানুষ ।

০২ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ। ইদ মোবারক।
আপনিও ভাল থাকুন। পৃথিবীর মানুষ কাটিয়ে উঠুক দুঃসময়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.