নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাছের কি আত্মা আছে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:০১


মানুষের মতো উদ্ভিদের দেহাভ্যন্তরেও বহুবিধ শারীরতাত্ত্বিক ক্রিয়া-বিক্রিয়া প্রতিনিয়ত চলতে থাকে। কোষের পুষ্টির জন্য খাদ্য গ্রহণ করে। আবার অপ্রয়োজনীয় অংশ ত্যাগও করে। সালোকসংশ্লেষণ, শ্বসন, প্রস্বেদন, খনিজ লবণ পরিশোষণ করে। আবার মানুষের যেমন পানি অপরিহার্য উদ্ভিদেরও তেমনি। উদ্ভিদের জন্য কার্বন, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পাটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সালফাল, লৌহ, তামা, দস্তা, বোরণ, সোডিয়াম, ক্লোরিন ইত্যাদি উপাদান অত্যাবশ্যকীয়। বিস্ময়কর যে, মানুষের শরীরেও এগুলো রয়েছে। উদ্ভিদ নিজেরাই খাদ্য উৎপাদন করে আর মানুষ উদ্ভিদ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে খাদ্য আহরণ করে।

সন্তান উৎপাদনের পদ্ধতিতেও বিশেষ মিল রয়েছে।মানুষের ক্ষেত্রে পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা ডিম্বাণু নিষিক্ত হলেই সন্তানের জন্ম প্রক্রিয়া শুরু হয়। উদ্ভিদের ক্ষেত্রে ফুলেরা হল যৌনাঙ্গ। সাধারণত একই ফুলে পুরুষ ও স্ত্রী লিঙ্গ বিদ্যমান থাকে। যেমনটা কেঁচোতেও থাকে।উদ্ভিদ প্রজনন হল উদ্ভিদের নতুন সন্তান জন্মলাভ প্রক্রিয়া, যা যৌন এবং অযৌন উভয় প্রক্রিয়াতেই ঘটতে পারে। যৌন প্রজননে গ্যামেটের মিলনের মাধ্যমে জিনগত ভাবে মাতা-পিতা থেকে পৃথক সন্তান উৎপন্ন হয়। প্রানীদের মতই, উদ্ভিদেরও উন্নত ও বিশেষায়িত পুরুষ ও নারী গ্যামেট রয়েছে। উদ্ভিদে, পুরুষ গ্যামেট কঠিন চামড়ায় আবৃত হয়ে পরাগরেণু গঠন করে। উদ্ভিদের নারী গ্যামেট তার গর্ভাশয়ে অবস্থান করে, যা পরাগরেণু দ্বারা নিষিক্ত হয়ে বীজ গঠন করে, যাতে নিষিক্ত ডিমের মত ভ্রূণীয় উদ্ভিদের পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের জন্য যথেষ্ট পরিমান পুষ্টি সঞ্চিত থাকে। অর্থাৎ উদ্ভিদের গর্ভাশয়ে ডিম্বক উপস্থিত থাকে, এর উপরের অংশের নাম গর্ভমুণ্ড এবং এর চারপাশে থাকে পরাগধানী, যাতে পরাগরেণু উৎপন্ন হয়। পরাগরেণু পরাগায়ন প্রক্রিয়ায় গর্ভমুণ্ডে পৌঁছালে পরাগরেণু হতে পরাগনালি গর্ভমুণ্ডের ভেতর দিয়ে গর্ভাশয়ে প্রবেশ করে পুংজনন কোষে পৌঁছে দেয়, যা ডিম্বককে নিষিক্ত করে বীজ ও বীজ ধারনকারী ফল উৎপন্ন করে। মানুষের সন্তান উৎপাদনের মতোই অনেকটা। মানুষের এই প্রক্রিয়ার বর্ণনা দিলে অশ্লীলতা বলবেন!

সুন্দর, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী স্বামী-স্ত্রীর মিলনে সাধারণত সুন্দর, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী সন্তান উৎপন্ন হয়। আদি কালেও এমন সন্তানের জন্য স্ত্রীকে অমন পুরুষের সাথে মিলনের সুযোগ করে দিত পরিবারগুলো। এতে তাদের পরিবারেও সংকরায়ন ঘটে উন্নত সন্তান আসতো। আবার একই গোত্রের মধ্যে বিয়ে হলে দুর্বল ও বিকলাঙ্গ সন্তান জন্মের সম্ভাবনা থাকতো। সেটা দেখেই ভিন্ন গোত্র থেকে পাত্রী আনার প্রচলন ঘটে। গাছের ক্ষেত্রেও ভাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের পরাগরেণু একই প্রজাতির ভিন্ন বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছের গর্ভমুণ্ডে পরাগায়ন ঘটিয়ে উন্নত জাতের গাছ বানানো হয়। সংকরায়ন ঘটিয়েই ভাল জাতের আম বা ধান পাওয়া যাচ্ছে আবার ভাল জাতের গাভী/ষাঁড়ও পাওয়া যাচ্ছে। আমরা সবক্ষেত্রেই বিস্ময়কর মিল দেখি। বিষ প্রয়োগে বৃক্ষ, মৎস বা মানুষকে হত্যা করা যায়। একটি গাছের সাথে মানুষের জন্ম, জীবনধারণ, বংশ বিস্তার ও মৃত্যুতে মিল অনেক বা একই রকম। তাহলে মানুষের ভিতরে যদি আত্মা থাকে তবে অবশ্যই গাছের ভিতরেও থাকবে। আবার গাছের ভিতরে যদি না থাকে তবে মানুষের ভিতরেও থাকার দরকার নেই। অথচ গাছের ভিতরে আত্মা থাকার দাবিটাই কেউ করে না।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মানুষে ভিতর যে আত্মা নেই এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।তবে ধর্মীয় ভাবে অবশ্যই অত্মা আছে,বিশ্বাসে

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: সত্যটাই সত্য। কোন গালগল্পতো কোন সচেতন-শিক্ষিত মানুষ মানবে না। প্রমাণ ছাড়াতো সত্য মেনে নিবো না।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২৭

আহা রুবন বলেছেন: মানুষের আত্মা কোথায় থাকে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: মানুষের জন্য আত্মার প্রয়োজন নেই।

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জড় পদার্থেরও আত্মা থাকতে পারে। প্রতিটি পদার্থ পৃথক সত্ত্বার অধিকারী।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৫

মুজিব রহমান বলেছেন: আত্মা ধর্মসংক্রান্ত বিষয়। আত্মার নতুন সংজ্ঞা দিলেতো হবে না। জড় পদার্থের আত্মা থাকবে কিভাবে?

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক সময় বিজ্ঞান উদ্ভিদকেও জড় পদার্থ মনে করত। সামনে জড় পদার্থের ব্যাপারেও বিজ্ঞান অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৪

মুজিব রহমান বলেছেন: বিজ্ঞান কবে মনে করতো এটা? গ্রীক সভ্যতাতেও দেখেছি বিজ্ঞান তা মনে করতো না।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: গত মে মাসে আপনিই পোষ্ট করেছিলেন।
দেখুন

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: পোস্টটি আপনাকে বুঝাতে পারিনি। দুটো পোস্টেই বলতে চেয়েছি আত্মা বলতে কিছু নেই। কিছুটা কৌশল করেই বলতে হয় এসব।
গাছের কোথাও আত্মা নেই, কোন প্রাণিরও আত্মা নেই। বিজ্ঞান বলে- জীবের বেঁচে থাকার জন্য আত্মার প্রয়োজন নেই।

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:০১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আত্না নামে কোন কিছু নেই। এটা কল্পনা মাত্র।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
এই জাতীয় অদ্ভুত জিনিস মানুষকে কেন বিশ্বাস করে সেটা একটা অতি আশ্চর্যজনক ব্যাপার।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:০৯

মুজিব রহমান বলেছেন: ধর্মীয় কারণে। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থে বিভিন্নভাবে আত্মার কথা বলা হয়েছে। ওই সময় প্রাণি কিভাবে চলে তা মানুষের জানা ছিল না। ফলে ধর্মপ্রচারকগণ যা প্রচারী দিয়েছেন বা ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ করেছেন তাই মানুষ বিশ্বাস করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.