নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সমাজ বদলাতে হবে। অনবরত কথা বলা ছাড়া এ বদ্ধ সমাজ বদলাবে না। প্রগতিশীল সকল মানুষ যদি একসাথ কথা বলতো তবে দ্রুতই সমাজ বদলে যেতো। আমি ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে অনবরত বলতে চ

মুজিব রহমান

মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনষ্ক মানুষ

মুজিব রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো কঠিন হয়ে গেল৷

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৩

মায়ানমারে সামরিক বাহিনীর ফের ক্ষমতা দখল সবচেয়ে ক্ষতি করবে তাদেরই৷ সামরিক প্রভাব ও শাসনের কারণেই দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে তারা৷ সম্পদ ও ঐতিহ্য বিবেচনা করলে তাদেরই এগিয়ে থাকার কথা ছিল৷
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ ট্রাম্পের দাবির মতোই ভুয়া বলেই মনে হচ্ছে৷ তারা চীনের আশির্বাদ ছাড়া ক্ষমতা নিয়েছে বলে মনে হয় না৷ চীন সামরিক সরকারকে বেকিং না করলে জনবিস্ফোরণেই তাদের পতন ঘটতে পারে৷ সুচী গণ অভ্যুত্থানের ডাক দিলেও এখনো জনগণ রাস্তায় নামেনি হয়তো চীনের কারণেই৷ রুহিঙ্গা ইস্যুতে তাদের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা জোড়দার হয়েছে৷ যদিও নির্বাচনে সেনাবাহিনি সমর্থিত দলের বিপর্যয় ঘটেছিল৷ সেনাবাহিনি ও বর্মিজ জাতীয়তাবাদী চেতনার পক্ষে অবস্থান নেয়ার কারণেই সুচী রুহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ে চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ কিন্তু তার দুর্ভাগ্য যে, শেষ পর্যন্ত তিনি রক্ষা পেলেন না৷
সেনা অভ্যুত্থানে দ্বিতীয় ক্ষতিগ্রস্থ দেশ হবে বাংলাদেশ৷ রুহিঙ্গাদের ফেরানো আরো কঠিন হয়ে গেল৷ সামরিক বাহিনী এক বছরের জন্য ক্ষমতায় থাকার কথা বললেও তারা তা রক্ষা করবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই৷ জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতেও তারা সম্ভবত নেই৷ ফলে সৈন্যদের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম৷ ক্ষমতায় থেকে তারা নিজেদের আরো সুবিধা বাড়িয়ে নিবে এবং ক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করবে৷
মায়ানমারে সামরিক বাহিনি টিকে গেলে অন্য দেশের সামরিক বাহিনিও ক্ষমতা নেয়ার চেষ্টা করবে৷ সামরিক বাহিনি ক্ষমতায় গেলেই ক্ষতি হয় মানুষের ও রাষ্ট্রের৷ কর্তৃত্ববাদী ও গণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের চেয়েও মন্দ হল সামরিক শাসন৷ তবে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের অভাব থাকলে সামরিক বাহিনির ক্ষমতা দখল সহজ হয়৷
মায়ানমারে সামরিক বাহিনির ক্ষমতা দখলের তীব্র নিন্দা জানাই৷ নির্বাচিন সুচীর দলের কাছে ক্ষমতা দেয়াই প্রত্যাশিত৷ এভাবে চললে জনগণ ও রাষ্ট্রের সাথে ক্ষতিগ্রস্থ হবে সেনাবাহিনিও৷ স্বৈরশাসন ও সামরিক শাসন নিপাত যাক৷

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৫

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন । ।

খুবই ভালো লেগেছে।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।
আন্তর্জাতিক বিষয়ে দীর্ঘকাল আগ্রহ থাকলেও ভাল বিশ্লেষণ করার মতো তথ্য পাওয়া আমার জন্য অসম্ভবই। তবুও লিখতে ইচ্ছে করলো যাতে ঢালাও সামরিক শাসনের পক্ষে মানুষ না দাঁড়ায়।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৫

জুন বলেছেন: আমার মনে হয় না কঠিন হবে। কারন এর আগে কিন্ত সামরিক শাসনের সময়ই সবচেয়ে বড় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হয়েছিল। সুকি ক্ষমতায় আসার পর একটা রোহিঙ্গাকেও ফেরত পাঠাতে পারেনি বাংলাদেশ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: এবারের রুহিঙ্গাদের বিতাড়নের পেছনে মূল কারিগরই সেনাবাহিনী। ফলে তারা ফেরত নিবে বলে মনে হয় না। তারা রুহিঙ্গাদের নিয়েই জাতীয়তাবাদ জাগিয়ে তুলবে।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সম্ভবত বার্মাই এক মাত্র দেশ যেখানে পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর জন্য সিট সংরক্ষিত রাখা আছে।

তবে পুলিশ বাহিনীর জন্য কোন সিট সংরক্ষিত নেই।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৮

মুজিব রহমান বলেছেন: ২৫% অনির্বাচিত সদস্যও খুবই মন্দ বিষয়।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪০

শাহ আজিজ বলেছেন: সুচির সময়েই বিশাল রোহিঙ্গা দল এখনো বাংলাদেশে । আমরা অপেক্ষা করব কারন বন্দর , গ্যাস , তেল নিয়ে আম্রিকা , ভারত বনাম বার্মা ,চীন দন্ধ প্রকট হবে ।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: সুচির সময়ে হলেও কারণ ছিল সেনাবাহিনী। তারােই উৎখাতের মূল দায়িত্ব পালন করে।

বিস্ময়কর যে ভারত ও চীন যৌথভাবেই বারবার মায়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। দুই দেশই ওখানে প্রাধান্য বিস্তার করতে চায়। তবে চীনই ওখানে আধিপত্য বিস্তার করবে।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৪

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: দেখা যাক কী হয় আর আমাদের শুধু এভাবে দেখতেই হবে...

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫২

মুজিব রহমান বলেছেন: আসলে আন্তর্জান্তিক অঙ্গনে কূটনৈতিক সাফল্য আমাদের খুব কমই। কূটনৈতিক সাফল্য ছাড়া রুহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো যাবে না।

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৪

স্থিতধী বলেছেন: এই অভ্যুত্থান যে চীনাদের ই ইশারায় সেটা নিয়ে সন্দেহ থাকার কোন কারন নেই। ২০১৭ তে ওভাবে গণহত্যার মাধ্যমে রোহিঙ্গা বিতাড়নের বিষয়টা চীনা বিনিয়োগের স্বার্থেই হয়েছিলো। মায়ানমারের সেনাবাহিনীর পুনরায় এভাবে পূর্ণ ক্ষমতা দখল ওখানে চীনা প্রভাব পাকাপোক্ত করার ই ইঙ্গিত, যার অর্থ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের ক্ষীণ সম্ভাবনাও আর নেই। এবারে আমাদের ভাবতে হবে আমরা কিভাবে রোহিংগাদের বসিয়ে বসিয়ে না খাইয়ে তাঁদের কাজে লাগাবো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫০

মুজিব রহমান বলেছেন: কাজে লাগাতে হলে মূল স্রোতে আনতে হবে। আবার এখন যেভাবে বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে তাতেও ওখানে ইন্ড্রাস্ট্রি করে বা কুটির শিল্প বিকাশ ঘটিয়ে করা যায় তবে সহজ নয় কোন কিছুই।

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪০

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার শেষের কথাগুলো হয়ে গেছে এমন,পাগল শাকো নাড়াসনে,ভাল কথা মনে করাইছো।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৫১

মুজিব রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমেরিকা আগে হতে সেনাপ্রধানসহ তিনজন সেনা কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। পেপারে চীন বলেছে আলোচনা করে সমাধান করার জন্য। ঠিক বলেছেন সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক পরিবৈশ না থাকলে এমন হয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:২৮

মুজিব রহমান বলেছেন: চীনের পত্রিকা বলেছে মন্ত্রীসভার পুনর্গঠন!

৯| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: সূচী বা সেনাবাহিনি কেউ রহিংগাদের নেবে না। আমাদের অন্য পথ দেখতে হবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩০

মুজিব রহমান বলেছেন: কি পথ দেখবেন? যুদ্ধ? সেটা হবে ভয়াবহ ভুল। কূটনৈতিকভাবেই সমাধাণ করতে হবে।

১০| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৫৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: মনে হয় না ঐ মহিলা চুপ থাকতে বাধ্য হয়েছে। তার আগ্রহই ছিল না রোহিঙ্গা ব্যাপারে। অন্তত এতটুকু বাধ্য হয় নাই যে, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় টু শব্দ না করার।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩১

মুজিব রহমান বলেছেন: তিনি সেনাবাহিনীকে চটাতে চাননি বলেই মনে হয়েছে।

১১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:০৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনি আছেন বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের ফিরত পাঠানো নিয়ে - আর বাংলাদেশের আমলা-নেতাচক্র এখন শান দিচ্ছে সুদিনের আশায়। পশ্চিমা বিশ্ব ও চীনের এই পাশা খেলায় বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়বে আর বিদেশ থেকে লিল্লাহ পাওয়ার পথ সুগম হবে । রিলিফ আসার ও রিলিফ মারার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩২

মুজিব রহমান বলেছেন: লিল্লার জন্যইতো পাঠানোর প্রচেষ্টা প্রখর নয়।

১২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৪২

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: সুচি বা সেনাবাহিনী- কেউ ই রহিংগাদের ফেরত নিবে না।
আমাদের বিচক্ষন সরকার - ভিক্ষা করার থালা কখনো ভাংবে না - যতক্ষন না বাংলাদেশ আরেকটা মিয়ানমারে পরিনত হয়।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৩

মুজিব রহমান বলেছেন: মিয়াণমারে পরিণত হওয়া হবে বিপর্যয়।েআমরা সুষ্ঠু ও অবাধ গণতন্ত্রই প্রত্যাশা করি।

১৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: এই রহিঙ্গা গুলারে বস্তায় ভরে সমুদ্রে ফেলে আসা উচিৎ। শুনতে অনেক অমানবিক শোনায় কিন্তু এরা আপনার সাথে এর থেকে অনেক বেশি অমানবিকতা দেখানর জন্য অপেক্ষায় আছে।

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৩৫

মুজিব রহমান বলেছেন: খুবই দুঃখজনক। তারাও মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেই তাদের বাঁচিয়ে দেয়ার জন্য। এছাড়া বিশ্বর কাছে আমাদের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হয়েছে। তবে তাদের ফেরত পাঠাতে হবেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.