![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানব প্রেমে বিশ্বাসি
মানুষ
“মানুষ” শব্দটি এসেছে "মনুষ্য" বা "মানব" শব্দের অপভ্রংশ হিসাবে। মনু+ ষ্ণ্য (অপত্যার্থে)= মানব বা মনুষ্য । অর্থাৎ পৌরানিক "মানব"রা ঋষি মনুর সন্তান (যেমন দানবরা দনুর সন্তান)। কিন্তু অন্যান্য ভাষার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে ইংরেজী Man, জার্মান Mann ও Mensch, আবেস্থান Manu-, প্রোটো-জার্মান manwaz সবই একই ইন্দোইউরোপীয় উত্স সম্ভূত।
সমার্থক শব্দ-
মানব, মনুজ, মনুষ্য, মনিষ্যি, নর।
বিপরীত অর্থ-
যখন মানুষ = অনুভুতিশীল, বিপরীত = অমানুষ, (বিশেষণ: অমানবিক= অমানুষিক )
যখন মানুষ = মানব জাতি, বিপরীত = না-মানুষ, মানষ্যেতর (ইতর=ভিন্ন)
যখন মানুষ = পরিণত বা প্রপ্তবয়স্ক, বিপরীত = ছেলেমানুষ (অপরিণত, শিশু)
যখন মানুষ = পুরুষ, স্ত্রীলিঙ্গ = মানুষী, মেয়েমানুষ (মানবী, নারী) (কদাচিত্ ব্যবহৃত হয় মানুষ-মানুষী যুগ্ম ভাবে )
মানব জাতিঃ
প্রানীবিদ্যা অনুসারে মানুষ (অর্থাৎ আমরা) শিম্পাঞ্জীদের নিকটাত্মীয় একরকম দ্বিপদ স্তন্যপায়ী প্রানী। মানব জাতি সম্পর্কিত গবেষণা এক বিশেষ বিষয় যার নাম “ণৃতত্ত্ব”।
প্রাণীবিদ্যা বিভাগীয় অবস্থান
রাজ্যঃ Kingdom
পর্বঃ Phylum
শ্রেনীঃ Class
বর্গঃ Order
পরিবারঃ Family
গোত্রঃ Tribe
গণঃ Genus
প্রজাতিঃ Species
প্রানীঃ Animalia
কর্ডাটাঃ কর্ডাটা
স্তন্যপায়ীঃMammalia
প্রাইমেটঃ Primate
হোমিনিডেঃ Hominidae
হোমিনিনিঃ Hominini
হোমোঃ homo
সিপিয়েন্সঃ sapiens
বৈজ্ঞানিক নাম: ঃ হোমো সেপিয়েন্সHomo sapiens
উত্পত্তিঃ
মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে নানা নৃতাত্বিক মতবাদ আছে। খুব সম্ভবতঃ আজকের সব মানুষ একই উৎস থেকে উদ্ভুত (monophyletic) হয়ে পরে ভৌগলিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছিল। মানুষের খুব নিকটাত্মীয় কিন্তু ভিন্ন উৎস-জাত অন্যান্য শাখাগুলি অতীতে বিলপ্ত হয়ে যাওয়ায় আজ চিম্পাঞ্জী মানুষের নিকটতম আত্মীয়।
সামাজিক বিবর্তনঃ
অন্যান্য বাঁদর জাতীয় স্তন্যপায়ীর মত মানুষও সাধারণতঃ দলবদ্ধ-ভাবে থাকে। কিন্তু মানুষের স্থায়ী বসতি প্রতিষ্ঠা অপেক্ষাকৃত নতুন (আনুমানিক ১৫ হাজার বছর)।
ভাষার আবির্ভাবঃ
মানুষের বুদ্ধির উন্নতি মানুষের জটিল ভাষা ব্যবহার করার ক্ষমতার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত।
শারীরিক গঠন ও প্রক্রিয়া বিবর্তনঃ
চার পায়ের বদলে দুই পায়ে চলতে আরম্ভ করার সাথে সাথে মানব শরীর-গঠন ও শরীর-প্রক্রিয়ায় ধীরে ধীরে নানা পরিবর্তন দেখা দিতে আরম্ভ করে। যেমন পেটের আভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলিকে নীচে পড়ে যাওয়ার থেকে রক্ষা করার জন্য শ্রোণীচক্রের (Pelvic girdle) ব্যাস (diameter) ছোট হয়। বাচ্চার জন্মের পথ সরু হয়ে যাওয়াতে গর্ভে মস্তিস্ক বৃদ্ধি সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই বাচ্চাকে ভূমিষ্ঠ হতে হয়। তার ফল সদ্যজাত মানবশিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে পরনির্ভরশীল। তাকে বহুদিন মা-বাবা ও অন্যান্যদের অভিভাবকত্বে বড় হতে হয়। এখানে ভাষার অবদান গুরত্বপূর্ণ। মুখ ও গলার গঠনে পরিবর্তন হওয়ার কারণে মানুষ অনেক জটিল মনোভাব আদানপ্রদানে সক্ষম হয়। মানুষের উদ্বর্তনের সবথেকে মূল্যবান উপহার মস্তিষ্কের উন্নতি। মানুষের মস্তিষ্ক প্রানীরাজ্যে বৃহত্তম না হলেও আপেক্ষিকভাবে বৃহত্তরদের অন্যতম। মানুষ জন্মাবার বহুবছর অবধি স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশ অব্যহত থাকে। অন্যান্য মানুষদের সঙ্গে ভাষা ও ভঙ্গীর সাহায্যে ভাব বিনিময় করতে করতে বহু আচার-ব্যবহার অধীকৃত হয়, যা জন্মগত ভাবে (জ্বীনের মাধ্যমে) সহজে বর্তায়না। দলবদ্ধ সমাজব্যবস্থাও এতে উপকৃত হয়। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে বয়স্কা মহিলাদের মাসিকবন্ধ হয় তথা রজোনিবৃত্তি ঘটে বলে তাদের ভুমিকা মায়ের বদলে দিদিমায় উপনীত হয়, ফলে তাদের দুই প্রজন্ম পরের মানবশিশুদেরও সুরক্ষা বর্ধিত হয়, শিক্ষা ত্বরান্বিত হয়। মানুষই একমাত্র প্রাণী যাদের বয়ঃসন্ধি ও রজনিবৃত্তি আছে।
১৯ শে মে, ২০১১ সকাল ১১:০৮
ওয়ােছক বলেছেন: কমেন্টসের জন্য ধন্যবাদ,আসলে আমরা অনেক কিছুই জানিনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই মে, ২০১১ রাত ১:৩৮
শুধু প্যচাল বলেছেন: জানতে পারলাম। অনেক কিছুই জানা ছিলনা। ধন্যবাদ আপনাকে। প্রথম পাতায় লেখা দেবার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ