উপলব্ধি

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:২১

ছোট বেলায় কুকুর কিংবা বিড়াল ছানা হাতের নাগালে পাইলেই তাহা লইয়া খেলায় মত্ত হইতাম৷
অভ্যাসটা বুঝি এই ঘটনাটা উপলদ্ধি করাই বার জন্যই নিরবে লালিত হইয়াছিল৷
যাক সে কথা৷
কোন এক বিশেষ কাজে চারদিক দেয়াল ঘেরা এক জায়গায় উপস্থিত হইলাম৷
ঐখানে
একখানা কুকুর ছানা ছোট্ট কোন বস্তু লইয়া কামড়াইতেছিল ৷
আমার ধড়ফড়ইয়া প্রবেশ কুকুর ছানার
কাজে বিঘ্ন ঘটানোর হেতু সে অস্থির হইয়া পলায়ন করিতে উদ্যত হইল৷
আমি মনে মনে পুলকিত হইলাম যে, কিছু সময় ইহা লইয়া কাটিলে মন্দ হয় না৷
ছানাটা চার দেয়ালের বাহিরে যাওয়ার কোন উপায় না পাইয়া কু কু চুু চু এই রকম আওয়াজ করিতে লাগিল৷
হাতের নাগালে পাইবার জন্য আমিও নাছোড়বান্দা চু: চু: করিয়া ডাক দিতেই লেজ নাড়াইয়া এমন ভাব করিল যেন সে এতক্ষন আমারে ডাকিতে ছিল৷
কুকুর ছানার নিকটে উপস্থিত হইয়া
হাত বাডা়ইলাম কোন প্রতিবাদ না করিয়া চোখের দিকে তাকাইয়া থাকিল৷৷৷
ততক্ষনে আমি তাহার শরীরের আদ্যপান্ত পরখ করিয়া দেখিলাম শীতকাল তাই লোমগুলি এমন ভাবে ফুলিয়া আছে যেন গামা পালোয়ানের শরীর!
পাজরের দিকটা হাড়গুলি কেমন যেন ভাসিয়া পালোয়ানের ভাবখানা চূর্ন করিয়া দেয়৷ আশ্চর্য হইলাম
এইটুকুন ছানার গায়ে পরজীবির আক্রমনে কয়েক যায়গায় ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষত হওযায় তার এই দশা৷
কি রকম কিলবিল করিয়া উকুনের দল
ঘুরিয়া বেড়াইতেছে যেন রক্ত খাওয়ার মহা উৎসব৷

কাতর হইলাম কি না ঠিক জানিনা৷৷
শুকনো পাতা তার শরীরে মৃদু স্পর্শ করিতেই সব উকুন দলবল লইয়া আমাজনের গভীর অরণ্যে পলায়ন করিল৷
ছানাটি চোখ বন্ধ করিয়া আরাম উপভোগ করিতে থাকল৷৷
কিন্তু আমার সামর্থ্য নাই যে কুকুর ছানার উকুন তাড়ানোর৷ আর থাকিলেই বা কি৷
এমনি করিয়া অনেক্ষন কাটিয়া গেল
কুকুর ছানার পাশ হইতে খানিক দূরে যাইতেই সে রাস্তা ধরিল যাওয়ার৷
পেছন থেকে পুন: পুন: ডাকিলাম
নাহ্ তার পেছন ফিরিয়া তাকাইবার সময় নাই শুধু লেজ খানা ৯০ ডিগ্রী মাত্রায় তুলিয়া তিরস্কার করিয়া শীর্নদেহে দুলিতে দুলিতে প্রস্থান করিল৷
ততক্ষনাৎ কিছু না করিয়া আমিও সে স্থান ত্যাগ করিলাম৷৷

কোন এক সময়ে

কুকুরের কথা কল্পনায় শুনিলাম-----------মানুষ হইয়া কুকুরের দু:খে কাতর হইয়োনা৷ যথেষ্ট হইয়াছে তোমার কিঞ্চিৎ সমাদর আমি সানন্দে গ্রহন করিয়াছি৷

আমার শরীরের সাথে তোমাদের সমাজটা মিলাইয়া দেখ৷
এই রকম কিছু উকুন জাতীয় মানুষ তোমাদের সমাজে বাস করে৷৷
যাহারা রক্ত পান করে অসহায় মানুষগুলির,
নিরবে সমাজের ক্ষতি করে যায় আর আনন্দে-উল্লাসে দিনাতিপাত করে
যখন কারো চোখে তাহাদের অপরাধ প্রকাশ পায় তখন কিছু লোক /কিছু নিয়ম-কানুন
উকুন জাতীয় মানুষগুলোকে সমূলে উৎপাটিত না করিয়া মৃদুভাবে গুতোয় ফলে তারা আবার সমাজের সাথে নিবিড় ভাবে মিশিয়া পুনরায় সমাজে ক্ষত সৃষ্টি করে ৷৷
সমাজের এই দুর্দিনে উকুন জাতীয় লোক গুলিকে সমূলে উপড়াইয়া ফেলিলে মানুষের অনেক উপকার হইবে৷৷ছবি: গুগল

০ টি +০/-০