নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর সমস্ত পেশার ভিত্তি কৃষক ও শ্রমিকের পেশা

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৯

পৃথিবীর সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা কৃষক ও শ্রমিকের পেশা এবং পৃথিবীর সমস্ত পেশা গড়ে উঠেছে এই দুটি পেশার উপর ভিত্তি করেই। পৃথিবীতে যে কর্মযজ্ঞ হচ্ছে তা এই দুটি পেশাকে কেন্দ্র করে। আজ অফিস-আদালত, ব্যাংক-বীমা, শিক্ষা, আবিষ্কার, রাষ্ট্র যন্ত্রের প্রতিটি বিভাগ, পৃথিবীর যাবতীয় ঘটনাপুঞ্জ এই দুটি পেশার উপর নির্ভরশীল। কৃষকের উৎপাদন ও শ্রমিকের শ্রমেই গড়ে উঠে ব্যবসা-বাণিজ্য, লেনদেন, কর্পোরেটদের স্যুট আর কোর্ট-টাইয়ের পরিপাটি পোশাক।

যদি কখনো কৃষক তার খাদ্য উৎপাদন ও শ্রমিক তার পণ্য উৎপাদন কিছু দিনের জন্য বন্ধ করে দেয় তাহলে রাষ্ট্র তথা পৃথিবী যাবতীয় তন্ত্র-মন্ত্র, প্রণালী ও পদ্ধতি স্থবির হয়ে পরবে। তখন প্রয়োজন হলে বাঁচার তাগিদে ব্যাংকারকে হয়তো তার তার স্যুট-কোর্ট পড়েই, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে তার মন্ত্রী-সচিবদের নিয়ে নরম চেয়ার ফেলে হাতুড়ি-কাস্তে হাতে নিয়েই মাঠে নামতে হবে।
কৃষক ও শ্রমিকের ঘাম যত বেশি ঝরে রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ারগুলো তত বেশি নরম ও আরামদায়ক হয়ে ওঠে। অন্যদিকে কৃষক ও শ্রমিক যদি তার কর্মযজ্ঞ অব্যাহত রাখে, আর অন্য পেশাজীবী মানুষ যদি তাদের কাজকর্ম বন্ধ রাখে তাতে সামাজিক নিয়ম-শৃঙ্খলার কিছুটা ব্যত্যয় হলেও সমাজ বা রাষ্ট্রের ভিত্তির কোন ক্ষতি সাধন হবেনা।

কোন লেখক যদি মারা যায় তখন আমরা হয়তো বলি তার জীবদ্দশায় ১০০টি বই লিখে গেছেন আমাদের জন্য, অভিনেতার ক্ষেত্রে বলি ২০০ সিনেমা করে গেছেন আমাদের জন্য। কিন্তু একজন কৃষক মারা গেলে কখনো কি ভাবি তার জীবদ্দশায় কত টন খাদ্য উৎপাদন করে গেছেন আমাদের জন্য? অথবা একজন কারখানা শ্রমিকের ক্ষেত্রে কি বলি তার জীবদ্দশায় ৫০০০ টি পণ্য উৎপাদন করে আমাদের অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে গেছেন এই মহান মানুষটি!

দুঃখের বিষয় সমস্ত পেশার অভিভাবক, সবচেয়ে সম্মানিত এই কৃষক ও শ্রমিকের পেশা রাষ্ট্রীয়ভাবে আজও বৈষম্য ও অবহেলার স্বীকার। এবারের মে দিবসে তাই কাম্য, কৃষক-শ্রমিক তার প্রাপ্য সম্মান নিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হোক। আসুন তাদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক সুরে শ্লোগান তুলি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ ভোর ৫:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: কৃষি হচ্ছে মহৎ পেশা এবং একই সাথে মহৎ শিল্প।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: যথার্থ বলেছেন প্রিয় ব্লগার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই , ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৮

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: পৃথিবীর অদি পেশা কৃষি। সভ্যতার শেকড়। কৃষিকে কেন্দ্র করে অন্যান্য পেশা বা কল-কারখানা গড়ে উঠেছে। তারপরও কৃষকেরা আজও অবহেলিত বা বঞ্চনার শিকার।

আপনি ঠিকই বলেছেন, কৃষক বা শ্রমিকের ঘম যত বেশি ঝরে রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ারগুলি ততবেশি আরামদায়ক ও নরম হয়ে ওঠে।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ......।। শুভকামনা.........।।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষকদের পেশাটাকে সম্মান করা হয়। একজন কৃষককে নয়।
আমরা বলার সময় আর লেখার সময় বলি কৃষক মহান।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৭

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: যে মানুষগুলো আমাদের খাদ্যের যোগান দিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে রাখে তাদেরকে কটাক্ষ করে ডাকি চাষা বলে ......। এই মানুষিকতার পরিবর্তন দরকার এখন থেকেই ...... ধন্যবাদ প্রিয় ব্লগার রাজীব নুর ......

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট খুব সুন্দর একটা বিষয়ে
উপস্থাপন করেছেন। সবচে মহান পেশা
কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসল খাদ্য উৎপাদন
করা। কিন্তু কই আমরা তাদের সম্মাননা
দিতে নারাজ। একজন কৃষক খাদ্যশস্য
উৎপাদনের মহান কারীগর। ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য .........।। শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.