নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

চলমান আন্দোলন এবং আগামীর বাংলাদেশ

০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:২৪

গত কয়েক দিন ধরে ফেচবুকের পাতা থেকে দেশের চলমান অবস্থার খবরা খবর রাখার চেষ্টা করছি।দেশের এই অবিস্মরণীয় মুহূর্তগুলোর ভেতর দিয়ে দেশের মানুষের ভেতরের চেহারাগুলো দারুণভাবে ফুটে উঠেছে এরই মধ্যে।কত বিচিত্র রূপ এই ভূমিতে জন্ম নেয়া আমাদের। আন্দোলনটা ছিল আশাতীত।বুড়ো ভামদের পরিচালিত দেশের সড়ক বিভাগের আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিনিয়ে নিয়েছিলো দেশের স্বপ্নবাজ কয়েক হাজার শিশু কিশোর। যদিও উপলক্ষ ছিল ওদের কয়েকজন সতীর্থকে বাসের চাকার নিচে পিষে মেরে ফেলাকে কেন্দ্র করে।ওদের বইয়ের মলাটের পেছনে তুলে দেয়া হয়েছে দু লাইনের শ্লোগান » শিক্ষা নিয়ে গড়বো দেশ সেখ হাসিনার বাংলাদেশ » । ওরা শিক্ষা নিয়ে সেখ হাসিনার যে বাংলাদেশ গড়বে সেই বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা কি তারই একটি পরীক্ষামূলক অভিযানে নেমে দেখেছে যে, এই দেশের রাস্তায় রাষ্ট্রীয় দায়িত্বশীল ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউই রাষ্ট্রীয় আইনের তোয়াক্কা না করে খেয়াল খুশি মতো ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাস্তায় চলাচল করে। কিভাবে সুশৃঙ্খলভাবে মহাসড়ক ও রাস্তা পরিচালনা করতে হয় ওরা প্রশিক্ষণ না নিয়েই স্কুল কলেজ বাদ দিয়ে কয়েক দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।এর মধ্য দিয়ে ওরা বুঝিয়ে দিয়েছে ওদের আগামীর বাংলাদেশ ওরা কিভাবে গড়তে চায়, কিভাবে দেখতে চায় ।যে কাজ করতে না পেরে দেশ নিয়ে ভাবা ঘরে বসে গুমরে কাঁদা মানুষ অভূতপূর্ব সমর্থন ও ভালোবাসা পৌঁছে দিয়েছেন যার যার অবস্থান থেকে আমাদের গর্বিত শিশু কিশোরদের কাছে।যদিও এই অভিযান দেশের লুটে খাওয়া ক্ষমতাসীনদের জন্য ছিল এক লজ্জার বিষয়। তাই আন্দোলনের শুরু থেকেই তাদের অনুসারী ও সুবিধাভোগীরা গৌরবের এই আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভ্রান্তমূলক প্রচার অভিযানে দারুণভাবে সজাক হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু কিছু মানুষের সমর্থন ও গঠনমূলক আলোচনা ও নির্দেশনায় সত্যিই অভিভূত হয়েছি। এদের আমার বন্ধু তালিকায় আওয়ামীলীগ কর্মী বা মতাদর্শের মানুষ হিসেবে চিনি জানি।কোন দলের অনুসারী হলেই যে অন্ধ হয়ে যেতে হবে এই মানুষগুলিকে তার ব্যতিক্রম মনে হয়েছে, আশা জাগিয়েছে।এরা দলের বিবেক বন্ধক দেয়া সুবিধাভোগী রাজনৈতিক চিন্তাধারার মানুষ নয়।বুঝেছি এরাও বুড়ো ভামদের দ্বারা পরিচালিত এমন লুটে খাওয়া বাংলাদেশ দেখতে চায়না। এরা বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতার প্রতিশ্রুত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে।তাই হয়তো আজ এদের দলের লুটপাট কমিটিতে পদ নেই কিন্তু বিবেক জেগে আছে । অন্যদিকে আমার বন্ধু তালিকায় কিছু বন্ধু ক্ষমতাসীনদের ভাঁড়ামি পত্রিকায় সাংবাদিকতার চাকুরী করেন। এমন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করলেও এদের ব্যক্তিগত চিন্তাধারা বেশ উদার মনে হতো কিন্তু এই ঘটনার মধ্যদিয়ে এদের বিকৃত রূপের আবির্ভাব দেখে খুব আশ্চর্য হয়েছি।ভাঁড়ামি পত্রিকায় চাকুরী করলেই কি লাখো মানুষের সমর্থন ও চাওয়াকে অসম্মান করে গুটিকয়েক লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষার্থে, গুণগান করতে এমন উলঙ্গ ভাবে সবার সামনে নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে? মনে হয়েছে হয়তো চাকুরী হারাবার ভয়ে অথবা পরবর্তী মাসের বেতন আটকে যাওয়ার ভয়েই এমন আচরণ।কারণ বেঁচে থাকার স্বার্থে সবার হাত পা এই দেশে কোনোনাকোনো ভাবে বাঁধা পড়ে গেছে হাতে। কিন্তু এই বদ্ধ শৃঙ্খলতো আমাদেরই ভাঙ্গতে হবে বন্ধু।তা নাহলে কৃতদাসের জীবন নিয়েই এই ভূমিতে একদিন নিশ্বাস ত্যাগ করতে হবে বন্ধুগন ……।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন:

ওরা কারা?

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৩৩

ক্স বলেছেন: আন্দোলনে সেরকম কিছু হয়নি। কোটা আন্দোলন প্রথমে জমে উঠেছিল কারণ আন্দোলনকারীদের মধ্যে মেয়েদের আধিক্য দেখে পুলিশ মান ইজ্জতের ভয়ে এ্যাকশনে যাবার সাহস পায়নি। দ্বিতীয়বার কিন্তু তা আর ঘটেনি।

বর্তমান আন্দোলনে শিশু কিশোরদের সেনসিটিভ ত্বক তাদেরকে পুলিশের লাঠি থেকে হেফাজত করেছে - আর কিছু না। এই আন্দোলনে যদি তরুণ যুবকেরা নামত, তাহলে ১০/১২ জন খুন হয়ে যেত - এ ব্যাপারে কোন ভুল নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.