নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিজেকে বোঝার আগেই মনের মধ্যে একটা চেতনা তাড়া করে ফিরতো। এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থাকে বদলাতে হবে, একটা বিপ্লব দরকার। কিন্তু কিভাবে?বিপ্লবের হাতিয়ার কি? অনেক ভেবেছি। একদিন মনের মধ্যে উঁকি দিয়ে উঠলো একটি শব্দ, বিপ্লবের হাতিয়ার \'কলম\'।

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল)

পৃথিবীতে ঘুরতে আসা কিছু দিনের পর্যটক

মুঃ গোলাম মোর্শেদ (উজ্জ্বল) › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখা এক ক্রান্তদর্শী ধূমকেতু ওসমান হাদী।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪২

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে যে ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু হয়েছে, তাহলো বিদেশী প্রভুরদের দাসত্ব বরণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের উপর প্রভুত্ব করা , আর দেশের মানুষের বাঁচার প্রয়োজনে ক্ষমতাসীনদের প্রভুত্ব মেনে দাসত্ব করা ।
রাষ্ট্রীয় মৌলিক সুযোগ সুবিধার সমবণ্টন ব্যবস্থা দেশে এখনো প্রতিষ্ঠা না হওয়ার কারণে প্রভুত্ব শাসন ব্যবস্থায় দেখা যায় সামান্য নাগরিক সুবিধার জন্য জনপ্রতিনিধিদের ড্রয়িংরুমে মানুষের ভিড়, নির্বাচনী প্রতিনিধিদের প্রচারণায় মানুষের ভিড়, আর যাদের ক্ষমতার আসন দখলের সম্ভাবনা সেই সম্ভাবনা বুঝে তাদের পদলেহনের তুমুল প্রতিযোগিতা ।
কারণ প্রভুদের মনতুষ্টি অর্জন ছাড়া যোগ্যতা দিয়ে কোন কিছু অর্জনের পথ ঐ রাষ্ট্রে অমসৃণ ।আমাদের দীর্ঘদিনের চলে আসা এই সিস্টেমের মধ্যে খেয়ে পরে বেঁচে থাকা যায়, কিন্তু আত্মমর্যাদার প্রশান্তি পাওয়া যায় না। শির উঁচু করে কথা বলা যায় না। যাদের মগজ নাই, পশুর মত উদরপূর্তি করে বেঁচে থাকতে ভালোবাসে তাদের জীবন এই সিস্টেমে দিব্যি পার হয়ে যায়। কিন্তু, যাদের মগজ আছে,যারা বেঁচে থাকা বলতে আত্মমর্যাদাকে বোঝে,নিজস্ব জাতিগত স্বাতন্ত্র্যতাকে উঁচু করে ধরে বাঁচতে চায়, তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের পর্দার আড়ালের ছবি সিনেমার পর্দার মত দেখতে পায়। রাষ্ট্রের মেকানিজম তাদের মগজে সহজেই ধরা পড়ে । যার ফলে এমন মানুষেরা অন্যদের মত নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে না ।এই মানুষগুলো দেহের উচ্চতায় যতটুকুই হোক মনের উচ্চতায় হয় হিমালয়সম ।যখন এমন মানুষেরা সমাজের উপর চেপে বসা প্রভুদের দীর্ঘ দিনের নিয়ম ভাঙার স্বপ্ন নিয়ে কণ্ঠস্বর রূঢ় করে দাসত্বের শিকল ভাঙার প্রত্যয়ে মানুষকে জাগ্রত করতে আহ্বান জানায় তখনই দেশী বিদেশী প্রভুদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে শত্রুতে পরিণত হয় ।

তরুণ ওসমান হাদীর কথার মধ্যে অন্তর্দৃষ্টির ছাপ পাওয়া যেতো। অল্প বয়সেই একজন ক্রান্তদর্শী মানুষ হয়ে দাসত্বের শিকল ভাঙার স্বপ্ন দেখেছিলেন ।আর এটার তার ব্যক্তি জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। দাসত্বের সমাজের প্রভুরা কখনোই ক্রান্তদর্শী মানুষ চায়না, ওরা দাস চায়, তাই ঐ সমাজের দাসত্ব মনোবৃত্তির মানুষদের জীবন নিরাপদ,ক্রান্তদর্শীদের জীবন সর্বদাই অনিরাপদ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮

রাসেল বলেছেন: ওসমান হাদীর প্রতি সন্মান জানাইতেছি।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:২১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: হাদীকে আল্লাহ জান্নাতে ঠাঁই দিন

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যারা দাসত্বকে মেনে নিয়েছে তার হাদিকে বকাঝকা করছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.