নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম,ঝর্ণার মত চঞ্চল।বিধাতার মত নির্ভয়,প্রকৃতির মত সচ্ছল।আমি আকাশের মত বাঁধাহীন,আমি মরু সঞ্চার বেদুঈন,আমার বন্ধনহীন জন্ম–স্বাধীন,চিত্ত মুক্ত শতদল।ঠিক যেমনটা নজরুল বলেছেন

অতীন্দ্রিয়া

অভিশাপ রথের সারথী

অতীন্দ্রিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে গাধারা পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে না টিকে হতাশ এবং সামাজিক হা হুতাশে আছো

১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

তুই মেডিকেলে টিকস নাই..তুই গাধা..

সবাই চায় তোমাকে সান্তনা দিতে.. কিন্তু তুমি নিজে থেকে দ্বিগুণ শক্তিশালী এটা কারোও হজম হবে না...তুমি তোমার ব্যার্থতাকে মেনে নিয়ে সামনে আগাতে গেলে আমাদের সমাজ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে তুমি ঠিক কতটা নালায়েক...পদে পদে সবাইকে ডেকে তারা আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবে তুমি সমাজের বোঝা..মাঝে মাঝে তোমার ও তাই মনে হবে অন্যের সফলতা দেখে...

.তুমি হাসলে, তোমার ক্ষততে মরিচ দিয়ে দেখাবে.. হোচট খেলে কতটা ব্যাথা!
ব্যাথার চোটে তোমার চিৎকার করা উচিৎ..হাসো কেন!. ..

তুমি ঢাবিতে জাবিতে মেডিকেলে ব্লা ব্লা দুনিয়ার কোন পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিকো নাই.. তুমি ঘরের ফ্যানের সাথে দড়ি লাগাও..এবং ঝুলে পড়ো...বা একটা অন্ধকারের ঘরে সারা জীবনের জন্য বদ্ধ হয়ে যাও...কারণ তোমার মত না লায়েকের সমাজে মুখ দেখানোর যায়গা নাই...

.আর তার পর তুমি ভেঙে পড়লে, তুমি সমাজের কাছে মুখ লুকিয়ে নিজেকে আাড়াল করলে,তার পর কিছু সমাজ সেবক হিরো হয়ে এসে তোমাকে সান্তনা দিবে...

সমাজের এসব মানুষ থেকে সাবধান থাকুন.. যারা অন্যের সম্মানের পরোয়া করে না তারা সম্মান পাওয়ার অযোগ্য..তারা তোমার সামনে বার বার একই কথা বলে তোমাকে বিশ্বাস করাতে চাইবে তুমি অকর্মা

আরে শিক্ষিত গর্ধব সমাজের সমাজসেবকরা!
কারো সপ্ন ভাঙে একটা রেজাল্টে....কারো জীবনের শেষ কনফিডেন্ট টুকু শেষ হয়ে যায় একটা রেজাল্ট! .....কেউকষ্ট প্রকাশ করে আর কেউ করে না৷ প্রকাশ করে না বলেইযে তার ব্যাথা নাই তা কিন্তু না।
এইযে বার বার সান্তনার ছলে,, খোচা দিয়ে, উপদেশ দিয়ে কিংবা পোস্ট দিয়ে তাদের পোড়া ক্ষতটাতে মরিচ লাগাও...! এতে জানো কি হয়! জানবা কিভাবে!৷

তুমি হতে পারো ঢাকা মোডিকেল বা ঢাবির আইনের ছাত্র কিংবা শিক্ষক বা মস্ত সফল মানুষ। জীবনে ব্যার্থতা দেখো নাই..তাই তোমার মনস্তাত্ত্বিক উন্নতি হয় নাই..নিজের মনের অহং বোধই কাটাতে পারো নাই...আত্মার বিকাশ হয়নাই তোমার...যা ছিলো শিক্ষার মুল..
যে যত বড় শিক্ষিত সে তত বেশি বিবেক বান তত বেশি উদার তত বড় মনের মানুষ..তুমি হতে পারো নাই..জানইনা মানুষ কিসে কষ্ট পায়...

যাদের জীবন বোধ আছে তারা এসব ব্যার্থতা নিয়ে পড়ে থাকে না...কারণ একটা পাব্লিক ভা্র্সিটি জীবনোর অনেক কিছু হলেও তা কোন জীবন থেকে বড় না...কোন মানুষের আশা স্বপ্ন যোগ্যতা কনফিডেন্ট থেকে বড় না...কখনই না...

আসলে জীবনের এই পার্থিব কোন সাফল্যই কিছুই না...জীবন বোধ থাকলে পান্তাভাতেও সুখ...জীবন কে উপভোগ করতে জানলে সারাদিন ঘরকন্যার কাজ,সংসার কিংবা বাচ্চা পালাতেও সুখ...জীবন বোধ থাকলে দিন মজুর হয়েও সুখ..অবরোধবাসী হয়েও সুখ...যেটা তোমার লাখটাকা কামানোয় নাই..
কারণ জীবন বোধ চলতে শিখায়..হোচট খেতে শিখায়, থামতে শিখায় না... বলিনাই লাখটাকায় সুখ নাই..আছে। লাখটাকা থেকে সুখ বের করতেও শিখায় জীবন বোধ..
এই শিক্ষা ক্লাস ওয়ান থেকে সরকার তোমাকে দিয়ে আসছে...তুমি নাও নাই..তাই আসো মানুষের কষ্টে মজা নিতে! আজ তোমার খোচানো ব্যাথার জন্য কেউ যদি সুইসাইড করে? কোথায় থাকবে তোমার মানবিকতা! তোমার অবস্থান! ঠিক তখনো নিজের গা বাচিয়ে দোষ সেই লাসের ঘাড়েই দিবা..

এত ছুটো ছুটি পাব্লিক বা বেসরকারি পড়াশোনা কেন করো? সিকিউর সুখের জন্যই তো?
সরকারি আমলা হবা তুমি! অনেক টাকা কামাবা? সাথে উপরি কামাইয়ো করবা?
আসলে টাকা উড়াতেই জানো তুমি..সুট বুট পরে পাব্লিক বাসে থুতু ফেলতে জানো..অন্যকে ছোট দেখিয়ে নিজেকে বড় প্রমান করতে জানো...
কিন্তু এটা কি জানো? যে প্রকৃত সুখি তার নিজেকে সুখি প্রমান করতে হয় না! যে বড় তার কপালে সিল দিয়ে লিখা থাকে না সে বড়..
( আমি বলছিনা পড়া শোনা বা পাব্লিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরত্ব কম! এটা জরুরি অবশ্যই কিন্তু এটাই সব না...আমি বলছি পড়াশোনার আসল উদ্যেশ্যের কথা,যারা অন্যের কষ্ট নিয়ে তামাশা করে তারা আর যাই হোক শিক্ষিত না)

এইযে ব্যার্থ ছেলে বা মেয়ে..

তোমার সাধ্য আছে চেষ্টা করার বাকি ফলাফল আল্লাহর হাতে...বহু ড্রপ আউটের জাগার উদাহরণ আর বহু সফলের থেমে যাওয়ার উদাহরন নাইবা টানলাম

এই নালায়েক...
স্বীকার করো তুমি ব্যার্থ...আর সেটাকে মধ্যমা দেখাও...
জীবন এখানেই শেষ না...নিজের যোগ্যতায় বিশ্বাস রাখো..সমাজের প্রত্যাশা কটুক্তি কিংবা তথাকথিত সহানুভূতির চাপে নিজেকে অকর্মা করে ফেলে, নিজের গতি থামিয়ে দিয়ে...নিজেকে সত্যিই সমাজের বোঝা করে ফেলো না..যতক্ষণ তোমার কমপক্ষে তিনটা ইন্দ্রিয় কাজ করছে ততক্ষণ তুমি সম্ভাবনাময় অগ্নি...

এই কাপুরুষ হৃদয়..
... বলো নিজেকে...আমার ব্যার্থতা কে উৎযাপন করতে জানি.. কারণ প্রতিটা ব্যার্থতা থেকে আমি শিখতে জানি....আর ব্যার্থতাকে সাফল্যে রুপ দিয়ে প্রতিবাদ ও করতে জানি..আর আমি বিশ্বাস করি জীবন দর্শনই সবচেয়ে বড় শিক্ষা...জীবনে মানুষের মত মানুষ হওয়া জরুরি..অমানুষ.ডাক্তার ইন্জনিয়ার বা সরকারি আমলা হওয়া জরুরি না...৷

আর বলো শিক্ষিত সামাজিক কিটদের.. যারা তোমাকে নিচু দেখায়..
.. তোমরা যদি প্রফেশনকেই বড় মনে করো আর আত্মঅহংবোধে ভোগো...তবে জেনে রেখো তোমার মত অমানুষরাই তোমাকে আটকে দিবে পদে পদে...সেদিন তুমি আমাদের মত ব্যার্থতা কে শক্তি করতে পারবে না....কারণ সেই আত্মাশক্তি তুমি অর্জন করতে পারই নাই....আত্নাকে পাপ অহংকার মুক্ত করতে পারো নাই...অন্যের ব্যার্থতা কখনো অনুভব করোনাই..নিভে যাওয়া শিখা জ্বলতে দেখোনাই....সেদিন তুমি ভেঙে পড়বা...কিন্তু আমরা সান্তনা দিতে আসবো না.টিটকারিও করবো না...সমবেদনাও দেখাবো না. ..কারন আমরা সান্তনা দেইনা, নেইও না, এর ধারও ধারি না...আমরা দেই সাহস...আমরা দেখাই পথ...আমরা মানুষকে শক্তি দেই না..মানুষের আত্মশক্তিকে জাগাই.....আমরা মানুষকে উপরে তুলি. নিচে নামাইনা..
আমরাই আমাদের সুপার হিরো..

শেষে নজরুলের সুরে বলবো...
আমি জাহান্নামের আগুনে বসিয়া হাসি পুষ্পের হাসি..
কে থামাবি? থামা...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৩৬

আখেনাটেন বলেছেন: দারুন জ্বালাময়ী বক্তৃতার ছলে অনেক সাহসী কথায় বলেছেন।

মস্ত সফল মানুষ। জীবনে ব্যার্থতা দেখো নাই..তাই তোমার মনস্তাত্ত্বিক উন্নতি হয় নাই..নিজের মনের অহং বোধই কাটাতে পারো নাই...আত্মার বিকাশ হয়নাই তোমার...যা ছিলো শিক্ষার মুল..
যে যত বড় শিক্ষিত সে তত বেশি বিবেক বান তত বেশি উদার তত বড় মনের মানুষ..তুমি হতে পারো নাই..জানইনা মানুষ কিসে কষ্ট পায়...
-- চমৎকার।

আমরা আমাদের আমিত্বে গরিয়ান। বাকিরা ছারপোকা।
দুর্দান্ত লিখেছেন।

*কিছু টাইপো রয়েছে।

২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৩

অতীন্দ্রিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ...আচ্ছা টাইপো কি? টাইপ মিস্টেক?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.