নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ট শিক্ষক হিসেবে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর

শিক্ষক

হাফিজ মোঃ মাশহুদ চৌধুরীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বিশ্ব গঠনের জন্য করণীয় (২য় পর্ব)

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪২

আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী সৃষ্টির পেছনে যেসব দেশের নাম উল্লেখ করা হয়, সেসব দেশের আয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ, এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রায় পুরো অর্থই আসে অস্ত্র উৎপাদন ও বিপণন থেকে। তাছাড়া বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি কার্যক্রমের পেছনে অস্ত্র ব্যবসায়ীদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত রয়েছে। তেমনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর পেছনেও রয়েছে তাদের ইন্ধন। কাজেই সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতা বন্ধের জন্য এসবের উৎস হিসাবে ঐসব অস্ত্র ব্যবসায়ীদের পেশা বদলাতে হবে। এজন্যে ব্যাপক জনমত গঠন করতে হবে এবং গবেষণা চালিয়ে বিকল্প পেশার উদ্ভাবন করতে হবে এবং এ উদ্ভাবিত বিকল্প পেশার দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে হবে। মানবতার জয়গান অন্তরে নিয়ে সদিচ্ছা পোষণ করে পুরোপুরি সচেষ্ট হলে বিকল্প আয়ের উৎস খুঁজে বের করা অসম্ভব নয়। এব্যাপারে বিভিন্ন স্থানের ও বিভিন্ন দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থাকে সামনে রেখে বিকল্প পথের সন্ধানে বুদ্ধিজীবীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে এবং সরকারগুলোর পক্ষ থেকেও বিশেষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীদেরকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

যেসব দেশ ব্যবসা নয় বরং আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করে, অস্ত্র ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে তাদেরকেও যুদ্ধাস্ত্র তৈরি করতে হবে না। কেননা, তখন সন্ত্রাস ও অস্ত্র নির্ভর বিভিন্ন তৎপরতা আপনা-আপনি বন্ধ হয়ে যাবে।

সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার আরেকটি বড় কারণ হলো বিভক্তির রাজনীতির বিস্তার। মূলত আদর্শিক দৈন্যতা, সংকীর্ণ দৃষ্টিভংগী এবং সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যাবার স্বাদ আস্বাদনের জন্য উপযুক্ত উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল যোগ্যতার অভাব ইত্যাদি কারণে বিভিন্ন অজুহাত তৈরি করে জনগণকে বিভক্ত করে এক দলের পক্ষ হয়ে অন্য দলকে নির্মূল করার নীতি গ্রহণ সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতাকে উস্কে দেয়। এ বাস্তবতা বিভিন্ন দেশে স্থানীয়ভাবে যেমন সত্য, তেমনি আন্তর্জাতিক বা বৈশ্বিক রাজনীতিতেও সত্য। আর এ কারণেই মানবাধিকার বঞ্চিত শ্রেণির অনেকেই বিকল্প পথ না পেয়ে বাধ্য হয়ে নিজেদের অস্তিত্বের স্বার্থে অস্ত্র, সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার দিকে ধাবিত হয়। অপরদিকে এদেরকে দমন করার নামে শাসক শ্রেণিও অস্ত্র শক্তি প্রয়োগের দিকে মনোযোগী হয়। আর অস্ত্র ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক সাম্রাজ্য বিস্তারকারী দুষ্টু চক্র এতে ইন্ধন যোগায়।

এভাবে পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি দেশকে অস্ত্র ও যুদ্ধ খাতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়, তা না করে সে অর্থ মানবতার কল্যাণে ও সমাজ গড়ার কাজে ব্যয় করে পৃথিবীকে শান্তিপূর্ণ বসবাস উপযোগী করে গড়ে তোলা অবশ্যই সম্ভব। (চলবে)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.